নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ট্রেইনড হাতি দেখার সৌভাগ্য কয়জনের হয়েছে? নাগরিক জীবনের শহুরে পোলাপানের আজকাল হাতি দেখার সৌভাগ্য তেমন হয়না কিনা।
আমার মতন ছোট শহরে থাকার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে, বিশেষ করে পাহাড়ি শহরে, তাঁরা একটু খেয়াল করলেই দেখবে যে ট্রেইনড হাতিকে প্রায়ই দেখা যায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। দড়ি মানে সেই দড়ি যা কোরবানির গরুকে বাঁধার কাজে ব্যবহার করা হয়। গরুর জন্য সেই দড়ি ছিড়ে পালানো অনেক কষ্টকর হলেও হাতি ইচ্ছা করলেই সেই দড়ি ছেড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তারপরেও সে সেই দড়ি ছিড়ে না।
কেন?
কারণ বাচ্চা থাকা অবস্থায় হাতিকে এই দড়ি দিয়েই বেঁধে রাখা হতো। তখন সে বহুবার সেই দড়ি ছিড়ে পালাবার চেষ্টা করতো। বাচ্চা হাতির জন্য সেই দড়ি যথেষ্টই শক্ত ছিল। সে ছিড়তে পারতো না।
কিছুদিন পরে সে ভাগ্যকে মেনে নিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।
হাতি একসময়ে বড় হয়, দড়ি ছেড়ার বল তার শরীরে আসে, কিন্তু তার মাথায় এটা সেট হয়ে যায় যে সেই দড়ি ছেড়ার ক্ষমতা তার নেই।
একটা ভাঙ্গা ভচকানো এলিয়েন গাড়ির ছবি ইদানিং ফেসবুকে খুব শেয়ারড হচ্ছে। পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুযোগ্য পুত্র বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালিয়ে একজন পথচারীকে দুই টুকরা করে খুন করেছে। বাপের প্রভাব খাটিয়ে সে এখন জামিনে আছে।
মানুষ তার বিচার দেখতে চায়। কাজেই জনমত বাড়ানোর জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ছেলেটাও দেখিয়ে দিতে চায় বাপের ক্ষমতা থাকলে এই দেশের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো সম্ভব।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে গত তেতাল্লিশ বছর ধরে এটাই ঘটে আসছে। আমাদের অবস্থা এখন হয়েছে এক মত্ত হাতির মতন, যে ধরেই নিয়েছে দড়ি ছেড়া সম্ভব নয়। কাজেই অনেকে ধরেই নিয়েছেন এইসব প্রতিবাদ ট্রতিবাদ করে কিছুই হবেনা, যাহা চিরকাল ঘটিয়া আসিয়াছে, তাহাই ঘটিতে থাকিবে।
একটা হ্যাঁচকা টান দেবার সময় এসেছে।
দড়ি ছেড়ার সময় এসেছে।
দড়ি ছেড়ার বল আমাদের শরীরে বহু আগে থেকেই ছিল, এখন সেটাই ব্যবহার করার সময় এসেছে।
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩০
খেলাঘর বলেছেন:
আসলে আমি হাতী দেখছি না, গরুই দেখছি।