নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বছরের পর বছর ধরে তিনি ছাত্র পড়িয়ে গেছেন। তাঁর ছাত্ররাই একসময়ে পাশ করে বেড়িয়ে আরও অনেক পড়াশোনা করে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই মিলিওনেয়ার হয়েছে, কেউ কেউ সেদিকেই এগুচ্ছে।
তিনি এখনও সেই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন।
এই স্কুলের পুরনো দালানকে ভেঙ্গে তিনি নতুন দালান হতে দেখেছেন। নার্সারী ক্লাসে ভর্তি হওয়া ছাত্রকে এসএসসি পাশ করতে দেখেছেন। এই স্কুলেই তাঁর দীর্ঘ চাকরি জীবন কেটেছে।
বেতন কত পান? বলতে গেলে কিছুই না।
কিন্তু, সম্মান?
সেটা পরিমাপ করার ক্ষমতা বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের কোন যন্ত্রের নেই!
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে যখন হঠাৎ করেই কোন ছেলে অথবা মেয়ে তাঁর পা ছুয়ে সালাম করে বলে, "স্যার চিনতে পেরেছেন?"
তিনি তখন তাকে না চিনতে পারলেও আশীর্বাদ করতে করতে বলেন, "কেমন আছিসরে?"
হাজারে হাজারে ছাত্রছাত্রীর ভিড়ে কয়জনের চেহারা মনে থাকে? কয়জনকেই বা মনে রাখা সম্ভব? কিন্তু ছাত্র ছাত্রীর গর্বে তিনি গর্ব বোধ করেন। আশেপাশের মানুষদের ডেকে ডেকে দেখাতে ইচ্ছে করে - "এই যে, এই ছেলেটা আমার ছাত্র! এ আমার ছাত্রী!"
হঠাৎ হঠাৎ পত্রপত্রিকায়, অথবা টেলিভিশনে কোন ছাত্র ছাত্রীর নাম বা মুখ চলে আসলে তিনি গর্ব করে বলেন, "আমার স্টুডেন্ট!"
স্যারের চোখ তখন গর্বে চকচক করে।
বলছি আমার স্কুলের ব্রজেন স্যারের কথা। গণিতের শিক্ষক ছিলেন। শাস্তি হিসেবে কানের পাশের জুলফি ধরে টান দিতেন। এখনও হয়তো দেন।
ফাইনাল শেষে রেজাল্ট নিতে যাবার সময়ে একদিন তিনি আমাদের কয়েকজনকে ডেকে বলেছিলেন, "তোদের মাঝে মাঝে শাস্তি দিয়েছি, মনে কিছু নিস না।"
না স্যার, আমরা মনে কিছুই নেইনি। সেদিন জুলফিতে টান না দিলে আমরা কেউই গণিত নিয়ে এত সিরিয়াসলি পড়তাম না। সত্য কথা।
সেই স্যারের একমাত্র ছেলে বিশ্বজিতের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ছেলের বয়স এখনও কাঁচা, শা:বি:প্র:বি:তে পড়াশোনা করছে। ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর পঞ্চাশ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
পঞ্চাশ লক্ষ টাকা! একজন স্কুল শিক্ষকের বার্ষিক বেতন কত?
ব্রজেন স্যার তাঁর সারা জীবনের সঞ্চয়ের দিকে তাকিয়ে দেখেন এক ঝাক ছাত্র ছাত্রী ছাড়া তাঁর আর কিছুই নেই।
অসুস্থ ছেলে তাকিয়ে থাকে তাঁর দিকে। ছেলের বিশ্বাস বাবা তাঁকে ঠিকই বাঁচিয়ে তুলবে।
ছেলের মা তাকিয়ে আছেন স্বামীর দিকে। তাঁর বিশ্বাস তিনি যেভাবেই হোক একটা ব্যবস্থা করবেন।
স্যার তাকিয়ে আছেন তাঁর ছাত্র ছাত্রীদের দিকে। এতদিনের শিক্ষকতার ফল......তাঁরা কী তাঁর ছেলেকে মরতে দিতে পারে?
এক-দুই টাকা থেকে শুরু করে যত টাকাই আপনি দিবেন, সবই আস্তে আস্তে করে ছেলেটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে সেটা করতে হবে খুব দ্রুত। সবাই নিশ্চই জানেন, ক্যান্সার একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সেটা অত্যন্ত দ্রুত ছড়ায়।
কিছু দান করার আগে শুধু এইটা মাথায় রাখবেন, তাঁকে বাঁচাতে প্রয়োজন পঞ্চাশ লক্ষ টাকার! পঞ্চাশ লক্ষ! এখন আপনি যা দিবেন সেটা পুরোপুরিই আপনার ব্যপার।
বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে চাইলে সাহায্য পাঠান এই ঠিকানায়:
S.N. Brojendra Chandra Das.
Prime Bank, Subid Bazar Branch, Sylhet
Account Number: 16021080007723
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আরো বিস্তারিত লিখুন। কোন ইভেন্ট লিঙ্ক থাকলে দিতে পারেন কিংবা স্যারের ফোন নাম্বার। শাবিপ্রবি ছাত্ররা কি এই নিয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি !
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফেসবুক গ্রুপ:
https://www.facebook.com/groups/323737417830158/
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫০
পিদীম হাতে নীড়ের পথিক বলেছেন: kichu bolar vasha pelam na