নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য নিষিদ্ধ একটি ছোটগল্প, তবে সবারই পড়া উচিৎ

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫০

ব্যপারী

- মঞ্জুর চৌধুরী



রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে সুলতানা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পুত্র মেরাজকে বললেন, "নাস্তা না খেয়ে যাচ্ছিস কোথায়?"

মেরাজ কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে প্রায় দরজার কাছাকাছি পৌছেই গিয়েছিল। মায়ের প্রশ্নে সে থমকে দাঁড়ালো।

"আজকে নাস্তা খাবো না মা।"

সুলতানা ছেলেকে কড়া গলায় নির্দেশ দিলেন, "ফাজলামি করবি না একদম! বস টেবিলে।"

মেরাজ অনুনয় করে বলল, "ক্লাসের জন্য দেরী হয়ে যাচ্ছে মা।"

"হলে হবে। খবরদার যদি তুই কিছু মুখে না দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিস তো!"

মায়ের গরম চোখ দেখে মেরাজ আর কথা বাড়াবার সাহস করলো না। চেয়ার টেনে বসে রুটি ছিড়ে ভাজি মুখে পুরলো।

"প্রতিদিন রুটি-ভাজি-ডিম এসব খেতে ভাল লাগে না।"

ছেলে যেন এই মাত্রই ট্রিগার চাপলো, সুলতানা বিষ্ফোরিত হলেন।

"তোর আব্বাকে বল আমার জন্য দশ বারোটা ঝি চাকর রেখে দিতে, তারা তোর জন্য পোলাও কোরমা রেঁধে খাওয়াবে। আমার হাতের রান্নাতো এখন তোদের ভাল লাগে না।"

মুনতাহা ভাইয়ের পাশে এসে দাঁড়ালো।

"অথবা ওকে বিয়ে করিয়ে দাও মা - নিজের বউ তাকে রেঁধে খাওয়াক। তুমিও রিটায়ারমেন্টে চলে যেতে পারো। হিহিহি।"

মুনতাহা মেরাজের একমাত্র বড় বোন। মেডিক্যাল কলেজে পড়ে। ফোর্থ ইয়ার। সুন্দরী, এবং স্বাস্থ্য সচেতন। প্রতিদিন সকালে উঠে নিয়ম করে চল্লিশ মিনিট বেয়াম করে। এখনও শরীরে বেয়ামের পোশাক পড়া আছে। বেয়াম শেষে খেতে এসেছে।

"বিয়ে যে করবে, তা বউকে খাওয়াবে কী? এখন নিজের পেটের ছেলেই আমার রান্না খেতে পায় না, অন্যের মেয়ের মুখেও তখন বদনাম শুনতে হবে!"

মেরাজ সাথে সাথে মায়ের সাথে সন্ধি প্রস্তাব রাখলো, "মাঝে মাঝে তুমি রেস্ট নিও মা। আমি হোটেল থেকে ব্রেকফাস্ট স্পন্সর করবো!"

সুলতানা মাঝে রান্নাঘরে চলে গিয়েছিলেন। ছেলের কথা শুনে আবার খাবার ঘরে এসে বললেন, "তুই স্পন্সর করবি মানে? তুই টাকা পাবি কোথায়?"

মেরাজ হেসে বলল, "নতুন একটা ব্যবসা শুরু করেছি মা। সফটওয়্যারের। কোন লস নেই। তুমি শুধু দেখো, এইবার টাকার বন্যায় আমাদের বাসা ডুবে যাবে! গোশত পরোটা খেতে খেতে আমাদের সবার পাইলস হয়ে যাবে! হাহাহা।"

মুনতাহা বলল, "ছিঃ! কী নোংরা কথাবার্তা!"

সুলতানা বললেন, "তা যতদিন না গোস্ত পরোটা খাওয়া শুরু হচ্ছে, ততদিন এই আলুভাজি আর রুটিই চুপচাপ খা। খবরদার যদি কোন কমপ্লেইন শুনি!"

গৃহকর্তা আনিস সাহেব তখন মর্নিং ওয়াক সেরে বাড়িতে ফিরেন। তিনি সাধারণত সকালে এক ঘন্টা হাঁটেন। তারপর বাড়ি ফিরে গোসল করে নাস্তা খেতে বসেন। আজকে তাঁর চরম খিদে পেয়েছে। গরম গরম আলুভাজির গন্ধে পেট গুরগুরিয়ে উঠলো। তিনি গোসল না করেই চেয়ার টেনে বসে পড়লেন।

সুলতানা স্বামীর প্লেটে ভাজি তুলে দিতে দিতে বললেন, "এই নাও, শেষবারের মতন আলু ভাজি খেয়ে নাও।"

আনিস সাহেব অবাক হয়ে বললেন, "কেন? আলু ভাজি কী দোষ করলো?"

"তোমার ছেলে আমাদের জন্য সকালের নাস্তায় গোস্ত পরোটার ব্যবস্থা করবে। মাংস খেতে খেতে নাকি তোমার পাইলস হয়ে যাবে।"

আনিস সাহেব জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে পুত্রের দিকে তাকালেন।

মুনতাহাই জবাব দিল।

"বাবু নতুন ব্যবসা শুরু করেছে বাবা। খুব নাকি প্রফিট হচ্ছে।"

আনিস সাহেব বললেন, "তাই নাকি? তা কিসের ব্যবসা?"

মেরাজ বেশ উৎসাহের সাথে বলল, "সফটওয়্যারের বিজনেস বাবা। আমরা চার বন্ধু মিলে কোম্পানি শুরু করেছি। নাম দিয়েছি 'জেন-এক্স টেক।'"

আনিস সাহেবের মুখ অন্ধকার হয়ে গেল।

"ব্যবসা করা ভাল। কিন্তু বাবা, পড়ালেখার মাঝখানে ব্যবসা করাটা ঠিক না। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। পড়াশোনার সময়ে শুধুই পড়াশোনা করা উচিৎ। ব্যবসা আর পড়ালেখা কখনই একসাথে চলে না, চলা সম্ভব নয়। বিল গেইটসের কথাই ধর না, সে কী পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছে? তাঁর কোন ডিগ্রী আছে?"

মেরাজ হালকা গলায় বলল, "উল্টো তাঁর ক্লাস মেইট, যার ডিগ্রী ছিল, তিনি তাঁকে নিজের অফিসে চাকরি দিয়েছিলেন।"

আনিস সাহেব পুত্রের কথা শুনে আরও বেশি গম্ভীর হয়ে গেলেন। তিনি আরও গভীর স্বরে বললেন, "শিক্ষিতের সম্মান টাকা দিয়ে মাপা যায় না। একজন পিএইচডি ব্যক্তি যদি রিক্সাও চালান, তাও তাঁকে সম্মান করতেই হবে। কেন, সেই টিভি রিপোর্টটা দেখিস নি, ঐ যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বস্তিতে থাকেন। আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন শিক্ষক বস্তিতে থাকেন, তাই বলে কী তাঁকে আমরা অন্যান্য বস্তিবাসীর মতন অসম্মান করি?"

মেরাজ বাবার সাথে আর তর্ক বাড়ালো না। বাবার সাথে তর্ক করা অর্থহীন। তিনি প্রচুর কথা বলতে ভালবাসেন, এবং উদাহরণসহ যুক্তির পিঠে যুক্তি দিতে পারেন। তাঁর শিক্ষক হওয়া উচিৎ ছিল। কেন যে সারাজীবন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কাটিয়ে দিলেন!

মুনতাহা ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে এলো। সে ভাইকে তাড়া দিয়ে বলল, "তুই এত আস্তে খাচ্ছিস কেন? তোর না ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে? জলদি শেষ কর!"

মেরাজ সাথে সাথেই উঠে গিয়েছিল। সুলতানা ধমক দিয়ে বললেন, "অর্ধেক খেয়ে উঠে যাচ্ছিস কেন?"

মেরাজ বিস্মিত গলায় বলল, "অর্ধেক কোথায়? আমিতো পুরোটাই শেষ করলাম।"

"ঐ যে প্লেটে খাবার লেগে আছে। ওসব চেটে পুটে শেষ কর!"

মেরাজ আরেকবার কাঁধ ঝুলিয়ে মায়ের দিকে তাকালো।

"কোন কথা শুনতে চাইনা। খাবারের একটা দানা নষ্ট করলেও আল্লাহর বরকত উঠে যায়। শেষ কর!"

মেরাজ প্লেটের অবশিষ্টাংশ খাবার মুখে পুড়ে বেরিয়ে আসতে যাবে, তখন মুনতাহা বলল, "শোন, ফেরার সময়ে বদরের দোকান হয়ে আসতে পারবি?"

বদর হচ্ছে একজন দর্জি, বিশিষ্ট টেইলর। গাউছিয়া মার্কেটে তাঁর দোকান আছে। “নিউ জারা লেডিস ফ্যাশনস।” জারা হচ্ছে তাঁর মেয়ের নাম। সুলতানা, মুনতাহাদের যাবতীয় স্যালোয়ার কামিজ বদরই সেলাই করে।

মেরাজ খুবই অনাগ্রহী স্বরে বলল, "পরে আনলে হয় না? আজকেই লাগবে?"

"কালকে পরশুতো বন্ধ। আজকে নিয়ে আসতে পারলে ভাল হতো। পারবি?"

মেরাজ কাঁধ ঝাকিয়ে বলে, "ঠিক আছে, নিয়ে আসব।"

"এই নে টাকা।"

"টাকা লাগবে না।"

"সে কি! কেন?"

"ওটা আমার তরফ থেকে তোমায় গিফট। নতুন ব্যবসার টাকা দিয়ে তোমাকে দেয়া আমার প্রথম উপহার।"

"আরে বাহ্! আল্লাহ যেন তোর ব্যবসায় অনেক অনেক বরকত দেন! আমি যেন এইরকম গিফট রেগুলার পেতে থাকি।"

মেরাজ বেরিয়ে যায়।



কথা ছিল ক্লাসে যাবার। কিন্তু মেরাজ বাসা থেকে বেরিয়ে সরাসরি "ক্যাপসুলের" বাসায় চলে এসেছে। ক্যাপসুলের আসল নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। শ্রেষ্ঠ দুইজন নবীর নামে নাম। কিন্তু আধুনিক যুগে এই নামটা 'কুল' না বলে সে বন্ধুদের কাছে নিজের নাম "ক্যাপসুল" বলে পরিচয় দেয়। নামের শানে নযুল কেউ জানেনা, তবে তার বাবার ফার্মেসির ব্যবসার সাথে এর কোন একটা সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে।

ক্যাপসুলের শোবার ঘরে রাফি আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। মেরাজের আসতে দেরী হওয়ায় সে উল্টো বলল, "এই তোর নয়টায় আসা?"

মেরাজ কাঁধ থেকে ব্যাগ নামাতে নামাতে বলল, "আম্মা জোর করে নাস্তা খাওয়ায় ছাড়ছে।"

ক্যাপসুল ওদের কথায় অংশ নিচ্ছে না। সে মাউস টিপে টিপে ডেস্কটপ কম্পিউটারে কিছু একটা করছে।

মেরাজ তার উদ্দেশ্যে বলল, "বিড়ি আছে?"

ক্যাপসুল হচ্ছে ওদের সিগারেট-বিড়ি-মদের সাপ্লাইয়ার। বাবার ব্যবসার কাঁচা টাকা সে বন্ধুদের জন্যে খরচ করতে পছন্দ করে।

মেরাজের কথা শুনে সে মনিটর থেকে চোখ না সরিয়েই হাতড়ে হাতড়ে সিগারেটের প্যাকেট খুঁজে বের করে বন্ধুর দিকে এগিয়ে দিল।

মেরাজ সিগারেট বের করে বলল, "ঘরে খাওয়া যাবে? নাকি ছাদে যেতে হবে?"

ক্যাপসুল এখনও মনিটরের দিকে তাকিয়ে বলল, "ঘরেই ধরা। সমস্যা নাই। আম্মা নানির বাড়ি গ্যাছে।"

মেরাজ সিগারেট ধরাতে ধরাতে বলল, "কী এত দেখতেছিস কম্পিউটারে?"

ক্যাপসুল বলল, "একটা ফোল্ডার খুঁজতাছি। গতকালকে হিডেন কইরা রাখছিলাম, এখন খুঁইজা পাইতাছি না।"

মেরাজ উৎসাহী স্বরে বলল, "'জেন-সেক্স টেকের' নতুন কোন প্রডাক্ট নাকিরে?"

রাফি জবাব দিল, "হ ব্যাটা! কাইলকা রাইতেই ইনভেন্টরি হইছে! এরই মইধ্যে হালায় হারায়া লাইছে!"

ক্যাপসুল বলল, "হারাই নাই। কপি কইরা রাখছি। ফোল্ডারের নামটা ইয়াদ আসতেছে না। তাইলে খুইজা পাওয়া ওয়ানটু আছিল।"

মেরাজ বিরক্ত গলায় বলল, "সব 'মাল' একটা ফোল্ডারে রাখবি না?"

ক্যাপসুল নিরুদ্বিগ্ন স্বরে জবাব দিল, "সব ফোল্ডার একটা ফাইলেই থাকে। ভুইলা যাইস না, আমার বড় বইনও এই কম্পিউটার ইউজ করে। তার কাছে ছ্যাচা খাওনের কোনরকম শখ আমার নাই।"

মেরাজ বলল, "তাঁরে আলাদা ইউজার আইডি খুলে দিলেই পারিস।"

"এইসব কইরা হুদাই সন্দেহ বাড়ায়া লাভ আছে? এরচেয়ে হিডেন কইরা থুইলেই হয়।"

রাফি বলল, "হিডেন রাখার ফলতো এখন দেখতাছিই।"

ক্যাপসুল বলল, "এত কথা কইতাছস ক্যান? বেশি কথা কইলে কিন্তুক আমি খোঁজা বন্ধ কইরা দিমু কইলাম!"

রাফি সিগারেটের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট ধরিয়ে মেরাজকে বলল, "কাইলকা তোরে হাতির ঝিলে দ্যাখলাম। তোর পিঞ্জিরায় নতুন পাখি আইছে মনে হয়? হেহেহে।"

মেরাজ হেসে বলল, "পিঞ্জিরায়তো পাখির ছড়াছড়ি। কোনটার কথা বলতেছিস?"

"লাল স্যালোয়ার।"

"হারামজাদা! কামিজ কী রংয়ের পড়ছিল সেইটা ক! স্যালোয়ার থেইকা কী তোর চোখ উপরে উঠে না?"

রাফি খুব ভাব নিয়ে উর্দূতে শের বলার মত আবৃত্তি শুরু করলো, "বাখরেকা দিল, বাখরীকে পিছে, লাড়কেকা দিল, সালওয়ারকে নিচে।"

ক্যাপসুল কম্পিউটার ঘাটতে ঘাটতেই "ওয়াহ ওয়াহ" করে চ্যাচিয়ে উঠলো।

"বোহাৎ খুউব!"

রাফি বাইজিদের মতন একবার দুই বন্ধুকে সালাম ঠুকে বলল, "বাখরেকা দিল, বাখরীকে পিছে, লাড়কেকা দিল, সালওয়ারকে নিচে। ইসলিয়ে….. পেয়ার কারো উসিসে, জো সালওয়ার খুলে খুশিসে!"

দুই বন্ধু "মারহাবা!" "বোহাৎ খুব!" ইত্যাদি প্রশংসা সূচক শব্দে ফেটে পড়লো।

রাফি বেশ ভাব নিয়ে বলল, "তা পাখি স্যালোয়ার খুলছে?"

মেরাজ বলল, "স্যালোয়ার খুললে তোরাই জানতে পারবি। ‘জেন-সেক্স টেকের’ প্রোডাক্ট এই কারখানাতেইতো প্রসেসড হবে! হাহাহা।"

বলে সে হাই ফাইভের জন্য হাত বাড়ালো। রাফি এগিয়ে এসে বন্ধুর সাথে হাই ফাইভ করলো।

ক্যাপসুল বলল, "তাইলে কী নাতাশার লগে তোর ব্রেকআপ হয়া গ্যাছে?"

মেরাজ বিছানার বালিশে হেলান দিতে দিতে বলল, "সেটা বলতে পারিস।"

ক্যাপসুল বলল, "যাই বলিস দোস্ত! মাইয়াটা কিন্তুক অনেক কিউট আছিল! আমি হইলে বিয়া কইরা লইতাম!"

মেরাজ উদাস ভঙ্গিতে ধোয়ার বৃত্ত তৈরী করতে করতে বলল, "ঐসব বিড়ি ফুঁকা মাগীরে বিয়া করা চলেনা।"

রাফি বলল, "বিড়ি ফুকতো নাকি?"

"বিড়ি, গাঞ্জা সিগারেট সব ফুকতো। চুমাইতে গেলে মুখে নিকোটিনের গন্ধ করতো। আর তাছাড়া প্রডাক্টরে যদি ভালবাসা শুরু করোস, তাইলে কাস্টমাররে দিবি কী? হিহিহি।"

ক্যাপসুল বলল, "অন্য মাল দিমু। সবচেয়ে কিউটটারে নিজের কাছে রাইখা দিতাম।"

মেরাজ সিগারেটে শেষ টান দিয়ে সেটা জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলে দিতে দিতে বলল, "কিউট মালের কী অভাব আছে রে ব্যাটা? কালকে হাতির ঝিলে যারে নিয়া গেছি, সেও কিউট মাল!"

রাফি তার দিকে এগিয়ে এসে বলল, "দোস্ত তোর কপালটারে আমার কপালের লগে একটু ঘস! যদি তাতেও আমার কপাল খুলে! জিহ্বা বাইর কইরা মাইয়া খুজতাছি, একটাও পাইতাছি না! আর তুই আইজকা এইটারে ধরস, তো কাইলকা ঐটারে ছাড়োস!"

মেরাজ হাসতে হাসতে ক্যাপসুলকে জিজ্ঞেস করলো, "নতুন মালে হিরো কে? তুই নাকিরে?"

ক্যাপসুল বলল, "আরে না! এই তকদির হইলেতো হইছিলই। নতুন মালে কোন হিরো নাই, সব হিরোইন। লেডিস হোস্টেলে ক্যামেরা লুকায়া রাখছিলাম। সব মাইয়ার গোসলের সীন ধরা পড়ছে! হেহেহে।"

মেরাজ অবাক হয়ে বলল, "তুই লেডিস হোস্টেলে ক্যামেরা ঢুকাইলি ক্যামনে?"

ক্যাপসুল বলে, "আমার লোক আছে।"

"কিন্তু সেই লোকের সন্ধান তুই পাইলি ক্যামনে?"

রাফি জবাবটা দেয়, "পিপড়ারে কখনও চিনির খোঁজ দিতে হয়? হারামজাদার হইতাছে কুত্তার নাক। সুইংগা সুইংগা দালাল খুইজা বাইর করে!"

তিন বন্ধু হো হো করে হেসে উঠলো।

ক্যাপসুল বলল, "যদিও দাম একটু কম অফার করতেছে। দেড়লাখ কইতাছে। কিন্তু আমিও কইয়া দিছি, দুই লাখের কমে বেচুম না। এক লাখ নিরানব্বই হাজার হইলেও না।"

মেরাজ বলল, "আগেরগুলিতো তিনলাখে বেঁচছি। এইবার এত কম ক্যান?"

"আরে, আগের গুলি আছিল নায়ক নায়িকা সহ, এইবার শুধুই সিঙ্গেল আর্টিস্ট।"

"আমাদের সিঙ্গেল আর্টিস্টের দরকার কী? আমিতো প্রত্যেক সপ্তাহেই নতুন মাল ডেলিভারি দিচ্ছি।"

ক্যাপসুল বিজ্ঞের মত বলল, "ঐটা চালু থাকুক। লগে নতুন নতুন প্রোডাক্টওতো লঞ্চ করন লাগবো! নইলে কাস্টমার ভেরাইটি পাইব না।"

রাফি বলল, "ভ্যারাইটি আনতে গিয়া আবার দেখিস 'গে ভিডিও' বানায়া ফেলিস না। তাও নিজেরে নায়ক বানায়া! হেহেহে।"

ক্যাপসুল চোখমুখ উজ্জ্বল করে বলল, "একটা লেসবিয়ান ভিডিও পাইলে জব্বর হইতোরে দোস্ত! তোর পরিচিত কোন লেসবিয়ান আছে?"

মেরাজ বলল, "সুইংগা দেখ, খোঁজ পাইয়া যাবি। তোরতো আবার কুত্তার নাক! গন্ধ সুইংগা ঠিকই বাইর করবি।"

ক্যাপসুল বলল, "ইন শা আল্লাহ!"

তারপরই সে চেচিয়ে উঠলো, "পাইছি!"

মেরাজ এবং রাফি প্রায় লাফিয়ে মনিটরের সামনে চলে এলো। ক্যাপসুল ভিডিও ছেড়ে দিল।

মেরাজ বলল, "এ হে! এই প্রডাক্ট বাজারে চলবো না! দেখতে আন্টি আন্টি লাগে। কোমরের সাইজ বুকের থেইকা বড়। এইটা বাদ।"

ক্যাপসুল বলল, "কিছু কাস্টমার মোটা প্রোডাক্ট পছন্দ করে। আমাদের সব ধরনের কাস্টমারের কথাই ভাবতে হবে।"

"আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা উচিৎ। এই মাল বাজারে দিলে কোম্পানির বদনাম।"

রাফি বলল, "কোম্পানির নিয়মানুযায়ী রেটিং কর। আমি এটারে দশে তিন দিলাম।"

ক্যাপসুল বলল, "আমার কাছে অতটা খারাপ লাগেনাই। আমি সাত দিলাম।"

নিয়মানুযায়ী কোন "প্রডাক্ট" তিরিশে পনেরো পেলেই পাশ করে ফেলে এবং তার সিডি বাজারে চলে যায়।

মেরাজ বলল, "হারামজাদা! তোর সমস্যা আছে। তোর ইমিডিয়েট বেসিসে কারও লগে শোয়া দরকার। এইটারে আমি ঘরে বুয়ার কামও দিমু না!"

ক্যাপসুল বলল, "দোস্ত! শোয়ার ব্যবস্থা কর! আমিতো সেই কবে থেইকাই এক পায়ে খাড়া!"

মেরাজ বলল, "আমি এইটারে ওয়ান দিলাম। এইটা বাদ। নেক্সট।"

পরবর্তী 'মাল' মঞ্চে প্রবেশ করলো।

রাফি বলল, "সেইরামরে দোস্ত! সেইরাম! নাইন! চোখ বন্ধ কইরা নাইন!"

ক্যাপসুল বলল, "আমি টেন। এইটা সানি লিয়নরে হারায়া দিব।"

মেরাজ বলল, "প্রোডাক্টটা ভাল! এইরকম দুই চারটা বাজারে ছাড়লেই আর দেখন লাগবো না। আমি এইট দিতাছি।"

রাফি বলল, "তুই এইটারে এইট দিতাছোস কোন আন্দাজে? মার্কস দিতে তোর কী পয়সা খরচ হয়? হারামজাদা কিপটা!"

মেরাজ হাসতে হাসতে বলল, "আমার স্ট্যান্ডার্ড অনেক উঁচু বন্ধু। এত সহজে কেউ টেন পায় না।"

এরপর আরও কয়েকটা "প্রোডাক্ট" রেটিং হতে লাগলো। এই ফাঁকে তাদের কোম্পানি সম্পর্কে হালকা জ্ঞান বিতরণ হয়ে যাক।

ওরা তিন বন্ধু মিলে আসলে বাংলাদেশী পর্ন ছবির ব্যবসা শুরু করেছে।

ক্যাপসুল সেই কলেজ জীবন থেকেই একজন দালালকে চিনে যে দেশী বাজারে এইসব সিডি ছেড়ে আসছে। নতুন নতুন সিডির জন্য ভাল পয়সাও দেয়।

ক্যাপসুলের অনেকদিন ধরেই শখ ছিল ব্যবসায় নামার। কিন্তু সে নিজে একা কিছু করে উঠতে পারছিল না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তার সাথে মেরাজ এবং রাফির বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে সে তার ব্যবসার ভাবনা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে। দুইজনই এক কথাতেই রাজি হয়ে যায়।

মেরাজ দেখতে সুদর্শন। কথাবার্তাও খুব সুন্দর করে বলতে পারে। মেয়েরা তার সাথে এমনিতেই মিশতে পছন্দ করে। সে কখনও কারও সাথে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেনি।

কিন্তু ব্যবসার কথা মাথায় আসার পর সে সব মেয়েকেই "প্রোডাক্ট" হিসেবে দেখতে শুরু করে। একদিন অনেক সাহস বুকে নিয়ে সামিয়াকে "রুম ডেটের" প্রস্তাব দিয়ে বসে। সামিয়া তাকে অবাক করে দিয়ে এক কথাতেই রাজি হয়ে যায়। কোন মেয়েকে যে এত সহজে পাওয়া সম্ভব, এই ধারনাই তার ছিল না।

তারপর কিছুদিন আড়াল থেকে ক্যামেরায় শ্যুটিং শেষে আবার নতুন প্রোডাক্টের খোঁজে নেমে পড়ে। বেশ কিছু মেয়ের থেকে রিজেক্টেড হয়ে (নওরীনতো তাকে চড়ই দিয়ে বসেছিল) আবার 'খাঁচায় নতুন পাখি' ধরা দেয়। তারপরে এই ধারা চলছেই। পরিচয়ের শুরুতেই টোকা দিয়ে বুঝে যায় কে প্রোডাক্ট হবে, কে নয়। যারা হবার নয়, তাদের পেছনে শুধু শুধু সময় নষ্ট করে না।

এখন পর্যন্ত বাজারে নিজের কোন সিডি না ছাড়লেও অন্যান্য কিছু ছেলের শ্যুট করা ভিডিও ঠিকই ছেড়েছে। ছেলেগুলোকে লাভের একটা অংশ দেয়ার পাশাপাশি স্পেশাল ইফেক্ট দিয়ে তাদের চেহারা ঝাপসা করে দিয়েছে। কাজেই মেয়েরা বদনাম হলেও তারা সেফ!

মেরাজের ভিডিও ক্লিপগুলোর এখন পোস্ট প্রডাকশন কাজ চলছে। সেই সাথে দালালের সাথে দেন দরবারও চলছে। নিজের ভিডিও বলে সে আরেকটু বেশি দাম চাইছে। তার যুক্তি হচ্ছে তার হিরোইনগুলো ১০০% ভদ্রঘরের শিক্ষিতা মেয়ে, এবং অবশ্যই প্রত্যেকেই সুন্দরী। কাজেই একটু বেশি দামতো তার প্রাপ্যই।

ভিডিওর বাথরুমে একটি মেয়ে ঢুকতেই রাফি এবং ক্যাপসুল দুইজনই বাহ বাহ করে উঠলো। মেরাজও নড়েচড়ে বসলো। চেহারা স্পষ্ট না হলেও এইচ.ডি ক্যামেরায় কাপড়ের উপর দিয়েও মেয়েটির শরীরের প্রতিটা বাঁক স্বচ্ছভাবে ফুটে উঠছে। মেয়েটি বাথরুমে ঢুকেই ক্যামেরার লেন্সের দিকে পিছন ফিরে আয়নায় ঝুঁকে নিজের চেহারায় কিছু একটা করতে লাগলো।

ক্যাপসুল বলে উঠলো, "'অ্যাস' দেখছিস? এই অ্যাসের জন্যই তাকে আমি মুক্ত হস্তে দশ পয়েন্টস দিলাম!"

রাফিও দরাজ গলায় বলল, "আমিও টেন!"

মেরাজ বলল, "আমি এইট।"

ক্যাপসুল ক্ষেপে গেল।

"ফাজলামি পাইছিস? এই মালরে নাইন পয়েন্ট নাইন দিলেও না ইনসাফি করা হবে!"

মেরাজ হেসে বলল, "আমার অ্যাসে তেমন কোন ইন্টারেস্ট নাই। বুক এবং চেহারার উপর ফাইনাল রেটিং ডিপেন্ড করছে।"

মেয়েটা এবারে আয়নার দিকে তাকিয়েই নিজের কামিজ খুলে ফেলল।

ক্যাপসুল এবং রাফি দুইজনই হুল্লোড় করে উঠলো।

"বাহরে বাহ্ সুন্দরী! একবার আমাদেরকেও দেখাও। আমাদের চোখেরও নূর বাড়ুক!"

মেয়েটা নিজের স্তনের কিছু একটা পরীক্ষা করতে লাগলো।

ক্যাপসুল বলল, "দ্যাখ দ্যাখ, '...' টিপছে! হিহিহি।"

মেরাজ বলল, "আপামনিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতো সাহায্য লাগবে কিনা? আমাদের ছয় হাত ফ্রী আছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কারিগর! হিহিহি।"

ঠিক তখনই মেয়েটা এইদিকে ফিরলো।

রাফি লাফিয়ে উঠলো। "টুয়েলভ! টুয়েলভ! এই ফিগার, এই চেহারার জন্য টু পয়েন্টস বোনাস!"

ক্যাপসুল হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিল। সে বলল, "মাই গড! এই মাইয়ারে বিছানায় পাইলে 'হেল ইন আ বেড' ম্যাচ হইবোরে! টেন! টেন!!"

মেরাজও হতভম্ভ হয়ে গেছে। ভিডিওর মেয়েটাকে সে চেনে। ভিডিওর মেয়েটা তারই নিজের বড় বোন মুনতাহা! মাঝে মাঝে পরীক্ষার সময়ে গ্রুপ স্টাডি করতে সে তাঁর বান্ধবীদের বাড়িতে বা হোস্টেলে যায়। সেখানেই বাথরুমে তারা ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছিল! এখন প্ল্যান করছে 'প্রোডাক্ট' হিসেবে বাজারে ছেড়ে দিতে!

মুনতাহা গোসল না করেই গায়ে কামিজ চড়িয়ে বেরিয়ে গেল।

ও যাবার সময়ে বাকি দুই বন্ধু হাহাকার করে উঠলো, "আরে আরে যাস কই? গোসল কইরা যা.....ঐ বুক আরও কিছুক্ষণ দেখতে দে!"

"মাগী গোসল না করলে বাথরুমে আইসা কাপড় খুইলা '...' টিপা টিপি করতেছিল ক্যান?"

"মনে হয় ব্রেস্ট ক্যানসারের লাইগা সেল্ফ চেক করতেছিল।"

"তুই বুঝলি কেমনে?"

"আরে ভিডিওতে দেখছিলাম কেমনে সেল্ফ একজাম করতে হয়। এইটা দেইখা সেইরকমই ঠেকলো।"

"আহারে! আমারে ডাকলো না ক্যান! আপারে গিয়া কওয়া উচিৎ আমরা খুব ভাল চেকআপ করতে পারি! হিহিহি।"

মেরাজের কানে সব কথাই আসছে, কিন্তু কিছুই ঢুকছে না। সে কিছুই ভাবতে পারছে না, কিছুই বলছে না। মাথা একদম ফাঁকা হয়ে গেছে। হাত পা অসার।

রাফি জিজ্ঞেস করলো, "কীরে, তুই রেট করলি না যে? কত দিবি?"

ক্যাপসুল বলল, "হালার বোধয় মাথাই নষ্ট হইয়া গ্যাছে! দশের কম এক পয়েন্ট দিলেও কিন্তুক তোরে মাইরা ফালামু। আল্লাহর কসম! হিহিহি।"

রাফি বলল, "ও দশ দিলেও কি, না দিলেও কি, আমরা দুইজনে মিইল্যাইতো বাইশ দিয়া দিছি! প্রোডাক্ট টেস্টে মাইয়া পাশ! হাহাহা।"

ক্যাপসুল বলল, "এই মাল বাজারে আগুন ধরায়া দিব রে!"

মেরাজ শূন্য দৃষ্টিতে বন্ধুদের দিকে তাকালো। সে শুধু খিল খিল হাসিই শুনতে পাচ্ছে। হাসিটাও তার কানে বড় অদ্ভুতভাবে বাজছে। এই মনে হচ্ছে যেন বহুদূর থেকে ভেসে আসছে। আবার পরমুহূর্তেই মনে হচ্ছে যেন বড্ড জোরে বাজছে! তাও কেবল দুইজন না, যেন আরও অনেক মানুষ তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। যেন গোটা বিশ্বের সমস্ত মানুষ তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।

হাহাহা! হোহোহো!! হিহিহি!!!



আরও লেখা পড়তে ফেসবুকে নিচের গ্রুপে জয়েন করুন

https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩

কাহাফ বলেছেন:
অনুভূতি কে উপলব্ধিতায় নিয়ে যাওয়া সুন্দর চিন্তাময় উপস্হাপনা!!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: কেন যে আমরা মানুষ থেকে পশুতে পরিনত হচ্ছি!! খুব খারাপ লাগে আমার দেশের কথা চিন্তা করে। দেশের মানুষগুলোর (বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন) বিবেক বুদ্ধি পশুর থেকেও নীচে নেমে যাচ্ছে।

আপনার লেখার প্রশংসা করতেই হয়। খুব সুন্দর লেখেন আপনি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ভ্রাতা +

যদিও প্রায় এই ধরনের বেশ কিছু লেখা আগেও পড়েছি । তবুও , আরও অনেক বেশী লেখা হক , মানুষ জানুক , সচেতনতা বাড়ুক ।

ভালো থাকবেন :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ! :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: অসাধারন।
লেখাটা বিভিন্ন ভাবে পরেছি। প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ছুটির দিনে’ তে এই থিমের একটা লেখা পুরস্কারও পেয়েছিল।
কিন্তু আপনার লেখার ধরনটা ভাল লেগেছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
আমার অবশ্য অন্যদের লেখাগুলো পড়া হয়নি। ঢা:বি:র ছাত্রদের নামে একটা ঘটনা শুনে লেখাটা মাথায় আসলো।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




গল্পে চমৎকার করে তুলে ধরেছেন গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় !

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ !!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: পড়ে মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

সকাল হাসান বলেছেন: গল্পটা অনেক গভীর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন! চমৎকার লেখনী!

আসলে এখন আমাদের চিন্তাধারা সবই একরকম বলতে গেলে পশুর পর্যায়ে চলে গেছে! মূল্যবোধের অভাব দেখা দিয়েছে!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এবং আপনার কথার সাথে সহমত।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে এই সময়ের অন্যতম একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।


পোস্টে প্লাস।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আমার সেই চেষ্টাই থাকে সবসময়ে।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এইসব বাইনচৎ গুলার এমন শিক্ষাই হওয়া উচিত.. X( X( X((

লেখায় মূল বিষয় গভীর ভাবে ফুটে উঠেছে ।+++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! :)

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫১

 বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ভ্রাতা +++++ B-)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.