নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিপোস্টঃ আমার আদর্শ বাবা।।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০০

আমার বাবা একজন জীবন্ত এনসাইক্লোপেডিয়া। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি সেই সময় থেকে আজ অবধি বাবার কাছে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে ব্যর্থ হয়নি। রসায়ন থেকে শুরু করে পদার্থবিদ্যা, এনাটমি থেকে শুরু করে প্যাথলজি, মহাভারত থেকে শুরু করে কুরআন সবকিছুই ছিল তাঁর নখদর্পণে। ছোটবেলায় বাবা তাঁর বুকের উপর নিয়ে আমাকে রামায়নের কাহিনী শুনাতেন। তখন রামায়নের কাহিনী শুনে মনের মধ্যে জীবন্ত ছবি আঁকতাম। কল্পনায় তৈরী করতাম দৃশ্যপট। বাবা কখনোই একবিন্দু বানিয়ে বলতেন না। আজ বিশ্লেষণ করে দেখি সবই ছিল নির্ভূল। কখনোবা নবী-রাসূলদের কাহিনী শুনাতেন। মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। মুসলমানদের স্পেন বিজয়ের কাহিনী শুনাতেন।

বাবা ছিলেন প্রগতিশীল। এখনো তেমনি আছেন। সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করেন। কিন্তু তিনি নাস্তিক নন। কখনো স্কেপটিকদের মত কুরআনে আসা হুনাইন যুদ্ধের কাহিনী অথবা লাউহে মাহফুযে কুরআন সংরক্ষিত ছিল এমন কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিধার সৃষ্টি করতেন। আমি তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাতাম আর বলতাম তুমি নাস্তিকের মত কথা বলছ। বাবা হাসতেন, উড়িয়ে দিতেন হেসে।

বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শ আমার পছন্দ হতনা। শুধু আমার নয় বাড়ির করোরই পছন্দ হতনা। মাঝে মাঝে বাড়ির সবাই একদিকে আর আব্বু অন্যদিকে এভাবে মতাদর্শ নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ত। আমি সবার সাথে বাবার বিরুদ্ধে যোগ দিতাম। বাবা বাইবেল পড়তেন। আমি লুকিয়ে ফেলতাম। বাবা আবার খুঁজে বের করে ফেলতেন। আমি তখন কট্টর মৌলবাদী ছিলাম। ভাবতাম বাইবেল পড়া পাপের কাজ।

বাবা ছিলেন পুরোপুরি একজন লিবারেল মানুষ। কোন কিছুতেই তিনি আশ্চর্যান্বিত হতেন না। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে নেন। মাঝে মাঝে বিচলিত হয়ে পড়েন কিন্তু সেটা খুবই কদাচিৎ। সংসারের ব্যাপারে তিনি সব সময়ই নির্লিপ্ত। আমার মা-ই সংসার চালাতেন। তিনি শুধু শিক্ষকতা আর বই পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। কেউ নতুন কোন বই উপহার দিলে আনন্দে উদ্বেলিত হন। অষ্টম-নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় বাবা আমাকে তাঁর বই পড়তে বলতেন। আমি বলতাম ঐসব ভয়ঙ্কর ইংরেজী বই আমি পড়তে পারবনা।

বাবা শেক্সপিয়ার, সমারসেট মম পড়তেন। শেলি-কিটস থেকে শুরু করে হালের গর্সিয়া মার্কেস- গ্যাটে সবই পড়তেন। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র, মধুসূদন সবই পড়তেন। বাবা আমাকে শরৎচন্দ্র পড়তে দিয়েছিলেন যদিও তখনো উপন্যাসের জ্ঞান খুব একটা হয়নি। শরৎচন্দ্র পড়ে আমার মনে প্রেম জেগে উঠল। আমি বন্ধু কাম খালাত ভাই আপেলের সহায়তায় গ্রামের এক মেয়েকে সপ্তম শ্রেনীতে উঠার শুরুতে চিঠি লিখে ফেলি। সেকি ভয়ানক ভাষা। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে চিঠিটা আম্মার হাতে পড়ে যায়। বাবা কিছু বললেন না। কিন্তু মার হাতে ভয়ানক পিটুনি খেতে হয়।

বাবাকে অনেক সময় মার গঞ্জনা সহ্য করতে হত। তিনি কখনো পরের একটা টাকাও মেরে খাননি। ছোটবেলাতেই তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন কখনো টিকেট না করে ট্রেনে উঠা অন্যায়। ট্রেনের টিকেট না করা মানে দেশের বার কোটি মানুষের টাকা মেরে খাওয়া। কারণ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যেক বস্তুর মালিক জনগন। বাবার আদর্শ মেনে আমি কখনোই ট্রেনে টিকেট না কেটে উঠিনি। আমাদের এলাকায় ট্রেনই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বাবা যদি কখনো দৌড়ে লোকাল ট্রেনে উঠতেন তবে ট্রেন থেকে নেমে সমমূল্যের টিকেট ক্রয় করে ছিড়ে ফেলতেন।

বাবাকে নিয়ে আমার স্মৃতিচারণ শেষ করা যাবেনা। আজ থেকে ৬ বছর আগে বাবা হঠাত স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আমরা দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসা আর ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সেরে উঠেন। কিন্তু তাঁর আগের প্রাণ-চাঞ্চল্য আর ফিয়ে আসেনি। এখন আর আগের মত মাইলের পর মাইল বাইসাইকেল দিয়ে পাড়ি দিয়ে তাঁর পুরাতন ছাত্রদের খোঁজ নিতে পারেননা। তিনি খুবই স্মৃতিকাতর। কখনো পুরনো স্মৃতিদের কথা মনে পড়লে আমাকে বাইকে করে সেসব যায়গায় নিয়ে যেতে বলেন। আমি তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তিনি খুব বেশি তার পুরনো জায়গীর বাড়ি যেখানে থেকে ইন্টার এবং ডিগ্রি পড়েছেন সেখানে যেতে চান। আমি নিয়ে যায়। এই মানুষটির হাসির জন্য বলতে গেলে এখন পর্যন্ত আমি কিছুই করতে পারিনি।

বাবার কোন বাজে নেশা ছিলনা। তিনি খুব আনন্দ বা খুব কষ্ট পেলে বাজারে বসে একটা সিগারেট খেতেন। তাঁকে বড়জোর দু-তিনবার সিগারেট খেতে দেখেছি। পাছে আমার কাছে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় এই ভয়ে কখনোই আমার সামনে সিগারেট টানেননি।

বাবা কখনোই হাত তুলে মোনাজাত করেননা। শুধু আমার জন্যই কয়েকবার হাত উঠিয়ে প্রার্থনা করেছেন। তাঁর নামায পড়া নিয়ে আমি আর আম্মা অনেক সমালোচনা করতাম। তিনি খুব দ্রুত নামায পড়েন। নামাযের প্রতি তাঁর মনযোগ আগেও ছিলনা এখনও খুব একটা নেই। বাবার বয়স এখন ৮০। আম্মা দাঁড়ি রাখার জন্য পিড়াপীড়ি করেন। কিন্তু আব্বু দাঁড়ি সহ্য করতে পারেননা।

আব্বু সংগীত অনুরাগী ছিলেন। তিনি নাটক থিয়েটার যাত্রা এসব পছন্দ করতেন। পৃষ্ঠপোষকতাও করতেন। একসময় টুকটাক অভিনয়ও করতেন। আমার বাবা গিয়াশ উদ্দিন মাষ্টার। আপনারা হয়ত নাট্যকার গিয়াশ উদ্দিন মাষ্টারের নাম শুনে থাকবেন। উনি ছিলেন আমার বাবার সিনিয়র বন্ধু। বাবা শিক্ষক এবং নাট্যনুরাগী উভয় হিসেবেই পুরো জেলাতে পরিচিত। বাবার সবচেয়ে প্রিয় গান হল ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ’। তিনি এখনো গুনগুন করে বিভিন্ন গানের কলি গেয়ে উঠেন।

আব্বু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এবং দূর্ভাগ্যক্রমে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে তাঁর পড়া হয়নি। ইংরেজী সাহিত্য তাঁর খুব প্রিয় বিষয় ছিল। তাঁর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীতে পড়ি। কিন্তু তিনি মেডিকেলে চান্স পাওয়াতেই বেশি খুশি হয়ে ছিলেন। বাবা ৩৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন। হাজার হাজার ছাত্র পড়িয়েছেন। তিনি প্রায় সব ছাত্রের কাছেই সমান জনপ্রিয়। আজ আব্বুর অনেক ছাত্রই সমাজের অনেক উচ্চ পদে সমাসীন যাদের কাউকে না কাউকে আপনি চিনবেন। আব্বুর অনেক ছাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমাদের বাড়িতে পাক বাহিনী আক্রমণ করবেনা এই বিশ্বাসে তিনি তাঁর ছাত্র মুক্তিযুদ্ধাদের আমাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন।

সর্বপোরি আমার বাবা শুধু আমার শৈশবের নয় আমার আজীবনের নায়ক। বাবা শুধু আমার নন তাঁর অগণিত ছাত্র আর ভক্তবৃন্দের আইকন। বাবা শেষ বয়সে এসে শুধু আমার প্রতিষ্ঠাটাই দেখে যেতে চান। আমি চাই আমার বাবা কমপক্ষে আরও ১০ বছর বেঁচে থাকুন। আমার সঙ্কটে, সম্ভাবনায় প্রেরণার উৎস হিসেবে। তিনি যাতে চিকিৎসক এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে আমার পূর্ণ প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারেন। আমি ভাগ্যবান এমন একজন পিতা পেয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাইব আমার বাবা যেন দীর্ঘজীবি হন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: এমন লিবারেল বাবার সন্তান হয়ে কিভাবে জামাতি দের পক্ষে সাফাই গান চাদগাজীর পোস্টে: নয়া আমীরের ফাসী নিয়ে পোস্ট ছিল

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ভাই আমি মানবতাবাদী। ওই পোস্ট আপনি ভালভাবে পড়বেন। অতিরিক্ত কোন কিছুই আমি পছন্দ করিনা। আমি নিজেও লিবারেল। আমার ব্লগগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। আমি মৌলবাদিতা তো দূরের কথা ধর্মের অস্তিত্বও খুঁজে পাইনা। তবে আমি স্রষ্টার অস্তিত্ত্বে অবিশ্বাস করিনা।।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমার বাবা একজন জীবন্ত এনসাইক্লোপেডিয়া। ভাল লেগেছে বাক্যটা।

অনেকটা আমার বাবার সাথে মিলে যায়, যদিও আপনার বাবার মত অত পারদর্শী হয়ত ছিলেন না। তবে আমি যতটুকু জানতে চাইতাম এর থেকে বেশিই শুনিয়ে দিত। :D আমি শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে... শুনার ভান করে থাকতাম। শুনলে হয়ত উপকার বৈ অপকার হত না। কারণ জানার শেষ নাই। যেহেতু আর্মিতে ছিলেন, তার উপর গোয়ান্দাও ছিলেন তাই তার জানার পরিধি একটু বিস্তৃত বলা যায়। সেই পিচ্চি বয়সেই এ্যাটম বোমা কি জিনিস বুঝেছিলাম, গুলি কি জানতাম বা কখন ব্যবহার করা হয়(অবশ্যই ইতিবাচক), ইংরেজি ব্যাকরণ যে বয়সের বাচ্চাদের জানার কথা না তখন থেকেই, বিভিন্ন রকম স্কাউট দড়ির গেরো যা আমার বিরক্ত লাগত পারতাম না বলেই। যদিও আব্বা কোমান্ডো অভিযান এর জন্য শিখেছিলেন হয়ত, আমি জানি না। এত বিস্তারিত গোয়েন্দা বিষয়ক বলতেন না। এটা জানতাম উনি পাক ভারত বর্ডার এ যুদ্ধ করেছিলেন আর সেখানে গোয়ান্দা ছিলেন। অন্যক্ষেত্রে কমান্ডোও বলা যেতে পারে। উনি আমাকে আমাদের স্বাধীনতার কথা বলতেন। উনি মুক্তিযোদ্ধ বলতে না, বলতেন স্বাধীনতার সংগ্রাম,সংগ্রাম নামে এটা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ডাক, এই নামেই তখন পরিচিত ছিল সব নাকি... অল্প বয়সেই অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম, যার মূল্য তখন আমার কাছে তেমন ছিল না, তবে এখন অনেক।
যাই হোক, আমাকে শৈশব মনে করিয়ে দেওয়া জন্য ধন্যবাদ।
আপনার আব্বুর জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত। আপনার এবং আপনার বাবার জন্য অনিঃশ্বেষ শুভকামনা রইল। আপনার মন্তব্যে আমিও আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলাম। ভাল থাকবেন সবসময়।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ# হবে ..

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: স্লিপিং মিসটেক হতেই পারে।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



//১. ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪ ০
কলাবাগান১ বলেছেন: এমন লিবারেল বাবার সন্তান হয়ে কিভাবে জামাতি দের পক্ষে সাফাই গান চাদগাজীর পোস্টে: নয়া আমীরের ফাসী নিয়ে পোস্ট ছিল
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩ ০
লেখক বলেছেন: ভাই আমি মানবতাবাদী। ওই পোস্ট আপনি ভালভাবে পড়বেন। অতিরিক্ত কোন কিছুই আমি পছন্দ করিনা। আমি নিজেও লিবারেল। আমার ব্লগগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। আমি মৌলবাদিতা তো দূরের কথা ধর্মের অস্তিত্বও খুঁজে পাইনা। তবে আমি স্রষ্টার অস্তিত্ত্বে অবিশ্বাস করিনা।।//

-বাবাকে নিয়ে দীর্ঘ স্মৃতিচারনটা পড়লাম। আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা। জ্ঞানী লোকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হওয়া স্বভাবসুলভ। তাকেসহ আমাদের সকলকে আল্লাহ পাক ইহকাল পরকালে কল্যান দান করুন। কল্যানের পথেই পরিচালিত করুন।

কলাবাগান১ -কে তার স্মরনশক্তির জন্য প্রশংসা করতেই হয়।

কিছুটা দ্রুততা নিয়ে পড়লেও বাবা যে নামাজী ব্যক্তি তা তো আপনিই জানালেন।
মৌল আর গৌন বলে কথা! নিজের ফ্রেশনেস প্রমানে ছাড় দিতে দিতে সবই যদি ছেড়ে দিলেন, তাহলে আর থাকলটা কি? শুধু অস্তিত্ব? সত্যিকারের ফ্রেশনেস তো লুকিয়ে থাকে আসল মালিক, জীবন মৃত্যুর মালিকের সাথে সম্পর্ক পাকা করার ভেতরেই!

প্লিজ ভাই, আশা করতে চাই, বাবার অবর্তমানে তার রেখে যাওয়া আদর্শগুলো আপনার ভেতরে আরও পূর্নতা নিয়ে বেঁচে থাকবে।

ক্ষমা চাই। আল্লাহ মাফ করুন।

ভাল থাকবেন, ভাই।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



নিজের মতের বিপরীত হলে সে মন্তব্যের উত্তর না দেয়াটাকে কি ভদ্রতা বলা যায়?

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আচ্ছা আপনি তো ধার্মিক, তাইনা? তাহলে কুরআনের সকল বক্তব্য মানা উচিত,"মৌনতা অবলম্বন কর এবং এটাই মুক্তির একমাত্র অবলম্বন।" ধন্যবাদ নকিব ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। রমজানে আপনার জন্য অনিঃশ্বেষ শুভকামনা রইল।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আর নকিব ভাই আমার আর আপনার বিশ্বাস আলাদা। আমি মনে করি এক স্রষ্টার ইবাদত যেকোন ফর্মেই করা যায়। এক্ষেত্রে উমর খৈয়ামের একটি উক্তি বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য। নামায স্রষ্টার প্রার্থনার একটি রুপ। তাই আমি নামায পড়তে পারি। রোজাও করতে পারি। কিন্তু আমার বিশ্বাস এগুলো মানবসৃষ্ট। আমি আপনার অনুভূতিতে আঘাত করতে চাইনা। আমি আশা করি আপনিও আমার অনুভূতিতে আঘাত করবেন না। ভালো থাকবেন সবসময়।

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



-আপনার জন্যও শুভকামনা অশেষ। প্রশ্নই আসে না, আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করা তখনই আমার দায়িত্ব হয়ে যায়, যখন আমি নিজেকে একজন মুসলিম ভাবতে চাই। সুতরাং আঘাত নয়, ডিসকাশন তো হতে পারে। কথা বলাতে তো সমস্যা থাকার কথা নয়। আপনার কি মনে হয়?

আপনার কথায় বুঝতে কষ্ট হয় না। আপনি ভদ্রলোকের ভদ্র ছেলে। আপনার জন্য দোআ আশীষ অনি:শেষ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই। আপনি নিজেও ভদ্রলোক। তাই আমাকে বুঝতে পেরেছেন। আমি অবশ্যই আপনার মতামত আর অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি।।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



দ্রুত উত্তরদানে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

যদি সময় সুযোগ হয়ে ওঠে, আপনার কাছে বোর ফিল না হয়, দয়া করে নিচের লিঙ্ক থেকে ছোট্ট এই বইটিতে চোখ বুলিয়ে নেয়ার রিকোয়েস্ট থাকল।
Who Is He? - Ke Shey Jon?

আগাম ঈদ মোবারক জানিয়ে রাখছি। যদি বইটি পড়ে দেখার সুযোগ কখনও হয়ে ওঠে তাহলে দয়া পূর্বক বইটিতে আলোচিত বিষয় বস্তুর উপর আপনার মূল্যবান সংক্ষিপ্ত মতামত এখানে শেয়ার করার অনুরোধ রাখতে চাই।

ভাল থাকুন অন্তহীন।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৯

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ অনিঃশ্বেষ। আমিও রোজা করি। দিনশেষে খুব ক্লান্ত থাকি। পড়ে অবশ্যই মতামত জানাব। অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

বিদ্যুৎ আকন্দ জামালপুরী বলেছেন: জয়ীতু, জনাব গিয়স উদ্দিন স্যার। স্যারের নাম নিয়ে একটা গল্প মাঝে মধ্যেই তিনি আমাদের সাথে করতেন। গল্পটা অনেক মজার ছিল। আমাদের এই জীবন্ত কিংবদন্তীর অমর জীবন কামনায় ...।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৮

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্যুৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.