নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষিত গণতন্ত্র, প্রতারিত জনগণ, তৃপ্তির ঢেঁকুর জনপ্রতিনিধির

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, বাংলালিড২৪: তরতর করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু এটি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম হয়না। কেন গরম হয়না? কারণ এই ইস্যুতে পাবলিকের স্বার্থ জড়িত আর জনসেবার উদ্দেশ্যে রাজনীতি করা সংগঠন কিংবা ব্যক্তিত্ব এদেশে বিরল। তারা মাঠ গরম করবে ধর্মীয় কোনো ইস্যু পেলেই, তারা মাঠ গরম করবে বড় কোনো অনুদান হাতছাড়া হলে, তাদের অনুসারীরাও জ্বালাও পোড়াওয়ে মত্ত হবে নেতার প্রভাব বিস্তার করতে। ঘৃণা করতেও ঘৃণা লাগে এই নির্লজ্জ রাজনীতিকে, যে রাজনীতি ব্যবহৃত হয় উপরের মানুষকে আরো উপরে উঠিয়ে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে, যে রাজনীতি ব্যবহৃত হয় ক্ষমতাসীনদের ১৪ গোষ্ঠীর ভবিষ্যত গড়তে, যে রাজনীতি ব্যবহৃত হয় দুর্বলদের প্রতিনিয়ত শোষণ করতে, যে রাজনীতি কলিতেই কেড়ে নেয় শতশত তাজা ফুল। গণতন্ত্র আজ বারবার ধর্ষিত হয়ে বিচারের আর্জি নিয়ে ধরনা দিচ্ছে এখানে ওখানে। বিচার পাবার আবেদন করতে যতোবার যতোজন বিচারকের সামনে গিয়েছে গণতন্ত্র, ততোবারই ঘৃণায় রিরি করেছে শরীর আর স্তম্ভিত হয়ে উপলব্দি করেছে, বিচারকের আসনে বসা মানুষেরাই তো তো তার আর্জিতে উল্লেখিত আসামী। ধর্ষক, ভক্ষক আর বহুরূপী বিচারকদের কোনোনা কোনোজনের কাছেই তার স্লিলতাহানী ঘটেছিলো কৌশলে। ধর্ষকদের, ভক্ষকদের, অপরাধীদের বিচারালয়গুলো অপবিত্র করে দখল করে বসে থাকতে দেখে নতমস্তকে ফিরে আসে গণতন্ত্র। অন্যদিকে গণতন্ত্রের এ বেহাল দশা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন ভাগ্যবিধাতারা, নীতি নির্ধারকরা। তারা সুযোগ খুঁজতে থাকেন আবার কখন কিভাবে গণতন্ত্রের উপর তাদের লোলুপ দৃষ্টি ফেলে চেটে খাবেন, তাদের হিংস্র নঁখ, দাঁত দিয়ে খুবলে খাবেন অসহায় গণতন্ত্রকে। পাবলিকের জীবন নিয়ে মাথা ঘামানোর ফুরসত যদি নাই থাকে তবে কিভাবে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগনকে বারবার ধোঁকা দেবার সুযোগ পাচ্ছে এসব নরকের কীটরা? কখনো কি এই প্রশ্ন জাগেনা মনে? আমজনতাই তো সকল ক্ষমতার উৎস তবে কেন জনতাই বারবার উপেক্ষিত? চালের দাম, গ্যাসের দাম বেড়েই চলবে, আমরা অনাহারে, অর্ধাহারে মরবো অন্যদিকে আমাদের মাধ্যমেই নির্বাচিত হওয়া প্রতিনিধি তার কোনো সমাধান না দিয়ে পেট ভরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন! এভাবে আর কতকাল?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.