নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ইদানিং মানুষ খুব গর্ব করে বলে, "আমি মুসলিম, তবে মৌলবাদী নই!" মৌলবাদী হচ্ছেন যারা "মূলকে" আকড়ে ধরে থাকেন।
যারা শুনেন, তারাও তখন বাহবা বলে উঠেন। কাউকে বলবো কী, আমি নিজেও কিছুদিন আগেও এই কাজটা করতাম।
"মৌলবাদী" শব্দটি যে এখন একটি গালি হয়ে গেছে! পৃথিবীর যাবতীয় অশান্তি - যাবতীয় গন্ডগোলের মূলে আছেন এইসব মৌলবাদীরা।
কাউকে যদি বলি, "আমি মৌলবাদী মুসলিম" - তাঁদের দৃষ্টি সাথে সাথে তীক্ষ্ণ হয়ে যায়।
এখন ইসলাম সম্পর্কে একটু আধটু পড়াশোনা করে জানতে পারলাম, মুসলিম হলে আসলে মৌলবাদিই হওয়া উচিৎ। এবং সব মুসলিম যদি মৌলবাদী হয়ে যায়, তবেই কেবল পৃথিবীতে কোন গন্ডগোল হওয়া সম্ভব নয়।
খেয়াল করে দেখুন, আমি কী শব্দ ব্যবহার করেছি - "সম্ভব নয়!"
ব্যাখ্যা করছি - তবে তার আগে কিছু কথা বলে নেই।
ইদানিং ফেসবুকে এক হুজুরের ভিডিও খুব প্রচার হচ্ছে। তিনি বলেছেন, "মেয়েদের জন্ম হয়েছে বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য এবং স্বামীর সেবার জন্য, আর অন্য কিছুর জন্য নয়।"
তিনি হুজুর মানুষ। গাল ভর্তি দাড়ি আছে, মাথায় টুপি, শরীরে জোব্বা জড়ানো। তিনি ওয়াজের সময়ে যাই বলবেন, অল্পশিক্ষিত (ধর্মের দিক থেকে) মুসলিম জনতা তাই বিশ্বাস করবেন।
এখন আইনস্টাইন এসে যদি আমাকে ফিজিক্স পড়ান, একাউন্টিংয়ের ছাত্র হিসেবে আমি কী তাঁর সাথে তর্ক করতে যাব? অবশ্যই মেনে নিব যে তিনি ফিজিক্স আমার চেয়ে বেশি জানেন। কিন্তু তিনি যদি বলেন, "নিউটনের ল অফ গ্রাভিটির আসলে বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই, সব ভুয়া কথা" - তখন আমি অবশ্যই বলবো, "ভদ্রলোক বুড়ো হয়ে গেছেন, কী বলতে কী বলেন তার কোনই ঠিক নেই।"
কারণ ক্লাস নাইনে ফিজিক্স বইয়ে আমি এই ল সম্পর্কে পড়েছি। নিউটন সাহেবের আপেলের গল্পটি আমারও জানা। এই ব্যপারে অন্তত আমার একটু হলেও জ্ঞান আছে।
হুজুরের ভিডিও দেখে দেশের নারী সমাজ ক্ষেপে উঠেছেন। একটা দলতো কোমর বেঁধে ইসলামকে গালাগালি করাও শুরু করে দিয়েছেন। আরেকদল ভিডিওটা শেয়ার করে বলছে, "এই হচ্ছে প্রকৃত ইসলাম!"
তাঁদের সবার উদ্দেশ্যে বলছি - ইসলাম স্রেফ আল্লাহর বাণী, এবং নবীর জীবনী, এর বাইরে অন্য কিছু নয়। ল অফ গ্রাভিটির মতন, আইনস্টাইন এসে বললেও সূত্র নির্ভুল!
হুজুর যেভাবে নারীদের নিয়ে বললেন, মনে হতেই পারে তাঁদের যেন আমাদের "দাসী" হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানেই আমি আপত্তি তুলছি। ইসলাম সম্পর্কে আমার মোটামুটি যা পড়াশোনা আছে, এবং পৃথিবী বিখ্যাত কিছু ইসলামিক স্কলারের কাছ থেকে যে জ্ঞান পেয়েছি - সেখান থেকে আমি হুজুরের কথার জবাব দেবার চেষ্টা করছি। কারও সন্দেহ থাকলে ভ্যারিফাই করে দেখতে পারেন।
প্রথমেই আসি, কোরআন শরীফে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে। সুরাহ বাকারায় আমরা সেই কাহিনী জানতে পারি -
সবার আগে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন হযরত আদমকে(আঃ)। বেহেস্তের বাগানে অফুরন্ত সুখের মধ্যেও যিনি "সুখী" ছিলেন না। অনবরত প্রার্থণা করতেন তাঁর জন্য যেন আল্লাহ একজন সঙ্গীর ব্যবস্থা করেন। অবশেষে আল্লাহ তাঁর প্রার্থণা কবুল করেন এবং তাঁকে উপহার স্বরূপ তাঁর সঙ্গিনী হিসেবে হাওয়ার (আঃ) সৃষ্টি করেন।
পয়েন্ট টু বি নোটেড, মহিলাদের সৃষ্টিই হয়েছে পুরুষের প্রার্থণার পর প্রার্থণার পর প্রার্থণার পর প্রার্থণায়! একজন মহিলা একজন পুরুষের জন্য আল্লাহর "উপহার" - দাসী নয়। অনেক আরাধনার ফসল! আমি একটুও বানিয়ে বলছি না, কোরআনে স্পষ্ট লেখা আছে।
এবারে আসি দ্বিতীয় পয়েন্টে,
আদমের(আঃ) নামের মানে হচ্ছে (আদম = আ+দাম) Who was created from dead, মানে "মাটি" থেকে। এবং হাওয়ার (আঃ) মানে হচ্ছে someone created from something living. আমরা জানি আদমের (আঃ) পাঁজরের হাড় থেকে হাওয়ার সৃষ্টি। মানে হচ্ছে, পুরুষের চেয়েও মহিলাদের স্থান এইখানে উপরে, আমরা মাটি থেকে সৃষ্ট - ওরা অন্তত জীবিত প্রাণীর থেকে সৃষ্ট! যদিও আল্লাহ অহংকার করতে মানা করেছেন। কাজেই আপাদের প্রতি অনুরোধ, এই তথ্যটি নিয়ে আবার অহংকার করা শুরু করে দিবেন না যেন। একটা ভাল অস্ত্র হিসেবে নিজের পকেটে রাখতে পারেন, ক্ষতি নেই। প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করবেন আর কি।
এখন আমরা বাস্তবেও দেখতে পাই, মেয়েদের মধ্যে স্নেহ-মমতা-ভালবাসা ইত্যাদি মানবীয় গুনাবলী একজন পুরুষের চেয়ে বেশি। কারণ আমরাতো "নির্জীব" পদার্থ থেকেই সৃষ্ট! মানবীয় গুনাবলী আসবে কিভাবে?
মহিলারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, ইসলাম মেয়েদের দাবিয়ে রাখে। নারী পুরুষ সমান অধিকার ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে না।
আপারা, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, "নারী পুরুষ সমান অধিকার ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনা" কথাটা সত্য, তবে ইসলামে নারীর সম্মান পুরুষেরও উপরে। মানে ইসলামী দৃষ্টিতে আপনারা আমাদের চেয়ে একটু বেটার।
বিশ্বাস না হলে কিছু বেসিক উদাহরণ দেই - একজন মহিলা যতদিন গর্ভবতী থাকেন, ততদিন পর্যন্ত তাঁর নামে নফল রোজার সওয়াব দেয়া হবে। চিন্তা করেন! আমরা মাত্র তিরিশদিন রোজা রাখতেই কলিজা শুকিয়ে যায়, সেখানে শুধু গর্ভধারণের কারনেই তাঁরা ২৮০ দিনের রোজা রাখার সওয়াব পেয়ে যান! শুধু তাই নয়, গর্ভাবস্থায় অথবা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে কোন মহিলা মারা গেলে তিনি সরাসরি জান্নাতে চলে যান। বিনা হিসাবে! এই সুযোগ আমাদের আছে? নেই!
তার উপরে মাসিক "শরীর খারাপের" চার দিন সময়ে তাঁদের ফরজ ইবাদত, নামাজ পড়া মাফ। তারউপরে এই সময়টাকে ধরা হয় পাপের জন্য কাফফারা হিসেবে। মানে এই শারীরিক অসুবিধার কারণে তাঁদের অতীতের পাপের সংখ্যা কাটা যেতে থাকে।
রাসূলের বিখ্যাত হাদিস সবাই জানেন। "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।"
একবার এক সাহাবী এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, "কার সেবা করলে আমার আখিরাতে(মৃত্যুর পরের জগৎ) ফায়দা হবে?"
নবীজি (সঃ) উত্তর দিলেন, "তোমার মায়ের।"
সাহাবী আবার প্রশ্ন করলেন, "এরপর কার?"
আবার উত্তর এলো, "তোমার মায়ের।"
আবারও একই প্রশ্ন এবং একই উত্তর। চতুর্থ প্রশ্নে গিয়ে উত্তর ভিন্ন এলো।
"তোমার পিতার।"
মানে হচ্ছে - একজন মায়ের অধিকার একজন পিতার চেয়ে তিনগুণ বেশি। পুরুষ এইবারও পিছিয়ে গেল!
আরেকটা সুক্ষ্ম ঘটনা বলি, আল্লাহর ইচ্ছা বুঝতে হলে সুক্ষ্ম ঘটনার মধ্য দিয়েই বুঝতে হবে। তিনি সরাসরি এসে বলবেন না এইটা এই, আর ঐটা ঐ।
নবীজি (সঃ) যখন ইসলাম প্রচার শুরু করেন, তখন নারী পুরুষ সবার মধ্যে সবার আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কে? তাঁর স্ত্রী হযরত খাদিজা(রাঃ)। একজন নারী! আল্লাহ চাইলে হযরত আবুবক্করকেও (রাঃ) এই সম্মান দিতে পারতেন, তা না করে তিনি দিলেন এক নারীকে! কেন? ভাবতে থাকেন।
ততক্ষণে আধ্যাত্মিক হিসেব ছেড়ে বৈষয়িক হিসেবে যাওয়া যাক।
ধরা যাক একজন ভদ্রলোক মোট পচাত্তুর টাকা রেখে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। ভদ্রলোকের দুই সন্তান, একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে।
এখন ইসলামিক নিয়মানুসারে ছেলে পাবে পঞ্চাশ টাকা, মেয়ে পাবে পঁচিশ টাকা।
এই পর্যন্ত শুনেই সবাই হইচই শুরু করে দেন। আল্লাহ নাকি না ইনসাফি করেছেন! ছেলে মেয়ের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেননি।
কিন্তু এই আল্লাহই বলে দিয়েছেন, একজন নারীর ভরন পোষণের যাবতীয় দায়িত্ব একজন পুরুষের। মানে হচ্ছে, ঐ মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার ফলে তাঁর জীবন যাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তিনটি উপাদান, খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের দায়িত্ব এখন তাঁর ভাইয়ের উপর এসে পড়েছে। মানে ভাই যে পঞ্চাশ টাকা পেয়েছে, সেই টাকায় তাঁরও অধিকার আছে। ভাইকে সেই পঞ্চাশ টাকা থেকেই নিজের বউ বাচ্চা, বিধবা মা, বোনকে পালতে হবে - এই পঞ্চাশ টাকা আরও মোট কতভাগে বিভক্ত হলো! কিন্তু ঐ যে মেয়েটির পঁচিশ টাকা, সেই টাকা শুধুই তাঁর একার। এই টাকা দিয়ে সে লিপস্টিক কিনলো, নাকি আইফোন কিনলো কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না।
মেয়েটি যদি বিবাহিতা হয়, তাহলে ভাইয়ের পঞ্চাশ টাকায় ভাগ না বসালেও তাঁর স্বামীর টাকায়তো তার অধিকার এমনিতেই থাকবে। কিন্তু সেই পঁচিশ টাকায় স্বামীর কোনই অধিকার নেই। মানে এখানেও সে ঐ টাকা দিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে।
ছেলেরা এখানেও পিছিয়ে গেল!
ইসলামী বিয়েতে "দেন-মোহর" নামের একটা প্রথা চালু আছে। কোন ছেলে যখন কোন মেয়েকে বিয়ে করবে, তখন সেই মেয়েটিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পত্তি লিখে দিতে হবে তাঁর 'সিকিউরিটি' হিসেবে। ছেলেটি বিয়ে করে কখনও মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দেয়, মেয়েটি যাতে আর্থিক দিক থেকে নিরাপদ থাকে সেই জন্য এই ব্যবস্থা। এবং এই মোহরের টাকা বাসরের আগেই পরিশোধ করে দিতে হয়। নো হাঙ্কিপাঙ্কি! মেয়েটিকে কিন্তু ছেলের নাম একটা ফুটা পয়সাও ডিপোজিট দিতে হয়না। সে নিজে 'বউ' হিসেবে তার জীবনে আসছে, এই যথেষ্ট! আবার টাকা কিসের? পৃথিবীর আর কোথাও এই নিয়ম চালু আছে?
মুসলিম বিয়েতে তাই মেয়েপক্ষ্যের লোকজনের গলা বেশি উঁচু থাকার কথা। 'জ্বী হুজুরি' ছেলেদের করার কথা। কারণ তারা মোহর দিয়ে মেয়েকে ঘরে আনছে। একটা পয়সাও মেয়ে পক্ষ্যের কাছ থেকে নেবার নিয়ম নেই। মৌলবাদী ইসলামে তাই নিয়ম। আমাদের দেশে উল্টোটা হয়। সেটা দেশের সামাজিক নিয়মের দোষ, রীতির দোষ, ইসলামের না।
বিশ্বখ্যাত স্কলার মুফতি ইসমাইল মেঙ্কের এক লেকচারে শুনেছিলাম, তিনি বলেছেন, "নারীর ভরণ-পোষণের যাবতীয় দায়িত্ব তাঁর স্বামীর। একজন মহিলা যদি তাঁর স্বামীকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চায়, তবে সে কাজ করতেই পারে। তবে তাঁকে অবশ্যই দুইটা দিক খেয়াল রাখতে হবে; এক, পর্দা রক্ষা করা। এবং দুই, ঘরে যাতে অশান্তি সৃষ্টি না হয় সেটা লক্ষ্য রাখা।"
সেদিন এক ছেলে খুব হাসিমুখে বলছিল, "আমি ঠিক করেছি জীবনেও কোন কাজ করবো না। আমার উপরে কোন 'বস' থাকলে আমি সেটা মেনে নিতে পারি না। আমার বউ কাজ করবে, আমি ঘর সামলাবো।"
বউ আদূরে গলায় তখন বলল, "আমার কিউট বেবিটা!"
আমার মুখ সাথে সাথে তিতা হয়ে উঠলো। এক, কামচোর-অকর্মা, আইলসা পুরুষ মানুষ আমি দুইচোখে দেখতে পারিনা।
দুই, বউয়ের ঘাড়ে বসে খাওয়া মেরুদন্ডহীন পুরুষকেতো থাবড়ানোর জন্য আমার হাত নিশপিশ করে।
তুই ফাজিল কাজ করতে চাস না এইটা হচ্ছে আসল কথা। "আমার উপরে বস থাকলে আমি মানতে পারিনা" - এইসব হচ্ছে আজাইরা কথাবার্তা। এইধরনের ছেলেদের বউদের উচিৎ "কিউট বেবিটা" না বলে কোমরে লাথি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বলা, "কাজ না পেলে ঘরে আসবি না। খবরদার!"
ছেলেটা মৌলবাদী হলে তার মেরুদন্ড সোজা থাকতো, স্ত্রীর টাকায় হাত দিত না।
কথাবার্তা খুব বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ উদাহরণ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।
হুজুর বলেছেন,"মেয়েদের সৃষ্টি হয়েছে, বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য, স্বামীর সেবা করার জন্য, আর কোন কিছুর জন্য নয়।" - মানে মেয়েদের বাড়ির বাইরেও যাওয়া নিষেধ।
হুজুরের জন্য প্রশ্ন, হযরত খাদিজার (রাঃ) সাথে নবীজির (সঃ) পরিচয় কিভাবে হলো?
উত্তর আমিই দেই, তিনি তাঁর employee ছিলেন। আমরা মানি নবীজি(সঃ) সারাজীবনে একটিও পাপ করেননি। নব্যুয়াতির পরেতো প্রশ্নই উঠে না, তার আগে জাহেলি যুগেও না। তিনি মূর্তি পূজা করতেন না, মদ্যপান করতেন না। জুয়ার আসরে কখনই যাননি। এমন কী কাপড় চোপড় পর্যন্ত শালীনতার সাথে পড়তেন।
তিনি যদি মনে করতেন নারীদের ব্যবসা করা "পাপ," তাহলে তিনি কী হযরত খাদিজার (রাঃ) চাকরি নিতেন? শুধু চাকরিই নেননি, সেই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মহিলাকে স্ত্রী হিসেবেও গ্রহণ করেছিলেন।
বসরার যুদ্ধের ঘটনা কয়জন জানেন? ইরাকে মার্কিন হামলার বসরার যুদ্ধের কথা বলছি না, ইসলামের "প্রথম সিভিল ওয়ার" হিসেবে কুখ্যাত battle of camel নামেও যে যুদ্ধ পরিচিত, সেটার কথা বলছি।
এই যুদ্ধে হযরত আলী(রাঃ) এবং তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে একদল মুসলমান অস্ত্র তুলেছিল। তাঁদের ধারণা ছিল হযরত উসমানের(রাঃ) হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হযরত আলীর(রাঃ) অধিকার নেই ইসলামের খলিফা হবার। সেই যুদ্ধে তাঁদের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন? হযরত আয়েশা(রাঃ)! নবীজির (সঃ) বিধবা স্ত্রী, 'মুসলমানদের মা' হিসেবে যার পরিচিতি। তাঁর চেয়ে বড় মৌলবাদী পৃথিবীতে আর কে থাকতে পারে?
আফসোস, আমাদের হুজুরের "বাচ্চা জন্ম দেয়া এবং স্বামীর সেবা করার" ফতোয়াখানা তিনি তখন জানতেন না।
হযরত আয়েশার (রাঃ) চেয়েও আমাদের হুজুর ইসলাম ধর্ম বেশি বুঝেন কিনা!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আমরা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে দুশ্চিন্তা করি, জঙ্গি বাহিনী নিয়ে দুর্ভাবনা করি, একটা শিক্ষিত মা কি কখনও তার সন্তানকে নারীবিদ্বেষী, ধর্মান্ধ, জঙ্গি দেশদ্রোহী হতে দেবে? দেবে না।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫১
কাঙাল বলেছেন: কলাবাগানকে বলি,
জাফর ইকবাল স্যারের দেশকে নিয়ে কোন দুর্ভাবনা নাই, কারণ দেশ এখন সঠিক নেতৃত্বেই চলছে। তিন কোটি ছাত্রছাত্রীকেই জিপিএ-৫ পাইয়ে দেবার সর্বাত্বক চেষ্টা চলছে.......
শুরু হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাসের মহোতসব.....
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৭
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
সহমত!
ধন্যবাদ!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৯
মেলবোর্ন বলেছেন: Click This Linkনারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২
তিথীডোর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা- বিষয়বস্তু এবং লেখনী, দুটোই !
সঠিকভাবে পর্দা করেও একটি মেয়ে স্মার্টলি সংসার আর কাজ, একসংগে চালিয়ে যেতে পারে।পুরোটাই মেয়েটার মানসিকতা আর সঠিক ইসলামি শিক্ষার উপরে নির্ভর করে--
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৪৬
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার করে উপস্থাপন করার জন্য
আশাকরি নারীর প্রতি চিন্তা ধারা মানুষ সঠিক ভাবে ভাবতে শুরু করবে যদি তারা আপনার পোস্ট বুঝে
লিখা সকল একসাথে দেখাচ্ছে বিধায় পড়তে একটু অসুবিধা হচ্ছে পোস্ট দেয়ার পর যদি একটু এডিট করতেন -প্যারাগ্রাফ এর পর ব্রেক দেয়া যায় /এচ্টার/ লাইল স্পেস তবে আরো ভালো হতো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার ব্রাউজারে কোন সমস্যা আছে নাকি বুঝতে পারছি না। আমার ব্রাউজারে সব প্যারা হিসেবেই এসেছে।
৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৪১
মেলবোর্ন বলেছেন: আমি ফায়ারফক্স ৩১ আর ইন্টরনেট এক্সপ্লোরার ৮ এ টেস্ট করেছি সেইম প্যরাগুলো সব দেখাচ্ছে। মোবাইল এ আন্ড্রয়েড ইন্টেরনেট ব্র্যজার ভার্সন৬.৫ এ ও একই দেখাচ্ছে সব প্যরা একসাথে। (মনে হয় আমি বুঝাতে পারিনি প্যারাগ্রাফ এর পর এক লাইন ব্রেক এর কথা বলছিলাম)
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: আজকের জাফর ইকবালের লিখা-
"সেই সম্পদটি হচ্ছে আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েরা। এই দেশে তিন কোটি শিশু-কিশোর স্কুলের ছাত্রছাত্রী, পৃথিবীর শতকরা আশি ভাগ দেশে তিন কোটি মানুষই নেই! এই বিশাল সংখ্যার স্কুলের ছেলেমেয়েদের যদি আমরা লেখাপড়া শিখাতে পারি তাহলে এই দেশে যে কী অসাধারণ একটা ম্যাজিক ঘটে যাবে সেটা কি কেউ কল্পনা করতে পারবে? নতুন সহস্রাব্দে তেল, গ্যাস, কল-কারখানা কিন্তু সম্পদ নয়, নতুন সহস্রাব্দে সম্পদ হচ্ছে ‘জ্ঞান’। আর সেই জ্ঞানটা তৈরি করতে, জমা করতে, বাড়িয়ে তুলতে দরকার মানুষ; আরও ঠিক করে বললে বলতে হয়, ‘ছাত্রছাত্রী’। কাজেই আমাদের যে কী বিশাল একটা সম্ভাবনা একবারে দরজায় কড়া নাড়ছে, সেটি কি সবাই জানে?
শুধু কি তাই? আমাদের এই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছেলে আর মেয়ের সংখ্যা সমান সমান। লেখাপড়া জানা এই মেয়েরা যখন ছেলেদের পাশাপাশি সব জায়গায় কাজ করবে, সিদ্ধান্ত দেবে, নেতৃত্ব দেবে এখন যে বিপ্লবটুকু ঘটবে সেটা কি কেউ অনুভব করতে পারছে? আমরা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে দুশ্চিন্তা করি, জঙ্গি বাহিনী নিয়ে দুর্ভাবনা করি, একটা শিক্ষিত মা কি কখনও তার সন্তানকে নারীবিদ্বেষী, ধর্মান্ধ, জঙ্গি দেশদ্রোহী হতে দেবে? দেবে না।
কাজেই, দেশের অনেক মানুষ যখন নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়, আমি তখন ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াই। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কোনো দুর্ভাবনা নেই।"