নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়াবহ দৃশ্য প্রদর্শনী বন্ধ করুন

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪২



সিরিয়ার নির্যাতিত মানুষদের দুর্ভোগের ছবি কিংবা ছিন্নভিন্ন লাশের ছবি কিংবা ভিডিও যারা শেয়ার করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, প্লিজ বন্ধ করুন। দৃশ্যগুলো দেখলে সবারই খুব কষ্ট লাগে।আমার তো নিজেকে ভয়ানক অসহায় লাগে কিন্তু যাদের ছবি শেয়ার করছেন তাদের কি কাজে লাগছে এসব? আপনি কি কোনো গোপন চিত্র বা ঘটনা শেয়ার করছেন বলে ভাবছেন? আপনি কি ভাবছেন এই ছবি দেখে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস দলে দলে সিরিয়ায় গিয়ে উদ্ধারে নামবে?
এরকম ভাবলে সেটা ভুল। জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস সহ বিশ্বের প্রতিটা দেশ, দেশের সরকারী বেসরকারী কিংবা আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা কারোই অজানা নয় এইসব হত্যা কিংবা নির্যাতনের খবর।
সবাই সবকিছু দেখছে, শুনছে তবুও আরাকান, আফগানিস্তান, সিরিয়া কোথাও থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ, থেমে নেই নিষ্পাপ শিশুদের বিভৎস লাশের স্তুপ তৈরী, পিছিয়ে নেই মানব জাতি কর্তৃক মানব জাতি ধবংসের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সব কিছুর মূলে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশ্বের মুসিলিমদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ঐক্যের অভাব, ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থা থেকে সরে আসা, ইতিহাস কিংবা ঐতিহ্যের অবমূল্যায়ন ইত্যাদি ইত্যাদি। সুতরাং আপনার কিংবা আপনাদের ছবি, ভিডিও শেয়ারে ইন্টারনেটের পর্দায় উহ, আহ, কি নিষ্ঠুর এরকম এক্সপ্রেশন দুচারটা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কোনো ফল আসবেনা তবে কুফল আসার সম্ভাবনা বেশী। ভয়ানক দৃশ্য দেখে বা ঘটনা শুনে শারিরীক বা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বিরাট সংখ্যক মানুষ। তাই আপনার সোশ্যাল সাইটটাকে নির্যাতনে প্রাণ হারানো মানুষ কিংবা শিশুদের মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সে দৃষ্টিমুক্ত রাখুন।
আমার কেন জানি মনে হয়, মরার আগে সে অসহায় মানুষেরা পৃথিবীর প্রতিটা মানুষকে ভয়াবহ, কঠিন অভিশাপ দিতে দিতে মরে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মিডিয়াও সঠিকভাবে ছবি প্রকাশ করতে জানে না; ফেসবুকে কোটির বেশী লিলিপুটিয়ান যা পায় তা ছাপিয়ে দেয়; ব্লগে ছবি দেয়ার ব্যাপারে পোষ্ট এসেছিল বেশ কয়েকবার, ব্লগারেরা আশাকরি কিছুটা বুঝেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৪১

মাহফুজ বলেছেন: বাংলাদেশি মিডিয়ার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য পাবলিক সেন্টিমেন্ট দিয়া পয়সা রুজি। তারা জানে মানেনা। সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বাদ দিলাম। যেখানে আমরা আমিন না লিখে যাবেন না, একবার আল্লাহ লিখুন ইত্যাদি পোস্ট দেখি।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টুইস্টেড খবর প্রচারকারী মুমিনরা যেহাদি প্রয়জনে জেনেশুনে মিথ্যা তৈরি করে বিরামহীন মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে। যাচ্ছেই ..

আমার এই পোষ্টটি পড়ুন।
view this link

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হলে ,এই ধরনের পোস্ট এড়িয়ে গেলেই পারেন। মানবিকতা লংঘিত হলে সেটা বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে দেয়া এখন ইন্টেরনেটের কাজ।সেটা রুখে দেয়া আর সম্ভব নয়। এতে কোন ফল আসবে কি না আসবে সেটা সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভাল।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

মাহফুজ বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত তবে যোগ করতে চাই, যে মানবতা লঙ্গন বিশ্বমোড়ল স্বীকৃত সেটা শেয়ার করে আপনার কোনো ফায়দা হবেনা। কারণ যারা প্রতিকার বা প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে তারাই টিনের চশমা চোখে দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে আশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে। তবে দুই চারজন মানুষ বের হতে পারে যারা অতি আবেগে ঘরবাড়ী ছেড়ে, দেশ থেকে পালিয়ে যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ হবে ভয়াবহ ছবি দেখে। ফলাফল আরো লাশ, আরো রক্তগঙ্গা।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগের লোকজন ভদ্র, শিক্ষিত এবং রুচিশীল।
তারা লেখার সাথে ভালো ছবিই পোষ্ট করে।
কিন্তু ফেসবুকের কোনো মা বাপ নাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

মাহফুজ বলেছেন: একদম ঠিক কারণ ব্লগের পরিসর ততো বিশাল না, নিয়মনীতি কঠিন আর নজরদারিও বেসম্ভব না একেবারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.