নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

নূর-ই-আল-মামুন

যখন শান্তি বর্ষিত হচ্ছিল সৃষ্টিকুলের উপর, তখন আমার জন্মই হয়নি। যখন শান্তি কি জিনিস বুঝতে পারলাম, তখন আমি শান্তির পথ থেকে অনেক দূরে ... অশান্ত সাগরে একলা মাঝি

নূর-ই-আল-মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা মানুষ না, শেয়াল-কুকুরের জীবন-যাপন করি। আসো পেটা্ও আমাদের। হাড় মাংস গুড়া করে দা্ও। আর তোমরা হাসো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১৭

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেরেবাংলা নগর, ঢাকা) এখনো পর্যন্ত শান্ত ভার্সিটি হিসেবেই পরিচিত ছিল। গত তিন চার বছরে দু তিনটা বিচ্ছিন্ন কোন্দল ছাড়া তেমন কিছুই খারাপ ছিলো না এখানে। দেশের প্রায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্রলীগ এর গ্রুপে গ্রুপে মারামারি হানাহানি, তখন এখানে ঘটেনি ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ, বা এমনধরণের কোনো খবর। ঢাকার মধ্যে এমন শান্ত স্থান আর একটা্ও নেই, হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু জীবন বোধহয় সবসময় শান্ত চলে না ।





আজ-রাত ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ২.৩০ পর্যন্ত আমাদের হলগুলোতে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো অপরাধ ছাড়াই, গেস্ট আর বহিরাগতদের বের করার নাম করে প্রায় শ খানেক দাঙ্গা পুলিশ এই রাতের বেলা বিনা নোটিশে আমাদের ছাত্রদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ৭/৮ মাসে আমাদের ক্যাম্পাসে সামান্য চড়-থাপপড় বা হুমকি দেয়ার মতো্ও কোনো ঘটনা ঘটেনি। আজকে বহিরাগত হঠানোর নাম করে, সুনির্দিষ্ট কারো উপর কোনো অভিযোগ ছাড়াই আমাদের উপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশ। অভিযানে একজন প্রভোস্ট ্ও সংেগ ছিলেন না । ডাইরেক্ট প্রক্টর সাহেব পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন আমাদের উপর । সামনে হয়ত ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে । এখানে হয়ত প্রতিপক্ষকে সুকৌশলে হঠিয়ে দেবার জন্যই এই কাজ করা হল। কিন্তু যাদের নিয়ে এতোসব, তাদের তো কিছুই হয় নি । নিরিহ ছাত্রদের ধরে ধরে তাদের অকথ্য গালিগালাজ করা হল, রাস্তায় ফেলে পেটানো হল। দেখার কেউ ছিল না । প্রশাসন নির্বিকার। বলা ভালো প্রশাসন নিজেই এটি ঘটালো। ছেলেদের হল থেকে বের করে দেয়া হল । হলের সামনে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে তাদের পেটানো হল বিনা অপরাধে। এই বৃষ্টির মধ্যে ,ছেলেদের হলছাড়া করে তাদের কে বলা হল দৌড়াতে। না হলে পেটানো হবে । ছেলেরা ভয়ে দৌড়ানো শুরু করলে আগারগা্ও পুলিশ ঝাপিয়ে পড়ল এই ছেলেদের উপর। প্রতিরোধ তো দূরের কথা, ইভেন, ছেলেদের কারো হাতে একটা ইটের টুকরা পর্যন্ত ছিলো না.....











তিন চারজন আহত এখন। কে দেখবে তাদের??? আমার এক বন্ধুর বড় ভাই এসেছিল, তার ছোট ভাইটি কেমন পড়াশোনা করছে। তাকে পুলিশ হ্যানকাফ পড়িয়ে থানায় নিয়ে গেলো। বলেন দেখি তাদের মানষিক অবস্থা কেমন??? বাবাকে ফোন দিয়ে বললাম, তোমার ছেলেকে দেখার জন্য কখনো ইউনিভার্সিটিতে এসো না । আমি লজ্জায় তোমাকে মুখ দেখাতে পারব না । আমার বন্ধু রায়হান , পুলিশের এইসব কর্মের ছবি তুলছিল, পুলিশ তার ক্যামেরা সিজ করে নিয়ে গেছে। জানি সেটা আর কোনোদিন ফেরত পা্ওয়া যাবে না । অনেক কষ্ট করে , টিউশনি করে , দু বছর খেটে, সে তার সখের ক্যামেরাটি কিনেছিল, ১২ হাজার টাকায়।



কালকে তিনটা লেভেল এর পরীক্ষা ছিলো। এই পরীক্ষা গুলো কবে হবে কে জানে। অনেকেই এখন থানা হাজতে .... আবারো পিছিয়ে গেলাম। পিঠে হয়ত পুলিশের মারের দাগ নিয়ে চলতে হবে অনেকের , অনেকদিন। প্রভোস্টদের অনুমতি ছাড়া, একজন স্টুডেন্ট এর রুমে পুলিশ ঢুকতে পারবে কিনা জানা নেই। এই অপারেশনে একজন প্রভোস্ট ্ও হলে উপস্থিত ছিলো না । শুধু পুলিশ ছিলো। প্রক্টর এসে একবার খোজ নেবারো প্রয়োজন বোধ করে নি । করবেই বা কেনো???? সবাই তো আর নেতা না , কেউ কেউ নেতা X( X( । গত কয়েকমাসে যেসব জুনিয়র জয় বাংলা শ্লোগান তুলে কিমবা তার আগে শহীদ জিয়ার নামে যাদের কে প্রসাশনিক পদে বসিয়েছে, তাদের কেউ ই আজ এই চ্যালা নেতাদের দিকে ফিরে তাকায় নি । আর নিরীহ ছাত্রগুলো্ও হাড়ে হাড়ে বুঝে গেলো, সব শাসকের নীতি এক, জাত এক। যে যায় লংকায়, সেই হয় রাবণ। ফলাফল পুলিশের দৌড়ানি খেয়ে সবার সাথে গত দু তিন ঘন্টা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে হল। কিছু অসুস্থ আহত বন্ধুকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আসতে হল। আার যাদের ধরে নিয়ে গেল, তাদের বাপ মার পকেট থেকে যে কত যাবে কে জানে????





ভীষণ ক্লান্ত , পলিটিক্স কম বুঝি। মারপ্যাচে যাই নি । কোনোদিন কোনো নেতার নামে কাউরে থ্রেট দেই নি । মাথা নিচু করেই হেটে যাচ্ছি। পড়াশোনা করি আর ভাবি, এসব করে কি লাভ। আমি কি পড়াশোনা করে কিছু পাবো??? নূন্যতম কিছু । ক্ষিধা লাগলে খুব কষ্ট হয়, খুব । পড়াশোনা তখন খুব বড় কোনো স্বপ্ন নিয়ে আসে না । বাড়িতে মা বাবা বড় আশা নিয়ে আছে। ..... আমি জানি না ..... আমি জানি না .... তাদের কাছে আবার ফেরত যেতে পারব কিনা। কবে যে বেঘোড়ে প্রাণ যাবে ।



আমি নিশ্চিত, সেটা হবে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, অমনটি ঘটটেই পাড়ে। কিমবা আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে টাইপের কোনো সুমিষ্ট বাণী।



এই একটু আগে রুমে ঢুকতে পারলাম । জানি না , সকালের আগে আবার হল থেকে সবাইরে বের হতে বলে কিনা।





বিচার চাই না । বিচার চাইনা ।

ভিক্ষা চাইনা মা, কুত্তা সামলা।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:২৮

রবিন-৭৭ বলেছেন: প্রকৃত ঘটনা জানা দরকার। কারণ বিনা বিচারে সাধারণ ছাত্রদের উপর পুলিশ কেন ঝাপিয়ে পড়তে যাবে। অবশ্যই কোন উদ্দেশ্য আছে। তবে শিবির হটানোর জন্য এই অভিজান হয়ে থাকলে তাকে স্বাগত জানাই। গ্রামে কিছু শিবির কর্মীকে দেখলাম তারা আরো আবেগি হয়ে এর চাইতেও ছোট ছোট ঘটনার বর্ণনা দেয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৩৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: আমাদের ভার্সিটিতে একটা্ও শিবির নাই। নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর আমাদের এখানকার বিষয়টা এইরকম ই দেখছি গত দু বছরে। যেটা শিক্ষক রা নিজেরাই সমাধান করতে পারে, সেটা তারা না করে , স্ট্রেইট আগারগা পুলিশ কে কল করে। ছাত্ররা হলে বিদ্যুত-পানির জন্য্ও যদি কখনো আন্দোলন করতে যায়, তাহল্ওে তারা পুলিশ কল করে, ভাবতে পারেন। আপনি চাইলে খোজ নিয়ে জানতে পারেন। আর এটা ভাই আবেগি কোনো ঘটনা না । আমি শিবির হলে আর যাই হোক, এখানে পড়তে পাড়তাম না ।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৪৪

রবিন-৭৭ বলেছেন: যাই হোক..... এমন যদি ঘটে থাকে, তাহলে কিন্তু সত্যিই ভয়াবহ। এগুলো ঠিক হচ্ছেনা। ছাত্রদের ক্ষেপিয়ে কেউ রক্ষা পাবে না। আর আপনারাও কিছুটা ধর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যান। জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হয়। আল্লাহ আপনাদের সহায় হউক।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৪

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: যে বন্ধুটির বড় ভাই এর কথা বলছিলাম , তিনি একজন শিক্ষক। তাকে যখন দড়ি বেধে থানায় নিয়ে গেল, তিনি শুধু ফ্যালফ্যালিয়ে চেয়েছিলেন বোধহয়, আমাদের আতিথেয়তা দেখে। আর আমাদের স্যার ্ও । আর কোথায় কোনো প্রক্টর, প্রভোস্ট এর অনুপস্থিতিতে পুলিশ হলে রেইড দিতে পারে কিনা, কিমবা এভাবে লাঠিচার্জ করতে পারে কিনা আমার জানা নাই। আর আমাদের স্টুডেন্ট ্ও কম। জানি না কেউ প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজের লাইফ টা আরো হেল করতে চাইবে কিনা।
ক্লাসরুমের জন্য বরাদ্দ নাই, একটা লেডিস হল দরকার, সেটার জন্য অর্থায়ন নাই, অযোগ্য টিচার নিয়োগ দেয়া ... আর কি বলব। কিন্তু টিচার্স কোয়ার্টার তৈরির সময় ঠিকই অর্থায়ন হয়। ভিসির নতুন বাংলো তৈরি হয়। আর মেয়েরা হলের অভাবে নতুন ল্যাবে ফ্লোরিং করে। .......... প্রতিবাদ কীভাবে করব ভাই????? কষ্ট লাগে ।


সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫০

কাণ্ডারী বলেছেন:
কারণটা খুলে বললেই বুঝতে আরো সহজ হবে।কোন না কোন কারণ তো অবশ্যই আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:০২

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: বললে হয়ত বিশ্বাস ই করতে চাইবেন না ... যে এখানে কি ঘটে??? আমি তো বলছি, এখানে গত ৭/৮ মাসে কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় কোন্দল নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হয় নি । চাইলে এনকোয়ারি করে দেখতে পারেন। এর ভেতরে পলিটিকাল ব্যপার অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা আসলে আমরা আন্দাজ করতে বা ধরতে পারছি না ।

হলের এক কোণায় খুব ছোট্্ট করে একটা নোটিশ ঝুলানো ছিল, সেখানে বলা ছিল, যাদের রুম এ গেস্ট আছে , তারা যেন হল ত্যাগ করে। সেখানে কোথা্ও কোনো পুলিশ রেইডের ঘটানা ছিলোনা। আর প্রক্টোর -প্রভোস্ট এরা কেউ ই ছিল না । এখন আপনেই আন্দাজ করেন ঘটনা কি ??? আমার মাথায় কিছু আসতেছে না । ছাত্রলীগের কোন্দল হলে্ও বুঝতাম একটা ব্যপার আছে। কিন্তু সেসব ্ও হয়নি আমাদের এখানে। জাস্ট গেস্ট হঠানোর নাম করে, ছাত্রদের এমন হয়রানি করল, ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের বন্ধুদের রুমে গিয়ে তাদের হয়রানি করল। হলের গার্ড বলল, স্যাররা নাকি একটা হিটলিস্ট তৈরি করছে, তারাই লিস্ট তুলে দিয়েছে পুলিশের হাতে ।

আপনি চাইলে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন , যারা হয়রানির শিকার তাদের মধ্যে কতজন এই সক্রিয় নষ্ট রাজনীতির সাথে জড়িত । দুই একজন থাকতে পারে। আমাদের ভার্সিটিতে পলিটিকাল একটিভিটিজ কম । নর্মালি আমরা শান্তিতেই থাকি। কিন্তু আজকের ঘটনা পুরাই ন্যাক্কার জনক। জানিনা এর পেছনে কি উদ্দেশ্য

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:২৭

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: পোষ্টে সহমত এবং প্লাস। তবে এর মধ্যে বিএনপি রে টেনে আনা ভাল লাগে নাই। দেশের শিক্ষাঙ্গন গুলি মনে হয় সবচাইতে শান্ত ছিল ঐ সময়টাতেই, অন্ততঃ কোন জট ছিল না। আর নকলমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তো তাদেরই অবদান।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:০৫

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ভাইরে, এখানে আ.লীগ বা বি.এন.পি. কোনো বিষয় না। আমি বলছি যে যা হইছে, এদের নাম ভাঙগাইয়া হইছে।

"দেশের শিক্ষাঙ্গন গুলি মনে হয় সবচাইতে শান্ত ছিল ঐ সময়টাতেই, অন্ততঃ কোন জট ছিল না। আর নকলমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তো তাদেরই অবদান।" - সহমত।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:১২

আরাফাত বিন সুলতান বলেছেন: আমরা পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) ভালোই আছি। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:০৮

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ভাই, ভালো থাকেন । আর তারাতাড়ি পড়াশুনা করে ভার্সিটি নামক জায়গা থেকে বের হন , এই দোয়াই রাখি। জীবনে এতবড় আপসেট হইনি। হল এর সামনে আসলে কান্না বের হচ্ছে। ছাত্রদের , বিনা নোটিশে কার কারসাজিতে কে জানে, আমাদের ই হলের সামনে গরু ছাগলের মতো পেটালো , কিচ্ছু বলার নাই আমাদের .... প্রশাসনের কাছে আমরা কিচ্ছু না ।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৩৯

ব্ল্যাকটাইগার্স বলেছেন: পোষ্টে প্লাস। পড়ে খারাপ লাগল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:০৯

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ....... ধন্যবাদ ভাই সহমর্মিতার জন্য।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৫৪

প্রভাষক বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো... কিন্তু কিছুই করার নেই... সহমর্মিতা জানানো ছাড়া...
ভালো থাকুন আপনারা...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:১১

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ স্যার সহমর্মিতার জন্য।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:০২

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: বাড়িতে মা বাবা বড় আশা নিয়ে আছে। ..... আমি জানি না ..... আমি জানি না .... তাদের কাছে আবার ফেরত যেতে পারব কিনা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:১০

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: কবে যে কোন অপরাধে ঘাড় থেকে কল্লা টা পড়বে, টের ই পাবো না। বাপ মা হদিস ্ও পাবে না ... আমাদের কি হল। :(

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৪০

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: অনেক কষ্ট লাগে এসব দেখে। মনে মনে অনেক কাঁদি। দেশটা কোথায় চলে যাচ্ছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: আমরাই খারাপ রে ভাই। শেয়াল কুত্তার জনম । আমাদের মেরুদন্ড নাই। কোনো প্রতিবাদ নাই। যা দেখার দেখে যেতে হবে।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:০০

হাসিব জুয়েল বলেছেন: রবিন-৭৭ শালায় বাল'র কুত্তা একটা।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫৬

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: সব জায়গার টিচারগো মেরুদন্ড দেখি প্লাস্টিকের। এই দ্যাশে এখন হ্যাডম না থাকা মানুষগুলাই মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বসে, যারা নিজেদের সম্মান টা ও বুঝে না।

একটা সাধারণ ছাত্রের গায়ে একটামাত্র আঘাত ই যে তাদের কতো বড় লজ্জা, নিলর্জ্জ এই প্রশাসন এর লোকগুলা বুঝবে না...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪২

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: ভাই, কাল যদি আমার বাবা আমাকে দেখতে হলে আসতেন , নিশ্চিত হার্টফেইল করতেন , এইসব দেখে। তার কোমড়ে দড়ি বেধে নিয়ে যেত পুলিশ। ... ভাবতেই অবাক লাগে, টিচাররা যে আসলে কি। আর হবেই বা কি?? আমাদের এখানে ক্যাম্পাস থেকে যারা ভালো ফলাফল করে তাদের মধ্যে টিচার নিয়োগ দেয় কম। বাকৃবি(বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে যাদের আনে, তারা মোটেই আমাদের প্রতি সহনশীল নয়। তারা এই ভার্সিটির সব সুযোগ ই নেয়। এবং নির্বিচার মাঝে মাঝেই এমন করে। যাদের রেজাল্ট উপরের দিকে , তারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় না। ... নিয়োগ পায় যে কারা তাদের কথা বলার সাহস পাইনা। আন্দাজ করেন ডাইরেক্ট ফোন করে কোথা থেকে??? তাদের রেজাল্ট দেখলে আমাদের ঘেন্না ধরে। পড়ে আর কি পাবো .... :( তারপরে্ও মানুষ হবার চেষ্টা করি । দেখি কতদিন থাকতে পারি।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:১৯

মেটাফর বলেছেন: আপনার দুঃখটা বুঝতে পারি। পড়ি জাবিতে। গত তিন বছর কি তুলকালাম হয়ে গেলো-ভাবতেও ভয় লাগে।
প্রচুর বাজে অভিজ্ঞতা-তিক্ততা,ঘৃণা...
বাসায় যাবো আজকে। ফিরে এসে, ভাবছি আপনার মতো আমাদের এখানকার ঘটনাগুলোও লিখবো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৭

নূর-ই-আল-মামুন বলেছেন: লেখেন ভাই। জানি কোনো কিছুই বদলাবে না .. (হতাশার কথা) ... তারপর্ ্ও এটলিস্ট সবাই তো আসল ঘটনাগুলো জানুক। আমাদের মুখ থেকেই জানুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.