নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন সচিবালয়ের পিয়ন, ঝাড়ুদার হতে এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন প্রার্থী!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

দুইদিন ধরে একটি নিউজ অনেকে শেয়ার দিচ্ছেন, সচিবালয়ে ঝাড়ুদার ও পিয়ন পদে চাকরির জন্য এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা প্রার্থীরা আবেদন করেছন। যারা শেয়ার দিচ্ছেন তারা সম্ভবত এই যুক্তিই দেখাতে চেষ্টা করছেন যে, চাকরির কি আকাল পড়েছে। এমবিএ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ঝাড়ুদার কিংবা পিয়ন হতে চাচ্ছে। ইন্ডিয়ায় যদিও আমি শুনেছি ডক্টরেট করা প্রার্থী ঝাড়ুদার পদে আবেদন করেন প্রায়ই। যাইহোক আমি সচিবালয়ে এত উচ্চ শিক্ষিত লোকেদের নিম্নপদস্থ চাকুরির আবেদনের বিষয়ে আমার ক্ষুদ্র চিন্তায় কিছু যুক্তি আবিষ্কার করেছি। দেখুন তো যুক্তিসঙ্গত কিনা?
প্রথমত, সচিবালয় কোনো সাধারণ বা ঠুনকো বিষয় নয়। সচিবালয়ে কোনো কাজে গেলে বুঝতে পারবেন সেখানকার ঝাড়ুদারেরও হ্যাডম আছে আর পিয়ন তো যেকোনো সরকারি বেসরকারি অফিসে অনেক সময় বড়বাবুর মতো কাজে লাগে। পিয়ন মানেই মোটামুটি সবার কাছে যাবার এবং কর্মকাণ্ড দেখার সেরা সুযোগ।
দ্বিতীয়ত সচিবালয়ে কোনো পিয়নের ইনকাম কেমন হতে পারে সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাইনা আমি কথা বলবো সচিবালয়ের পিয়ন বা ঝাড়ুদার হতে কেন উচ্চশিক্ষিত লোকেদের আগ্রহ। চাকরির অভাব এতোটা এখনো হয়নি যে পিয়ন থে হবে এমবিএ বা ইঞ্জিনিয়ারিং করে যদি না অন্তর্নিহিত কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য না থাকে। সচিবালয় কিন্তু এমন এক জায়গা যেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে, সরকারি বেসরকারি খাতের বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য সুপারিশ করা যায়। সুপারিশ কেউ বিনা পয়সায় তো অবশ্যই করবেনা। বিনাপয়সা কি পয়সা দিয়েও সুপারিশ করানোর মানুষ পাওয়া যায়না অনেক সময়। সেক্ষেত্রে একজন পিয়ন বা ঝাড়ুদার যেকোনো কিছু একটা হয়ে সচিবালয় এরিয়ায় জায়গা করে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। তারউপর আপনি যদি হোন হাইলি কোয়ালিফাইড কেউ তাহলে তো সোনায় সোহাগা! এ ক্ষেত্রে আপনি নিজের জন্যেও চাইলে বড়সড় চাকরির জন্য সুপারিশ করাতে পারবেন টাকা দিয়ে হোক আর কৌশলে হোক পাশাপাশি অন্য মানুষ যাদের সাথে সরাসরি সচিব বা সেক্রেটারি ক্যাটাগরি কারো যোগাযোগ নেই তারা কিন্তু পিয়নের মাধ্যমেই যোগাযোগ সৃষ্টি ও কার্যোদ্ধার করে থাকে। সুতরাং মিডিয়াম্যান হিসেবে একজন পিয়ন খুব ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে এসব ক্ষেত্রে।
একটি প্রবাদ আছে সম্ভবত- "সুই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়া" একজন সচিবালয়ের পিয়নের চাইতে আর কি মোক্ষম উদাহরণ হতে পারে? সে যদি উচ্চশিক্ষিত হয় তবে সময় সুযোগে নিজের চাকরির তদবির যেমন করতে পারবে তেমনি শতশত ক্লায়েন্টের মিডিয়া পার্সন হয়েও সচিব সেক্রেটারিদের সাথে সখ্যতা কাজে লাগিয়ে দুইহাতে টাকা ইনকাম করতে পারবে। অতএব পিয়ন কিংবা ঝাড়ুদার পদে বিবিএ, এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন প্রার্থীদের আবেদন দেখে মর্মাহত না হয়ে হিংসা করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.