২০১০ বিশ্বকাপ !!! নতুন প্রেডিকশন শুরু হবে বোধহয়। সব দলের সাপোর্টার রা ইকটু ঢু মারেন। মতামত জানান।

১৪ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

কিছুদিন আগ্ওে ব্লগে তুমুল ঝড় চলছিল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে । এমনই যে, অন্য কোনো দলের পোস্ট খুজেই পা্ওয়া যাচ্ছে না প্রায়। তবে আজকের খেলার পর (জার্মানির), আর গতকালের আর্জেন্টিার খেলার পর .. অনেক চিল্লাপাল্লাই থেমে গেছে। কথাটা আমার মতো ব্রাজিল সাপোর্টার এর জন্য্ও প্রযোজ্য। সামনে এখন, স্পেন, পর্তুগাল আর ব্রাজিলের খেলা বাকি।



আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার । তবে কট্টরপন্থি সাপোর্টার না। পেলে-ম্যারাডোনা তর্ক আমি উপভোগ করি না। তাদের খেলার ফুটেজ গুলো ইউটিউব (পেলের খেলাগুলো তেমন পাইনি। ম্যারাডোনার বিখ্যাত গোলগুলো দেখা আছে) থেকে দেখি। উপভোগ করার চেষ্টা করি। তারা দুজন, তাদের নিজ নিজ সময়ের ইতিহাস রচয়িতা। নিতান্তই যদি কেউ তর্ক করতে চান তাহলে তাদের মধ্যে একটা ম্যাচ খেলান। বেস্ট অব থ্রি তে। যে জিতবে সেই সেরা??? ধুস , এভাবে সেরার তর্ক হয় না। পুরান চাল দিয়ে ভাত বাড়ে , কিন্তু পুরান খেলোয়াড় দিয়ে সবসময় খেলার মান উন্নাত হয় না। সো, সে তর্ক বাদ যাক। যাই হোক দুই লিজেন্ড রে নিয়ে তর্ক , অনুরোধ করব দু দলের সাপোর্টার কেই, বাদ দেন। দেয়ার ক্যানোট বি কমপ্যারিসন বিটুইন টু লিজেন্ডস। আমি ব্রাজিলের কট্টরপন্থি সাপোর্টার না।



ম্যারাডোন এবং পেলে: দ্য টু লিজেন্ডস অব ফুটবল।







আমার একক খেলোয়াড় হিসেবে, মেসির খেলা খুব ই ভালো লাগে। আবার দল হিসেবে ব্রাজিল। আবার রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার আমি ক্লাব ফুটবল এ। সেটা নিতান্তই আমার সাপোর্টার সুলভ মনোভাব। কিছুদিন আগে যখন খুব তর্ক চলছিল, খুব খারাপ লাগতো। ভালো কথা, উভয় দলের যারাই বলতে গেছে, বেশিরভাগসময় তারা মাইনাস খাইছে।



সত্যি কথা বলতে কি, নিজের নাক কেটে হলে্ও পরের যাত্রা যেভাবেই হোক রোধ করা টাইপের কোনো কিছু আমার ভালো লাগে না্। এই গেলো ভূমিকা। হাউকাউ টাইপের খেলা আমার পছন্দ না। আর্জেন্টিার সাথে (ব্রাজিল ছাড়া) কোনো একটা অগা-মগা টিমের খেলা পড়ল, আর আমি মনে মনে চাইব, আর্জেন্টিনা হারুক, এমনটা কখনই আমি চাই না্ । সমর্থন ্ও করি না। বড় দলের অসহায় পরাজয়ে কষ্ট পাই খুব।



এখন ডাইরেক্ট মাঠে প্রবেশ করি। জার্মানির খেলা দেখার পর, এবার মনে হল, স্পেন এর পর সম্ভবত জার্মানিই এবার যে কোন দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠবে। কে বিশ্বকাপ নেনে সেটা পরের ব্যাপার। তবে অস্ট্রেলিয়া রে জার্মানি ৪ টা গোল দিছে দেখে আমি খুব খুশি। আরো দুটা দিলে আরো ভালো লাগতো। শালার অভদ্র জাতের একটা শিক্ষা হইছে। মাঠে ওদের আচরণ চুড়ান্ত রকমের অসভ্য । কিক্রেটে তো কিছু কওয়া যায় না। তাই ফুটবল দিয়েই শোধ। খুব খুশি হইছি । হুমম, খুশি হ্ওয়ার কিছু নাই। কারণ, যে কোন দিন আমার প্রিয় দলটারো তার মুখোমুখি হতে হবে।



স্পেন যদি তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলে, তাইলে খবর আছে। জিততে খুব কষ্ট হবে অন্য যে কোন দলের। কথাটা ব্রাজিলের জন্যও সত্য। আর্জেন্টিার জন্য্ও। জার্মানির কথায় পরে আসছি। কারণ, স্পেনের মোটামুটি সব খেলোয়াড়, মেসির দূর্বলতা জানে। জাভি সবচেয়ে ভালো জানে। কোথায় কখন মেসি থাকবে, সেটা ্ওরচেয়ে ভালো বোধহয় কেউ জানে না। এটা টোটাল আর্জেন্টিনা টিমের জন্যই প্রযোজ্য। ভিয়াকেই হয়ত আরেক মেসির কাছাকাছি কিছু বানিয়ে ফেলবে জাভি। যদি ্ও সেটা প্রেডিকশন মাত্র। নাইজেরিয়ার একমাত্র দূর্ভাগ্য যে ্ওদের কোনো ফিনিশার নেই। গোলকিপার টা বস।আর আর্জেন্টিনার ডিফেন্স টা দূর্বল। মেসি বল বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে্ । সেদিন খেলছে্ও ভালো্ । তবে তেভেজ এর খেলা দেখলে মনে হয়. সে কাউরে পাস দিতে রাজি না। যা করার একলাই করবে। ... নাইজেরিয়ার সাথে ১-০ আর যাই হোক, এবারের আর্জেন্টিনার জন্য একেবারেই টিপিকাল ছিলো না।





জাভি:স্পেন টিমের ব্রেইন।





ইতালী, ব্রাজিল, আর স্পেন এর গোলকিপিং দেখে সেরার রায় তখন দেয়া যাবে যে কে ভালো গোলকিপার। দ্বিতীয় রাউণ্ডে দেখা হচ্ছে না আর্জেন্টিনা-স্পেন। সো অবশ্যই টেনশন টা ব্রাজিলের বেশি্ , অস্বীকার করার উপায় নেই।তবে ইতিহাস বলে স্পেন হল চোকার। এরা বরাবর ভালো ছাত্র , কিন্তু কখন্ও ফাস্ট হয়নি ক্লাসে।



এখন জার্মানির প্লাস পয়েন্ট টা বলি। এরা ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস। এতো ফাস্ট পাস দিয়ে যদি কোন দল খেলে , আর ঠিকমত পাস রিসিভ ও করে, তাইলে ওইসব কুতুকুতু ছোট্ট ছোট্ট বার্সেলোনা মার্কা পাস কোনো কাজ ই করবে না জার্মানির সাথে। লং পাসে জার্মানির চেয়ে খুব ভালো খেলা দল আমি একটা্্ও দেখি না। এটা কিন্তু ্ওদের একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। মিরোসাভ ক্লোসা যদি আজকের মতো খেলে , তাইলে রোনালদোর রেকর্ড এই বিশ্বকাপে ভেঙে যা্ওয়া খুব অসম্বভ কিছু না। পর্তুগাল এর রোনালদোকে একলা কিছু করে দেখাতে হবে। দলটা তেমন ভালো না। কিন্তু সেই দলের মুকুট রোনালদো।



রোনালদো, কাকা, মেসি







মিরোসাভ ক্লোসা: আজকের মতো খেললে ভাঙতেই পারেন রোনালদোর রেকর্ড।







ব্রাজিল আর্জেন্টিনার কট্টরপন্থি সাপোর্টাররা মনে হয় ভীতু । নাইলে ব্রাজিলের সাপোর্টার কেনো আর্জেন্টিনার আর আর্জেন্টিনার সাপোর্টার কেনো ব্রাজিলের আগেভাগে বিদায় চাইবে। নিজেদের টিমের উপর এরা আস্থাহীন। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন খেলা খেলতে চায়। এইজন্যই কানা-ভক্ত সাপোর্টার আমার পছন্দ না।



আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার। তবুও সত্যটা জানি। স্পেন, কিমবা জার্মানির সামনে পড়লে খবর আছে।ব্রাজিলরে নিয়ে টেনসনে আছি। সত্যি কথা ভাই। .... জাস্ট প্রার্থনা করি, সাপোর্টার হিসেবে , ব্রাজিল জিতুক। এই। তবে তর্ক করে না, খেলা খেলে। আর স্পেন, জার্মানী, কিমবা আর্জেন্টিনার সাথে খেলেই। রাজায় রাজায় খেলা না হলে খেলার মজা কি ????

২ টি +৪/-২