নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামের নিরপেক্ষ ইতিহাস

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১০

আমাদের পূর্ববর্তীদের সীমাহীন ব্যর্থতার সাথে, আমাদেরও ব্যর্থতা আর অপারগতা অনস্বীকার্য যে আজঅবধি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক, নিরপেক্ষ এবং সর্বজনগৃহীত একটি ইতিহাস তৈরী হয়নি। পরবর্তী প্রজম্মের দুর্ভাগ্য তারাও সঠিক ইতিহাস নিয়ে দোটানায় থাকবে।

অনেক টিনেজার এমনকি এডাল্টও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিতর্কিত স্টেটাস দেয় ৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে। দেখে অবাক লাগে, ভাবি এরা পায় কোথায় এসব? এমন একজনের সাথে সামান্য কথোপকথন হয়েছিলো সেদিন।

কিভাবে জানো তুমি ৭১ এর কথা, আর বুঝো কিভাবে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা?

উত্তর: অমুক ভাই বলেছে আর অমুক চ্যানেলেও শুনেছি তো তাই লিখলাম।

অমুক ভাই সত্যিই যে বলেছে আর চ্যানেলটাও ঠিক সেটা নিশ্চিত হলা কিভাবে?

না মানে উনি সিনিয়র ভাই আর চ্যানেলটাও বেশ চলে।

ওহ, নিজে থেকে জানতে ইচ্ছে করেনা কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা?

ইচ্ছে তো অবশ্যই করে ভাই কিন্তু স্পেসিফিক সোর্স নাই।

সোর্স নাই মানে!! এতো এতো বই, ডকুমেন্টারি, বায়োগ্রাপি আছে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর তুমি বলছো সোর্স নেই!!

তা আছে কিন্তু ভাই দেখবেন প্রতিটা সোর্সই আলাদা আলাদা পয়েন্ট অব ভিউ কিংবা নিজেদের আদর্শিক সমর্থন থেকে লেখে।

মানে?

মানে খুবই সোজা, প্রতিটা সোর্স, বই, মাধ্যম যাই বলেন নিজস্ব বিশ্বাস এবং আদর্শ থেকে লিখে। যেমন, এক জায়গায় কাউকে হিরো হিসেবে ডেসক্রাইব করলে অন্য জায়গায় দেখি একই ব্যক্তিকে একেবারে নরকের কীট বানিয়ে ফেলেছে অন্য কেউ। কোথাও যদি শহীদের সংখ্যা ১০ জন হয় আরেক জায়গায় ২০ জন কিংবা ৫ জন। কোনো বইয়ে অমুক নেতাদের অসীম অবদানের কথা লিখলে অন্য বই বা ডকুমেন্টারিতে এদেরকেই বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় টুয়েলভথ ম্যান হিসেবে। মনে হয় এরা যুদ্ধের সময় রণক্ষেত্রের ত্রিসীমানায় পদার্পণ করেনি কখনো। এখন আপনিই বলুন গ্রহন করবো কোনটা, বিশ্বাস করবো কোনটা? আমি তো জানিনা সুতরাং কারো না কারো রেফারেন্স সঠিক বলে মানতে হবে। কারটা সঠিক ভাববো? একদম নিরপেক্ষ বা থার্ড পার্সন পয়েন্ট অব ভিউ নেই বললেই চলে। এখন আপনিই বলুন কি করার আছে?

আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলামনা, লজ্জায় ব্যস্ততা দেখিয়ে চলে এলাম, আসলে ভেগে এলাম এমন স্বচ্ছ যৌক্তিক প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে। কারো জানা থাকলে প্রশ্নটার উত্তর দিবেন। সেই সাথে কিছু নিউট্রাল মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইয়ের নাম বা লিংক দেবেন।
অদ্ভুত এক দেশের হতভাগ্য স্বাধীন নাগরিক আমরা। যে দেশের অস্তিত্ব স্বাধীনতা সংগ্রামেরই কোন নিরপেক্ষ ইতিহাস নেই। ক্ষমতার পালাবদলে যে দেশের ইতিহাস পালটে যায়, ক্ষমতার সাথে পালটে যায় বীরদের অবদান। যেখানে একেক বছর একেক বীর ইতিহাসের পাতায় রাজত্ব করেন। জানিনা এই নোংরামো শেষ হবে কি না কোনোদিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.