![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-জিনি , এই জিনি ! পিনি, গিনি ! মিনি -চিনি ! ।
জিনিয়া ক্ষেপে বললোঃ ঠাকুরপৌ তুমি তো বড্ড বাড় বেড়েছো ! দুপুরে আমার শুকনো খঈয়ে জল ঢাললে আর এখন আমার নাম বেঙ্গ ধরে ডাকচ্ছো? আসুক আজ তোমার রাসু দাদা তার কাছেই নালিশ দিব , আমি তো পরের ঘরের মেয়ে দু'কথা বললে আবার রাষ্ট্র করে দেবে , তিলকে তাল বানিয়ে হই হই করবে ! তোমাকে এতে দিনে চিনেনিই বুঝেছো ??!
- বৌদি একটু রসিকতা করছিলাম যে ? সেটাও করবে পারবো না ?
জিনিয়াঃ এ তোমার কেমন রসিকতা শুনি? আমাকে কেন? ঘরের বউয়ের সাথে করো গিয়ে ! বিয়ে তো করেছো এক বিধবাকে সেতো আবার দশ ঘাঁয়ে রাও করবে না !
-এরই মধ্য আতুল এসে হাজির । মা মা কি হয়েছে , কাকু বুঝি আমার ঝগড়া করছে ?
জানিয়াঃ দেখনা বাবা তোর কাকু আমার শুকনো খঈয়ে জল ঢেলেছে, আর এখন পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করছে ।
আতুলঃ কাকাবাবু , তুমি অনেক জ্বালাচ্ছো আমাদের, বাবা-আমি যদি তোমাকে ধরি ছুটতে পারবে না কিন্তু ! জানতো প্রতিরাতে আমরা পাঠার মাংস খাই , ওতে শক্তি বাড়ে ।
আমিঃ সে কিরে রাতুল ! পাঠার মাংস তুই -তোর বাবাই শুধু খাস তোর মাকে দিস না ? ভালই হয়েছে এমনিতেই যা অবস্থা পাঠা খেলে তো---- ! আমার কথা শেষ হতে না হতেই আতুল একটা ইটের চাকা আমার দিগে ছুরে মারলো , চাকা এসে ঠিক আমার কপালে লালগো । ওমনি মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলাম ! জিনিয়া তার ছেলের উপর ক্ষেপে বললো- আতুল এ কি করলি তুই ? নিজ কাকার মাথা ফাটালি ? আপন মানুষের রক্ত ঝড়ালি? আতুল ছোট মানুষ ও ভয়ে পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল । বৌদি এসে দৌড়ে আমাকে ধরলো -কপাল টিপে ধরে আচঁল ছিড়ে ছিচেঁ যাওয়া অংশে চেপে ধরলো -আর বললোঃ এবার হলো না ঠাকুরপৌ ? কত বলেছি এখন ছেলে -মেয়ে বড়ো হয়েছে ওমন ভাবে মশকরা করো না ! তুমি আগের মতই থাকবে পরিবর্তন হবে না ? বৌদি যখন আমাকে নিয়ে ব্যস্ত , আমার স্ত্রী প্রনীতা বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখছিল যেন ! বৌদি ওকে একদমক দিয়ে বললোঃ- তোর স্বামী মরলো আর তুই দাড়িয়ে রইছিস হারামজাদি ! একটা পার্টি -বালিশ নিয়ে আয় উঠনে শুইয়ে দিই । প্রনীতা পার্টি ,বালিশ দিয়ে বিদায় নিচ্ছিলো ,এমন সময় বৌদি বললোঃ প্রনীতা হাত পাখা দিয়ে বাতাশ কর ওকে । প্রনীতা বললো- তোমার দেবর তুমিই করো ! আমার রান্না চুলোয় পুড়ে যাবে যে । বৌদি বললোঃ হাত পাখাটা দিয়ে যা তাহলে । প্রনীতা হাত পাখা বৌদির হাতে দিয়ে বললোঃ বৌদি তুমিই বাদর বানালে একে, এ বয়সে কি ওকে মানায় ? এই মানুষটাকে যদি আগে থেকে শাসন করতে এমন হতো না । বৌদি বললোঃ কেন আমি কেন? । বিয়ে করেছিস সাংসার হয়েছে তোদের এখন আমাকে দৌড়ে আসতে হবে সব কাজে । প্রনীতা বললোঃ আসো কেন দৌড়ে, ওর অসুক হলে কেন বেশি উগ্ধিগ্ন হও ? কেন বাসায় ভালো কিছু রাধলে ওর জন্য নিয়ে আসো , ওকে তুমি বড়ো করেছো তোমাকেই করতে হবে সব । বৌদি বললোঃ হুম , এখন বুঝ ঝগড়ার কি জ্বালা, মশকরার কি জ্বালা ! এখন সবাই তো বড়ো হয়েছে না একটু সামলে নিতে হয় না ? বল ।
আমি আর কোন কথা বললাম না এর মধ্য , প্রচুর মাথা ধরলো । সন্ধ্যাও হয়ে এলো , দাদা এখনো বাড়ি ফিরেনি । বৌদিকে বললামঃ এ ঘটনা যেন দাদাকে না বলে । দাদা বললোঃ তাহলে তোকে আর রক্ত ঝড়তে হবে । আমি বললাম বৌদিকেঃ তুমিই তো ছেলেকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলে । বৌদি আর কথা বললো না । রাত আটটা বাজে বৌদি এসে বললোঃ আতুল এখনো বাসায় ফিরেনি, হয়তো খুব ভয় পেয়েছে , একটু খুজে নিয়ে আয় না । তারপর আমি বের হলাম আতুলকে খুজতে , খুজঁতে খুজঁতে পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা বাড়িতেই ওকে পেলাম , জোর করে ধরে নিয়ে এলাম ওকে -ও বার বার ক্ষমা চেয়ে বললো -কাকু বাবাকে বলো না । আমি হেসে বললাম - না বলবো না । পথ হেটেঁ বাড়ি আসার পথে বার বার স্মৃর্তিচারন হচ্ছিলো - এই পরিত্যাক্ত বাড়ি বৌদি আমি কত মেরে এসে এখানে বসে থাকতাম আর ভেতর ভেতর বৌদির জন্য কত মন কাদঁতো কেন মারলাম তাকে , তারই প্রতিদান দিচ্ছি এখন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:২৮
কালনী নদী বলেছেন: আপনার গল্পগুরা সুন্দর! লেখাতে ++++++ ভাইয়া।