নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ওয়ালমার্ট থেকে কাঁচা বাজার করে পার্কিং লটে ফিরছি। পাখির ডাকে কান পাতা দায়। এত পাখির ডাক শুনছি, অথচ আকাশে একটাকেও উড়তে দেখলাম না। ব্যপারটা কি?
দেখলাম সব পাখি, যাদের বেশির ভাগই অ্যামেরিকান কাক, আসলে মাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছে। লটে পার্ক করা গাড়ির নিচ থেকে ডেকেই চলেছে।
গাড়ির এসির পানি চুইয়ে চুইয়ে নিচে পড়ছে। তারা সেই পানি ঠোকর দিয়ে খাচ্ছে। একজন কেউ পানির সন্ধান পেলে বাকিদেরও ডেকে আনছে। গরমে সবার অবস্থা একদম দফারফা!
টেক্সাসের গরমের কথা কম বেশি সবাই শুনেছেন। একশো ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা এখানে ওয়ান টু। আমরা মানুষেরা এই গরমে বেশিক্ষণ বাইরে টিকতে পারিনা। গ্যালনে গ্যালনে পানি খাওয়া লাগে। তারপরও শরীর শুকিয়ে যায়।
সেদিক দিয়ে পশু পাখিদের অবস্থা কি একটু চিন্তা করুন! আমাদেরতো এয়ার কন্ডিশনের সুবিধা আছে, তাদের তাও নেই। তাদের কাছে গাড়ির এসির চুইয়ে পড়া পানিই ভরসা।
গাড়ির ভিতরে রাখা মিনারেল ওয়াটারের বোতল বের করে একটু পানি রাস্তায় ছিটিয়ে দিলাম।
পাখি বেচারারা বুঝলই না যে তাদের জন্যই এ কাজটি করা। মানুষের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পেয়ে বোধয় তারা অভ্যস্ত নয়। তারা সেই পানির কাছে আসার আগেই পানি শুকিয়ে গেল। বুঝা গেল, শুধু মানব বা পক্ষীকূলই না, ধরিত্রী মাতা নিজেও প্রচন্ড তৃষ্ণায় অতিষ্ট।
তিন্নি বুদ্ধি করে মিনারেল ওয়াটারের বোতলটা মাঝে দিয়ে কেঁটে একটা বাটির মত বানিয়ে ফেললো, যাতে পাখিরা সহজেই চুমুক দিয়ে পানি খেতে পারে। ওয়ালমার্টের ওয়াটার ফাউন্টেন থেকে সেই পাত্র ভর্তি পানি এনে একটা গাছের নিচে ছায়ায় রেখে দিলাম।
এখন তারা নিজেরা খুঁজে পেলেই হয়। গাড়ির বর্জ্য থেকে কষ্ট করে গলা ভিজাতে হবেনা।
আহ! একটা ভাল কাজ করার প্রশান্তি অনেক! সেই "সবুজ ছায়া" নাটকের জাহিদ হাসানের মত সুর করে গাইতে ইচ্ছে করছিল, "আগে মানুষ ভাল কাজ করতো, ক্যাঁকু ক্যাঁকু, ক্যাঁকু ক্যাঁকু!"
বালতি বালতি পানিতো মাথায় অনেক ঢাললেন। এইবার থেকে একটা কাজ করার চেষ্টা করলে কেমন হয়? প্রতিদিন বারান্দায় একটা পরিত্যাক্ত বাটিতে পরিষ্কার পানি রেখে দিন কেবলমাত্র পাখিদের পানের উদ্দেশ্যে। সেই বাটির পাশে আবার একটি পাখির পুতুল/মূর্তি রাখতে যেন ভুলবেন না। বোকা পাখিরা নাহলে টের পাবেনা ওটা আপনি তাদের জন্যই রেখেছেন।
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিছু দায়িত্ব আছে না?
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩১
আদম_ বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০০
লেডি বার্ড বলেছেন: "সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিছু দায়িত্ব আছে না?"
এই দায়িত্ব আর বোধটা সবার মাঝে জেগে উঠুক।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:২৮
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: অসাধারন একটা আইডিয়া, সাথে সুন্দর একটা পোস্ট ! ধন্যবাদ ভাই