নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢ

প্রজ্জলিত মেশকাত

আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।

প্রজ্জলিত মেশকাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একান্ত বিচ্ছিন্ন কিছু আবেগ-২

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

অনেকদিন পর ফেসবুক এক্টিভেট করলাম। আবার হয়তো দুইদিন পর ডিএক্টিভেট করে দিব। ব্লগে আছি। রেগুলার না হলেও ঢুকি মাঝে মধ্যে। কদাচিৎ লেখা হয়। আমি সিদ্ধার্থ গৌতামার আদর্শে বিশ্বাস করি। যেখানে জাগতিক স্বার্থ থাকবেনা। থাকবে selfless sacrifice. কিছুটা হলেও সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি। "আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ।" আর, " অধিকারবোধ থেকেই সকল দুঃখের সৃষ্টি।" এই বাক্যদুটোকে গভীরভাবে বিশ্বাস করি। কেউ ক্ষতি করলেও প্রতিশোধপ্রবণতা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি। কখনো সফল, কখনো ব্যর্থ। "People act or behave based on their current level of consciousness." Siddhartha.. "মৌনতা অবলম্বন করো, এটাই মুক্তির একমাত্র অবলম্বন।" আল-কুরান। আরেক জায়গায় আছে, " Hey believers, never be close fist." Al-Quran. এখানে মূলত non- judgemental হবার ব্যপারে বলা হয়েছে। মুদ্রার দুইপিঠ না দেখে, পুরোপুরি না জেনে কোন মতামত দেওয়ার বা কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হবার ব্যপারে বলা হয়েছে। এবং চেতনাকে উন্মুক্ত রাখার ব্যপারে বলা হয়েছে। গীতায় বলা হয়েছে, সুখের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে, Detachment. Detachment সম্পর্কে বলা হয়েছে, " Detachment is, open to everything but attached to nothing." আর এই Attachment থেকেই দুঃখের সৃষ্টি। কিন্তু আমি পারিনা মোটেও। কারণ genetically আমার, personality অনেকটা dependent ধরণের। আজও এর বাইরে যেতে পারিনি। যার ফলে অনেক exploitation আর মানসিক কষ্টের স্বীকার হয়েছি।

আপনারা হয়তো আলবেয়ার কামুর, দ্য আউটাসাইডার উপন্যাসটি পড়ে থাকবেন। সেখানে গল্পের নায়ক, বিস্মিত হয়ে খেয়াল করে, কিভাবে বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে তার অতীত মানবিক ইতিহাস টেনে আনা হচ্ছে অপ্রাসংগিকভাবে। যেটার সাথে বিচারের নূন্যতম সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক থাকতো যদি সে অতীতে কোন ক্রাইম করে থাকতো। শেষের ইতিহাস সবার জানা। আমরা দৈনন্দিন, এমনকি পারিবারিক জীবনেও এধরণের ঘটনার মুখোমুখি হই।

মানুষ প্রাণী জগতের সবচেয়ে স্বার্থপর এবং কৃতঘ্ন প্রানী। আজ আপনি একজনের জন্য জীবন দিয়ে জীবন বাঁচালেন, সেটা সে কয়েকমাসের মধ্যেই ভূলে যাবে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যার সাগরের একটা ঘটনার উদ্দৃতি দেই। একবার পাড়ার এক মুরুব্বি গোছের লোক এসে বলল, "বিদ্যা অমুক লোক তোমার নামে যাচ্ছেতাই বলে বেড়াচ্ছে।" বিদ্যা বললেন যে, " এটা হতেই পারেনা। কারণ তার আমি কোন উপকার করিনি।" লোকটি জোর দিয়ে বললেন, " আমি নিজ কানে শুনে এসেছি।" ঈশ্বরচন্দ্র আবার যাকে যা সাহায্য করতেন, তা লিখে রাখতেন। তিনি তার পুরনো নোটবই ঘাটতে লাগলেন। অনেক ঘেঁটে পেলেন, দশ বছর আগে ওই কুৎসা রটনাকারী লোকটির মেয়ের বিয়ের সময় পাঁচ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। সেই পাঁচ টাকা এখন পঞ্চাশ হাজার টাকার সমান হবে নিদেনপক্ষে। তখন বিদ্যা বললেন, " এবার যথার্থ হয়েছে, সে আমার নিন্দা করতেই পারে।" কিন্তু প্রকৃতির একটা নিজস্ব Feedback সিস্টেম আছে। আপনি যদি কারো জন্য কিছু করেন, যেকোন রুপে সেটা আপনার কাছে ফেরত আসবেই। এটাই হচ্ছে Karma. Karma যেটা আপনি প্রকৃতিতে করে যাচ্ছেন, ভাল বা মন্দ, সেটা কোন না কোনভাবে আপনার কাছে ফেরত আসবেই।

অনেক প্যাঁচাল হইছে। মোটিভেশনের কিছু শর্ত আছে। সেগুলো পূর্ণ হলেই কেবল একজন মোটিভেটেড হতে পারে। শর্তগুলো বেশ কঠিন। আজ আর ওদিকে না যাই।

কোন এক কাছের রিলেটিভ, মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, নিজের আপন এতিম ভাগ্নেকে পর্যন্ত মাদক ব্যবসা করিয়েছে, আবার সেই ভাগ্নের নামেই মিথ্যা চুরির অপবাদ দিছে। তার চলার একমাত্র অবলম্বনই হচ্ছে, ধান্দাবাজী আর অপরেরটা মেরে খাওয়া। সেতো নিজে মাদকাসক্তই। তার নামে মাদকের একাধিক মামলাও আছে। অন্যের কাছ থেকে চেয়েও খায়। এমনকি আমি পরিচয় করিয়ে দিয়েছি এমন লোকের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে আর দেয়নি। খুন ছাড়া আর এহেন কোন বাজে কাজ নেই, সে করেনি। তারপরও নিকট আত্মীয় হবার জন্যে ভাল করার অনেক চেষ্টা করেছি। তার অপকর্মের জন্য সম্মানের ভয়ে আমার প্রথম কর্মস্থলের একটা বাসা ছাড়তে হয়েছে। কমপক্ষে নিজের টাকায় ৪ বার রিহ্যাব করিয়েছি। ৫-৬ বার ডিটক্সিফিকেশন করিয়েছি নিজের টাকায়। দুই বছর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকুরি করিয়েছি যদিও ওর ডিগ্রীর সার্টিফিকেট জাল, নকল করে ইন্টার পাশ করেছে কয়েকবারে; ওকে চালিয়েছি আমি আর আমার কাছের বন্ধুদের প্র্যাসক্রিপশনের মাধ্যমে। তার নিজের ফার্স্ট ব্লাড ডাক্তার হওয়া স্বত্বেও কখনো কোন সাহায্য করেনি, তার অতীত এবং বর্তমান ইতিহাসের জন্যে। অজস্রবার ৫০-৫০০ টাকা দিয়েছি, হিসেব ছাড়া। কারণ কান্দাকাটি আর হাতে পায়ে ধরলে আমি ঠিক থাকতে পারিনা। এমনকি তার ছেলের এসএসসি ফর্ম ফিলাপের টাকা, ফার্স্ট ব্লাড থেকে না পেয়ে আমার কাছে এসে অঝোর কান্না। আমি কেবল তখন এমএস পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে এসেছি। আমারও মন প্রচন্ড খারাপ। অনেকদিন কোন প্র্যাক্টিস করিনি। আমার হাতেও টাকা নেই। আমি মাটির ব্যাংক ভেংগে আর এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশে ধার করে তার ছেলের এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের টাকা দেই। পরের দিন দেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত দেয়নি। কোন আফসোস নেই। কিন্তু যখন এই লোক, ফেসবুকে আমার নামে মিথ্যাচার করে, আমার নামে জঘন্যতম ভাষায় লেখে তখন প্রচন্ড কষ্টে বুক ফেঁটে যায়। আমি জানি অতি নিকটেই আবার পায়ের কাছে পড়ে ক্ষমা চাইবে। আমাকে ভগবান বানাবে। কিন্তু জলাতংক আক্রন্ত কুকুরকে আশ্রয় দিয়ে কোন লাভ নেই। এর চিকিৎসা এবং ফলাফল আপনারা জানেন। দুনিয়া মোটামুটি চেনাতে জলাতংকের চিকিৎসা দেওয়ার মত সাহস, শক্তি এবং জ্ঞান সবটাই আমার আছে। শেক্সপিয়ারের Macbeth এর ভাষায় " I must be cruel only to be kind. Thus worse remains behind, bad begins." আজ এ পর্যন্তই। আর দেখা নাও হতে পারে। বিদায়।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: আসক্তির উর্ধ্বে যেতে পারলেই আসল মুক্তি। তাই হয়তে এতো কঠিন খুঁজে পেতে।

১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: ঠিক নাহিদ ভাই। আসক্তি অতিক্রম করাই সবচেয়ে কঠিন।

২| ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে বেশ লাগলো।
কেমন আবেগ ঘিরে ধরলো।

১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মানুষ এমনই গুরু। মানুষ মহাবিশ্বের সবচেয়ে স্বার্থপর আর ঘৃণ্য প্রাণী। মাঝে মধ্যে প্যারালাইজিং আবেগ আঁকড়ে ধরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.