নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যান্ত্রিকতা, নিষ্ঠুরতার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:০১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দিনদিন যেনো নিষ্ঠুর যান্ত্রিকতায় ভরে উঠছে। যে যান্ত্রিকতা মানুষের আবেগ অনুভূতি গিলে খাচ্ছে সর্বভূকের মতো।

কেউ লিখলো- মনটা ভীষণ খারাপ, খুব কান্না পাচ্ছে।
টপাটপ সেখানে লাইক পড়ে গেলো বেশক'টি। কেউ জিজ্ঞেস করলোনা মনটা খারাপ কেনো? কেউ জিজ্ঞেস করলেও সেটা ফাজলামো আকারে"বউ কি পালাইছে নাকি গার্ল ফ্রেন্ড ছ্যাকা দিছে"?

আরেক জন হয়তো সত্যি জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা সইতে না পেরে সুইসাইড করার আগে লিখলো- বিদায় পৃথিবী। সেখানেও লাইক আর কমেন্ট"কই যান ব্র, মঙ্গল গ্রহে"? কিংবা নতুন কোন গ্রহে নাকি ভাই? কেউ আরো নিষ্ঠুরের মতো লিখবে- যা ব্যাটা মর, তুই মরলে একটা কমলো"।

কি প্রয়োজনরে ভাই যান্ত্রিকতার মাঝে আপনার আবেগ ঢেলে দিয়ে তিরস্কৃত হবার? আপনার যন্ত্রণা কি মুছে যাবে এখানে প্রকাশ করলে? খুব বেশী হলে দুই,চারটা লাইক আর কৃত্রিমতায় ভরপুর মিথ্যে সান্ত্বনা মিলবে।

এখন আবার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন রত: সেলফি, কিংবা মৃত ব্যক্তির লাশের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ক্যাপশন" আজ আমার অমুক দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন,সবাই প্লিজ দোয়া করবেন আর লাইক দিতে ভুলবেননা।"

সামান্যতম লজ্জা কিংবা বিবেক তো থাকা উচিৎ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ হিসেবে। মৃত মানুষকেও লাইক আর কমেন্টের ইনভেস্টমেন্ট বানানো লাগে?

নিষ্ঠুরতার আরেক উদাহরণ, বীভৎস সব ছবি কিংবা ক্ষতবিক্ষত লাশের ছবি দিয়ে ক্যাপশন দেয়া হয়"আমিন না লিখে যাবেননা কিংবা মুসলিম হলে লাইক না দিয়ে যাবেননা। "

কি প্রয়োজন এমন বীভৎসতা ছড়ানোর আর কি প্রয়োজন ধর্মকে এমন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে উপস্থাপনের?

ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ হোক না হোক সামাজিক সাইটে ঠিকই তাদের যুদ্ধ নিয়ে তর্কের যুদ্ধ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেঁধে যায়।


মোবাইল আসার পর কমেছিলো গেটটুগেদার, আন্তরিকতা কিংবা দেখাসাক্ষাৎ? সোশ্যাল সাইট এসে ফোন করে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করা থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে আমাদের। ভালোমন্দ তো দূর প্রয়োজনী কথাও আমরা সেরে ফেলতে চাই বিভিন্ন চ্যাটিং সফটওয়্যারে।

বন্ধুদের আড্ডায় আগে চলতো স্মৃতিচারণ, হইহল্লোড়, ভূরিভোজন আর এখন শুরু থেকে শেষ বিভিন্ন এঙ্গেলে সেলফি তুলে আপলোড কিংবা গেম চালু করে হুম, হাম করে আড্ডায় গড় উপস্থিতি।

যান্ত্রিকতায় অসহায় এক সময়ের অন্ধকারে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলছি প্রতিনিয়ত। আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি আমরা যান্ত্রিকতার। আমার জানামতে মুক্তির কোন উপায় নেই আর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আরো যান্ত্রিক হবে, যান্ত্রিকতায় বিবর্জিত হবে যুগযুগান্তর।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

মাহফুজ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.