নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"দিগন্তকে ছুয়ে ভেসে বেড়াতে চাই,\nসপ্ন দেখি,সাজাতে চাই মনের মত করে। \nমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চাই প্রাণ ভরে।\n\nযান্ত্রিক জীবন থেকে অনেক দুরে থাকতে চাই,\nবেঁচে থাকতে চাই হাসি খুশি আর ভালবাসার মাঝে।

Mahmud Hassan Ashrafi

Mahmud Hassan Ashrafi › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসো, বাঁচো প্রাণ ভরে। কিছুই যায়নি ফুরিয়ে। শুরু করো নতুন করে।

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৫

ট্যাটুতে সেমিকোলন ; জেনে রাখুন এঁরা অন্যরকম।

ট্যাটু তো ট্রেন্ড, ইন-থিং ফ্যাশন। সেলেবদের কথা না হয় বাদই দিন। চারপাশে চোখ ঘোরালে, কারও না কারও শরীরে ট্যাটুর কারুকলকা আপনার চোখে পড়বেই। কখনও গোটা পিঠজুড়ে, কখনও পেশিবহুল হাতে, কখনও শরীরের অন্য কোথাও, আপার বা লোয়ার ক্লিভেজের ফাঁকে। মানবজমিনে বিলাসী মনের উল্কি-আলপনা।
কিন্তু, কখনও খেয়াল করেছেন, কারও শরীরে সেমিকোলন ট্যাটু? হয়তো দেখেছেন, হয়তো দেখেননি। কারণ, শরীরের এমন জায়গায় আঁকা থাকে সে সেমিকোলন, যা খুব খুঁটিয়ে না দেখলে, চোখে পড়ার নয়। হাতেই আঁকা সেমিকোলন, কিন্তু দেখলেন হাতঘড়ির আড়ালে রাখা সযত্নে। বা, ঘাড়ের ঠিক নীচে, চুলের গোছে আড়াল করা।
হ্যাঁ, এই সেমিকোলন ট্যাটু ক্রমে জনপ্রিয় হচ্ছে জেন-এক্সে। তবে, সবাই যে করাচ্ছেন, সবার গায়েই যে দেখবেন, তা কিন্তু নয়। কারণ, ট্যাটু হলেও নিছক ফ্যাশন নয়। বা, ফ্যাশন করতেই নয় সেমিকোলন। গভীর অর্থবহ এই সেমিকোলন। মানসিক লড়াইয়ের প্রতীক। যাঁরা চেয়েছিলেন নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিতে, আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিলেন, কিন্তু, তার পর ফিরে এসেছেন জীবনের স্রোতে, তাঁদের মানসিক দৃঢ়তার প্রতীক।
দু'বছর আগে, ২০১৩-য় সোশ্যাল মিডিয়ার এক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ এই সেমিকোলন ট্যাটুর। যাকে বলা হয়, প্রজেক্ট সেমিকোলন। যাঁরা হতাশার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছেন, বা আসক্ত হয়ে পড়েছেন নেশায়, বা যাঁরা ঠকেছেন ভালোবাসার মানুষটির কাছে, ক্ষতবিক্ষত করেছেন, করেন, নিজেকে 'ভ্যানগগ সিনড্রোম'-এর শিকার হয়ে, তাঁদের নিয়ে, তাঁদের জন্য এই প্রজেক্ট সেমিকোলন। এসে, বাঁচো প্রাণ ভরে। কিছুই যায়নি ফুরিয়ে। শুরু করো নতুন করে। এই সেমিকোলন তাই ভালোবাসার প্রতীক, প্রতীক প্রেরণার, প্রাণিত প্রতীকও।
কিন্তু, সেমিকোলনই কেন?
সেমিকোলন লেখায় আমরা ব্যবহার করি, সাময়িক ছেদ বা বিরতি বোঝাতে, যা কখনোই পূর্ণচ্ছেদ বা দাঁড়ি নয়। ধরে নিন, লেখক হচ্ছেন আপনি, আর বাক্য হচ্ছে আপনার জীবন। আপনার সেই জীবনের, সেই সংকটম সময়, যখন আপনি চেয়েছিলেন নিজেকে শেষ করে ফেলতে, সেখানেই আপনার জীবনের সেমিকোলন। তার পর আবার চলছে জীবন।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.