নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিবন মানেই যুদ্ধ,যুদ্ধই সর্বজনীন !!

মামুন আকন

শেখার জন্য এসেছি,,,

মামুন আকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডা. এড্রিক বেকার

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

সবুজ শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশের প্রেমে পড়েছেন,এদেশের উন্নায়নের জন্য,গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন এমন অনেক বিদেশি আছেন ।যার মধ্যে ডা: এড্রিক বেকার অন্যতম । জিনি নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেও বাংলাদেশে পাড় করে দিয়েছেন জিবনের ৩২ টি বসন্ত ।উদ্দেশ্য শুধু এদেশের গরিব মানুষ গুলোকে সেবা করা ।তাই ডাক্তরি সেবায় নিয়জিতো রেখে ,নিঃসার্থ ভাবে সেবা করে গিয়েছেন এদেশের মানুষের ।সেই মহান মানুষটি আজ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে । ১ লা সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং মঙ্লগলবার দুপুর ২টায় টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে তার প্রতিষ্ঠিত ‘কাইলাকুঁড়ি হেলথ কেয়ার সেন্টার’ এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর


সংক্ষেপে ডাঃ এড্রিক বেকারের জিবনীঃ
নাম তার এড্রিক বেকার। জন্মেছেন ১৯৪১ সালে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে। বাবা জন বেকার পরিসংখ্যানবিদ। শিক্ষিত মা বেট্রিক বেকার করতেন শিক্ষকতা। এড্রিক বেকার চার ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ১৯৬৫ সালে ডুলিডেন শহরের ওটাগো মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। চিকিৎসক জীবন শুরু করেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামে। ৭৫ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করে পরের বছর পাপুয়া নিউগিনি এবং জাম্বিয়ার দরিদ্র মানুষের সেবা প্রদানে নিয়োজিত হন। ওখানে তিনি জন্ডিসে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য ১৯৭৮ সালে চলে আসেন যুক্তরাজ্যে। ১৯৭১ সালে তিনি যখন ভিয়েতনামে কাজ করেন তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের খবরে এদেশের প্রতি আকৃষ্ট হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের খবর এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ছবি দেখে তার হৃদয় ব্যথিত হয়ে ওঠে। তখনই সংকল্প করেন, সুযোগ হলে বাংলাদেশে তিনি আসবেন। যুক্তরাজ্যে জন্ডিসের চিকিৎসার সময় তিনি বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৭৯ সালে তিনি তার স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখার জন্য এসে এদেশের সহজ সরল মানুষ দেখে আর জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাননি। ৩২ বছর যাবৎ তিনি সেবা দিচ্ছেন মধুপুর গড় এলাকার দরিদ্র মানুষদের। ডা. বেকার প্রথমে মেহেরপুর মিশন হাসপাতালে দু’বছর এবং পরে টাঙ্গাইলের বেসরকারি হাসপাতাল কুমুদিনীতে ৮ মাস কাজ করেন। এরপর চলে আসেন মধুপুর। মানুষের সঙ্গে সহজে মেশার জন্য তিনি মধুপুরের জলছত্র খ্রিষ্টান মিশনে এক বছর বাংলাভাষার ওপর শিক্ষা গ্রহণ করেন। ৮৩ সালে দু’জন খণ্ডকালীন এবং তিন জন সার্বক্ষণিক কর্মী নিয়ে ডা. বেকার কাজ শুরু করেন। ’৯৬ সালে মধুপুর উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমটার দূরে প্রত্যন্ত কালাইকুড়ি গ্রামে তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই রোগী ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসেন অনেক রোগী। এখানে চিকিৎসা খরচও অনেক কম। ভর্তির সময় ২শ’ টাকা এবং যদি স্বজন কেউ থাকে তার জন্য ১শ’ করে টাকা নেয়া হয়। এর মধ্যেই তাদের খাবারসহ চিকিৎসাকালীন যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হয়। গড়ে ৪০ জন রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডা. বেকার শ্রদ্ধার পাত্র। তাকে কেউ ডাক্তার ভাই কেউ বেকার ভাই এভাবেই সম্বোধন করেন। হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী নির্বিশেষে সকলেই তাকে শ্রদ্ধা ও সমীহ করেন। তিনিও সকল ধর্ম পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের কাজ শুরু করেন। এই ধর্ম পাঠে তার সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মী, রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা যোগ দেন। কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, বাইবেল পাঠ থেকে শুরু করে ভক্তিমূলক, দেশাত্মবোধক এবং ধর্মীয় গানের মধ্য দিয়ে তিনি ধর্মীয় ভেদাভেদ মোচনের চেষ্টা করেন। ডা. বেকারের জীবন যাপনও খুব সাধারণ। তিনি ছোট একটি মাটির ঘরে থাকেন। বিছানা তার মেঝে। খাবার দাবারও খুব সাধারণ। তার কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। দরিদ্র মানুষের ভালবাসাই তার কাজের অনুপ্রেরণা। মাঝে মধ্যে দেশে গেলেও সেবাব্রতের টানে তিনি আবার এখানে ফিরে আসেন। ৯৪ বছর বয়সে ২০১০ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। তার এই কাজকে পিতা মাতাসহ পরিবারের সবাই সমর্থন করেছেন। তিনিও বন্ধুবান্ধবদের কাছে তার কজের কথা তুলে ধরেন। তারাও তাকে উৎসাহিত করেন। ডা. বেকারের একটাই প্রত্যাশা- এদেশ থেকে যারা প্রতি বছর ডাক্তার হিসেবে বেরিয়ে আসছেন তাদের থেকে কেউ না কেউ সেবার মানসিকতা নিয়ে জীবনকে উৎসর্গ করবেন। তিনি সাধারণ মানুষকে ভালবাসেন। ভালবাসা দিবসে বেশি বেশি সেবা দিয়ে ভালবাসাকে তিনি আরও মজবুত করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। এলাকার মানুষ আর গরিব রোগীদের ভালবাসাই তার চলার পথের পাথেয় ।
(ইন্টার নেট থেকে সংগ্রিহতো)

আমি প্রথম তাকে দেখেছিলাম ইত্যাদিতে ।এবং একটা পত্রিকার সাক্ষাত কার পড়েছিলাম,তিনি বলেছিলেন,, এ দেশের মানুষ খুব ভালো। অধিকাংশ দরিদ্র মানুষই চিকিৎসা সেবা পায় না। এসব মানুষের সেবা করতেই আমি এ দেশে থেকে যাই। দেশে গেলে মা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কবে আবার তোমার দেশে ফিরে যাচ্ছো?’
বেকার বলেন, ‘প্রতিবছর এ দেশে অনেক ছেলেমেয়ে চিকিৎসক হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন চলে আসবেন আমাদের হাসপাতালে। গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবা করবেন। সে রকম একজন মানুষের অপেক্ষায় আছি।’
কিন্তু তার সে অপেক্ষা আজও পুরন হোলনা ।অপেক্ষা করতে করতেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে ।হয়তো বা তার প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা কেন্দ্রটি ও একদিন বিলিন হয়ে যাবে কালের অতল গহব্বরে ,যদিনা আমার দেশের কোন সোনার ছেলে এর হাল না ধরে ।আমরা কি এমন একটি সোনার ছেলেকে পাব না ??

পরিশেষে তার প্রতি রইলো অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং হৃদয়ের গভিরের ভালবাসা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ডা. এড্রিক বেকারকে সশ্রদ্ধ সালাম।। স্যার আপনরাই (আমরা নই) আমাদের এই দেশটাকে তুলে ধরেছেন বিশ্বে।।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

মামুন আকন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সচেতনহ্যাপী ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.