নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমার মত। আমি অনন্য। পৃথিবীতে আমার মত কেউ ছিলনা, নেই আর কেউ আসবেও না। জন্মের আগেও আমি ছিলাম না। মৃত্যুর পরেও এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যা থাকবে তা আমার কৃতকর্ম।
জীবনে চলার পথে নেকড়ে, শকুন, হায়েনা, হাঙর, বাজপাখি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক জীবনের অংশ। এগুলোর সাথে deal করেই সামনে এগুতে হবে। কিন্তু যখন সারাজীবন আপনার চেয়ে আপন, বন্ধুর চেয়ে বড় বন্ধু আর ঈশ্বরের পরের অবস্থানে রাখা কাউকে পাওয়া যায় নির্দয় অপব্যবহারকারী হিসেবে; যার জন্যে জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ এবং বন্ধক দেওয়া হয়েছে, তাকে পাওয়া যায় নিজের কথিত রক্তিয় সম্পর্ককে গুরুত্ব প্রদান করে তোমার সবকিছু; সব ত্যাগ, ভালবাসা আর আবেগকে বাজারে নিলামকারী হিসেবে তখন কেমন লাগে সুপরিচিতা? যে কখনোই তোমাকে আপন ভাবতে পারেনি; অথচ তুমি তার জন্যে স্বর্বস্ব বিক্রি করেছো, স্বর্বস্ব বন্ধক দিয়েছো, তাকেই পৃথিবী ভেবেছো; অথচ সে কিছুটা আবেগমিশ্রিত অভিনয় আর পালিত কুত্তার মতো ভেবেছে তোমাকে; যখন বুঝতে পারবে তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল আর পালিত প্রাণী ছাড়া তুমি কিছুই ছিলেনা; তখন কেমন লাগবে সুপরিচিতা? তখন কি মনে হবেনা প্যান্ডোরার বাক্সের শেষ আশাটুকুও শেষ?? প্রমিথিউসের শাস্তির মতো কি হৃদয়কে প্রতিনিয়ত বিদীর্ণ করবেনা সুপরিচিতা? সুপরিচিতা!! আমি এইরকমভাবেই বেঁচে আছি। তোমাকে ভালবেসে কোন লাভ হলোনা আমার।
অনেকদিনপর ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটা দিলাম। পারিনা ভুলতে আমি কঠিন আবেগের সেই বাধন। তাইতো হয়তো আমার ক্যাম্পাসের তিন বন্ধুর মতো আমাকেও চলে যেতে হবে। কেউ জানতেও পারবেনা কেন এই প্রস্থান। কেন মানুষ এতোটা অদ্ভুত হয়, কেন মানুষ ভালোবাসাকে পদপিষ্ট করে অন্যকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে সেটা আজো বুঝতে পারলাম না। রক্তই কি সব? যে মানব শিশুটি কোনদিন নিজের চেয়ে তাকে কম গুরুত্ব দেয়নি; যে মানব শিশুটিকে ১০ দিন বয়স থেকে ভিক্ষে চেয়ে নিয়ে আসা হয়েছিলো; যে মানব শিশুটির জন্মদাতাদের কোনকিছুতে কমতি ছিলোনা; যে মানব শিশুটি চাইলেও তার জন্মদাতাদের ভালবাসতে পারেনা, কারণ তাদের সাথে এটাচমেন্ট গড়ে উঠেনি; যে মানবশিশুটিকে তার জন্মদাতারা সম্প্রদান করেছে নিজের বড়ভাইয়ের স্ত্রীকে, শুধুই তার মাতৃত্বের পূর্ণতাদানের জন্যে; যে মানবশিশুটির জন্মদাতারা কোনব্যপারেই সামান্যতম নাক গলাইনি; সেই মানবশিশুটিকে কথিত রক্তের কাছে এতো অবহেলা আর ছোট করা!! প্রশ্ন রেখে গেলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: গুরু, আমি আপনার মতাদর্শের অনুসারী। সবকিছু পরিবর্তন করা যায়না। কেউ কেউ বিবর্তিত হয়। কিন্তু ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে হাজার হাজার ঘন্টা ব্যয় করে একটা মহাশূন্য খুঁজে পেয়েছি। বিধাতা জানেন সেটা বিবর্তিত হবে কিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: নামাজ পড়ুন।