![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অনেক কিছু জানি তবে বলি কম ।
"হানিমুন" শব্দটা প্রথম শুনেছিলাম মনে হয় ক্লাস টু-থ্রিতে পড়তে। সেই বয়েসে 'মধুচন্দ্রিমা' শব্দটি বইতে দেখেও টের পেতাম না ব্যাপারখানা কী। একসময় বড় হলাম, জানলাম, বিয়ের পরে সবাই হানিমুনে যায়, *ব্যাপক আনন্দের* বিষয় সেইটা! ছোট থেকে বড় হবার সময়ে পরিবারের গল্পগুলো শুনে নিশ্চিত হয়েছিলাম, আমার বাবা-মায়ের চৌদ্দ গুষ্টিতে কেউ হানিমুনে যায়নি; আত্মীয়-পরিজনের কেউ কোনদিন এই শব্দটা আলাপও করেনি। কিন্তু হানিমুনের আলাপ খুবই চলত বন্ধুমহলে। ভার্সিটিতে পড়ার সময় এর-ওর হানিমুন নিয়ে আলাপে মুখ টিপে টিপে সবাই হাসাহাসি করত মনে আছে। সেই সময়েও দেখেই যেতাম এসব। অস্বস্তি লাগত আর ভাবতাম --'আমি ব্যাকডেটেড আনস্মার্ট হয়ত'। এই অস্বস্তির একটা কারণ উপলব্ধি করেছি অনেক পরে। বিয়ের পরে এমনিতেই সবাই অর্থনৈতিকভাবে ধার-দেনা টাইপের ধাক্কার উপরে থাকে। উপরন্তু, এক নবদম্পতি সবাইকে চন্দ্রিমায় মধু আহরণের মতন একটা যাত্রাতে যাবার কথা সবাইকে জানান দিয়ে যাচ্ছে, যার আগাগোড়া জেনে-বুঝে সবাই মুখ টিপে হাসে। ফিরে আসার পর হয়ত বন্ধু-বান্ধব, কম বয়সের দুরত্বের ভাই-ভাবী খালারাও ইঙ্গিত দিয়ে অনেক কথা বলে থাকেন। কয়েকবছর আগে ভার্সিটি থেকে ট্যুরে যখন কক্সবাজারে গিয়েছিলাম, সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ডানে-বামে তাকানোর উপায় ছিলনা। অনেকেই অজানা-অচেনা নারীর অন্তরঙ্গ ছবি তোলার মওকা পায় এইসব সী-বিচ ভ্রমণেই... এইসব ব্যাপারগুলোর কিছুতেই 'স্বস্তিকর' কিছুই আমি খুঁজে পাইনি। তারপরেও, সম্পূর্ণ বিপরীত সাংস্কৃতিক স্রোতে উদাস হয়ে এইসব চিন্তা করতে আমার খুবই অসহায় লাগত। না নিজের চিন্তার ব্যাপারে সমর্থন পেতাম নিজের কাছেই, আর চারপাশের সাথে মিলত না আমার কখনই।
আমার অসহায় চিন্তাগুলোকে পথ দেখিয়েছিলেন ডক্টর বিলাল ফিলিপস যখন IOU এর ফিকহ অফ ম্যারেজ ফ্রি কোর্সটির লেকচার শুনছিলাম। তার কাছে *আধুনিক হানিমুন কালচার* নিয়ে কিছু জিনিস শিখেছিলাম -- এইরকম কোন হানিমুন কালচার সাহাবাদের সময়ে ছিলনা, তার পরের প্রজন্মের আলোকিত মানুষরাও করেননি। উপরন্তু আমাদের এই সময়ে হানিমুনে 'কাপল'রা যায় এমন সী-বিচ বা রিসোর্ট টাইপের এলাকাতে-- যেখানে মদের বার থাকে, স্বল্প পোশাকের নারী-পুরুষ থাকে, অসভ্যতার ছড়াছড়ি থাকে। সেখানে আল্লাহর উদ্দেশ্যে জীবনধারণ করতে চাওয়া নতুন দম্পতির স্পিরিচুয়াল লেভেল বাড়ার চাইতে পাপক্লিষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, নানারকম অঘটনের স্বীকার হওয়াও অস্বভাবিক না। তাছাড়া ইসলামে এমন কিছু নেই, কোন আচরণ ও কাজের স্থান নেই যা বেশি সম্পদশালী আর কম সম্পদশালীদের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করে। হানিমুন তাই ইসলামে রিকমেন্ডেড কিছু না। শাইখ বিলাল ফিলিপস দারুণ একটা আইডিয়া দিয়েছিলেন-- এইসব এলোমেলো জায়গাতে না গিয়ে, সম্ভব হলে টাকা জমিয়ে কয়েকবছর পরে হলেও নবদম্পতি যেন হজ্জে যাওয়ার নিয়াত করে। এতে নতুন জীবনটা আল্লাহর অশেষ রাহমাতের স্পর্শ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ইসলামের ৫টা খুঁটির একটা-- সামর্থ্যবানদের উপরে ফরজ হজ্জ যেন সম্পন্ন হতে পারে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করার এই সুন্দর উসিলায়। আমাদের প্রজন্মের আর্থিক টানাপোড়েনে হজ্জ হয়ত একটু কঠিন, তবে নিয়াত নেয়ার পর থেকেই আল্লাহর কাছে তার সাওয়াব পাওয়া যাবে। ৫ বছর বা ১০ বছর পরে হলেও এটা দারুণ একটা কাজ হতে পারে। কর্মের ফলাফল তো নিয়াতের উপরেই নির্ভরশীল। মুসলিম প্রজন্ম কখনই নষ্টদের সংস্কৃতিতে ডুবে যাওয়ার কথা নয়। আল্লাহ আমাদেরকে হিফাজত করুন, পথ প্রদর্শন করুন।
কালেক্টেড ফ্রম Shopnochari Abdullah ভাই
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
বুলবুল আহ্মেদ বলেছেন: ভোগবাদীদের অনেক টাকা। উড়াতে হবে যে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
জাতির মামু বলেছেন: উড়াতে গিয়ে তারাই ভোগের বস্তু হয়ে যাচ্ছে ।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬
সাঈদ সৌদিআরব বলেছেন: বর্তমান প্রেক্ষাপটে হানিমুন হয়ত কমন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। হানিমুনে না গেলে নতুন বউ ও আত্বীয়-স্বজন সাময়িক "ব্যাকডেটেড আনস্মার্ট" ভাবতে পারে। কিন্তু আসলেই এটিতে পাপাচারের সমুহ সম্ভাবনা থাকে। তাই আমি নিজে এটাকে সাপোর্ট করি না। এবং আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪১
ইমরান৯২ বলেছেন: আপনার সাথে একমত @ সাঈদ সৌদিআরব
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
নতুন বলেছেন: উপরন্তু আমাদের এই সময়ে হানিমুনে 'কাপল'রা যায় এমন সী-বিচ বা রিসোর্ট টাইপের এলাকাতে-- যেখানে মদের বার থাকে, স্বল্প পোশাকের নারী-পুরুষ থাকে, অসভ্যতার ছড়াছড়ি থাকে।
মাঘ মাসের ওয়াজ ভাদ্রমাসে করার কি দরকার...
বাংলাদেশে কয়টা সী বিচে মদের বার..সল্পপোষাকের নারী আছে?
ঐ ওয়াজ বিদেশীদেরজন্য...
এরেন্জ ম্যারেজের পরে হানিমুনে যাওয়াটা খুবই দরকারী ...
আপনার বধুর সাথে... একত্রে কোথাও যাওয়া...দুইজনে একসাথে থাকা... এটা জরুরী....
বিয়ের পরে পরিবারে সবাই থাকে... তার বাইরে ১ সপ্তাহ দুজন বেড়াতে গেলে দুজনের মাঝে চেনা জানাতে সুবিধা হয়...
আপনার যদি মদ খাবার সভাব না থাকে তবে... হানিমুনে গিয়ে খাবার কোন প্রশ্নই উঠে না.
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
জীবন্মৃত০১ বলেছেন: হানিমুন করতে মুঞ্চায়!