নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চালের বাজার বলছে"ভাত খাবে উচ্চবিত্ত, বাকিদের চাই বিকল্প"

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

সিলেটের হাওর অঞ্চলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। কৃষক পরিবারের হাহাকারে বাতাস এখনো ভারী। বন্যার পানি ধানের সাথে ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে অনেক স্বপ্ন। শোকের মাতম চলছে যেনো বিস্তৃত এলাকায়। এই বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ধানের জন্য হাহাকার কিংবা মাতমেই যদি সীমাবদ্ধ থাকতো সবকিছু তাহলেও কথা ছিলো কিন্তু এর রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র চালের বাজারে। হুহু করে বন্যার পানির মতোই মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে চালের। অজুহাত একটাই "বন্যা"। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত তাই যোগান কষ্টসাধ্য। যে চাল মাসখানেক আগেও মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্তরা কেজি প্রতি ৩০-৩২ টাকায় কিনে খেয়েছে সেই চাল এখন ৪০-৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। নতুন কিংবা বিভিন্ন ধরনের যে সকল চাল বাজারে এসেছে সেসবের দাম অবিশ্বাস্য রকম চড়া। মোটামুটি মানের এক কেজি চাল ৪০ টাকার নীচে নেই বললেই চলে। সিলেটের বিভিন্ন চালের খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেলো ক্রেতাদের অসহায়ত্ব। দোকানদারদের সাথে কেউ কেউ উত্তেজিত বাক্যালাপ বিনিময় করছিলেন চালের চড়া দাম শুনে। নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা একেবারেই করুণ, তারা না পারছে সইতে না পারছে বলতে। তাদের দেখে মনে হয় যেনো চাল না ব্যাগে করে বিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাধ্য হয়ে। একজন দিনমজুর কিংবা রিক্সাচালক টাইপের ক্রেতারা বাজারের এমাথা থেকে অন্যমাথা হন্য হয়ে খুঁজছে কোথাও একটু অল্প দামে চাল পাওয়া যায় কিনা। মধ্যবিত্তরাও চাইলেই পারছেনা নিম্নমানের চাল কিনে নিয়ে যেতে, অনেক হিসেব নিকেশ করে নিরুপায় হয়ে মোটামুটি মানের চাল কিনছে তারা। অনেক ক্রেতা আছেন যারা প্রতি মাসে বস্তা হিসেবে চাল নিতেন তারা নিচ্ছেন খুচরো কেজি হিসেবে। তাও মনের মতো চাল পাচ্ছেননা। কিছু ক্রেতা ঘুরছেন অল্পদামে মোটামুটি ভালো মানের যে চাল কিছুদিন আগেও কিনে খেয়েছেন সে চালের সন্ধানে। পরিশ্রম বিফলে যাচ্ছে সেই পুরনো চালের সন্ধান না পেয়ে অথবা আঁতকে উঠছেন কেজি প্রতি সে চাল ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে শুনে। সিলেট আম্বরখানার একজন বাসিন্দা, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বললেন " চালের যেভাবে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে এরকম চলতে থাকলে উচ্চবিত্ত এবং বড়লোকেরাই ভাত খেতে পারবে আর অন্যান্যদের ভাতের বিকল্প কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন"শুধুমাত্র ধানের বিপর্যয় নয় এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আছে যারা অতি মুনাফার লক্ষ্যে অস্বাভাবিক মূল্যে চাল বিক্রি করছে। বাজার মনিটরিং সেলের নির্লিপ্ততা এইসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে আরো বেপরোয়া করে তুলছে। বাজারে আগত অনেক ক্রেতা প্রশ্ন করলো " ভারত তো আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধু রাষ্ট্র। এমন বিপর্জয়ের দিনে তাদের ভূমিকা কি? ভারত কি পারেনা বিশেষ কোন্য উদ্যোগ গ্রহন করে চাল সর্বরাহ করে প্রকৃত বন্ধর পরিচয় দিতে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে একমাত্র আর্জি "সকল সমস্যা ও ব্যস্ততার মাঝেও চালের বাজারে সুদৃষ্টি দিয়ে গরিব ও মেহনতি মানুষের অন্ন যোগাড়ের নিশ্চয়তা প্রদানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ প্রদান করুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.