নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেদিন বাবারা তলোয়ার চালিয়েছিলেন নিজের মেয়েদের গলায়

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

পাঞ্জাবের একটি অখ্যাত গ্রাম। সময় মধ্যরাত্রি।

গ্রামের সব যুবতী মেয়েদের এক ছাদের নিচে জড়ো করা হয়েছে। সবার বয়স দশ থেকে চল্লিশের মধ্যে।

তাঁদের কারও মুখেই কোন কথা নেই। কেউ কেউ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। জোরে কাঁদারও সাহস নেই।

একজনের ডাক এলো।

গুনিত কৌর।

পনেরো বছর বয়সী গুনিতের ভাইই তাঁকে ডেকে নিয়ে গেল।

মাথায় ওড়না ঠিক করে আলতো পায়ে হেঁটে গুনিত বাইরে তাঁর বাবার সামনে এসে দাঁড়ালো।

বাবা মস্ত জওয়ান একজন শিখ। লম্বা লম্বা দাড়ি, বড় বড় চোখ। মাথায় ইয়া মস্ত পাগড়ি। বাবাকে দেখতে যোদ্ধার মতন দেখায়।

গুনিত বাবার চোখের দিকে তাকালো না। বলা ভাল তাকাতে পারলো না।

সে মাথার ওড়না সরিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো। মস্তক ঝুঁকে আছে নিচের দিকে।

বাবা তোলোয়ার তুলে নিলেন। ম্লান জোছনার আলোয় ঝকঝক করছে তলোয়ারের ধাতব ফলা। তিনি তাঁর আদরের কন্যার মাথায় তলোয়ার চালাবেন।

মুসলমানেরা শিখদের ঐতিহাসিক শত্রু। দেশ ভাগ হলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঞ্জাব পাকিস্তানের ভাগে পড়তে পারে। জীবন থাকতে মুসলিম শাসকের অধীনে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

তাঁরা লড়বেন। প্রাণ বায়ু যতক্ষণ দেহে থাকবে, তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

মুসলমানেরাও বসে নেই। তাঁরাও শিখ গ্রামগুলোতে যখন তখন আক্রমন করছে। হত্যা করছে পুরুষদের, দখল করে নিচ্ছে সম্পত্তি। ধর্ষিত হচ্ছে শিখ মেয়েরা।

প্রাণের চেয়েও ইজ্জত অনেক বড়।

কোন মুসলমানের হাতে গণধর্ষণের জন্য বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে বরং এই ভাল যে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের কন্যাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

তীব্র বেগে নেমে এলো তলোয়ার। হালকা একটা শব্দ হলো শুধু। গুনিত কোন আর্তনাদ করলো না। দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়লো তাঁর সন্দর মুখখানি।

অন্দরমহলে কান্নার রোল একটু বেগ পেল।

এরপর আরেকজনের পালা। হারলিন!

নিজের ডাক শুনে সেও উঠে দাঁড়ালো। চোখের পানি মুছে মাথায় ওড়না জড়িয়ে সেও মৃদু পায়ে হেঁটে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। বাইরে অপেক্ষা করছে তাঁরই বাবা, চাচা, ভাইয়েরা।



কলকাতার বউ বাজারে ভিড়ের মধ্যে ঠ্যালাঠেলি করছে ফজলু। পেশায় ছোটখাট ব্যবসায়ী। কিছু দোকানে বকেয়া টাকা উসুল করতে এসেছে।

ভিড়ের ঠ্যালাঠেলিতে একটা ব্যপারে খুব মজা পেল সে।

ভিড়ের প্রায় সবাই হিন্দু। বেশির ভাগই ব্রাক্ষ্মণ। এরা সেই ব্রাক্ষণ যাঁদের বাড়িতে মুসলমানের প্রবেশ নিষেধ। মুসলমানের ছায়া মাড়ালেও তাঁদের শরীর অপবিত্র হয়ে যায়। গঙ্গা স্নানের প্রয়োজন হয়!

ফজলুদের আদি নিবাস ঢাকা। সেখানে অনেক মুসলমান প্রতিবেশী ছিল।

যেবার কলকাতায় তাঁরা প্রথম ঈদ করলো, তখন তাঁর মা হিন্দু প্রতিবেশীর বাড়িতে হালুয়া বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ফজলুর মায়ের সামনেই সেই হালুয়া ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছিল। মুসলমানের খাবার খেলে নাকি তাঁদের জাত যাবে!

যদিও তাঁদের বসার ঘরে বসতে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর মাকে রান্না ঘরে যেতে দেয়া হয়নি। সেখানেও নাকি মুসলমানের প্রবেশ নিষেধ।

গিন্নিমা শুনিয়ে শুনিয়ে বলছিলেন যে তাঁরা যাবার পরে ঘরকে গঙ্গা জল দিয়ে পবিত্র করতে হবে।

এরপর কি আর সেই বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করে?

ফজলুর আরও অভিজ্ঞতা আছে এমন বৈষম্যের। হিন্দু মুসলিম এখনও এক কলের পানি পান করতে পারেনা। হোটেল রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মুসলমানদের থালায় খেতে দেয়া হয়না। ঠোঙ্গা ভরে খাবার এনে প্রায় ছুড়ে দেয়া হয়। পানি চাইলে দূর থেকে পানি ঢালা হয়, মুসলমানদের আজলা ভরে খেতে হয়। কাছে গেলে যদি ছায়া মাড়ানো হয়ে যায়!

বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে মুসলমানদের প্রবেশই নিষিদ্ধ।

একটা কুকুরের চেয়েও একজন মুসলমানের সম্মান তাঁদের কাছে কম।

জিন্না সাহেব যে মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র দাবী করছেন, সেটা কি আর এমনি এমনি?

গান্ধীজি আবার চাননা দেশ বিভাগ হোক। দেশ বিভাগ রুখতে হলে সবার আগে হিন্দুদের শোধরাতে হবে। হিন্দু মুসলিম এক ঘরে বসে এক থালায় ভাত খেতে যেদিন রাজি হবে সেদিনই কেবল দেশ টিকবে। নাহলে "হাতমে বিড়ি মু'মে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান!"

মজার ব্যপার হলো, বাজারের ঠ্যালাঠেলিতে কেউ ছুত অছুত পরোয়া করেনা। এখানে সবাই সমান।



বকেয়া নিতে একটি পরিচিত দোকানে যেতেই দোকানদার তেড়ে উঠলো।

"এই! যবন এসেছে! যবন!"

আশেপাশের দোকান থেকেও কয়েকজন অতি দ্রুত ছুটে এলো। ফজলু এদের অনেককেই চেনে। এদের অনেকের সাথেই তার ব্যবসায়িক লেনদেন আছে। কিন্তু আজকে এদের সবার কি হলো?

সে কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে জাপটে ধরে মারতে শুরু করলো সবাই। কিছুক্ষণ আগেই নাকি খবর এসেছে মুসলমানেরা হিন্দু মারতে শুরু করেছে। হিন্দুরাই বা বসে থাকবে কেন? হাতের কাছে এই মুসলমান পাওয়া গেছে। একেই মার!

কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন তলোয়ার নিয়ে হাজির।

"হরে রাম হরে হরে" বলতে বলতে একের পর এক কোপে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে লাগলো ফজলুর দেহ।

ফজলুর মৃত্যুর 'বদলা' নিতে মুসলমানেরাও মেরে ফেলল আরও কিছু হিন্দু। তার পরিণতিতে নিহত হলো আরও কিছু মুসলমান।

মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে শুধু কলকাতাতেই মারা পড়লেন পাঁচ হাজার মানুষ।

রায়ট ঠ্যাকাতে বৃটিশ মিলিটারী পর্যন্ত রাস্তায় নামার সাহস পায়নি।



উনিশশো সাতচল্লিশ সালের চৌদ্দ ও পনেরো আগস্ট কেবল ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম হয়েছিল দুইটি দেশের। নিজেদের প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবদের হাতে খুন হতে হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষকে। কোটি কোটি পরিবারকে চৌদ্দ পুরুষের বাস্তু ভিটা ছেড়ে পাড়ি দিতে হয়েছিল ভিনদেশে। জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে উদ্বাস্তুর জীবন যাপন করতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে।

আজকে দুই দেশ স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ করছে।

স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভারত ও পাকিস্তান!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৬

মুকতোআকাশ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম ধর্মের ভিত্তিতে দেশটি ভাগ হওয়ায় আপনি খুশি হতে পারেননি। তা নাও হতে পারেন।সেটা আপনার অধিকার। তবে লেখার মধ্যে বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন যে মুসলমানরাই আসলে মারুখা জাতি। অর্থাৎ সন্ত্রাসী। যে্মন -" জীবন থাকতে মুসলিম শাসকের অধীনে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।তারা লড়বেন। প্রানবায়ু যতক্ষণ দেহে থাকবে,তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।
মুসলমানেরাও ঘরে বসে নেই ।তারাও শিখ গ্রাম গুলোতে যখন-তখন আক্রমণ করছে ।হত্যা করছে পুরুষদের।দখল করে নিচ্ছে সম্পত্তি ।ধর্ষিতা হচ্ছে শিখ মেয়েরা। প্রানের চেয়েও ইজ্জত অনেক বড় । কোন মুসলমানের হাতে গণ ধর্ষণের জন্য বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে
বরং এই ভালো যে তারা নিজেরাই নিজেদের কন্যাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।"
বুঝা গেল যে শিখেরা তাদের মেয়েদের ইজ্জত বাচাবার জন্য নিজেরা নিজেদের মেয়েদের হত্যা করছিল ।আর মুসলমানেরা তাদের গ্রাম গুলো লুটপাট করছিলো ও মেয়েদের ধর্ষণ করছিল।
আশ্চর্য হলাম। আপনি দেখতে পাননি কত মুসলিম মেয়েরা কুয়োয়ে ঝাপ দিয়ে ইজ্জত রক্ষা করেছে। কত মুসলমান মেয়েরা নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে আগুনে পুরে মরেছে। আপনি দেখতে পাননি কত মুসলমান পুরুষ নিহত হয়েছে ,লুণ্ঠিত হয়েছে কত মুসলিম সম্পত্তি।
আবার ফজলুর বেলায় বললেন -"সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে জাপটে ধরে মারতে শুরু করলো সবাই।কিছুক্ষন আগেই নাকি খবর এসেছে মুসলমানেরা হিন্দু মারতে শুরু করেছে। হিন্দুরাই বা ঘরে বসে থাকবে কেন?"
এখানেও দেখলাম মুসলমানেরাই আগে হিন্দু মারতে শুরু করেছে। হিন্দুরাই বা চুপ থাকে কেন? তারাও শুরু করলো। চৌধুরী সাহেব, কি সুন্দর আপনার দেখবার ক্ষমতা ! একটা ঘটনা দেখেন আর একটা দেখতে পাননা। কি সুন্দর, নিরীহ ভাবে তুলে ধরলেন যে মুসলমানেরাই সন্ত্রাসী। আপনি নতুন নন দাদা । আপনার মত আনেক আরও বোদ্ধা আছেন যারা নির্দোষ ভাবে যুক্তি দিয়ে মুসলমানদের চরিত্র হনন করেন ।প্রকৃত পক্ষে তারা ইসলাম কে প্রতিহত করতে চান। আমরা আপনাদের চিনি।
মনটাকে বড় করুন। চিন্তাকে মুক্ত করুন। প্রকৃত ইতিহাস কেই তুলে ধরুন । তাতেই বরং জাতি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালি হবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি বোধয় এইটা খেয়াল করেননি, "যেবার কলকাতায় তাঁরা প্রথম ঈদ করলো, তখন তাঁর মা হিন্দু প্রতিবেশীর বাড়িতে হালুয়া বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ফজলুর মায়ের সামনেই সেই হালুয়া ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছিল। মুসলমানের খাবার খেলে নাকি তাঁদের জাত যাবে!
যদিও তাঁদের বসার ঘরে বসতে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁর মাকে রান্না ঘরে যেতে দেয়া হয়নি। সেখানেও নাকি মুসলমানের প্রবেশ নিষেধ।
গিন্নিমা শুনিয়ে শুনিয়ে বলছিলেন যে তাঁরা যাবার পরে ঘরকে গঙ্গা জল দিয়ে পবিত্র করতে হবে।
এরপর কি আর সেই বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করে?
ফজলুর আরও অভিজ্ঞতা আছে এমন বৈষম্যের। হিন্দু মুসলিম এখনও এক কলের পানি পান করতে পারেনা। হোটেল রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মুসলমানদের থালায় খেতে দেয়া হয়না। ঠোঙ্গা ভরে খাবার এনে প্রায় ছুড়ে দেয়া হয়। পানি চাইলে দূর থেকে পানি ঢালা হয়, মুসলমানদের আজলা ভরে খেতে হয়। কাছে গেলে যদি ছায়া মাড়ানো হয়ে যায়!
বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে মুসলমানদের প্রবেশই নিষিদ্ধ।
একটা কুকুরের চেয়েও একজন মুসলমানের সম্মান তাঁদের কাছে কম।
জিন্না সাহেব যে মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র দাবী করছেন, সেটা কি আর এমনি এমনি?
গান্ধীজি আবার চাননা দেশ বিভাগ হোক। দেশ বিভাগ রুখতে হলে সবার আগে হিন্দুদের শোধরাতে হবে। হিন্দু মুসলিম এক ঘরে বসে এক থালায় ভাত খেতে যেদিন রাজি হবে সেদিনই কেবল দেশ টিকবে। নাহলে "হাতমে বিড়ি মু'মে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান!"

এখানে স্পষ্টতই লেখা হিন্দুদের এই ছুত অছুত অভ্যাস থেকেই দেশ বিভাগের আইডিয়ার সূত্রপাত।
"ডাইরেক্ট অ্যাকশন" নীতি কারা প্রবর্তন করেছিল একটু পড়ে আসুন, তাহলেই বুঝবেন কলকাতার দাঙ্গার সূত্রপাত কারা করেছিল।
লেখা হয়েছে সব সম্প্রদায়েরই লোক ভুক্তভোগি। কাউকেই স্পেসিফিক্যালি দোষ দেয়া হয়নি। শুধু শুধু অন্য ট্র‌্যাকে নেবার চেষ্টা নিবেন না।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: মুক্ত আকাশ, আপনি যে কথা গুলো বলেছেন লেখাটি পড়ার পর আমিও সে গুলো বলবো বলে ভাবছিলাম তবে আমি হয়তো আপনার মতো এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারতাম না! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মুক্ত আকাশের নিচের মন্তব্য পড়ুন

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

হাসিব০৭ বলেছেন: @মুকতোআকাশ তুমি কি ভাদা নাকি দেশীয় চারাল

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

মুকতোআকাশ বলেছেন: উত্তর দেবার জন্য লেখক কে ধন্যবাদ। আপনি যে অংশ টুকু উল্লেখ করেছেন তা ভালো ভাবেই পড়েছি। এ সব তো নিরেট সত্যের ই ছায়া। ডাইরেক্ট অ্যাকশন এর উদ্গাতা যে মুসলিম লীগ তাও তো সত্য। ইতিহাস পড়েছেন ও জানেন। একটু গভীর ও নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করে বলুন তো যে, তখন ডাইরেক্ট অ্যাকশন না করলে ভারত মাতার ভিতরে থাকা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় ছিল? আর হিন্দু দের ছোঁয়া ছুইর ব্যাপার ! সেটা রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য গৌণ ব্যাপার ছিল। অর্থাৎ সেটাই স্বাধীনতার জন্য মুখ্য কারন ছিল না। তবে সেটা হিন্দু মুসলিম লড়াইয়ের প্রধান ইন্ধন ছিল। মুসলমান দের কাছ থেকে ইংরেজরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে (হিন্দু দের সহযোগিতায়) হিন্দু ও ইংরেজরা যৌথ ভাবে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষ্পেষণ দুইশ বছর ধরে চালিয়ে ছিল ,তারই জন্য মুসলমানদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আপনার লেখায় আমার আপত্তি সেখানে নেই। আমার আপত্তি হচ্ছে, আপনি যে ভাবে ঘটনার উপস্থাপন করেছেন তাতে যে কেউই পড়লে মনে করবে যে এই সব হানাহানি কাটাকাটি মারামারির জন্য প্রধানত মুসলমানরাই দায়ি। আসলে তো তা নয়। এর কারন তো অনেক পেছনে। এখন যেমন মুসলমানদের উস্কে দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করতে পারছে পশ্চিমা বিশ্ব। আর মুসলমান রাও তাদের সেই উস্কানির ফাঁদে পা দিচ্ছে। তাই যদি একটু বিশদ লিখতেন তাহলে পাঠক রা শুধু শিখদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতোনা, মুসলমানদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হতে পারতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.