নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
পৃথিবীতে ইতর প্রাণীর সংখ্যা বেশি। তাই তাদের অধিকারও বেশি। আধিপত্যও বেশি।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া ভ্রান্ত চেতনার শৃঙ্খল ভাঙ্গতে চাইনা। তারা যে পথে হেটে গেছেন আমরাও সেই পথেই হাটি। কখনো ভাবিনা জ্ঞান বিজ্ঞান এত অগ্রসর হয়েছে দেখিনা একটু ক্ষতিয়ে। কি দোষ তাতে? নাহ, তা আমরা কখনোই করিনা। তাহলে তো আমরা ইতর গোত্রের মধ্যেই রয়ে গেলাম।
আরেকটি ব্যাপার আমরা কোনকিছুকেই সামগ্রিক দিক থেকে বিবেচনা করিনা। অন্ধের হস্তী দর্শনের মত একেকটা অংশ দেখে পূর্ণাঙ্গ বিষয় বিবেচনা করতে চাই। এটাতো অধম আর ইতর প্রাণীর কাজ। আর খুব ক্ষুদ্র একটা বিষয় নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা না করে ক্ষণিক আবেগের বশে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে সব উদ্ধার করে ফেলি। মুদ্রার অপর পিঠে কি আছে তা দেখতে যাইনা।
ক্ষুদ্র উদাহরণসরুপ একটা ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। রানা প্লাজার দূর্ঘটনার পর রেশমা উদ্ধারের যে নিম্নমার্গীয় নাটকের অবতারণা করা হয় তা মিডিয়ার অনেকেই বুঝতে পারেন। কিন্তুু ভয়ে এ বিষয়টি সবাই এড়িয়ে যান একজন ছাড়া। তিনি মুন্নী সাহা। মুন্নী সাহার উপর ছাগু ভাদা জাতীয়তাবাদী সবারই যথেষ্ঠ ক্ষোভ রয়েছে। মুন্নী সাহা curious mind নিয়ে যখন রেশমাকে প্রশ্ন করছিলেন তখন দল মত নির্বিশেষে ছাগু , ভাদা , চরমপন্থি , জাতীয়তাবাদী সবাই মুন্নী সাহার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করছিলেন। অথচ কেউ একবারও ভাবেননি ১৭ দিন অন্ধ প্রকোষ্ঠে আটকে থাকলে কি কি প্যারামিটারে কি কি ধরণের সমস্যা হতে পারে।
ক্যাম্পাসের রাজনীতি আর কিছু সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকার কারণে পত্রিকাগুলো কি পরিমাণ হলুদ সাংবাদিকতা করে তা মোটামুটি বুঝতে পেরেছি। বেশ কিছু সাংবাদিক বন্ধু এবং সিনিয়র থাকায় সাংবাদিকতা পরিচয়ের অপব্যবহারও যথেচ্ছ দেখেছি। তবে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে সবচেয়ে কম হলুদ সাংবাদিকতা করে প্রথম আলো। আমি নিজেই এর প্রমাণ। এজন্য ছাগু আর ভাদা দুই গ্রুপই পত্রিকাটিকে সমানভাবে ঘৃণা করে।
যখন সমকাল বিদেশী পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে পাক ভারত তৃতীয় যুদ্ধের কথা বলল তখন কথিত চেতনাধারীদের চোখে পড়লোনা। আর একই সংবাদ আরেকটু গ্রহণযোগ্য করে যখন প্রথম আলো লিখল তখন চেতনায় আঘাত লাগলো। আর অসভ্য ভুঁইফোড় পেইড সিপি গ্যাঙ্গ তো জারজই। ওদের মা বাপ নেই। ওদের মত অশ্লীল ভাষা কেউ ব্যাবহার করতে পারে বলে আমার জানা নেই। এমনকি ওরা ওদের স্রষ্টা অমি পিয়ালের বাচ্চা মেয়ে আর বউয়ের ছবি দিয়ে ফটোশপে কাজ করে নগ্ন ছবি ছড়ায়। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে জনৈক বিশিষ্ট ব্লগারকে মালোয়ানের বাচ্চা বলে গালি দেয়।
©somewhere in net ltd.