নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাকে ইসলাম থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার জন্য আসলে আপনি জাহান্নামী

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৫

কোন এক নাস্তিক আল্লাহকে গালি দিল। হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) গালি দিল। আমরা মুসলমানেরা তখন কী করি? প্রথমেই মুখ দিয়ে সেই লোকটার মা বোন দাদী নানী সহ চৌদ্দ গুষ্ঠির যত নারী আছে, তাদের সবার সাথে শুয়ে যাই।
এরপরে সেও জবাবে আমাদের গুষ্ঠির নারীদের সাথে শোয়ার চেষ্টা করে।
আমাদের ঈমানী রক্ত তখন টগবগ করে ফুটতে থাকে। আমরা তখন মুখ দিয়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকি।
এতে সে চুপ না হলে আমরা ধরে নেই এই কাফির/মুরতাদকে কুপিয়ে খুন না করলে আমি বেহেস্তে যেতে পারবো না। কাজেই রান্না ঘর থেকে মাছ কাটার বটি নিয়ে রওনা হই। যদি সেই 'মুরতাদের' ভাগ্য খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে আমার কোপ খেয়েই তার ভবলীলা সাঙ্গ হয়।
তারপর ঘরে ফিরে খেতে বসি। মানুষ খুন করে শান্তির ধর্ম ইসলাম কায়েম করার আনন্দে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি।
সহমতাবলম্বি ভ্রাতার 'শহীদ' হওয়ার ঘটনায় আরও ঝাকে ঝাকে লোক মুরতাদ হয়।
মুরতাদ একটি আরবি শব্দ, যারা মুসলমান পিতামাতার ঘরে জন্ম নিয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে, তাদের মুরতাদ বলা হয়ে থাকে।
মৌলবাদী মুসলিম অথবা চরমপন্থী নাস্তিক, দুইজনের কেউ কী একটু ভেবে দেখেন যে ইসলাম ধর্মটা আসলে কী? তাদের দুইজনের জ্ঞাতার্থেই বলছি, ইসলাম হচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহর বাণী, এবং নবীজির জীবনাদর্শ - এই দুইয়ের বাইরে আর কিছুই নয়।
জামায়াতে ইসলামী উনিশশ একাত্তুরে গণহত্যা চালিয়েছে, অথবা সৌদি সরকার নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করছে কাজেই আমি নাস্তিক হয়ে যাব - this is bullshit! জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতা ইসলামের নবী নয়।
সৌদি আরবে মক্কা মদিনা থাকলেও তাঁদের সরকারও ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের এক স্তম্ভ নয়। কাজেই তাদের ভুলের জন্য শুধুই তাদের তিরষ্কার করা মানায়, ইসলামকে নয়।
একই সাথে, কোন এক ব্লগার নবীজিকে (সঃ) গালাগালি করলেই তাকে খুন করতে ছুটতে যাওয়াটা অনৈসলামিক।
বিশ্বাস না হলে একটা ইসলামী ঘটনা বলছি।
বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে নবীজি (সঃ) বলেছিলেন, "আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর বাণী এবং তাঁর রাসূলের জীবনাদর্শ রেখে যাচ্ছি।" তিনি বলেছেন এই দুইটাকে আকড়ে রাখলে আমাদের আর কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।
তাহলে নবীজির (সঃ) জীবনাদর্শে যাওয়া যাক।
একবার নবীজি (সঃ) কাবা ঘরের সামনে বসে ছিলেন। তিনি মাত্রই নতুন ধর্ম প্রচার শুরু করায় তিনি তখন মক্কা জুড়ে কাফিরদের কাছে বিরাট 'ভিলেন।'
তাঁকে যন্ত্রণা দিতেই আবু জাহেল এসে তাঁর মাথায় বালু ঢেলে দেয়। তিনি কিছু না বলে চুপচাপ বালু ঝেড়ে ফেলেন।
নবীজি কোন জবাব না দেয়ায় আবু জাহেল মজা পেল না। তাই সে নানাভাবে তাঁকে উত্যক্ত করতে থাকে। একসময়ে তাঁকে মারধর পর্যন্ত করে। নবীজি (সঃ) তারপরেও কিছু বলেন না।
হযরত হামযা (রাঃ) সম্পর্কে ছিলেন নবীজির (সঃ) চাচা এবং তিনি তখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি। তিনি কুরাইশদের ধর্ম নিয়েও মাথা ঘামাতেন না। তিনি নিজের মতই থাকতেন। শিকার করতে খুব ভালবাসতেন।
এই ঘটনার সময়ে তিনি শিকারে ব্যস্ত ছিলেন। শিকার থেকে ফেরার পর তাঁর এক দাসী এসে তাঁকে বলেন, "ধিক তোমার পুরুষত্বে, তোমার ভাতিজাকে এসে আবু জাহেল মারধর করে গেল, অথচ তুমি তোমার শিকার নিয়ে ব্যস্ত!"
হযরত হামযা (রাঃ) নবীজিকে (সঃ) খুব স্নেহ করতেন। তাঁর মার খাওয়ার ঘটনা শুনে তিনি রেগে আগুন হলেন। ছুটে গেলেন কাবা ঘরে। সেখানে নবীজি (সঃ) না থাকলেও আবু জাহেল তখনও ছিল।
হামযা (রাঃ) এসেই আবু জাহেলের টুটি চেপে ধরেন।
"তুমি কোন সাহসে আমার ভাতিজার গায়ে হাত তুলেছো!"
হযরত হামযা (রাঃ) বিরাট বীর ছিলেন। তাঁর সামনে দাঁড়াবার সাহস কারও হয়নি।
আবু জাহেল কোন রকমে বলে, "ও প্রচার করছে আমাদের বাপ দাদার ধর্ম নাকি মিথ্যা। ও বলছে আল্লাহ নাকি এক এবং সে নাকি তাঁর নবী!"
হামযা (রাঃ) তখন চিবিয়ে চিবিয়ে বলেন, "ও যদি তাই বলে থাকে, তবে আমিও বলছি আল্লাহ এক এবং সেই আল্লাহর নবী। এখন তুমি আমাকে কী করতে পারবে? সাহস থাকে তো গায়ে হাত তুলে দেখাও!"
আবু জাহেলসহ তার সাথীরা হায় হায় করে উঠে। হযরত হামযা (রাঃ) মুসলিম দলে যোগ দেয়ায় নিঃসন্দেহে তাঁদের শক্তি বেড়ে যায়।
এর ঠিক দুই-তিন দিন পরের ঘটনা।
কাফিরদের মধ্যে বিরাট বীর উমার(রাঃ) তলোয়ার নিয়ে হাজির। সে মুহাম্মদকে (সঃ) মেরে ফেলবে।
আবু জাহেল খুব খুশি। মক্কায় উমারের(রাঃ) মত বীর খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। হামযাকে (রাঃ) ঠেকাতে উমারের(রাঃ) বিকল্প কেউ নেই। এবং হামযা (রাঃ) বধ হলে মুহাম্মদকে (সঃ) বাঁচাবার কেউ থাকবে না।
সামনে এগুবার আগে উমারের(রাঃ) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে দেই। সে তখন সাতাশ বছরের টগবগে তরুণ। মদ্যপান, নারী আসক্তি, জুয়া ইত্যাদি সহ এমন কোন খারাপ কাজ নেই যেখানে তাঁর অরুচি আছে। তাঁর একটাই গুণের প্রশংসা করতে হয়, সেটা হচ্ছে তিনি নির্ভিক বীর।
উমারের (রাঃ) তলোয়ার হাতে আসার খবর শুনে সাহাবীরা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। হামযা (রাঃ) তখন তাঁদের সবাইকে বলেছিলেন, "ওকে আসতে দাও। যদি তাঁর নিয়্যত ভাল থাকে, তাহলে তাঁর জন্যই ভাল হবে। আর বদ কোন মতলব থাকলে তাঁকে তাঁর তলোয়ারেই হত্যা করা হবে।"
মোটামুটি ভয়াবহ একটা লড়াই দেখার জন্য সাহাবীরা মানসিক প্রস্তুতি নিলেন।
উমার(রাঃ) এসে দরজায় দাঁড়ালেন। হামযা (রাঃ) হাতে তলোয়ার তুলে নিলেন।
কিন্তু তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে স্বয়ং নবীজি (সঃ) এগিয়ে গেলেন। হাসিমুখে তাঁকে স্বাগত জানালেন। উমার (রাঃ) তাঁর পায়ের কাছে তলোয়ার ফেলে দিয়ে বললেন, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নাই, এবং আপনিই তাঁর প্রেরিত পুরুষ।"
সাহাবীরা জয়ধ্বনি করে উঠলেন, "আল্লাহু আকবার! আল্লাহ সর্বশক্তিমান!"
দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার আবু জাহেলের মাথায় হাত!
এখন ঘটনাগুলো একটু মাথা খাটিয়ে বিশ্লেষণ করা যাক।
প্রথম ঘটনায় নবীজি (সঃ) যদি আবু জাহেলকে পাল্টা চড় থাপ্পর মেরে বসতেন, এমন না যে তিনি দূর্বল ছিলেন; অথবা গালাগালিও করতেন যা কিনা নবীজির (সঃ) স্বভাবে বিন্দুমাত্র ছিল না, তাহলে কী হযরত হামযা (রাঃ) ওভাবে তেড়ে যেতেন? যদি তিনি সেখানে না যেতেন, তাহলে কী তিনি মুসলমান হতেন? উত্তরটা ভাবতে থাকুন।
হযরত উমারের (রাঃ) চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আগেই বলেছি। তিনি নবীজিকে (সঃ) হত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন। এই চরিত্রের কাউকে দেখলে আমরা নাক সিটকে বলি, "ব্যাটা জাহান্নামী!"
অথচ মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আল্লাহ তাঁকে মুসলিম বানিয়েছিলেন। এবং এক সময়ে তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা পর্যন্ত নির্বাচিত হন।
আল্লাহ চাইলে কি না পারেন?
তাহলে কোন ব্লগার কী লিখলো না লিখলো সেটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়াটাই কী ভাল না?
তার যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ থাকে, তবে আমাদের উচিৎ তার সেই মতবিরোধ দূর করা। গালাগালি করে ঝগড়া বাড়িয়ে তাকে আরও দূরে ঠেলে দিলে কোন লাভ হবে? খুন করে ফেলারতো কোন যুক্তিই নেই। যদি কেউ পথে উমারকে (রাঃ) হত্যা করে ফেলতো, তাহলে আমরা কী হযরত উমারের (রাঃ) মতন বীর, এবং একদন আদর্শ খলিফা পেতাম? এর উত্তর নিশ্চই ভাবতে হবে না!
কাফের অথবা নাস্তিকদের উপর আমরাতো ক্ষেপিই, এমনকি মুসলমানদের মধ্যেও যদি কেউ ইসলাম নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলে, আমরা তাকে জবাব দেয়ার পরিবর্তে রেগে মেগে গালাগালি করতে থাকি। এতে সে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়। দেশে যে লাখে লাখে মুরতাদ, এর একমাত্র কারণ আমাদের এই অভ্যাস।
আরেকটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি।
একবার এক তরুণ সাহাবী নবীজির (সঃ) কাছে গিয়ে বললেন, "আমাকে জিনাহ করার অনুমতি দিন।"
জিনাহ মানে অন্য নারীর সাথে শোয়ার অনুমতি।
সবাই হায় হায় করে উঠলো। বলে কী! নবীজির(সঃ) কাছে এসেছে জিনাহর অনুমতি নিতে! সাধারণ এক মোল্লার কাছে গেলেই যেখানে 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হবে!
সাধারণ মোল্লার এটা বুঝার ক্ষমতাই নেই যে এতে সে জিনাহ করা থেকে বিন্দুমাত্র বিরত হবে না। বরং জিনাহ করার পাশাপাশি ইসলাম থেকেও দূরে সরে যাবে।
কিন্তু নবীজি(সঃ) পাড়ার মোল্লা ছিলেন না। তিনি সাহাবীকে শান্ত করে বললেন, "যদি তোমার মায়ের সাথে কেউ জিনাহ করে, তোমার ভাল লাগবে?"
"না।"
"যদি তোমার বোনের সাথে অন্য কেউ শুয়ে পড়ে, তোমার ভাল লাগবে?"
"না।"
"তোমার স্ত্রীর যদি আরও অন্য কারও সাথে সম্পর্ক থাকে, তোমার ভাল লাগবে?"
"না।"
"তোমার মেয়ের সাথে?"
"আমি তাকে খুন করে ফেলবো!"
"ঠিক সেভাবেই তুমি যার সাথে জিনাহ করতে চাইছ, সেও কারও মা, বোন, স্ত্রী, অথবা কন্যা। তুমি যদি কাজটা করো, তাহলে সেটা অন্যের প্রতি অন্যায় করা হবে। কাজটা করোনা।"
সাহাবী নবীজির (সঃ) কথায় সন্তুষ্ট হলেন, এবং ওয়াদা করলেন, তিনি এই কাজ করবেন না।
আমাদের মোল্লারা প্রচার করে বেড়ায় কাফের নাসারারা আমাদের শত্রু। অথচ ইসলামে বলা আছে, প্রতিটা অমুসলিমকে সম্ভাব্য মুসলিম হিসেবে আচরণ করতে। সে পুত্তলিক পুরোহিত হোক, অথবা কট্টর নাস্তিক।
কাজেই, ভিন্ন মতাবলম্বী কারও মতামত শুনে শুরুতেই তাকে গালাগালি করা শুরু করে দিবেন না। শুনুন তার কথা। আপনার যদি ভাল না লাগে, তবে অতিরিক্ত ভদ্রতার সাথে তাকে নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ সলিড যুক্তি দিয়ে বুঝাবার চেষ্টা করুন। যদি সে না বুঝে, তাহলে তাকে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন। শুধু শুধু নিজের পাপের বোঝা বাড়ানো কেন?
"তুমি পর্দা করো না? তুমি জাহান্নামী!"
"তুমি নামাজ পড়ো না? তুমি জাহান্নামী!"
"তুমি নাস্তিক? তুমি জাহান্নামী!"
"তুমি সমকামী? তুমি জাহান্নামী!"
আল্লাহ কী জাহান্নামের কন্ট্রাক্ট শুধু আপনার হাতেই তুলে দিয়েছেন? তওবা বলে একটা ব্যবস্থা যে ইসলামে আছে, সেটা কী আপনি ভুলে গেছেন? আপনি কি জানেন, তাকে ইসলাম থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার জন্য আসলে আপনি জাহান্নামী?
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++

ভালো কথা , তিতা কথা ।

ভালো থাকবেন ভ্রাতা ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল কথা তিতা হলেও ভাল :)
ধন্যবাদ!

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার চিন্তাধারায় ভুল আছে। গালাগালি নাস্তিকদের অস্ত্র। তর্ক করার মত যুতসই যুক্তি যখন তাদের হাতে থাকে না, তখন তারা আশ্রয় নেয় গালাগালির। আপনি এমন একটা ব্লগও দেখাতে পারবেন না, যেখানে আস্তিকেরা গালাগালির সুত্রপাত করেছে। (কী জানি, থাকতেও পারে। ব্লগে ছুপা রুস্তম বলে একটা টার্ম আছে, যারা আস্তিক সেজে কিছুক্ষণ নাস্তিকদের গালাগালি করে, তারপরে আবার নাস্তিকদের কাছে হেরে নিজেকে পরাজিত আস্তিক হিসেবে উপস্থাপন করে।) এরা ছাড়া কোন আস্তিকের কখনোই গালাগালির প্রয়োজন পড়েনা।

আপনার লেখা পড়লে বোঝা যায়, আস্তিকেরাই গালাগালি শুরু করে। আর নাস্তিকেরা তার উপযুক্ত জবাব দিতে গিয়ে গালাগালি করে। যা কিনা ছুপা রুস্তমের উপসর্গ বহন করে। তাই আশা করি, ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটু সাবধান হবেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আবার পড়ুন, লেখা শুরুই হয়েছে "কোন এক নাস্তিক আল্লাহকে গালি দিল। হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) গালি দিল" দিয়ে -এরপরও যদি বুঝতে না পারেন গালাগালির সূত্রপাত কারা করে, তাহলে আর কিভাবে ভেঙ্গে বলতে হবে?
আপনি সবকয়টা নাস্তিক ব্লগের কমেন্ট গিয়ে পড়ুন, দেখবেন আস্তিকেরাই তাদের গালাগালি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে। গালাগালি কোনভাবেই ইসলামে জাস্টিফায়েড না, বিশ্বাস না হয় রিসার্চ করুন। ভাল মত পড়ুন।
কমেন্ট করার আগে ভাল মত লেখা পড়ে, বুঝে তারপর কমেন্ট করুন। নাহলে অন্য মিনিং দাঁড়াবে। তাই আশা করি, ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটু সাবধান হবেন।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭

কাহাফ বলেছেন:
আপনার সব কথায় সহমত পোষন না করলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি- অসাধারণ হয়েছে লেখনী!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! ইসলামি স্কলারদের সাথে একটু কথাবার্তা বলুন, আপনিও সহমত পোষন করবেন।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

ইলুমিনাতি ইতআনিমুলি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।” [সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]। হাদিসে ধর্ম দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “যে মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ নিম্নোক্ত তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া তার রক্তপাত করা হারাম: হত্যার বদলে হত্যা, বিবাহিত ব্যভিচারী, দল থেকে বিচ্ছিন্ন-ধর্মত্যাগী।”[সহিহ বুখারি (৬৮৭৮) সহিহ মুসলিম (১৬৭৬)]।

হাদিসও পড়লাম আপনার লেখনীও পড়লাম। ইতিহাস ত সাক্ষ্য দেয় আলি রাঃ হাদিস গুলো কে ভিন্নভাবে বুঝেছিলেন।

ইকরিমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী রা. এর নিকট কয়েকজন মুরতাদ-যিন্দীককে ধরে আনা হল। তিনি তাদের পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এ-খবর ইবনে আববাস রা এর নিকট পৌছলে তিনি বললেন, আমি হলে পুড়িয়ে হত্যা করার আদেশ দিতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহ পাকের শাস্তি দানের বস্ত্ত (আগুন) দ্বারা শাস্তি দিও না।’ আমি বরং এদেরকে হত্যা করতাম। কেননা আল্লাহর রাসুল বলেছেন, ‘যে নিজের দ্বীন পরিবর্তন করবে, তাকে হত্যা করে ফেলবে।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৯২২, জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪৫৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৩৫১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৮৭১)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এখানে একটা ব্যপার আছে। আজকাল অনেকেই না বুঝে মুরতাদ হচ্ছে। অনেকেই ভুল বুঝেও মুরতাদ হচ্ছে। কাউকে মেরে ফেলার আগে, তাকে ভাল মত শুধরানোর সুযোগটা দেয়া উচিৎ বলে আমার ধারণা।
নবীজির (সঃ) সময়ে মুরতাদরা কাফিরদের দলে ভিড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধি করতো। সেই ক্ষেত্রে ঝুঁকি না নেয়াটাই বিচক্ষনতা ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.