![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আত্নপরিচয় আর কি কইবো? অর্ধ অনুর্বর মস্তিক আর অপ্রয়োজনীয় গোজামেলে ভরা মানবী ছাড়া আমি আর কিছুই নই
ছোটবেলাতেই আমি জন্ম নিয়া ফেলসি।
বড় হইতে দোষ ছিলো, ছোটোবেলা তাই শুভক্ষণ।
জন্মের পর পেটে ভাত হজম হতে না হতেই ভর্তি করায় দেয়া হলো স্কুলে। হা করে তাকায় ম্যাডামদের কথা শুনতাম, ভাল্লাগতো, কারণ নিজ মাতৃভাষা যে তখনও আমার মুখে ফোটে নাই।
কিভাবে যে শ'খানেক দিন গেলো, দেখতে দেখতেই PSC এলো। পুতুল খেলার বয়স তখনও যায়নি, ভাবতে হবে ইনকাম করার পথের কথা!!! আর রেজাল্টে ফার্ট ডিভিশন না পেলে তো গুরুজনেরা ধরেই নেবেন এই বাচ্চার ভবিষ্যৎ নাই। ক্লাস সিক্স-সেভেন তাইরে নাইরে করে পাড়।
এইটে আবার JSC নামক বেহুদা আতঙ্ক। A+ তো নির্ধারিত, তার সাথে গোল্ডেন হলো উপরিউক্ত আবদার। ফাইভ খানা না পেলে সাইন্স পাবা না সুতরাং যুদ্ধ করো।
এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ না হতেই SSC দামাম বাজে। গোল্ডেন না পেলে সমাজের কাছে গুলি খাও এবং মরে যাও। সাময়িক মরা কাটিয়ে উঠতে পারলে HSC তে নামো।
HSC তে গোল্ডেন না পেলে আবার গুলি খাও এবং মরে যাও। কিন্তু এবার গুলি দেহে নিয়েই আবার দাঁড়াতে হবে।
ভর্তি পরিক্ষা যে!!!
ডাক্তারিতে চান্স পেলে উহার ভবিষ্যৎ উপহার পরিবার কর্তৃক নির্ধারিত সুপাত্রের সাথে লগনের জোরপূর্বক প্রতিশ্রুতি। আর চান্স না হলে এবার মরতে হবে সমাজের অত্যাধুনিক মিসাইল দ্বারা। যেখানেই যাও মিসাইল ঠিক তোমার গায়ে এসেই ফাটবে।
কোনো রকম কোথাও দু আনা পয়সার চাকরী জুটার পরপরই হয়ে যায় বিয়ে। অনেক সময় ডাক্তারি পড়া অবস্থায় অথবা ভার্সিটিতে পড়া কালেই হাতে মেহেদি লেগে যায়।
তারপর আর কি? শ্বশুরকুলে ঘর লেপার কাজে নামতে হয়, হতে হয় পারদর্শী, অপারদর্শী হলে যে চলবে না। শ্বাশুরির অভিমানি মুখ আর অভিমানী কথা ছাড়া কপালে আর কিছুই জুটবে না। বলাবাহুল্য, পারদর্শী বউদের সংখ্যা অতিব নগণ্য। অতএব খোঁটাই তোমার প্রাপ্য।
বছর খানেক পর যখন বিছানার গড়াগড়ি পাড়া বাচ্চাগুলা যখন তোমায় আম্মু আম্মু করে ডাকবে তখন তাদের আবদার পূরণ করা আর শিক্ষার ত্রুটি মোচন করাটাই হয় বড় ব্যাপার। সারাদিনের চরম ব্যস্ততার পর যখন রাতে একটু ফুসরত মিলে তখন বরের দেখভাল না রাখার অভিযোগ টা হয়ে উঠবে গুরুতর, অভিমানি পুরুষটার মন ভাঙাতে হবে খাট কাঁপিয়ে। সংসার, চাকরী, সন্তান, শ্বশুরালয়ের দেখভাল সব মিলিয়ে স্বল্পায়ুর জীবন খানা চিরদিনের মতন চাপা পরে যায়। অথচ আটকে গেছি আমি ক্লাস ৮ এ। কিছুই বুঝলাম না কি ঘটলো, যেনো আমি কাঠ পুতুল যার দড়ি সমাজের হাতে।
মন আমার বেড়েই ওঠেনি, বুড়ো হয়ে গেলাম আমি।
প্রশ্ন রয়ে যায় মনে, কি হল সারাটা জীবনে? কি করলাম? সব মেহনতে "আমার" কোনটা? এতো ভাগদৌড়ে "আমি" কোথায়? জীবনের অনন্যতা কোন চিপায়? কিছুই জানলাম না, অথচ খোঁড়া হয়ে যায় সাড়ে তিন হাত মাটি।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
মায়িশা মাসুদ মীম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
মেহেদী রবিন বলেছেন: কি হল সারা জীবনে? ! ! একটা লেখা তো হল। ভালো লেগেছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
মায়িশা মাসুদ মীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮
সুমন কর বলেছেন: শুভ ব্লগিং....
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
মায়িশা মাসুদ মীম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।