নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘৃণা ভার্সেস ভালোবাসা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২



আমরা ৭১ পরবর্তী বাংলাদেশীরা শিখেছি পাকিস্তানীদের ঘৃণা করতে কিন্তু শিখিনি নিজের মাতৃভূমি, মা, দেশটাকে ভালোবাসা। বলতে দ্বিধা নেই বিন্দুমাত্র, এই দেশে রাজনীতি নামের সত্যিই কিছু থাকলে, ভারত প্রস্তাব দেয়া তো দূর, সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল স্থাপনের চিন্তা স্বপ্ন দেখেও ভয় পেতো। এই স্বাধীন দেশের ভেতরে আমরা দুই বিভক্ত জাতি। প্রথমে পাকিস্তান বিদ্বেষী, দ্বিতীয় দলে ভারত বিদ্বেষী।
একমাত্র রাজনৈতিক আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের মিথ্যা চেতনার আড়ালে একদল নিজের মায়ের বুকে ছুরি চালানোতেও কোন প্রতিবাদ করেনা। প্রতিবাদ করেনা রামপাল ইস্যুতে, নীরব থাকে সীমান্তের হত্যাযজ্ঞে। অন্যদল পাকিস্তানকে মুসলিম রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে ক্ষমা করে দিতে চায় ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে। এই বিভক্তির কারণে আমরা স্বাধীন দেশে পরাধীন আজ, স্বাধীনতা এসেছিলো কিন্তু আমরা আপ্যায়ন করার সঠিক পন্থা পাইনি এখনো।
শত্রু প্রকাশ্যই উত্তম, পাকিস্তানীরা শত্রুতার জেরে যুদ্ধ করে পালিয়েছে বহু আগে আর অন্যদিকে বন্ধুত্বের আড়ালে ক্রমাগত আঘাতে আমাদের ক্ষতবিক্ষত করছে ভারত। আমরা সবাই জানি সব। কেউ নীরব তার রাজনৈতিক আদর্শের বিরোধিতা হবে বলে, আর কেউ নীরব প্রতিবাদে ব্যক্তিজীবন ধ্বংসের ভয়ে।
আসলে আমরা সবাই স্বার্থপর, আমরা নিজেকে নিয়েই ভাবি। তিনবেলা পেটভরে খাবার খাওয়ার নিশ্চয়তা পেলেই আমরা খুশী কিন্তু ভাবিনা কতদিন এ নিশ্চয়তা থাকবে। সবদিক মিলিয়ে আমরা সবাই বন্দি। উপলব্ধি আছে, আবেগ আছে কিন্তু প্রকাশ করতে সংশয়টাই বেশী। দেড় লক্ষ বর্গমেইল নিয়ে ভাবার মতো আমি বিশেষ কেউ না; এটাই আমাদের ভাবনা। ভাসানী একাই ছিলেন, বঙবন্ধু, জিয়া সব একাই ছিলেন; একাএকা ভেবে ভেবেই পরে তারা জাতির দিশারী হয়েছিলেন।
আমরা আর কতকাল পরাধীনতার শৃঙ্খলে স্বেচ্ছায় নিজেকে বন্দি করে শুধু আফসোস করেই যাব? কতকাল বাংলাদেশকে ভালো না বেসে শুধু ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানকে ঘৃণা করবো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.