![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
কিছু মানুষ পৃথিবীতে এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে জন্মায়। তাদের মতো কেউ আর কখনো ছিলোনা, নেই এবং থাকবেওনা। সেই মানুষগুলো তাদের এমন একটা অবস্থান পৃথিবীতে তৈরী করে যে বন্ধু থেকে দুশমন সকলেই সমীহ করতে বাধ্য হয়। প্রকাশ্যে না করলেও মনেমনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে হয় তাদের কর্মকাণ্ডে। এই মানুষগুলি বিদায় নেয়ার পর লক্ষকোটি মানুষ তাদের স্মৃতিচারণ করে অকৃপণ হৃদয়ে অশ্রুবিসর্জন দেয়।
ক্রিকেট বিশ্বে হ্যাডেন, গিলক্রিস্ট, যুবরাজ, ম্যাক্সওয়েলদের মতো মারমুখী ব্যাটসম্যানের কি অভাব আছে? কিন্তু শাহীদ খান আফ্রিদি কয়জন আছে। ব্যাট হাতে যখন সুদর্শন লোকটা ক্রিজে দাঁড়াত বোলার, ফিল্ডার, দর্শক থেকে শুরু করে আম্পায়ার কার বুকে ধুকপুক শুরু না হতো। ম্যাচের পর ম্যাচ ডাক মেরেছে, একটানা ব্যর্থ ব্যাটিংয়ের নজির সৃষ্টি করেছে কিন্তু তবুও বাইস গজে ব্যাট হাতে দাঁড়ানো মাত্রই ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটা কোনায় শুরু হতো জল্পনা কল্পনা কি হয় এখন! লোকটা টিমের জন্য কোন জায়গায় কন্ট্রিবিউট করেনি? কোথায় দলের সাফল্যে ছুঁয়ে দেয়নি সামান্য হলেও। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, বোলিং এবং ক্যাপ্টেন্সি সর্বস্তরেই যেনো ছিলো অদম্য এক ব্যক্তিত্ব। সাফল্য থেকে ব্যর্থতা হয়তো খুজতে গেলে বেশীই বের হবে কিন্তু তবুও প্রতিটা ম্যাচে আফ্রিদি আফ্রিদি বলে গলা ফাটানো চিৎকারের কি কোনো কালে অভাব ছিলো? ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, ক্যাপ্টেন্সি, স্টাইল এবং গ্লামার প্রতিটা ক্ষেত্রে একজন প্রকৃত ওলরাউন্ডার বলতে আফ্রিদিকে অস্বীকার করতে পারে এমন কোনো শত্রুও কি তার আছে? আমার মনে হয় নেই। যারা একান্তই আফ্রিদিকে সহ্য করতে পারেনা খোঁজে দেখলে বের হবে অনেকের রাতের ঘুম হয়তো হারাম করেছে প্রিয়দলের একেবারে জেতা ম্যাচ হিংস্র ডাকু কিংবা তীক্ষ্ণ ঈগলের মতো ছুঁ মেরে ছিনিয়ে, প্রিয় কোনো বোলারকে বেদড়ক পিটিয়ে হয়তো তার ক্যারিয়ারটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে দিয়েছে। শতশতবার ক্রিকেটার পৃথিবীতে আসছে, আছে এবং আসবে কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো একজন আফ্রিদি কখনোই আসবেনা। একজন বুমবুম কখনোই পৃথিবীর কোনো প্রান্তে আর জন্মাবেনা। সে এসেছিলো শুধু তার সময়টাকে স্মৃতিবিজড়িত করে রাখতে, সে এসেছিলো হোক সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সব মিলিয়েই কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের একেবারে গভীরে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সে এসেছিলো নিস্বাস প্রশ্বাস সব ভুলে গিয়ে তার ব্যাটিংয়ে ফুলঝুরিতে মগ্ন করাতে। মানুষ সবসময়ই মিস করবে এই লিজেন্ডের মাঠময় ছুটাছুটি, মিস করবে বিশাল বিশাল সিক্সার আর গুগলিতে কুপোকাত হয়া ব্যাটসম্যানের করুণ পরিনতির কথা। মিস করবে দু হাত প্রসারিত করে উল্লাসে ফেটে পড়বার দৃশ্যটি। কিছু কিছু মানুষের জন্মই হয় তিলেতিলে সকলের হৃদয়ের সবটুকু জায়গায় প্রভাব বিস্তার করতে করতে হঠাৎ সব শূন্য করে সরে যাবার জন্য। সমর্থকদের কথা নাই বলি কোনো হেটারও কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে, মিস করবেনা????? Shahid Khan Afridi the name of a beauty, the name of a story ... I can't forget the era of Shahid Afridi ever.
২| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১
বরিষ ধারা বলেছেন: এত থাকতে আপনি একজন পাকি প্লেয়ারকে প্রমোট করতে গেলেন? থাবড়ানি খাবার জন্য রেডি থাইকেন। চেতনার সইনিকেরা আসিতেছে!
৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
মাহফুজ বলেছেন: ইন্ডিয়ার পরাজয় সাথে এই লেখা আসলে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে গেলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক ঠিক শূন্য রানে ডাক মারা আর আন্জানে ব্যাট চালানোর মত ব্যাটসম্যান একমাত্র ডাব্রিদিই আছে । ক্যালকুলেটরে শূন্যের বদলে কেবল তার নাম খানাই প্রতিস্থাপন যোগ্য ।
আর বারবার অবসর নিয়ে ফিরে আসার এই এরশাদীও গুণটি কেবল তার ভেতরেই আছে ।
লেখক সাহেব গিলক্রিস্ট, হেইড্যানকে টেনে ডাফ্রিদি মিয়াকে উচ্চ স্থান দিলেন তাতেই পরিস্কার যে তার ক্রিকেটিও গিয়ান কুন লেভেলের ।আপনেরে খারাইয়া রেস্পেক্ট।