নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্ভাবনা

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০


আমি আবির ,বয়স ৩২ । স্ত্রী , আমার ছোট্ট ছেলে শাশ্বত্ব, বাবা,মা ও ছোট বোন নিয়ে আমাদের সাংসার । আমি একটি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে জব করি, সেলারী ভালই পাই তা দিয়েই সাংসার ভালই চলে তাছারা বাবারও মেডিসিনের দোকান রয়েছে ওখান থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা আসে । আমার ছেলের বয়স চার বছর, ছোটবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্সিটিতে পড়ে ফ্যার্মাসিতে । গ্রাম থেকে অতিথিরা বেড়াতে আসে প্রায়ই, তাছাড়া আমার কলিগ ও বন্ধুদের নিয়ে আমরা প্রায়ই বাড়িতে নানা পার্টি করে থাকি , ছোটবোনের বন্ধুদের জন্য আমাদের বাসা ফ্রিরি । জীবনটাই আনন্দের -দ্বিধা ,দন্ধ মুক্ত আমাদের জীবন । সব কিছু ভালই চলছিল আমাদের । আমার মা-বাবা একটা একটা ডিসিশান+ কাজ করে ফেললো যা আমাদের কিছুটা স্ট্রাটাসের জন্য লাগলো যত যাইহোক বাঙালি কালচার বলে কথা , আমার আম্মার বয়স ৪৫ হবে সে এই বয়সে সন্তান নিয়ে ফেললো, যা নিয়ে পারিবারিক কিছুটা দন্ধ রটে গেল, বাবা মাকে কত বুঝালাম আমরা তো বড় হয়েছি এখন কি তোমাদের ও সময় আছে বলো? যেখানে আমার সন্তানও আছে কিছুদিন পর ছোটবোনের বিয়ে হবে, বাসায় কত গ্রেষ্ট আসে , শশুর বাড়ির লোকজন নানা কথা বলে । বাবা -মা তারা আমাদের কোন কথাই শুনলেন না , শুধু তাদের এক কথা তোমাদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই তুমি যেমন আমার সন্তান আর যে আসন্ন সেও আমার সন্তান । এরপর আর তাদের কিছু বলিনি, শুধু বাড়িতে গ্রেষ্ট পার্টি করা বন্ধ করে দিলাম হঠাৎ করে, ছোট বোনও ওদের বন্ধুদের বাসায় নিয়ে আসা বন্ধ করে দিল । কিছুটা অসামাজিক হয়ে যাচ্ছিলাম যেন । আমরা আধুনিক হয়েছি কি তাহলে নামে মাত্র, চিন্তা চেতনায় এখনো অনেক সাধারণ জিনিসেই গ্রহন করতে পারি না , যেটা ১৫ বছর আগে হলে মানতে পারতাম এখন কেন পারি না । তাদের বৈধ অধীকার আছে জীবন ধারনের সেখানে আমি কেউ না , আশে পাশের মানুষও আড় চোখে তাকায় , এই বয়সে ! যাইহোক বাবা-মাদের শেষ সন্তান রৌদ্র জন্মনিল পৃথিবীতে , বাবা -মা ছাড়া কেউ খুশিঁ হলো না । আমি রৌদ্রকে ছোটবেলায় কখনো কোলে নিইনি, রাস্তায় চলতে পথে যেকেউ জিজ্ঞাসা করবে তোমার আবার ছেলে হলো কবে ? মিষ্টি খাওয়ালে না , আমার প্রথম সন্তান হওয়াতে আমি যেমন আনন্দ দেখিছি আমার ভেতর আমার স্ত্রীর ভেতর ঠিক তেমন আনন্দ দেখি বাবা-মার ভেতর । একই বাসায় থাকি বাবা-মা রৌদ্ররা যেন আমাদের কাছ থেকে কিছুটা দুরে, দিন দিন রৌদ্র বড় হলো তারপর সবই স্বাভাবিক হয়ে গেল, এখন ছেলের জন্য কিছু কিনলে রৌদ্রর জন্যও কিনতে হয় নাহলে আমার হাত খামচে ধরে , তুমি আমার জন্য কিছু আননি কেন দাদা । ছোট্ট কচি মুখে দাদা শব্দটা বড়ই সুন্দর লাগে শুনতে । বহুদিন পর শুনেছি বাবা- মার এই সন্তান নেবার গল্প তারা আগেই নাকি ঠিক করেছিল বেশী বয়সে সন্তান নিবে নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য , আমার নিজ সন্তানকে আদর করতো ঠিকি কিন্ত তারা নিজেস্বতা বলে কিছু চাচ্ছিলো তাই হলো । এখন আমরা বেশ আছি ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: বেশ সুন্দর বাস্তবতা। ভালোই লাগলো। তবে আপনার সিদ্ধান্তই ঠিকই ছিল বলে আমার মনে হচ্ছে। শেষ বয়সে যতই নিঃসঙ্গতা আসুক ছোট বাচ্চাটা বড় হওয়া পর্যন্ত বাবা মা র টিকে থাকা টাই বড় সমস্যা বলে আমি মনে করি ।।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে।

বাবা মায়ের সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে হল আমার কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.