নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইরে থেকে কতটুকই আর দেখা যায় কারো ভেতরের দহন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

একটা মানুষের এপিয়ারেন্স দেখে বড়জোর ধারণা করা যায় সে সুস্থ না অসুস্থ কিংবা তার মন ভালো না খারাপ। ব্যস, এটুকুই।

এমন অনেকেই আছে সমাজের সবার সাথে চলছে ফিরছে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে অথচ ভেতরে ভেতরে হাজারো সমস্যায় সে জর্জরিত। কল্পনায়ও ধারনা করা অসম্ভব এমন সব যন্ত্রণা আর সংকট নিয়েও অনেকে হেসে খেলে বেড়ায় সবার সাথে। কাউকে দেখে তার ভেতরের ভয়াবহ যন্ত্রণা বা সমস্যা উপলব্ধি করা যায়না।

সেসব হতভাগ্য মানুষের ভেতরের হাহাকার, অসহনীয় কষ্টের ছিটেফোঁটাও যদি তার বাইরের রূপ দেখে বুঝা যেতো তাহলে অন্য মানুষেরাও হয়তো ভয়ে আর কষ্টে প্রায় পাগলে পরিণত হতো। সমাজে কোন সুস্থ মানুষ থাকতোনা তখন। যারা থাকতো তারা সবাই পরিণত হতো নিজের স্ট্রাগলিং লাইফের জন্যে কিংবা অন্যের স্টাগল আর সারকামটেন্সসেস উপলব্ধি করা মস্তিষ্ক বিকৃত এক মানব জাতি।

সৃষ্টিকর্তা তো ভূতভবিষ্যৎ জানন, তাই তিনি কারো এক্সটারনাল ভিউয়ে তার ইন্টারনালি প্রবাহমান সিডর,সুনামি কিংবা আইলার কোন উপস্থিতি বুঝার ব্যবস্থা করে দেননি।
হৃদয়ে এমন সিডর, সুনামি ধারণ করা মানুষটি হতে পারে আপনি, আমি কিংবা সে।

"হৃদয়ে রক্তক্ষরণ" এই ছোট কিন্তু বিস্তৃত অর্থ প্রকাশ করা শব্দটি কিভাবে কিংবা কে আর কেন প্রথম আবিষ্কার করেছিলো খুব জানতে ইচ্ছে করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তবে আরেকটূ আলোচনা করলে ভালো হতো। হুট করে শেষ হয়ে গেল যেন।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

মাহফুজ বলেছেন: আসলে নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর চেনাজানা কাছের মানুষদের শতশত সমস্যার বর্ণনা শুনে শুনে আমার মস্তিষ্ক আমাকে দিয়ে ক্ষোভে, দু:খে এই কথাগুলো লিখিয়ে নিয়েছে। আলোচনা করতে গেলে সেটা এক সুবিশাল ব্যক্তিগত ইতিহাসে রূপ নিবে। /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.