![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমে ও উষ্ণ আবহাওয়ায় মানুষের সহ্যের সীমা এমনি কমে যায়! দিনে মাঝে কিংবা সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বাসায় ফিরে তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রীর আশেপাশে ক্লান্তি ময় ঘামের শরীর নিয়ে ঘরের জানালা খুলে দিয়েও ঠিক কতোটা প্রশান্তি পাওয়া যাবে, তা কিন্তু বলাই বাহুল্য! অনেক দিনের মনের সুপ্ত বাসনা যে একটি এসি কিনি কিনি, তবে কেনা হয়ে ওঠেনি! এখনি মক্ষম সময় নিজের ঘরের জন্য একটি দারুন একটি এসি নিয়ে আসা।
তবে পকেটের কষ্টের টাকা হাতে নিয়ে, এসির দোকানে ভালো একটি এসি বাছাই করার জন্য চসে বেড়ানোর আগে অবশ্যই আপনার এসি সম্পর্কে ন্যূনতম কিছু জেনে নেয়া উচিৎ! এসি কেনার ক্ষেত্রে অনেক গুলো বিষয় ভেবে নিতে হয়, কেননা এসি সম্পূর্ণ ভাবে একটি উচ্চমানের ইলেক্ট্রনিক এপ্লায়েন্স, এর বিদ্যুৎ কঞ্জাম্পশনের হারও বাসার অন্যসকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের চাইতে বেশি! এসি ঘরের বাতাসকে থেকে টেনে বের করে দেয়, এসির ভেতরেও কুলিং গ্যাস থাকে – যেটিকেও ঠাণ্ডা করতে হয়; আবার সেই গ্যাস ঘরের উষ্ণ বাসাতকে ঠাণ্ডা করে ঘরের বাইরে বের করে দেয়। এরকম আরোও অনেক ব্যাপার আছে এসিটি ইনভার্টার নাকি নন- ইনভার্টার প্রযুক্তির, কি রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে, কোন মোটর ব্যবহার করা হয়েছে ইত্যাদি। আর এই সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করার জন্যই এই আর্টিকেল!
এই আর্টিকেলে ওয়ালটনের সম্পূর্ণ নতুন ওশেনাস সিরিজের নতুন মডেলের ১টনের একটি এসি নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাব। এটি ওয়ালটনের নতুন ওশেনাসসিরিজের অত্ত্যান্ত ইনটেলিজেন্ট এবং স্মার্ট এসি, মডেলঃ WSI-OCEANUS(VOICE CONTROL)-12A[UV CARE] । ১২০০০ বিটিইউ তথা ১ টনের এই এসিটির বাজার মূল্য ৪৯৯০০ টাকা মাত্র!
ইউভি কেয়ার
ওয়ালটন ওশেনাস মডেলের এই এসিতে ব্যবহার করেছে বিশেষ ইউভি কেয়ার টেকনোলজি! এখানে এসিটি একটি অদৃশ্য ইউভি রের মাধ্যমে বাতাসের ভেতরকার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ কে ব্রেকডাউন করে ফেলে; সহজ কথায় বলতে ফেলে এই প্রযুক্তিটি বাতাসে ভেসে থাকা সকল ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অনুর ডিএনএ কে ধ্বংস করে ফেলে। ডিএনএকে ধ্বংস করার ফলে সেই ক্ষতিকারক অনু নিউট্রিয়ালাইজ বা নিস্ক্রিয় হয়ে পরে। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের যেমন প্রকোপ সেই হিসেবে একটি এসিতে এরকম প্রযুক্তি থাকা অত্ত্যাবশ্যকীয় তা আমরা বলতেই পারি। সেই হিসেবে নিজের এবং সবার সুরক্ষার জন্য ইউভি কেয়ার প্রযুক্তি সম্বলিত এই এসিটি আপনার পছন্দের তালিকায় উপরে থাকতে পারে।
ভয়েস কমান্ড
ওশেনাস সিরিজের এই এসিটির অন্যতম একটি আকর্ষণীয় সুবিধা হচ্ছে এসিটির ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার। ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার থাকার ফলে এসিটি পরিচালনা করার জন্য আপনার রিমোট কিংবা স্মার্টফোন অ্যাপস কিছুই প্রয়োজন হবেনা! অনেক এসিতে ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার থাকলেও সেটি ইন্টেরনেট নির্ভর; অর্থাৎ ভয়েস কন্ট্রোল সুবিধা নিতে এসিটির ইন্টারনেট তথা বাসার ওয়াইফাই এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হয়, এটি অনেক সমস্যাদায়ক, কিন্তু সবসময় ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে কিনা সেটা একটা বিষয়! তবে ওয়াল্টনের এই এসিটির ভয়েস কন্ট্রোল ফিচারটি সম্পূর্ণ অফলাইন; অর্থাৎ এসিটির কোনোরকম ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হবেনা। যার ফলে যেকোনো অঞ্চলের ব্যবহারকারী অত্যাধুনিক এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবে, ইন্টারনেট থাকলে বা না থাকলেও!
যেকোনো সময় ‘হেলো ওয়ালটন’ বললেই এসিটির ভয়েস কমান্ড ফিচারটি এক্টিভেট হয়ে যাবে। এর পর সহজ কিছু কমান্ড ব্যবহার করেই এসিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। উদাহরণ হিসেবে কিছু কমান্ড এরকমঃ
এসি স্টার্ট
এসি অফ
টুয়েন্টি সিক্স ডিগ্রি
সিক্সটিন ডিগ্রি
টেম্প আপ
টেম্প ডাউন
ফ্যান মোড
লো স্পীড
মিডিয়াম স্পীড ইত্যাদি!
ফ্রস্ট ক্লিন
এসিটির অন্যতম একটি কার্যকরী প্রযুক্তি হচ্ছে এসিটির ‘ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি’। বেশিরভাগ এসির ইনডোর ইউনিট এর ‘এভাপরেটরে’ ময়লা জমে। এখানে ময়লা জমতে জমতে নানারকম ব্যাকটেরিয়া তথা মাইক্রোঅর্গানিজম’ও জন্ম নেয়। এমনকি সামনের এই অংশে ফাঙ্গাসও জমে! এই জন্য সবাই নিয়মিত এসির ইনডোর ইউনিট খুলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে WSI-OCEANUS(VOICE CONTROL)-12A[UV CARE] এসিতে থাকা এই ফ্রস্ট ক্লিন প্রযুক্তি এসিটির রিমোট কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে চালু করলে, বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসিটি নিজে থেকেই এই এভাপরেটর’কে পরিষ্কার করার কাজ করবে; একে শুষ্ক এবং ফাঙ্গাসমুক্ত রাখবে।
রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস
এসি কতটা সাশ্রয়ী, সেটিও অনেকটা নির্ভর করে এসিটিতে কোন রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর। ওশেনাস এসিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনারে আর৪১০এ বেশ মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, আর ৩২ তার থেকেও পরিবেশসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে ‘আর২২’ ব্যবহার করা হত যা ছিল অজোন স্তর জন্য খুবই ক্ষতিকর।
যেহেতু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মত বৈশ্বিক সমস্যার জন্য অন্যতম দ্বায়ী এসির মত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র, তাই এসিতে সঠিক এবং পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা আমাদের জন্য বিবেচনায় নেয়া অতীব জরুরি। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস এর আরেকটি সূচক মাত্রা হল GWP, তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল মান। GWP মান যত কম হবে এসিটি বাতাসে তত কম তাপ উৎপন্ন তথা কার্বন ছাড়বে।R-410A রেফ্রিজারেন্ট এর GWP মান ২০৯০। এবং R-32 রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, এটির GWP মান ৬৭৫।
ইকোনমি মোড
এসিটিতে রয়েছে বিশেষ ইকোনমি মোড। যার ফলে এসি এই ইকোনমি মোড অন করলে এটি অন্যান্য নন-ইনভার্টার এসির থেকে ৬০% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হিসেবে কাজ করবে। এসির রিমোটের ECO বাটনটি প্রেস করলেই বিশেষ এই মোড চালু হয়ে যাবে।
পরিশিষ্ট
ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, ৪ স্তরে নানা দিক থেকে অনেক বেশি কার্যক্ষম বলে এসিটি এমনিতেও ৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আর তাছাড়াও এসিটির কমপ্রেসর বিশেষ করে আমাদের দেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে আমাদের দেশের সাপেক্ষে তা অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে অন্যান্য বাইরের এসির তুলনায়।
ওশেনাস এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার মোড । বাজারের বহু এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন।
ওশেনাস এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। বহু এসি শুধু সিঙ্গেল ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে অবস্থান করে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় কিংবা অন্য কোন স্থানে থাকা ব্যাক্তি বাতাস পায় না। তবে ওশেনাস এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার সক্ষমতার ফলে সব দিকেই সমানভাবে শীতল বাতাস প্রবাহিত হবে।
এসিটি দেখতে অবশ্যই আপনার আসেপাশের নিকটস্থ ওয়ালটন ডিলার শো-রুম অথবা ওয়ালটন প্লাজায় চলে যেতে পারেন। অথবা কিনতে এবং নানারকম তথ্য দেখে আসতে পারেন ওয়ালটন ইপ্লাজা থেকে। এসিতে থাকছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এসির কম্প্রেসরে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।
©somewhere in net ltd.