নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিবন মানেই যুদ্ধ,যুদ্ধই সর্বজনীন !!

মামুন আকন

শেখার জন্য এসেছি,,,

মামুন আকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানির পশু নির্বাচনে কছু গুরুত্বপূর্ন দিক ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯



আগামি শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আযাহা । আল্লাহর নামে এবং আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য ঔ দিন আমরা পশু কোরবানি দিবো । কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোরবানির জন্য কি রকমের পশু আমাদের ক্রয় করা প্রয়জন ?
তাই আসুন, আমরা একটু কষ্ট করে জেনে নেই ??

কোরবানি করার জন্য আমরা সাধারনত উঠ, গরু, বকরী, মহিষ, ছাগল, ভেরা, দুম্বা ব্যবহার করে থাকি ।এগুলো ছাড়া কুরবানী শুদ্ধ নয়।এ গুলোকে কোরআনের ভাষায় বলা হয় “বাহীমাতুল আনআম”
শরিয়তের দৃস্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী । উঠ পাঁচ বছরের, গরু বা মহিষ দু বছরের এবং , ছাগল, ভেরা, দুম্বা এক বছর বা তারো বেশি ।
আনাস রাদিআল্লাহু আনহুর হাদীসে রয়েছে, যা বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরতাজা ও শিং ওয়ালা দুটি মেষ নিজ হাতে যবেহ করেছেন এবং তিনি তাতে বিসমিল্লাহ ও তাকবীর বলেছেন।
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয় নবী (সাঃ) আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা কোরবানীর পশুর চোখ ও কান ভালভাবে পরীক্ষা করে নেই এবং এমন পশু কোরবানী না করি যার কানে ছিদ্র আছে (তিরমিযী শরীফ)।
তাই ছাগল, ভেড়া, দুম্বা,গরু, মহিষ, উট এই ছয় প্রকার জন্তু দ্বারা কোরবানী দিতে হবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা দিয়ে কেবল একজনের পক্ষ থেকে এবং গরু, মহিষ, উট দিয়ে ৭জনের পক্ষ থেকে কোরবানী দেয়া যায়।



ছাগল পূর্ণ এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি এতটুকু মোটাতাজা হয় যে এক বছর বয়সী ভেড়া দুম্বার মত, তবে তা দিয়ে কোরবানী করা জায়েজ আছে। গরু ও মহিষ দুই বছর বয়সী এবং উট পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে।

এখানে প্রসঙ্গত বিক্রেতা যদি পশু পরিণত বয়সের বলে কিন্তু বাস্তবে তা পরিলক্ষিত না হয়, তবে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে এ পশু দ্বারা কোরবানী বৈধ হবে।

কোরবানীর পশু মোটা তাজা হওয়া বাঞ্চনীয়। সকল পশু সমান নয়, পশুর মধ্যে খুঁত থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু নিখুঁত পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উত্তম।
তবে নিম্ববর্ণিত পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উচিৎ নয়।
(১) যে পশুর কান কাটা।
ইমাম আবু হানীফা (র.) এর মতে কানের অর্ধেক বা ততোধিক কাটা হলে সে পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উচিৎ নয়। অর্থাৎ জায়েজ নয় তবে অর্ধেকের কম হলে জায়েজ হবে।
(২) খোঁড়া ,
(৩) লেজ কাটা
(৪) অত্যন্ত দুর্বল
(৫) দাঁতহীন
(৬) পাগল।

নিখুঁত জন্তুক্রয় করার পর যদি কোরবানী প্রতিবন্ধক কোন ত্র“টি দেখা দেয়। তখন ক্রেতা যদি নেসাবের অধিকারী না হয়, তাহলে সে জন্তু দ্বারা তার জন্য কোরবানী করা জায়েজ, আর যদি কোরবানী দাতা নেসাবের অধিকারী হয় তাহলে তাকে ঐ পশুর বদলে অন্য পশু কোরবানী করতে হবে।
তাই পশু ক্রয় করার আগে ভাল ভাবে দেখেশুনে নিবেন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.