নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আযমের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে একটি শোক প্রস্তাব উন্থাপনের আহ্বান জানাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৪৯

দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার গুরুর মৃত্যুতে খুশি হবার কথা। কিন্তু হতে পারছি না। সেজন্য দুঃখিতও বোধ করছি না।
বরং মনটা বিষাদে তিতা হয়ে আছে।
সংক্ষেপে বললে, আমাদের শহীদসংখ্যা তিরিশ লক্ষ থেকে অনেক অনেক কম হতো যদিনা একাত্তুরের এপ্রিলে 'শান্তিবাহিনীর' সৃষ্টি হতো।
হযরত সুলাইমানকে (আঃ) (বাইবেল অনুযায়ী কিং সলোমানকে) আল্লাহ প্রচন্ড ক্ষমতা দান করেছিলেন। তাঁকে শুধু মানুষই না, পৃথিবীর সব জীব-জন্তুর সম্রাট করেছিলেন। সেই সুলায়মান (আঃ) রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়ে সবসময়ে মাথা নিচু করে হাঁটতেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, "আমার পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে একটি পিপড়াও যদি অন্যায়ভাবে মারা গিয়ে থাকে, তবে আল্লাহর কাছে সেজন্যও আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।"
যেখানে একটি সামান্য পিপড়া মারার অপরাধে একজন নবীকেও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হয়, সেখানে তিরিশ লক্ষ মানুষ মারা হয়েছে! তিরিশ লক্ষ!!
নারী ধর্ষণ এবং লুটপাটের হিসেবতো এখনও করিইনি।
এই লোকটা কিভাবে স্বাধীনতার তেতাল্লিশ বছর পর সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে মরার সৌভাগ্য লাভ করে?
আমি নিশ্চিত এই ঘটনায় পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ জননী-বীরাঙ্গনাগণ সবাই অভিমানে চোখের জল ফেলছেন। বুকের ভিতর আর্তনাদ চেপে রাখার চেষ্টা করছেন। বাঙ্গালি জাতি যে তাঁদের নিয়ে আরেকটি নিষ্ঠুর রসিকতা করলো!
আজকে আমাদের জন্য ভীষণ লজ্জার দিন। শোকের দিন। মাতমের দিন।
ষোলই ডিসেম্বর যদি আমাদের বিজয় দিবস হয়ে থাকে, তবে এখন থেকে তেইশে অক্টোবরকে আমাদের 'পরাজয় দিবস' হিসেবে পালন করা উচিৎ।
জাতীয় সংসদে অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব উন্থাপনের আহ্বান জানাই।
মাননীয় স্পীকার, আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে পারিনি। তিরিশ লক্ষ খুনের সাথে বেইমানি করেছি। আমরা খুবই অক্ষম জাতি! জনাব গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যুতে আমরা ভীষণভাবে শোকাভিভূত।

আরও লেখা পড়তে:
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৫

খেলাঘর বলেছেন:
হায়েনার জীবন আজ শেষ হয়েছে; তার মৃত দেহ যেন বাংলার মাটিতে স্হান না পায়; তার মৃত দেহ তার পরিবার পাবে না; পাবে ৩০ লাখ শহীদদের পরিবার, আড়াই লাখ নির্যাতীত নারীদের পরিবার, ২২ হাজার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার; তাঁরাই ঠিক করবেন যে, এই বিষাক্ত পদার্থকে কোথায় ফেলা যায়।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++

রাজাকারদের নিয়ে একটা 'দুঃসহ স্মৃতি' স্তম্ভ / ঘৃণ্য স্তম্ভ নির্মাণ করা হোক , যেখানে সাধারণ জনগণ ঐ সব রাজাকার স্তম্ভ/মুর্তির গয়ে পাথর ছুঁড়ে মারা জাতীয় কিছু করতে পারবে এবং নতুন প্রজন্ম এইসব রাজাকারদের ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়ার আরও একটি উৎস পাবে ।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

রাতুল রেজা বলেছেন: বাংলাদেশের সংসদে না হলেও পাকিস্তানের সংসদে শোক প্রস্তাব পাশ হতে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। হয়ত ওই দেশে ১ দিন সরকারি ছুটিও ঘোষনা হতে পারে।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: জেলের ভিতর অপরাধের প্রায়াশ্চিত্ত করতে করতে মরেছেন।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১২

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: রেস্ট ইন হেল গু আজম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.