![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।
জাপানীজরা কখনো তাদের ভাষায় নিজ দেশকে জাপান বলে না। বলে নিহন বা নিপ্পন।
আবার নিজেদেরকে জাপানীজ বলে না, বলে নিহনজীন।
বিদেশী সবকিছুকেই আবার তারা নিজেদের মত করে উচ্চারন করে। যেমন বাংলাদেশ তাদের ভাষায় হয়ে যায় বাংগুরাদেশু। মার্কেট ওদের ভাষায় হয়ে যায় মাকেত্ত।
গুলশান হয়ে যায় গুরুশানু।
এই পরিবর্তনটুকু হয় নিয়ম মেনেই। প্রথমত জাপানীজ কোন অক্ষর নেই যা দিয়ে আপনি ল ড কিংবা ট উচ্চারন করতে পারবেন। আবা কোন অক্ষরই উচ্চারিত হওয়ার সময় শেষে আ, ই বা ও এর টান থাকে। অন্যভাবে বললে প্রতিটি অক্ষরকেই ইংরেজীতে উচ্চারন করতে চাইলে ভাওয়েলের সহায়তা নিতে হয়। একমাত্র ং ছাড়া।
ফলশ্রুতিতে খুলনা হয়ে যায় খুরুনা, ল যায়গায় র আসে আর র এর সাথে উ স্বরবর্ন যোগ হয়ে রু হয়।
অন্যভাবে বললে আর ইংরেজী অক্ষরটির সাথে ইউ ভাওয়েল যোগ হয়ে রু হয়।
টোকিওর পাশের শহর কাওয়াগুচিতে একদিন সন্ধার পর সাইকেল চালাচ্ছি। হঠাৎ করে দুজন পুলিশ আমার সাইকেল থামাল একজন বলে উঠল রাইত, রাইত। আমি ভেবে অবাক হলাম আমায় রাইট অর্থাৎ ডানদিকে চালাতে বলছে কেন। আমি বুঝতে না পারলে হাতের ইশারায় সাইকেলের লাইটের দিকে দেখাল। পরে বুঝেছিলাম জাপানীজ ভাষায় ল উচ্চারন না থাকায় লাইট তাই রাইত হয়ে গিয়েছিল।
কোন জাপানীজ যদি কাউকে বাকা বলে তবে ভাবিয়েন না যে কোন কিছু বেকে আছে, ওটা আসলে জাপানীজ ভাষার সবচাইতে খারাপ একটি গালি বাকাইয়ারোর সংক্ষিপ্ত রূপ যার অর্থ বোকা। আমরা কথ্য ভাষায় কুকুরকে কুত্তা বলি, আবার জাপানীজ কথ্য ভাষায় কুত্তা কা? বললে তার অর্থ হয় খেয়েছ কি? খেয়েছি = কুত্তা
জাপানীজ ভাষায় দুটি বাক্যের বাংলা অনুবাদ দিয়ে শেষ করছি আজকের লেখাটি।
আপনার নাম কি?
আনাতানো নামায়ে ওয়া নান দেসকা।
আমার নাম তমাল
ওতাশিনো নামায়ে ওয়া তোমারু দেস।
২| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
মাহিরাহি বলেছেন: প্রবাস কন্ঠ উচ্চারন ঠিক হয়নি।
আরিগাতো গুজাইমাশিতা।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৪১
রুখসানা তাজীন বলেছেন: নিপ্পন নো দোকো নি ইমা সুনদে ইরুন দেস কা? ওয়াতাসি ওয়া সাইতামা নি দেস
৪| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
আইরিন সুলতানা বলেছেন: আতামাগা ইতাই দেস...
হাহাহা...
৫| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫০
মাহিরাহি বলেছেন: বাংগুরাদেশু নি খায়েত্তে কারা ১০নেন মো তাচিমাসিতা।
ইমা ওয়া ধাক্কা নো বাসাবো নি সুনদেইমাছু।
আমার বড় ভাই অবশ্য ভাবি আর তিন বাচ্চাসহ টোকিওতে বসবাস করছেন।
বড় ভাই জাপানে গিয়েছিলেন প্রায় বিশ বছর আগে।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫১
মাহিরাহি বলেছেন: আইরিন সুলতানা বেশ কয়মাস আগে বলেছিলেন আতামা গা ইতাই দেস।
মাথাব্যথা কি এখনো সারে নাই।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
আইরিন সুলতানা বলেছেন: তোমোদাচি, এটা জাপানী মাথাব্যাথা মনে হচ্ছে... @মাহিরাহি
৮| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
মাহিরাহি বলেছেন: রুখসানা তাজীন, সাইতামার কাওয়াগুচিতে বছরখানেক ছিলাম।
৯| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
মাহিরাহি বলেছেন: ইতসুকারা আনাতানো তোমোদাচি নি নারিমাশিতা।
বাংলায়, কখন থেকে আমায় বন্ধু করে নিলেন?
১০| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০১
মাহিরাহি বলেছেন: জাপানীজ অফিসের চাকুরীতে কাল সকাল বেলায় আবার দৌড়াতে হবে।
তাই ঘুমাতে গেলাম।
১১| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০৮
আবু সালেহ বলেছেন: খাইছে জাপানি ভাষার ট্রেনিং চলতাছে দেখি...
কেমনে কি???
১২| ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:৪০
বাংলার দাদা বলেছেন: আমিতো কিছুতো ন বুঝিতো। হে হে হে জাপানী কইলাম!
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৩২
দ্রগবা বলেছেন: ভালৈচে। মাইনাচ।
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৩৮
একজন ব্লগার বলেছেন: তাকাইয়োনা মুতিয়াছি!
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৪৩
রুখসানা তাজীন বলেছেন: সাইতামা দাইগাকু শিত্তেইমাস কা? সাইদাই দওরি ন চিকাকু নি ইমাস ইয়ো।
নিহন ন দননা কাইসা নি ইমা হাতারাইতে ইরুন দেস কা? ওয়াতাসি মো কায়েত্তে কারা নিহন ন কাইসা নি নিহনজিন ত ইশশো হাতারাকিতাই দেস।
১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৪৭
একজন ব্লগার বলেছেন: ইকারিমাসতা
ঐ দমো
হিরোকো কাসুইয়া
যা জানি সব বল্লাম। মানে কি আ্ল্লাহ মাবুদ জানে!
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৪৯
রুখসানা তাজীন বলেছেন: হিরোকো কাসুইয়া ত কারো নাম মনে হইতাছে। বউত জানেন দেখি। বান্ধবী ত ভালই টেরনিং দেছে
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৫৫
একজন ব্লগার বলেছেন: আপনার ধারনাটা সঠিক নয়। আমার আব্বু ১৯৯৯ সালে এক সরকারি সফরে জাপানে গিয়েছিলো। দেশে আসার সময় কিমানো, নিনজা সোর্ড, নুডুলস খাবার কাঠি ইত্যাদির সাথে একটা বই-ও এনেছিলেন। নাম ছিলো- জাপানি ভাষার ভুমিকা। বইটা বাংলা ভাষায় লেখা। খুব সম্ভবত এই বইটার লেখকের নামই ছিলো হিরোকো কাসুইয়া। জাপানিজ এই লোকটি তুখোড় বাংলা জানে। বাংলা ব্যাকরন, লিকন ও উচ্চারন পদ্ধতি সে মনেহয় আমাদের চেয়েও ভাল জানে। @তাজিনাপু।
১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৫৬
একজন ব্লগার বলেছেন: ভূমিকা****
লিখন****
২০| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৫৭
চাঙ্কু বলেছেন: আরিগাতো গুজাইমাশিত...... জাপানি টিভি সিরিয়ালে অনেক শুনছি ।আমার কিছু দোস্ত জাপানি সব কিছুর ফ্যান ।
২১| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:১৬
একজন ব্লগার বলেছেন: এইটার মানে হইলো "আপনাদের স্বাগতম" টাইপ কিছু! তাজিনাপু অথবা মাহি ভাই ভাল বলতে পারবে।@চানকু।
২২| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:১৮
একজন ব্লগার বলেছেন: থুক্কু! ঐটা সামুরাই সোর্ড হবে। নিনজা না। এইমাত্র মনে পড়লো।@তাজিনাপু।
২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭
রুখসানা তাজীন বলেছেন: @দুইজন ব্লগার
আরিগাতো গজাইমাস মানে ধন্যবাদ।
২৪| ২৬ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নিহন বলেছেন: জাপানীজরা কখনো তাদের ভাষায় নিজ দেশকে জাপান বলে না। বলে নিহন বা নিপ্পন। ,,
আমার নাম জাপান ।
হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৩৭
প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: আরাইগাতো গোদাই মাসতা