নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সীমিত জ্ঞান কারো উপকারে আসলে শান্তি পাই...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উমরাহ মওসুম চলছে। উমরাহ প্ল্যানিং এর সময় সবার আগে যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তা হচ্ছে, কিভাবে গেলে ভালো হবে? এজেন্সির মাধ্যমে নাকি নিজ দায়িত্বে?
দুইভাবে উমরাহতে গেলেই পজিটিভ-নেগেটিভ, সুবিধা-অসুবিধা, নানান চিন্তা ভাবনার বিষয় আছে। এজেন্সি থেকে গেলে সুবিধা হচ্ছে উমরাহতে যাওয়া-আসার এই পুরোটা সময় পরিচিত অন্তত কিছু মানুষ থাকে। প্রয়োজনে তাদের থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে, এমন একটি মানসিক স্বান্তনা পাওয়া যায়(যদিও অনেকক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটে)। অপরদিকে নিজ দায়িত্বে গেলে পুরো ট্রিপ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হয়। নিজের পছন্দ-সামর্থ্য অনুযায়ী উমরাহ পালন করা যায় এবং নিজ দায়িত্বে গেলে আত্মতৃপ্তিও বেশি।
এখন, আপনি যদি আমার মতো কনফিউজড পাবলিক হয়ে থাকেন। নিজ দায়িত্বে উমরাহ করার তৃপ্তি চান আবার আপনার কাজগুলো যেমন হোটেল বুকিং-জিয়ারা-গাড়ি ভাড়া করার ঝক্কি এড়াতে চান- মোয়াল্লেমের সাহায্য পেতে চান, তাহলে আমার মতে আপনার জন্য সেরা অপশন হবে এজেন্সির "কাস্টোমাইজড প্যাকেজ"।
প্রথমেই জেনে নেই, কাস্টোমাইজ প্যাকেজ কি? প্রতিটি এজেন্সির উমরাহ প্যাকেজ রয়েছে, যেখানে প্রতিটি বিষয় আলাদা করে নির্দিষ্ট করে দেয়া থাকে। এজেন্সির বিজ্ঞাপনগুলো চেক করলে দেখতে পাবেন -ভিসা ফি, উমরাহ এর সময়কাল, ফ্লাইট ডিটেইলস, হোটেল, জিয়ারা, ট্রান্সপোর্টেশন, খাওয়া ইত্যাদি বিষয় গুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করে থাকে। তাদের এই প্যাকেজ আপনার চাহিদা পূরণ না করলে আপনি আপনার চাহিদা মোতাবেক প্যাকেজ তৈরি করে নিতে পারেন। বেশিরভাগ এজেন্সিতে এই কাস্টোমাইজ করার সুযোগ রয়েছে। এভাবে আপনার নিজের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে নিজেই নিজের প্যাকেজ তৈরি করে নেয়ার সুবিধা হচ্ছে, আপনি নিজ দায়িত্বে গেলে যেমন আত্মতৃপ্তি পেতেন সেটাও পাচ্ছেন আবার এজেন্সি থেকে গেলে আসা-যাওয়া পুরো সময়টাতে সাহায্যকারী পাবেন। জেনে রাখা ভালো, কাস্টোমাইজ প্যাকেজে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। প্ল্যানিং সুন্দর হলে এবং সম্পূর্ণ কাজ সুন্দরভাবে পালনের পর যে তৃপ্তি পাবেন, তা অমূল্য!
উদাহরণ হিসেবে আমার কাস্টোমাইজ প্যাকেজ সহজ করে লিখছি-
১. ১৫ রাতের প্যাকেজ(৭ রাত মক্কা, ৮রাত মদিনা)।
--এজেন্সিগুলোতে ৭, ১০ এবং ১৫ রাত/দিনের প্যাকেজ থাকে। অনেক এজেন্সি এই প্যাকেজের সময়কাল আসা-যাওয়া সহ হিসেব করে। আসা-যাওয়ার ২ দিন বাদ দিয়ে, কতো রাত থাকবেন? প্লেন ল্যান্ড কখন করবে? জেনে নিয়ে প্ল্যান করবেন। যেমন - প্লেন জেদ্দায় ল্যান্ড করলো বিকেলে/সন্ধ্যায়, মক্কায় পৌছে উমরাহ পালন শেষে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত চলে আসে। একেবারে ফজর পড়ে যখন রুমে যাবেন আপনার ১৫ রাতের ট্রিপের ১ রাত তখন পার হয়ে গেছে। আমার পরামর্শ হচ্ছে, প্লেন সকাল সকাল ল্যান্ড করবে এমন ফ্লাইট ধরুন।
২.হোটেলঃঃ মক্কায় মক্কা মিলেনিয়াম(হেরেম ভিউ) আর মদিনায় মোবারক সিলভার(ফ্যামিলি রুম)।
--মক্কায় কাজ বেশি। তাই আমি হেরেমের কাছাকাছি থাকা পছন্দ করেছি। মদিনায় ২৫ নং গেট দিয়ে ঢুকে মহিলারা রওজা জিয়ারাতে যায়। খরচ ব্যালেন্স করতে আমি মদিনাতে ৩ স্টার মানের হোটেল নিয়েছি।
৩. জিয়ারাহঃঃ মক্কা-মদিনার রেগুলার জিয়ারাহ, তায়েফ, জেদ্দা (ওয়াদিয়ে জ্বিন, বদর নিজ খরচ)।
--জিয়ারাহ পয়েন্ট আমার মুখস্থ। তাই এজেন্সি থেকে গাইড দিতে পারবে না জেনেও আমার আপত্তি ছিলো না।
৪. ট্রানজিট ফ্লাইটঃঃ কুয়েত এয়ারলাইন্স(ম্যাক্সিমাম ৩ ঘন্টা ট্রানজিট)।
--ডিরেক্ট ফ্লাইট খরচ ১০,০০০ টাকা বাড়িয়ে দিবে। তাই খরচ কমাতে ট্রানজিট ফ্লাইট নিয়েছিলাম। যদি ট্রানজিট ফ্লাইটে যেতে চান তাহলে ট্রানজিটে কতো সময় লাগবে অবশ্যই জেনে নিবেন।
৫. ট্রান্সপোর্টেশনঃ জেদ্দা-মক্কা হোটেল (সরকারি বাস), মক্কা-মদিনা(প্রাইভেট), মদিনা হোটেল-মদিনা এয়ারপোর্ট(প্রাইভেট)। সব জিয়ারাহ প্রাইভেট গাড়ির সুবিধা।
--নিজ দায়িত্বে উমরাহতে গেলে নিজের পছন্দ মতো গাড়ি ভাড়া করে নেয়ার সুযোগ থাকে আবার এজেন্সি থেকে গেলে মাইক্রোবাস বা মিনিবাসে গ্রুপ জিয়ারাহ করায়। আমি আমাদের সুবিধার জন্য প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট চাচ্ছিলাম।
৬. উমরাহ পালনের জন্য মোয়াল্লেম বা গাইড।
৭. খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের।
ভিসা খরচ ও সার্ভিস চার্জসহ আমার প্যাকেজের মূল্য দাঁড়ায় জনপ্রতি এক লক্ষ তিন হাজার টাকা। খাওয়া, বদর-ওয়াদিয়ে জ্বিন ভ্রমণ , শপিং খরচ আলাদা। পরিশেষে লিখতে চাই, স্টাডি করুন। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যগুলো তুলনা করে দেখুন আপনার জন্য কোনটা সঠিক। কোন পথে এগিয়ে গেলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে তা কেবল আপনিই নির্ধারণ করতে পারেন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
ছবি- নেট
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১
হাবিব ইমরান বলেছেন:
@রাজীব নুর ভাই।
আল্লাহ তাওফিক দিন। আমিন।
শুভকামনা জানবেন। দোয়া রইল আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: উমরাহ করবো না। হজ্ব করবো ইনশাল্লাহ।