নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
স্কয়ার গ্রুপের শুরু ১৯৫৮ সালে টিনের চালা ঘর দিয়ে। ৯০ এর দশক পর্যন্ত শুধু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিই ছিল। ২০০০ সালের পর থেকে অনেক ডালপালা গজিয়েছে। আর এখনতো ডালপালার শেষ নেই। তারপরও স্কয়ারের মূল ব্যবসা ফার্মাকে ঘিরেই। ৮০'র দশকেও টিনশেড বিল্ডিং ছিল। আমাদের সার্জারি বিভাগের লিজেন্ডারি প্রফেসর রুবেল স্যার স্কয়ারের উত্থান নিয়ে গল্প করতেন। স্কয়ার ফার্মার চেয়ারম্যান অরুণ চৌধুরী ১/১১ সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। যাইহোক স্কয়ারের উত্থান শুধুমাত্র ফার্মা দিয়ে।
একটি প্রবাদ আছে, " যারে দিয়ে চক্ষুদান, তারেই করিস অপমান।" যাকে দিয়ে এখন পর্যন্ত স্কয়ার অস্তিত্বশীল, যে ফার্মা ছাড়া স্কয়ারকে কল্পনাও করা যায়না, যে ফার্মা ছাড়া স্কয়ার অস্তিত্বহীন, সেই ফার্মার সঞ্চালক ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মাছরাঙা মিডিয়ার মাধ্যমে কৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধুমাত্র তাই-ই নয় অরুণ চৌধুরী স্কয়ার ফার্মার প্রত্যেকটা রিপ্রেজেনটেটিভকে বিয়াদবের বাক্স বানিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয় তা স্কয়ারের একটা এম আর জানেনা। সিঙ্গেল একটা রিপ্রেজেনটেটিভ না। ইন্টার্নশিপ করার সময় আমার এক রেজিস্টারকে স্কয়ারের এম আর দের সাথে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করতে দেখতাম। আমার খুব খারাপ লাগতো। আমি একদিন জিজ্ঞেস করেও বসি। তখন তিনি বলেন, " কয়েক বছর পর বুঝতে পারবে স্কয়ার কি জিনিস।" আজ সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
এই ফার্মা কোম্পানি মাকড়শার জালের মত দেশের প্রত্যেকটা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে আছে। একেবারে খামচে ধরে আছে। চিড়ে খাচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। মানুষকে কৌশলে উপনিবেশিক শাসকদের থেকেও বেশি শোষণ করছে। কয়েকশত ভাগ পর্যন্ত ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এই স্কয়ার ফার্মা।
সবশেষে অরুণ চৌধুরীকে অনুরোধ করব চক্ষুদাতা, অস্তিত্বদাতাকে অপমান করবেন না, মানুষকে শোষণ বন্ধ করুন আর আপনার রিপ্রেজেনটেটিভদের কন্ডাক্ট শিক্ষা দিন। আর শত শত গুচ্ছ বেয়াদব সৃষ্টির জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান বিএমএর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা যতভাগেই বিভক্ত থাকিনা কেন অস্তিত্বের প্রশ্নে সবাই এক। আমাদের দেশে স্বৈরাচার এরশাদ পারেনি। কেউ পারবেনা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে খেলা করতে। আর আমরা তরুণ ডাক্তাররাই ডাক্তার কমিউনিটির তিন চতুর্থাংশের রিপ্রেজেন্ট করি। এভাবে চললে পতন হতে সময় লাগবেনা। আর পৃথিবীর ইতিহাস হতে শিক্ষা নিন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত তালগাছ। কিন্তু আমাদের সিনিয়র ডাক্তারদের উপর এগুলোর দায় কিছুটা হলেও বর্তায়। আমি যে ডাক্তার সমাজকে একেবারেই ধোঁয়া তুলসী পাতা বলব না নয়।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
অেসন বলেছেন: আপনারা স্কয়ার এর ওষুধ লিখেন বলেই স্কয়ার বাংলাদেশের এক নম্বর ফার্মা। কয়েকশত ভাগ পর্যন্ত ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির জন্য যদি স্কয়ার দায়ী হই, সেক্ষেত্রে ওই কোম্পানির ঔষধ লেখার জন্য নিশ্চ্য় ডাক্তাররাও দায়ী ! ডাক্তারদের অস্তিত্ব কেন ফার্মার উপর নির্ভর করবে ? বরং ফার্মার অস্তিত্ব ডাক্তারদের উপর নির্ভর করে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত। অস্তিত্ব ফার্মার উপর নির্ভর করে, কথাটা এভাবে বলিনি।।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কী বলবো? ডাক্তারদের চেম্বার থেকে রোগী বের হলে এরা যেভাবে ঘিরে ধরে মনে হয় যেন এখনই ডাক্তারের বিচার করবে তাদের ওষুধ না লেখার জন্য...