নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
কোন এক মানুষের সুপ্ত প্রতিভা সবার আগে এবং সবচেয়ে বেশি নজরে আসে কার?
তাঁর বাবা মায়ের!
বাচ্চা সাদা কাগজ ভরিয়ে কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং এঁকেছে, মা বাবা এমনভাবে খুশি হন, যেন ছেলের মধ্যে ভবিষ্যত পিকাসোর সন্ধান পেয়ে গেছেন!
ছেলে বানিয়ে বানিয়ে প্রচুর কথা বলে।
স্কুলের বন্ধুরা তাকে 'চাপাবাজ' ভাবলেও মা বাবা তার মধ্যে ভবিষ্যতের সাহিত্যিককে দেখতে পান। বানিয়ে গল্প বলতে না পারলে আবার লেখক হওয়া যায় নাকি?
শাকচুন্নির সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা মেয়েটিও তাই নিজের মা বাবার কাছে বিশ্ব সুন্দরী।
এখন, কোন মা যদি নিজের ছেলের একটি পজেক্ট দেখে বলেন, "জঘন্য হয়েছে," তখন?
তখন বুঝতে হবে কাজটা আসলেই জঘন্য হয়েছে। কারন, "মা কাভি ঝুট নেহি বোলতি।"
বলছি জয়া বচ্চনের কথা। বলিউডের বর্ষীয়ান এবং দুর্দান্ত অভিনেত্রী জয়া বচ্চন নিজের ছেলে অভিষেক বচ্চনের লেটেস্ট ব্লক বাস্টার "হ্যাপী নিউ ইয়ার" দেখে বলেছেন, "সাম্প্রতিক সময়ে আমার দেখা সবচেয়ে জঘন্য ফিল্ম!"
আহা! সাধু! সাধু! জয়া বচ্চনকে সত্য বলার জন্য মেডেল দেয়া হউক! এমন সত্যবতী মাতা যদি উপমহাদেশের ঘরেঘরে থাকতো, তাহলে দেশগুলোই পাল্টে যেত!
বলিউডের 'ব্লক বাস্টার' মানেই মশলাদার কোন ছবি। হৃতিক রোশনের 'ব্যাং ব্যাং' হোক অথবা সালমান খানের লাথি, সবকিছুতেই মসল্লার ছড়াছড়ি।
কিন্তু অতিরিক্ত মসলা খেলে কী হয়?
ডাক্তার বলেছেন, উদরাময় রোগ হয়।
যাহাকে চলিত ভাষায় ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানা বলা হইয়া থাকে। 'হ্যাপী নিউ ইয়ার' দেখিয়া দর্শককূলের তেমনই পেটের পীড়া হইয়া যায়।
শাহরুখ খান অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন অভিনেতা, এই নিয়ে কোনই সন্দেহ নেই - কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা, ফারাহ খান তেমনই জঘন্য একজন ডিরেক্টর। শাহরুখের অভিনয় প্রতিভা যদি ঢাকার শিল্প ব্যাংক ভবনের উচ্চতা হয়, তবে ফারাহ খানের ডিরেকশনের জঘন্যতা (হিন্দিতে শব্দটি হবে 'ঘাটিয়াপানা') হচ্ছে বুর্জ খলিফা টাওয়ার।
কাজেই হ্যাপী নিউ ইয়ারে যদি শাহরুখ, সালমান, আমির, হৃত্বিকসহ বলিউডের সব ব্লক বাস্টার হিরোরা থাকতেন, তারপরেও এই মুভি সিনেমা হলে গিয়ে দশ ডলার খরচ করে দেখার মত কিছু হতো না। কারণ একটাই, ডিরেক্টর সাহেবার নাম ফারাহ খান!
এক মণ দুগ্ধে এক ফোঁটা গোমূত্র ঢালিয়া দিবার সামিল।
যাই হোক, ভারতীয় দর্শকের টাকা পয়সার প্রতি মায়া দয়া নেই, এবং তাঁরা মসলাদার খাবারের মতন ছবিও হজম করতে পারেন - কাজেই হ্যাপী নিউ ইয়ার ব্লক বাস্টার ব্যবসা করেছে।
সে তুলনায় 'লাঞ্চ বক্স' সিনেমার নামটাই অনেকে শুনেন নাই। ভাল ছবি দেখতে হলে এই সিনেমাটি দেখুন। ভাল না লাগলে আমাকে জানাবেন।
সেদিন খবরে দেখলাম ফারাহ খান বলছেন তাঁর স্ক্রিপ্ট অস্কার লাইব্রেরীতে জমা হয়েছে। তারা নাকি গবেষণার কাজে ব্যবহার করবে।
প্রথমে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম।
তারপরে বুঝলাম, "What NOT to do in a film" চ্যাপ্টারে এই ছবির স্ক্রিপ্ট একটা বিরাট উদাহরণ হবেতো অবশ্যই।
শাহরুখ একবার বলেছিলেন, "আমি টাকা বানাবার জন্য ছবি করি না, সেজন্য আমার ব্যবসা আছে, বিজ্ঞাপন আছে আরও অন্যান্য অনেক কিছুই আছে। আমি ফিল্ম করি ভালবেসেই। সিনেমাই আমার প্রেম।"
কথার সত্যতা ছিল। সে সময়ে শাহরুখ বাজিগর, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, দেবদাস, স্বদেশ, চাক দে ইন্ডিয়ার মতন সিনেমা করতেন। দেবদাসেতো তিনি মাত্র বারো লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। 'স্ক্রিপ্টের' প্রতি সম্মান দেখিয়ে!
কিন্তু গত কয়েক বছরে তাঁর সিনেমাগুলোর দিকে তাকান, রা-ওয়ান, চেন্নাই এক্সপ্রেস, এখন হ্যাপী নিউ ইয়ার!
তখন মনে হবে জয়া বচ্চন যাহা বলিয়াছেন, সত্য বলিয়াছেন। সত্য বহিঃ মিথ্যা বলেন নাই।
মুরুব্বিদের কী আর এমনি এমনিই চুল পাকে?
বিগ বাজেট ছবি, বড় বড় গুণী সব অভিনেতার কারনেই দর্শক আসলে ধোঁকা খেয়ে বোকা হয়ে গেছেন।
অভিষেকের দিন ভাল যাচ্ছে না। তাই বেচারা এই সিনেমা করেছে বুঝা যাচ্ছে। এর আগে ভাবতাম তাঁর ধুমের চরিত্রটাই বুঝি সবচেয়ে লেইম ছিল।
বোমান ইরানি সহ আর বাকিরা হয়তো অনুরোধে ঢেঁকি গিলেছেন। বুঝতে পারেননি যে আসলে তাঁরা অনুরোধে গু গিলে ফেলেছেন।
নাহলে অনুরাগ কাশ্যপ(ডিরেক্টর: গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর ১,২; প্রডিউসার: কুইন) এবং বিশাল(সংগীত পরিচালক) এই ধরনের চরিত্রে ক্যামিও করবে কেন?
কেন? কেন? কেন?
কোন উত্তর নাই!
ফারাহ খান 'মজা করার' ছলে ব্যক্তিগত কিছু ফাজলামিও করে ফেলেছেন। সরোজ খানকে পঁচিয়ে একটা বিশ্রী সীন করেছেন। সরোজ খানের মতন লেজেন্ডকে নিয়ে এই ফাজলামি! উত্তরে বলেন, "আমরাতো শুধুই মজা করেছি, নাথিং সিরিয়াস!"
তবে আশুতোষ গোয়াড়িকরকে একটা সিরিয়াস ম্যাসেজ দিয়েছেন।
সিনেমায় একটি ডায়লগ আছে, "ভারতীয়দের একটি সমস্যা আছে, এরা অলিম্পিক এবং অস্কারে সব লুজারদেরই পাঠায়।"
বেশ কিছুদিন আগে এক পুরষ্কার অনুষ্ঠানে আশুতোষ গোয়াড়িকারের সাথে ফারাহ খানের আপন ভাই, যে জঘন্যতায় বোনকেও ছাড়িয়ে যাবার ক্ষমতা রাখে, বোন বুর্জ খলিফা হলে সে মাউন্ট এভারেস্ট, সেই সাজিদ খানের ঝগড়া লেগেছিল। সাজিদ আশুতোষের সিনেমা নিয়ে ফাজলামি করছিল, আশুতোষের ভাল লাগেনি। এতে তর্ক তর্কি হয়, ঝগড়াও হয়। অবশেষে ফারাহ এসে তাতে হস্তক্ষেপ করেন।
যাই হোক, আশুতোষের 'লাগান' যে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে অস্কারে গিয়েছিল, এইটাতো সবাই জানেন। ফারাহ সেটা নিয়েই 'রসিকতা' করলেন আর কি।
আপা! 'লাগান' বানাতে প্রচুর মেধা লাগে। আপনার দৌড় ঐ ম্যায় হু না, তিস মার খাঁ পর্যন্তই।
কোরিওগ্রাফি করতেন, সেটাই ভাল ছিল, আস্ত ফিল্ম ডিরেক্টর হবার বুদ্ধি যে কে দিল! ও হ্যা, মনে পড়েছে, শাহরুখ খান!
বঙ্কিম চন্দ্রের উপন্যাসে যেমন হাদিস কুরআনের ব্যাখ্যা খোঁজা নিরর্থক, তেমনি বলিউডের ছবিতেও এখন লজিক খুঁজতে যাওয়া আহাম্মকি।
যদি রেগে যাওয়া নায়কের এক কান দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন, তবে আপনাকে হাসতেই হবে।
ছয়টা লুজার ওয়ার্ল্ড ডান্স চ্যাম্পিয়নশিপে ন্যায়্ভাবেই ট্রফি জিতে যায়, তাহলেও আপনাকে মেনে নিতেই হবে।
কিছু করার নেই।
শাহরুখ-সালমানতো গেল, দেখা যাক 'পি.কে' নিয়ে আমির খান কী চমক আনেন। শুধু এই আমিরের জন্যই হলে গিয়ে হিন্দি সিনেমা দেখতে ইচ্ছা করে।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩০
পলাশের লাল রঙ বলেছেন: "শাহরুখের অভিনয় প্রতিভা যদি ঢাকার শিল্প ব্যাংক ভবনের উচ্চতা হয়, তবে ফারাহ খানের ডিরেকশনের জঘন্যতা (হিন্দিতে শব্দটি হবে 'ঘাটিয়াপানা') হচ্ছে বুর্জ খলিফা টাওয়ার। "
+++
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
আলম দীপ্র বলেছেন: ভালো হয়েছে কিন্তু একটা ছবি দিলে আরও ভালো হত !
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ছবি আপলোড করতে হয় কিভাবে জানি না।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । বাড়তি যোগ করার কিছু নেই । +++++
লাঞ্চ বক্স গতকাল রাতেই দেখতে নিয়েছিলাম । ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । আজ দেখবো ।
অফ টপিকে একটা কথা ভ্রাতা , মাইন্ড করবেন না । হয়তো আপনি অনেক বিজি থাকেন । কিন্তু ব্লগে আরও একটু ইন্টার্যাকশন বাড়ালে ভালো হবে বলে মনে করি ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
ইন্টার্যাকশন বলতে কী বুঝাচ্ছেন ভাই?
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অন্য ব্লগারদের লেখা পড়া ও মন্তব্য করা ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ব্যস্ততার কারণেই এইটা হয়না। নিজে লিখতে লিখতে এবং অফিসের কাজ করতে করতে সময় থাকেনা।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
আলম দীপ্র বলেছেন: এই ব্যাপারে আপনি , একজন ঘূণপোকা ভাইয়েরে টেকি পোস্টঃ সামুতে ছবি আপলোড সমস্যার সমাধান। তিনটি সহজ ধাপ। এই পোস্ট টা দেখতে পারেন ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: কথা সত্য ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: লাঞ্চ বক্স অনেক ভালো লাগছে । সিম্পল , তবুও যেন সিম্পল না । ব্যতিক্রম মুভি ।