নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক লেখকের ভেদ নেই, তাই পাঠও নেই

মানস চৌধুরী

আমার প্রফাইলের পুরাটাই বৃত্ত। অন্ত নাই। তাই, বছর আষ্টেক পর আবার এসে যাই। পেশা: মাস্টারি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইমেইল: [email protected]

মানস চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল চিন্তা বা তৎপরতা মগজধোলাইয়ের ফলাফল নয়!

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

একটা সাদাসিধা জিনিস অনেক লোকেই বুঝতে চাইছেন না। অনেকদিন ধরেই বুঝতে নারাজ; নিকট-ভবিষ্যতেও যে বুঝবেন তার ভরসা পাই না। নাবুঝ বানানোর এই কারিগরিতে একাডেমিয়া আর মিডিয়া কোনটার যে বেশি কৃতিত্ব তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন। তবে সম্ভবত, একাডেমির কৃতিত্ব বেশি। এর কাজই হলো ঘোলানো, প্যাঁচানো, পেঁচিয়ে সাজানো, সাজিয়ে পেঁচানো ও তারপর 'মূল্যবান জ্ঞান'-এর সীলমোহর প্রদান।

জিনিসটা হলো গিয়ে মনুষ্য-চিন্তা ও কর্মের প্যাটার্ন/ধাঁচ বিষয়ে। লোকজন ভাবতে থাকেন অমুক "চিন্তাধারায়" তমুক ধরনের লোক উৎপাদন হয়। কিংবা সেই ধরনের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের চিন্তার মানুষ তৈরি হয়। অনেকটা ফ্যাক্টরির সিগারেট, চিকেন নাগেট, চকোলেটের মতো। কিন্তু এইভাবে হয় না। কোনোদিন হয় নাই। কোনওওওওওদিন হয় নাই। আগামীতেও হবে নাই (এটার প্রয়োগ রাইসু থেকে শিখেছি)। কোনো স্কুল-অব-থট/চিন্তাধারাতে এক ধরনের চিন্তাক্ষম, সমধর্মী লজিকের, অবিকল কর্মকাণ্ডের মানুষ পয়দা করার ইতিহাস কমবেশি বানোয়াট। অথবা বাসনা হিসাবে বলা।

মানুষ তো ঝামেলাজনক জন্তু, বিশেষত কথাবার্তা বলতে পারে (রাগী, তেলবাজ, প্রপাগাণ্ডা, আদুরে সব কথাই বলতে পারে) যা কিনা আরও ঝামেলার। অন্যান্য কথা-না-বলা জন্তু জানোয়ারের ক্ষেত্রেও এই অবিকল পয়দার কোনো প্রবণতা প্রমাণ করা যাবে না। 'পাভলভীয় কুত্তা তত্ত্ব/মডেল'ও যদি ভাবেন, সেখানেও এত নিশ্চিত হওয়া ঠিক হবে না যে ঘণ্টি বাজার সঙ্গে সঙ্গে কুত্তাকুল সবাই দৌড়ে খাবার দিকে ছুটবে। একজন হয়তো উদাস মনে নদীর দিকেও হাঁটা দিতে পারে।

চিন্তাধারা বা প্রতিষ্ঠান মানুষের চিন্তন বা আচরণের নির্দিষ্ট ধাঁচ বানিয়ে ফেলতে পারে ভাবনাটা গলদে ভরা। অন্তত অনেক লোকে যেমন সমসত্ত্ব করে ভাবেন, তার আশেপাশেও পারে না। ঠিক তেমনি, ডক্ট্রিনের মস্তিষ্কধোলাই বিষয়ক ধারণা-আন্দাজও অত্যন্ত ভুল। যেটাকে মস্তিষ্কধোলাই ভাবেন, তার সিংহভাগই আসলে সচেতন-আনুগত্য। এ দুই (ধোলাইকৃত মাথা/ব্রেইনওয়াশড আর সচেতন-আনুগত্য) আকাশপাতাল ভিন্ন জিনিস। সচেতন-আনুগত্য নির্দিষ্ট চাপে, তাপে, পরিতাপে, অনুতাপে তৈরি হয়েছে। ডক্ট্রিনের ম্যাজিক্যাল/ধন্বন্তরী প্রভাবে নয়। নানাবিধ সংহতি ও মৈত্রী আপৎকালীন, তাৎক্ষণিক, স্বার্থ ও আগ্রহতাড়িত; পেডাগজিক্যাল বা দর্শনগত নয়। এতটাই সহজ।

"রোগ" না ধরতে পারলে, আপনার দাওয়াইয়ে পুরা গোলমাল বাধাবেন কিন্তু। আরও বেশি গোলমাল বাধালে এই সামান্য কথা কটিও আর বলবার লোক পাব না আমি!

(৩১ অক্টোবর ২০২০।। সন্ধ্যা ৬:৪০।। আদাবর)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: কোনো প্রতিষ্ঠান একই ধাঁচের মানুষ বের করতে পারে না, এখানে প্রতিষ্ঠান বোধকরি বৃহৎ অর্থে বুঝিয়েছেন। দেখা যায়, অনেক সময় প্রায় কাছাকাছি চিন্তাচেতনা ধারন করা মানুষ বের হয়, সেটা নির্ভর করে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান( ক্ষুদ্র নাকি বৃহৎ) কি ধরনের চিন্তার- চর্চা হচ্ছে, এর প্রয়োগের ক্ষেত্র সবার ক্ষেত্রে সমান নাকি সমান নয়, তার উপর। ভালো লেগেছে বিশ্লেষণ। চমৎকার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মানস চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ :)

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মংগল প্রহে আছেন, বাংলাদেশের কাছে আসা যয় না?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মানস চৌধুরী বলেছেন: অন্তত আমার নশ্বর দেহটা (এখন পর্যন্ত) বাংলাদেশেই আছে; আপনি সদেহ এসে পড়ুন। পেয়ে যাবেন।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৯

অধীতি বলেছেন: বিষয়টা সচেতন আনুগত্য আবার মগজ ধোলাই দুটোতেই মিলেমিশে একাকার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১

মানস চৌধুরী বলেছেন: নিশ্চয়ই। কিন্তু এখন যা নিয়ে হৈচৈ সে প্রসঙ্গে এই ভুলটা বড়। ধন্যবাদ অধীতি।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিছু শব্দ কিছু বিক্ষিপ্ত চিন্তা এসব নিয়ে নিচুড়ি রান্নার টেষ্ট কিন্তু লবন দিতে ভুলে গেছেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১

মানস চৌধুরী বলেছেন: কোর্মা নিচুড়ি/খিচুড়ি বলছেন?! এটাও একটা আইটেম হতে পারে তো!

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার লেখা মগজ-ধোলাই এর জন্য যথেষ্ট নয় :-P

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৪

মানস চৌধুরী বলেছেন: অন্য লাইন তো আমার :)

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টাইটেলের সাথে সহমত জানিয়ে কিছু মতামত দিচ্ছি। খুব চটুল উদাহরণ দিচ্ছি। জন্মগতভাবে/জেনিটিক্যালি হয়ত আমরা সব ভাইবোন সমভাবাপন্ন/সমমনা। পারিপার্শ্বিকতা ও বাবা-মায়ের পারিবারিক শিক্ষার ফলে সেটা আরেকটু গাঢ় হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়নের ফলে আমাদের মৌলিক চিন্তাধারা পরিবর্তিত হতে থাকবে। ধরুন, কেউ শুরুতে বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকে ছিল, সে হয়ে যেতে পারে 'পীর-সর্বস্ব', অন্যজন ধর্ম, আরেকজন নন-বিলিভার। কোনো সন্তান ডিরেইল্‌ড হতে থাকলে তাকে কাউনসেলিং করে পথে আনা হচ্ছে। এগুলো সবই 'মগজ ধোলাইয়ের' অংশ। এখন, সমষ্টিগত ভাবে যখন বৃহৎ একটা অংশকে কোনো একটা তত্ত্বের উপর ধোলাই দেয়া শুরু হবে, যাদের মগজ আগে থেকেই ঐ লাইনে ছিল, তারা খুব সহজেই এই তত্ত্ব গিলবে। যারা সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল, তারা কেউ কেউ আরো বিগড়ে যেতে পারে, কেউ এই লাইনে চলে আসতে পারে। ফলে, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একটা বড়ো অংশের ভেতরই মগজ ধোলাই কার্যকর হয়ে যেতে পারে। এটা হলো অনেকটা প্রশিক্ষণের মতোই। ১০০জন সৈনিককে রিক্রুট করে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর ১০ বছর পরে তার মগজের সাথে আমার মগজের বিস্তর ফারাক দেখা যাবে। এটাও মগজ ধোলাই ছাড়া আর কিছু না।

বৃহত্তর পরিসরে, কোনো দল বা গোষ্ঠিকে নির্দিষ্ট তত্ত্বে পরিচালিত করতে গেলে, তেমনি, বড়ো একটা অংশ সমমনা/সমভাবাপন্ন হবে। একটা অতিরিক্ত 'ক্রিয়েটিভ' গ্রুপ, কিংবা ব্লক্‌ড হেডেড গ্রুপ এদের থেকে ভিন্নতর হবে, যাদের চিন্তাধারা কখনোই বাকিদের সাথে মিলে নি এবং মিলবে না।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৩

মানস চৌধুরী বলেছেন: কিছু মতান্তর আমাদের থাকবেই মনে হয়। গণপিটুনি, গণধর্ষণ, গণ-লাঞ্ছনার মতো ঘটনাতে অংশগ্রহণকারীরা, ওই ঘটনাটির বাইরে, অন্যান্য সময়ে ও কাজকর্মে সমধর্মি চিন্তাভাবনা করেন তা নয়।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বোকা লোক।
কিচ্ছু বুঝলাম না।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪০

মানস চৌধুরী বলেছেন: আমার মনে হয় না আপনি "বোকা" লোক। হয়তো আপনি এনগেইজ করতে চান না এসবে। হয়তো আপনার ভাবতে আরাম লাগে যে কিছু লোক "হিংস্র" কারণ তাঁদের "চিন্তার লাইন" আলাদা। আমি কেবল বলতে চেয়েছি, "চিন্তার লাইন" ধরে-ধরে হিংস্রতা তৈরি হয় না। বরং, নানান লাইনেই নানান ধরনের মানুষজন নানান সময়ে ক্রিয়াশীল থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.