নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মশা মারতে এটম বম্ব ফাটিয়ে দিয়েছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

হঠাৎ করেই মালিহার বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। পাত্র আমাদের পরিচিত, ফয়সাল ভাই। মেয়ে এবং মেয়ের ভাই আমাদের অতি ঘনিষ্ট বন্ধু, এখন দেখি বরও পরিচিত। ডবল মজা!

হলুদ, বিয়ে, ওয়ালিমা ডিসেম্বরে হলেও দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আকদ অনুষ্ঠান হবে। হাতে একদমই সময় নেই। একটা মাত্র উইকেন্ড আমরা পাচ্ছি, পরের উইকেন্ডেই আকদ।

কিছু না কিছু যে করতেই হবে সেটা জানি, কিন্তু কি করতে হবে তা জানতেই অফিস শেষে কন্যার বাড়ি গেলাম।

ওখানে গিয়ে দেখি নাফিস, তৃনা এবং রুবানা আগে থেকেই আলোচনায় বসে গেছে। তৃনা এবং নাফিস হচ্ছে এই বিয়ের মূল কারিগর। তারাই ঘটক। আপাতত তারা পাত্র পক্ষ।

কি প্ল্যান হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানালো যে কয়েকটি গানের সাথে নাচানাচি হবে।

আমি বললাম, "কোন নাটক হবেনা?"

আমি নাটকের লোক। আমার কাছে নাচ গান থেকে একটা ভাল নাটক সবসময়েই বেশি এন্টারটেইনিং মনে হয়। অনেকেই আবার নাটক পছন্দ করেননা। যার যার পছন্দ তার তার কাছে।

নাফিস জানালো, "সময় নেই একদম! নাটক ডিসেম্বরে করা যাবে।"

বাসায় ফিরে এলাম। নাফিস ফেসবুকে গানের লিস্ট পাঠিয়ে দিল। রিহার্স্যালের জন্য ভেনু জানিয়ে দিল। পাত্রপক্ষ ও কন্যাপক্ষ একসাথেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। চট জলদিই আমাদের শুরু করতে হবে। সময় নেই একদম!



রিহার্স্যাল শুরুর কয়েকদিনের মাথায় তৃণার বাসায় যাওয়া। গিয়ে দেখি পাত্রপক্ষের লোকজনে তৃণার বাড়ি গিজগিজ করছে। ফয়সাল ভাই এখনও পিএইচডি করছেন। থাকেন ইউনিভার্সিটি এলাকায়। তাঁর পক্ষের লোকজনতো বেশি হবেই।

সেদিক দিয়ে আমরা কন্যা পক্ষের লোকজন হাস্যকরভাবে সংখ্যালঘু।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে রিহার্স্যাল শেষে খাওয়া দাওয়ার সময়ে হঠাৎ কন্যার একমাত্র ভ্রাতা রাদি এসে ষড়যন্ত্রী কন্ঠে বলল, "ওরা আমাদের পঁচানোর জন্য কিছু একটা প্ল্যান করছে। আমাদেরও উচিৎ জবাবে কিছু একটা করা।"

আমি ছাড়া বাকি সবাই প্রস্তাবখানা লুফে নিল, "হ্যা চল, কিছু একটা করি।"

আমার সন্দেহ হলো।

"তুমি শিওর তারা কিছু করছে?"

রাদি ফুল কনফিডেন্সের সাথে বলল, "অবশ্যই! তারা গোপনে আলোচনা করছিল, আমাকে দেখেই চুপ হয়ে গেল।"

রুবানা যোগ দিল, "তাছাড়া এটা তারা করেই। প্রত্যেকের বিয়েতেই তারা একটা 'সারপ্রাইজ আইটেম' রাখে।"

উল্লেখ্য, রুবানা-রাদি বরপক্ষের লোকজনদের অনেক ভাল করে চেনে। তাদের কথা বিশ্বাস করাই যায়।

স্বর্ণা বলল, "আমরা একটা ড্রামা করতে পারি। যেখানে নাফিস লোকজনকে ডান্স সেখাবে, এবং সে নিজে একটা ট্রাউজার পড়ে থাকবে, যার পেছনে লেখা থাকবে Pink."

Victoria's Secret'র বিখ্যাত পাজামা যা মেয়ে সমাজে অতি জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, নাফিস ছেলেটা ইউ.টি. ডালাসের বাংলাদেশী স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের যাবতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্ণধার। বছরে এই অর্গানাইজেশন তিন থেকে চারটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, সবগুলোতেই থাকে গান নাচের পরিবেশনা। নাফিস সব ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। যাদের গানের গলা ভাল, তাদের দিয়ে গান গাওয়ায়। প্রায় সবাইকে দিয়েই নাচায়। যারা কিছুই করতে পারেনা, তাদের কেবল মঞ্চের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে বলে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজতে থাকে। দর্শক মনে করে ওটা ফ্যাশন শো।

সবাই লাফিয়ে উঠলো।

"হ্যা, হ্যা! দারুন মজা হবে!"

আমি বললাম, "dance শেখানো পর্যন্ত ঠিক আছে, 'Pink' একটু বেশি বেশিই হয়ে যাবে।"

কারন যেসব ছেলেরা নাচে, তাদের পচাতে কথাবার্তার একরমক প্যাটার্ন আছে। সেভাবে করলে একরকম কাহিনী দাঁড়াবে। 'Pink' ট্রাউজার কাহিনীকে এবং চরিত্রকে সম্পূর্ন ভিন্নদিকে ইঙ্গিত করবে।

"আরে না, কিছুই হবেনা। আমরাতো তাদেরকে পচাতেই ড্রামাটা করবো। মজা হবে!"

সবাই ঠিক করলো, নাটক নিয়ে সবাই কিছু একটা চিন্তা করে আমাকে জানাবে, আমি লিখে দিব।

পরেরদিন নাটকের আইডিয়া জানাতে একটা থ্রেড খোলা হলো, সেখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আসতে লাগলো। আমি তখনও অনড়, 'Pink' লেখা ট্রাউজার নিয়ে কোন নাটক হবেনা। সেটা নাটকের কন্টেন্টকে সস্তা বানিয়ে ফেলবে। সস্তা কিছু করতে ইচ্ছে করে না।

তাছাড়া লোকজনকে হাসাতে কাতুকুতু দেবার পক্ষে আমি নই।

আরেকটা সমস্যা হলো যে আমি কখনই কারও কনসেপ্টে কাজ করতে পারিনা। নিজের মাথা থেকে যা বের হয়, কেবল সেটার উপরই আমি লিখতে পারি। অন্যের গল্প রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু কখনই অন্যের কনসেপ্টে গুছিয়ে গল্প লিখতে পারিনা। আসেনা।

কম্পিউটারে টাইপ করতে বসলাম। বরাবরের মতই লেখা যেখানে নিয়ে গেল, চলে গেলাম। দশ পনেরো মিনিটে আমি নিজের মত একটা গল্প লিখলাম। সবাই ডিজএপ্রুভ করলো। কেউ বলল, খুবই লম্বা হয়ে গেছে (দশ মিনিটের স্ক্রিপ্ট)। আমাদের হাতে তত সময় থাকবে না।

কেউ বলল, বেশিই কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের হাতে এত সময় নেই ডায়লগ মুখস্ত করে ডেলিভার করার।

কেউ বলল, কমেডি হয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু বরপক্ষকে ঠিক পচানো হচ্ছে না, 'Pink' লেখা ট্রাউজার রাখতেই হবে।

আরেকটা মিটিং হলো। অনেক আলোচনা হলো, অনেক আইডিয়া ছোড়া হলো। কিন্তু কোনটাই ব্লেন্ড করছিল না।

রাদি সরাসরিই বলল, "বেশিরভাগ দর্শক নাচ প্রেফার করে নাটকের উপরে। নাটকটা খুব বেশি লম্বা হলে মানুষ bored হয়ে যাবে।"

একটু আহত হলাম। আমি যে নাটক করতে চলেছি, সেখানে আমি মানুষকে bored করবো? এই হচ্ছে আমার উপর আস্থা?

আমরা টানা এক দেড় ঘন্টার নাটক টেনে নিয়ে যাই। মানুষ সীটের উপর সটান বসে থেকে দেখে। আর দশ মিনিটের নাটকে বিয়ে বাড়ির দর্শক bored হয়ে যাবে!

আমি চাচ্ছিলাম চরিত্রগুলোতে মেয়ের ভাই বোনেরা অভিনয় করুক। রাদি জানালো সে পারবেনা, অফিসের কাজ প্রচুর। সে এত সময় দিতে পারবেনা।

বাকিরা চেষ্টা করছিল, কিন্তু আমি যা চাচ্ছিলাম, সেটা বেরোচ্ছিল না। এদিকে সময় আছে মাত্র তিন দিন। একটাও রিহার্স্যাল হয়নি। রিহার্স্যাল হবে এমনটাও মনে হচ্ছে না। চরিত্রই যে ঠিক হয়নি কে কি করবে।

আমি আবারও বললাম, "তোমরা নিশ্চিত ওরা আমাদের পচাতে কিছু একটা করছে?"

মারুফ বলল, "আমি সরাসরিই তাদের জিজ্ঞেস করেছি। তারা নিশ্চিত করেছে তারা কিছু একটা করছে। এবার আমরা কিছু না করলে একেবারে মাত খেয়ে যাবো!"

"ঠিক আছে, কি আর করার...শুরু করা যাক!"

যেহেতু একদম রিহার্স্যাল হয়নি, ঠিক হলো, আমিই নাফিসের চরিত্র করবো। আমার এবং তারেকের অভিজ্ঞতা আছে ইম্প্রভাইজেশনের উপর অভিনয় করার। আমরা টেনে নিতে পারবো। মাসনুন (কন্যার খালাতো ভাই) করুক বরের চরিত্র। এবং তারেক(আমার ফুপাতো ভাই) করবে তৃণার চরিত্র। একজন ছেলে তৃণার চরিত্রে অভিনয় করছে, এতেইতো তৃণা অর্ধেক পচে যাবে। আমি নাফিস চরিত্রকে পচাতে পারবো। মাসনুন ঠিকঠাক মত ডায়লগ বলতে পারলেই হলো। এরাই তিনটি প্রধাণ চরিত্র। বাকিরা কেবল ডায়লগ বলতে পারলেই চলবে।

মঞ্চে আমরা কখনই মাইক ব্যবহার করিনা। মাইক হাতে অভিনয় করা যায়না। বিরক্তও লাগে।

আমরা মাইক ব্যবহার করবো না শুনে রাদি বেচারাকে নাখোশ মনে হলো। সে বলল, "খালি গলায় কথা বললে মানুষ শুনতে পারবেতো?"

আমি বললাম, "অবশ্যই!"

কেউ একজন প্রস্তাব দিল গলায় চরিত্রের নাম লিখে প্লেকার্ড ঝুলিয়ে অভিনয় করতে। নাহলে নাকি দর্শক বুঝতে পারবে না কে কোন চরিত্রে অভিনয় করছে।

আমি সরাসরিই রিজেক্ট করলাম এই প্রস্তাব। নাটকের চরিত্রকে আমরা ডায়লগের মাধ্যমে পরিচয় করাবো, অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তুলবো। প্লেকার্ডের উপর নির্ভরশীল হলে অভিনয় হবে কখন?

মূল অনুষ্ঠানের মাত্র দুই ঘন্টা আগে আমরা প্রথম এবং একমাত্র রিহার্স্যাল করলাম। সব চরিত্রদের বলে দিলাম কি কি পয়েন্টস বলতে হবে। বাকি আল্লাহ ভরসা।

রাদিকে মনে হলো সে তেমন আশাবাদী নয়।



অনুষ্ঠানের দিন পাত্রপক্ষ জেনে গেল আমরা নাটক করছি। ওরা বলল, "আমরা কিন্তু কিছু করছি না।"

আমি নিরাশ হলাম। হুদাই তাদের আক্রমন করাটা ঠিক হবে না।

মারুফ (কন্যার আরেক খালাতো ভাই, মাসনুনের 'আব্বাতো' ভাই) বলল, "আরেনা, এটা ওদের একটা চাল। ওরা ঠিকই কিছু একটা তৈরী করে এনেছে। আমাদেরটা দেখার পর ওরা সেটা প্লে করবে।"

রাত সোয়া এগারোটা বেজে গেল। বারোটায় হল ছেড়ে দিতে হবে। নিমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই খাওয়া শেষ করেই বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। বরবধুর সাথে বাকিরা ছবি তোলায় ব্যস্ত। টিপিকাল বিয়েবাড়ির হট্টগোল অবস্থা আর কি! এ অবস্থায় নাটক শুরু করে দিলে ডায়লগ শুনবে কিভাবে?

রাদি বলল, "এরমধ্যেই শুরু করো। একটা এনাউন্সমেন্ট দিয়ে সবাইকে বসতে বলো। কিছু করার নাই।"

আমি মাইকে অনুরোধ করলাম। কেউ পাত্তাই দিল না।

গলার স্বর পাল্টে কমান্ডিং টোন আনতেই কাজ হতে শুরু করলো। সাথে "প্লিজ" শব্দটা জুড়ে দিতে ভুললাম না।



শুরুতেই স্টেজের দখল নিয়ে একটানা নাটক করে গেলাম। জানতাম নাটক শুরু হলে দর্শক মনোযোগ দিতে বাধ্য হবেই।

নাফিসকে, তৃণাকে, ফয়সাল ভাইকে পচাতে যা যা করার তা করলাম। ডায়লগে ডায়লগে হাসি এবং করতালি বুঝিয়ে দিচ্ছিল নাটকটা হিট করেছে। নাটক শেষে বাও করে নাফিসের দিকে তাকিয়ে দেখি বেচারার মুখ থমথম করছে। ঘোষণা দিলাম, "নাফিস I Love You!"

আমার ভালবাসায় কাজ হলো না। সে ঘোষণা দিল, "আপনি রেডি থাকেন। আমরাও নাটক নিয়ে আসবো, এবং সেটাতে টার্গেট থাকবেন আপনি!"

ওপেন চ্যালেঞ্জ!

এরপরেই নাচের অংশ শুরু হয়ে গেল। এক পর্যায়ে ওদের সেই "বিশেষ পরিবেশনা" এলো। "পাপ্পু কান্ট্ ডান্স সালা" গানে নাফিস রাদি সেজে নেচেছে। মানে হচ্ছে, রাদি নাচতে পারেনা। ব্যস! এইটাই ছিল এইবারে তাদের সেই "বিশেষ পরিকল্পনা।" যার ভয়ে আমরা এত ভয়াবহ নাটক নামিয়ে ফেললাম। মশা মারতে গিয়ে আমরা এটম বম্ব ফেলে দিয়েছি!

আন্দালিব ভাই ঘোষণা দিলেন, তিনি করবেন আমার চরিত্রে অভিনয়। আন্দালিব ভাই হচ্ছেন ইউটি ডালাসের বাংলাদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে ট্যালেন্টেড অভিনেতা। তিনি এর আগে অনন্ত জলিল চরিত্রে অভিনয় করে ইউটিউবে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। avengers vs ananta jalil লিখে সার্চ দিয়ে সবাই দেখতে পারেন।

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই কন্যার বাড়িতে আড্ডা দিতে এলাম। আড্ডার ফাঁকে এক পর্যায়ে দেখি নাফিস এবং আন্দালিব ভাই এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার প্রতিটা গতিবিধি এখন তাঁরা নোট করছে। আমি হাচি দিলেও তারা সেটা নোট করবে। আমি কাশি দিলেও সেটা নোট করবে। ডিসেম্বর আসতে এখনও তিনমাস বাকি। একটা স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য অনেক লম্বা সময়।

ঢোক গিলে মনে মনে বললাম, "আমার খবরই আছে!"



পরিশিষ্ট: ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষাগ্রহণ অতীব আবশ্যক! গুজবের উপর বিশ্বাস করে বুশের মত ইরাক আক্রমণ করে বসা মোটেও বুদ্ধিমানের কর্ম নহে। আক্রমনের পূর্বে পরিপূর্ণভাবে যাচাই বাছাই করে নেয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.