নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানির গরু এবং ভালোবাসা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৮

প্রতিবার কোরবানির গরু কিনে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় সেখানে আব্বা আর চাচা যৌথভাবে কোরবানি করেন। আমরা সকালে ঈদের নামাজ পড়ে গ্রামের বাড়ি যাই।
গতকাল সন্ধ্যার পর সিলেট থেকে বাসায় এসে দেখলাম আমাদের বারান্দায় একটি গরু বাঁধা। দেখে ভাবলাম, এবার হয়তো বাসায়ই কোরবানী করা হবে। যাই হোক এ নিয়ে আর কোন কথাবার্তা হয়নি আব্বা কিংবা আম্মার সাথে শুধু একবার আব্বা গরুর দামটা আমাকে বলেছিলেন যখন তিনি গরুর ছবি তুলেন আমার বোনকে দেখানোর জন্য।

রাতে খাবার দাবার পর আমার হঠাৎ খেয়াল হলো, গরুটা কি সারারাত না খেয়ে থাকবে? এটাতো অমানবিক থুক্কু অগরুবিক হিয়ে যাবে। কি করি, ঘাস টাস কিছু তো ম্যানেজ করা সম্ভব না এতো রাতে। হঠাৎ মনে পড়লো, বাসায় তো কাঁঠাল গাছ আছে; পাতা ছিঁড়ে আনা যদিও কষ্টকর হবে। ছাদের উপর পানির ট্যাংকি, তার উপর কিংবা পাশে গিয়ে কাঁঠাল পাতা আনা লাগবে! একটু ভয় কিংবা অনিচ্ছা সৃষ্টি হলেও ক্ষুধার্ত গরুর কথা ভাবতেই খুব সহজ মনে হলো বিষয়টা। রাত একটা তখন। পাতা নিয়ে এসে গরুটাকে দিলাম সাথে এক বল পানি। পাশের বাসার কোরবানির ছাগলটাকেও বারান্দা দিয়ে কিছু দিয়ে দিলাম। পাতা পেয়েই খেতে শুরু করলো আমাদের গরুটা। দুইবার এনে দিলাম এভাবে পাতা। মনটা ভালো হয়ে গেলো। অহ মন খারাপের কারণ তো বলিনি। সন্ধ্যায় গরুটাকে দেখার পর থেকেই কিছুটা মন খারাপ ছিলো আমার তার উপর পাশের বাসার ছাগলটা খুব চেঁচাচ্ছিলো। আমার মনে হয়েছে কাঁদছে খুব। আমার একটা সমস্যা, কোরবানির গরু বা পশু দেখলে মায়া লাগে, ভালোবাসা অনুভব করি। মনে হয় ফাঁশির আসামী, ভোর হলেই ঝুলিয়ে দেয়া হবে। অপেক্ষার প্রহর যেন গুনছে সে আর জীবনের স্মৃতিচারণ আর ঈশ্বরের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনায় ব্যস্ত।

আল্লাহ পাকের নির্দেশ, কোরবানি তো দিতেই হবে। "যেহেতু প্রিয়বস্তু কোরবানি করার রেওয়াজ, সেহেতু কোরবানির পশুর প্রতি আমার মায়া জন্মানোটা মনে হয় ভালোই কিংবা স্বাভাবিক। প্রিয় জিনিস কিংবা জনের প্রতিই মায়া জন্মায় আর কোরবানিও প্রিয়কিছুরই দেয়ার নির্দেশ। তবে আমার মায়ার মাত্রা এতো বেশী না, যতো বেশী হলে ঈদের আগে গো-হত্যা মহা পাপ বলে মুক্তমনা সেজে যাবো আর সারা বছর সুযোগ পেলেই গরুর কলিজা, ভুনা, বার্গার, ইত্যাদি বিভিন্ন আইটেমে রসনার বিলাস কিংবা তৃপ্তি মেটাবো। কোরবানি ঈদ এলেই "আমি পশু হত্যার বিপক্ষে, নিরীহ পশু জবাইয়ে কোন আত্মত্যাগ নেই" এমন নির্লজ্জ, বহুমুখী, বহুরূপী মানুষ আমি অবশ্যই না। কোরবানি সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ। তিনিই বলেছেন "জীবে দয়া করে যেজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর" এবং তিনিই নির্দেশ দিয়েছেন পশু জবাইয়ের জন্য। তিনি কখনো অযৌক্তিক, অমানবিক কিছু বলতে পারেনা। তিনি অযোক্তিক কাজ করলে বা করার নির্দেশ দিলে পৃথিবীটা এতো সুন্দর বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিকভাবে পরিচালিত হতনা।
দয়া করে কোরবানি নিয়ে নোংরামি করবেন না কেউ, আপনার যদি আল্লাহর নির্দেশের চাইতে পশুপ্রেম বড় মনে হয় তবে কোরবানি না দিয়ে নীরবে বসে থাকুন কিংবা ঘুমিয়ে থাকুন। নিশ্চই জানেন, কেউ আপনাকে কোরবানি দেওয়াতে বাধ্য করবেনা।
বি:দ্র: যারা খুব পশুপ্রেমিক দয়া করে তারা যেন নিজের এবং পারিবারিক সকল বিয়েতে গরু,ছাগল,মুরগী, মাছ কিছুই না রাখে। সবজি এমনকি সবজি খাওয়াটাও তো,উচিৎ না। কেন, উদ্ভিদের কি জীবন নেই নাকি?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে যারা অনেক প্রিয় মনে করেন, তারা আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে কে জানে!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩২

মাহফুজ বলেছেন: #গাজী সাহেব ভাবনার কি কোন সীমানা আছে না ভাবনার পায়ে শিকল দিতে পারবো? ভাবুক যে যা ভাবার আমি আমার ভাবনা নিয়েই থাকি? আপনার কি মনে হয়, কি ভাবছে?

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: যারা খুব পশুপ্রেমিক দয়া করে তারা যেন নিজের এবং পারিবারিক সকল বিয়েতে গরু,ছাগল,মুরগী, মাছ কিছুই না রাখে। সবজি এমনকি সবজি খাওয়াটাও তো,উচিৎ না। কেন, উদ্ভিদের কি জীবন নেই নাকি?
সাথে যোগ করি - বস্ত্রও পড়া উচিৎ না। কোন না কোন ভাবে চিন্তা করলে ওগুলোও কোন না কোন জীব থেকেই আসছে। নাকি??

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩

মাহফুজ বলেছেন: #রক্তিম ভাই, চিন্তার বিষয় জটিল বলেছেন।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

মাহফুজ বলেছেন: #গাজী সাহেব ভাবনার কি কোন সীমানা আছে না ভাবনার পায়ে শিকল দিতে পারবো? ভাবুক যে যা ভাবার আমি আমার ভাবনা নিয়েই থাকি? আপনার কি মনে হয়, কি ভাবছে?

#রক্তিম ভাই, চিন্তার বিষয় জটিল বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.