নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
বিরোধী মতাদর্শের জনগণ তো বটেই এমনকি আমরা যারা জাতির জনকের আদর্শে বিশ্বাস করি তারাও বাকশাল গঠন নিয়ে বিব্রত হই। আসলে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। সম্পূর্ণ কল্যাণকর উদ্দেশ্য নিয়ে এবং জাতিকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যেই বাকশাল গঠিত হয়েছিল। বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল চারটি।
১. সর্বগ্রাসী দূর্নীতি সমূলে উতপাটন করা।
২. কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ।
৩. জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ।
৪. জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা।
বঙ্গবন্ধু একে দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। বাকশাল নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তিনি তা ঘাতকের জন্য বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। এখন বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতির জনকের বক্তব্য উল্লেখ করি।
" দ্বিতীয় বিপ্লব শুধুমাত্র নিজে থেকে সম্পন্ন হওয়া বা শেষ হওয়ার জন্য নয়। এটা শুধুমাত্র সর্বক্ষেত্রে উতপাদন বৃদ্ধি , দূর্নীতির মূলোতপাটন , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য করা হয়েছে। আর এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা , যেখানে কোন দুঃশাসন, বৈষম্য, নীপিড়ন , দূর্বলের উপর সবলের নির্যাতন, অপশাষণ , দূর্নীতি , বিচারহীনতা থাকবেনা এবং বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে বুক উচুঁ করে দাড়াতে পারবে।"
এই ছিল জাতির জনকের প্রত্যাশা। যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশের অস্তিত্ব রক্ষার্থে অন্য কোন বিকল্প উপায় ছিলনা। তাই বাকশাল নিয়ে বিন্দু পরিমাণ হীনমন্যতায় ভোগার কোন কারণ নেই। বাকশাল ছিল স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ।
জয় বাংলা , জয় বংগবন্ধু , জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
©somewhere in net ltd.