নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কবি;ইশ্বর " । মানুষ আজিজ

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

ছোট্টবেলায় নুতন সব কিছুই জীবন্ত মনে হতো, মনে হতো চাদেঁরও প্রাণ আছে । ফোর্থ ক্লাসে পড়ার সময় কত কত কবিতারও সারমর্ম বের করতে হতো, আমাদের স্কুলে বাংলা ক্লাস নিত রাসু স্যার তার অনেক পান্ডিত্য ছিল মুখ দিয়ে গড় গড়িয়ে কবিতা মুখস্ত বলতো ! আমরা সবাই অভাগ হয়ে শুনতাম , সে কত জানে মাইরি । কবিতার একলাইনের সাথে আরেক লাইনের কত মিল -কথা সুন্দর শব্দ কথা কত রুপকের মিল ! এক শব্দ দিয়ে ভিন্ন কিছুকে বুঝানো এ কি চারটি খানি কথা ?! কবি মানেই অনেক জ্ঞানের অধীকারি বুঝতুম । সে সময় রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে নিয়ে বেশ তুলনা হতো ! আমাদের ক্লাসের ফাষ্ট বয় কালাম বলতো- জানিস, বিশ্ব কবি নজরুলকে দেবার কথা ছিল চালাকি করে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে নিয়েছে ! মুসলমানদের উপর অত্যাচার সব সময়ই হয়তো জানিস না ? রবীন্দ্রনাথ -নজরুলের মাথা ফাটিয়ে পাগল বানিয়ে ফেলছিল - এটা কে না জানে ?
তখন ভাবতুম ও ছুকরা ফাস্ট ভয় ও তো অনেক কিছুই জানে হতেও পারে সত্যিই কিন্তু রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভক্তি কখনো যায়নি । যতবার পরতাম আমাদের ছোটনদী চলে বাকেঁ বাকেঁ চোখের কোনে ভেসে আসতো কত শত কল্পনা, ঠিক আমাদের গ্রামের মতই ছিল কবিতাটা তো । রাসু স্যার বলতো কবিরা অনেক জ্ঞানি হয়, তখন ভাবতুম সে সম্ভবত ইশ্বরের মত সবাই সে যায়গায় পৌচ্ছাতে পারে না ! কবি হওয়া কি চাট্টিখানি কথা !
রাতের বেলা যখন ঘুমাতে যেতুম , কবিতার শব্দগুলো মাথায় খেলতো " ছোট্ট বেলার কাজলা দিদি" আহারে কাজলা দিদির জন্য কত যে মন খারাপ হয়েছিল । কাজলা দিদির মত পাড়ায় আমাদেরও এক দিদি ছিল রিমাদি, সবাই তাকে দিদি ডাকতুম । রিমাদির বিয়ে হয়েছিল চুয়োডাঙ্গায় ,কতদুর চুয়োডাঙ্গা তা জানতাম না শুধু শুনতাম অনেকদুর মাঠ-নদী ঘাট পার হয়ে সেখানে যেতে হয় । কত কত দিন পর দিদি বাড়ি আসতো , রিমাদি সব সময় আমাকে ডাকতো " এই ভাই বলে " এই ভাই কি করছিস? এই ভাই খেতে যাবি না বেলা পড়ে গেল যে? এই ভাই পশ্চিম পাড়ার ছেলেদের সাথে মিশিস না ওরা ভালো না ? এমন কত কি দিদির ছিল । দিদি ঠিক কবিতার মত ছিল ।

রাত্রিরে কখনো চাদেঁর আলো জানার ভেতর দিয়ে ঢুকে চোখে লেগে ঘুম ভেঙ্গে দিত । চাদেঁর আলো থেকে বাচাঁর জন্য পরদা টেনে দিতাম , আয় আয় চাদাঁমামা ছড়াটাও মনে পড়তো খুব নানু কত কতবার এই ছড়া দিয়ে চাদঁকে ডেকে ঘুম পাড়িয়েছে আমায় ।

কবিতারা কেড়ে নিত আমায়, কখনো দিত নিজেস্ব গন্ধ । আমি দিনের বেলা আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো লেবুপাতা অনেক ছিড়ে নিতাম, কবিতা পড়ে পড়ে ঘ্রার্ণ শুকতাম আর বন্যতার জীবন পেতাম । কখনো সন্ধেয় শিউলীতলায় যেয়ে দাড়াতাম পাড়ার নাজুমুদ্দিন কে দেখবো বলে, সে প্রতি সন্ধেয় একরাস্তা দিয়ে ফিরে আসতো বাড়ির পথে , হাতে থাকতো বাজারের থলে । মা বকতো সন্ধেয় শিউলীতলায় দাড়াতে নেই ,ওতে অমঙ্গল হয় । কখনো ভোরে ঘুম থেকে উঠে -পিপড়াদের নূড়ি মাটি উঠনো দেখতুম আর দাত মাজতুম ! পিপড়েদের জীবন দেখতে যেয়ই মুখ ধুয়ে পড়তে বসতে দেরি হয়ে যেত । কখনো পড়ে পড়ে পিপড়েদের কথা ভাবতুম কত ছোট্ট জীবন ওদের ।
"হারিয়ে গেছে বোল-বলা সেই বাশিঁ -আচঁল খুলে হঠাৎ স্রোতের জলে ভেসে গেছে শিউলী ফুলের রাশি "

শুভরাত্রির সভাইকে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.