নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তর্ক / ঝগড়া জেতার অব্যর্থ ফর্মূলা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১০

যদি কেউ একজন একটা কথা বলে, doesn't necessary সবার সেটা ভাল লাগবে এবং সবাইকে সেটার সাথে একমত হতেই হবে। সেটা যেকোন ইস্যু নিয়ে হোক না কেন।
কোন মেয়ে যদি তার স্বামীর ছবি আপলোড করে লিখে "I love my husband" - একদল সেখানে কমেন্ট করবেন, "কী cute!" আরেকদল কমেন্ট করবেন, "এইসব ব্যক্তিগত ব্যপার ফেসবুকে কেন?" আরেকদল হাজির হবে যারা সামনা সামনি প্রশংসা করলেও আড়ালে বলে বেড়াবে, "আহ্লাদী দেখ বান্দির! জামাই যেন খালি তার একারই আছে, মাইনষের আর জামাই নাই!"
কেউ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করে স্ট্যাটাস দেন, একদল লিখবেন, "শাবাস বাঙ্গালি!" আরেকদল লিখবে, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই চাই, কিন্তু তার আগে দেখতে হবে বিচার প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ, এবং প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী কারা, সরকারী দলের সমর্থন করলেই কেউ যেন বাদ না পড়ে যায়..... ইত্যাদি।"
আরেকটা দলও পাওয়া যাবে যারা বলবে, "চল্লিশ বছর আগে কী হয়েছে তা নিয়ে এখন বিচার করে কী হবে? ক্ষমাই মহৎ গুণ!"
আশা করি পয়েন্ট বুঝাতে পেরেছি।
মোট কথা, কিছু পাবলিক থাকবেই আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করবে, সেটা যেকোন বিষয়েই হোক না কেন।
বরাবরের মতই আমি নিজের জীবনের উদাহরণ দিতে যাচ্ছি যাতে আপনাদের নিজেদের জীবনের সাথেও মিল খুঁজে পান।
আমার দেশের একটা বিরাট অংশের জনগণের ধারণা অ্যামেরিকা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম দেশ। একেকজনের একেকরকম অভিযোগ।
ছোটবেলায় সিলেটের একটা শিল্পী গোষ্ঠীতে যখন ছিলাম - যেখানে বেশিরভাগ শিল্পীই হিন্দু এবং কমিউনিস্ট চেতনায় "চেতিত," তাঁদের অভিযোগ ক্যাপিটালিস্ট অ্যামেরিকা হচ্ছে বিশ্বমানবতার প্রতি হুমকি স্বরূপ।
দেশের তামাম মুসলিম জনগোষ্ঠির কাছে অ্যামেরিকা হচ্ছে ইবলিসের আরেক নাম। এখানে মুসলমানদের কোন অধিকার নেই, "Your name is Khan so you are a terrorist" - type কথাবার্তা আর কী।
দেশে থাকতে খৃষ্টান বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে সেভাবে ঘনিষ্ঠভাবে মেশা হয়নি, কাজেই তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি আমি জানিনা। তবে ধরে নেই সেটাও নেগেটিভ।
এখন সমস্যা হচ্ছে, আমি এইদেশে এসে সম্পূর্ন বিপরীত চিত্র পেয়েছি। অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রনীতি যতই জঘন্য হোক না কেন, এদের অভ্যন্তরীণ কাঠামো বা সিস্টেম নিঃসন্দেহে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ। এরা যা করে নিজেদের জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই করে। আপনি বাংলাদেশ থেকে আসেন, আপনি আফ্রিকা থেকে আসেন কিংবা আপনি এন্টার্কটিকা থেকে আসেন, অ্যামেরিকায় থাকা শুরু করলে আপনি "অ্যামেরিকান।"
দেশটি যে কয়েকটা স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত, তার একটি হচ্ছে, এদেশের নাগরিক যেকোন ধরণের ধর্মচর্চা করতে পারবে, আমাদের দেশে যেটা নিয়ে সবার অভিযোগ। যে কারণে, মুসলিম হবার পরেও আমি কখনই "সংখ্যালঘু" উপলব্ধি করিনা। আমি জানি, আমার কোন সমস্যা হলে পুলিশ (সাদা/কালো/হলুদ, হিন্দু/বৌদ্ধ/খৃষ্টান অথবা মুসলিম যেকোন ধর্মের হোক না কেন) আমার পাশে এসে দাঁড়াবে। আইনের প্রয়োগ এখানে সর্বোচ্চ।
যে কারণে মাল্টিমিলিয়ন ডলারের মালিকেরও গাড়ির পিছনে সামান্য বেতন পাওয়া পুলিশ লাইট জ্বালিয়ে দিলে ধনী ব্যক্তির কলিজা শুকিয়ে যায়। কারণ এখানকার পুলিশ ঘুষ খায়না, এবং ধনী গরিব বিবেচনা করে বিচার করেনা। আইন এখানে সবার জন্য সমান, এবং কারও বাপের সাধ্য নেই আইনের হাত থেকে বাঁচার। জর্জ বুশ নিজে প্রেসিডেন্ট হবার পরেও নিজের ড্রাইভিং রেকর্ড থেকে "ড্রাংক ড্রাইভিং"-এর কলঙ্ক মুছাতে পারেননি। তাঁর আব্বাজানও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। শুনেছি তাঁর কন্যারও একই রেকর্ড হয়েছে - তাও আবার তিনি নিজে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়! (মেয়ের গঞ্জিকা সেবনের খবরটি অ্যামেরিকার ম্যাগাজিনের সৌজন্যে প্রাপ্ত, কতটুকু বিশ্বস্ত জানিনা, ৯০% চান্স আছে মিথ্যা হবার, ১০% সত্য হলেও হতে পারে। হলুদ সাংবাদিকতা এই দেশে শিল্প স্বরূপ।)
দেশের মানুষের আরেকটা মিসকনসেপশন, "অফিসে যদি কেউ জানতে পারে কেউ 'মুসলিম' তখন আর চাকরি হয়না, অথবা চাকরি চলে যায়।"
এই ব্যপারেও আইন আছে এবং অফিসগুলো সেসব কড়াকড়িভাবে মেনে চলে। নাহলে ল স্যু করে কোম্পানিগুলোকে একেবারে ফকির বানিয়ে দেয়া হবে।
তাই কেউ যদি দাবী করেন, "আমি মুসলিম বলে চাকরি পাচ্ছি না" অথবা "আমি মুসলিম বলে চাকরি চলে গেছে" - এইধরণের ফালতু কথাকে বিশ্বাস করা নিজের বিদ্যার অভাবকেই প্রমাণিত করবে।
তো যাই হোক, যে কথা বলছিলাম, আমি অ্যামেরিকার ভিন্ন রূপের সাথে পরিচিত হয়ে উপলব্ধি করলাম দেশের বন্ধুবান্ধবদেরও মিসকনসেপশন দূর করাটা জরুরী। কারণ ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি থেকেই বড় বড় সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
আমি তাঁদের ভুল ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করলাম। স্ট্যাটাস লিখলাম, গল্প বলার ছলেও অনেক ইনফরমেশন দিয়ে দিলাম।
কেউ কেউ বিশ্বাস করলো, কেউ দাবী করলো আমি এক্সেপশনাল কেস, তারা এতদিন যা জেনে এসেছে সেটাই সঠিক।
মজার কথা হচ্ছে, আমি দিচ্ছি প্র্যাকটিকাল উদাহরণ, অ্যামেরিকায় বেশ কয়েক বছর থেকে, পড়াশোনা ও কাজ করে, সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা করে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেখা উদাহরণ। আর যারা আমাকে মিথ্যাবাদী, অ্যামেরিকার দালাল এবং "মাতবর" বলছেন, তাঁদের বেশিরভাগের দৌড় নিজের শহরের গন্ডি পর্যন্তই। দুই একজন বিদেশ যাত্রা করলেও এশিয়ার বাইরে কখনও আসেননি। তাঁদের জ্ঞানের উৎস দেশের প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশিত খবর এবং that's it. কোন প্রবাসীর সাথেও সরাসরি কথা বলে এই জ্ঞান লাভ করেননি তারা।
তাঁরা যখন তর্ক জুড়ে দেন, তখন মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন। সত্যিই কঠিন। এবং খুবই কঠিন। কিন্তু বুদ্ধিমান মানুষের লক্ষণ হচ্ছে, মাথা ঠান্ডা রাখা। গলা উঁচু করা মানেই কিন্তু আর্গুমেন্টে হেরে যাওয়া। এর একটাই মানে হয়, নিজের পক্ষ্যে যুক্তির অভাব পড়েছে বলেই গলা চড়াতে হচ্ছে।
স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াগুলোই দেখুন।
"তরকারীতে লবণ দাওনি কেন?"
"রান্নাবান্নায় তুমি কখনও কোন হেল্প করো? আমাকে ঘরের কাজের বুয়া পেয়েছো? যা রেঁধেছি তাই খাও!"
"দূর শালার খাবই না!"
স্বামী প্লেট ছুড়ে চলে গেলেন। স্ত্রীও রাগের মাথায় খাওয়া বন্ধ করে দিলেন।
একই দৃশ্য ভিন্নভাবে দেখলে কেমন হয়?
"জানু, তুমি যে কী অসাধারণ রান্না কর তুমি জানো?"
"যাক! এই প্রথম তোমার মুখ থেকে কোন প্রশংসা শুনলাম। নাহলে সবসময়েইতো অন্যের রান্নারই প্রশংসা করো।"
"আরে, তোমার রান্নায় মুগ্ধ বলেইতো তোমাকে নিয়ে সংসার করছি। অন্যের সাথে কী বিয়ে করেছি? হেহেহে।"
"ফালতু রসিকতা রাখোতো।"
"সিরিয়াসলি, তোমার গরুর মাংসের তুলনা হয়না! মানুষের উচিৎ তোমার কাছ থেকে রেসিপি নিয়ে শেখা।"
"যাও! এতটাও প্রশংসা করতে হবে না।"
"নিজের বউয়ের প্রশংসা করবো নাতো কার প্রশংসা করবো? এখন যাওতো, রান্না ঘর থেকে একটু লবণ এনে দাওতো। আমার মুখে ইদানিং কিছু একটা হয়েছে, লবণের স্বাদ টের পাচ্ছি না।"
খুব বেশি চান্স আছে বউ খুশি মনে গিয়ে লবণ নিয়ে আসবে। এবং নিজেও যখন মাংস মুখে তুলবে, লবণের ঘাটতি বুঝতে পেরে বলবে, "স্যরি, আজকে লবণ ঠিক মতন হয়নি।"
ঝগড়া কখনই কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেনা। ঝগড়া মানুষের মনে জেদ সৃষ্টি করে। তখন সেটা সঠিক হোক বা বেঠিক হোক, সেটাই মেনে নিতে হবে! গলাবাজি চলবে - ফ্রুটফুল কিছু বেরোবে না। এইটা ফ্যাক্ট। বিশ্বাস না হলে আমাদের দেশের সংসদ অধিবেশন একবার দেখে নিতে পারেন।
মানুষ নিজে যা বিশ্বাস করে, তার বিপরীতে নতুন কিছু সহজে গ্রহণ করতে চায়না। সে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তর্ক করার চেষ্টা করে। সময়ের সাথে সাথে গলা চড়তে থাকে। তর্ক এক পর্যায়ে ঝগড়ায় পরিণত হয়। এবং শুরু হয় ব্যক্তিগত আক্রমণ ও গালাগালি। যুক্তির বদলে গলার জোরে তখন ফ্যাক্ট স্টাবলিশ করার চেষ্টা করা হয়। সবচেয়ে খারাপ হয় যখন মানুষ ভায়োলেন্ট হয়ে যায়। চড় থাপ্পড়, হাতাহাতি থেকে চেয়ার ছুরাছুরি, কখনও কখনও মার্ডার! এইটাই চারিদিকে ঘটে আসছে। আমি এতটুকুও বানিয়ে বলছি না।
যেকোন রাজনৈতিক মতবাদ নিয়ে আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের সম্পদের যে ভাংচুর চলে - সেটা একটা বড় উদাহরণ।
আমি যেহেতু সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে লিখি, আমার সাথে প্রায়ই মানুষের তর্ক বেঁধে যায়। আমি বিভিন্ন রিসোর্স, রেফারেন্স ঘাটাঘাটি করে "ফ্যাক্ট" জেনে বুঝে আগে নিজে বিশ্বাস করে তারপরে লিখতে বসি। নাহলে আমার "ফ্লো" আসেনা।
কাজেই আমি যা লিখি তা পুরোটাই আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লেখা এবং আমার বিশ্বাস সেটাই সঠিক।
আমি জানি অন্যেরও একটা পয়েন্ট অফ ভিউ থাকে এবং তারও বিশ্বাস থাকে সেও সঠিক। সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আমাকে বুঝাতে যে আমি ভুল। আমিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করি তাঁকে শুধরে দিতে। চলতে থাকে যুক্তির লড়াই, প্রমাণের লড়াই।
বেশিরভাগক্ষেত্রেই বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ গলা চড়াতে শুরু করেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন এবং মাঝে মাঝে সেটা গালাগালি পর্যন্ত গড়ায়।
আমিও মানুষ, আমারও ভীষণ শর্ট টেম্পার ইস্যু আছে, এবং আমিও সহজেই রেগে উঠি। মাঝে মাঝে আমারও ইচ্ছে করে চেয়ার ছুড়ে মারতে।
তবে নিজেকে সামলে নিয়ে কোনরকম "ভালগার" শব্দ ব্যবহার না করে আমি চেষ্টা করি সর্বোচ্চ ভদ্রতার সাথে যুক্তিখন্ডনের।
একটা ব্যপার আমি বিশ্বাস করি, কয়েক মণ দুধকে নষ্ট করতে এক ফোঁটা গোমূত্রই যথেষ্ট, তেমনি ম্যাসেজ যতই পবিত্র ও কল্যাণের জন্য হোক না কেন, সেখানে গালাগালি বা ভালগার শব্দ ঢুকে গেলে সেটার সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
এখন দেখা যাবে এই ব্যপারেও নানান মত বেরিয়ে গেছে।
"সহমত! লাইক ও শেয়ার দিলাম!"
"কথা আংশিক সত্য, তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসে, তবে তাকে উচিৎ শিক্ষা দেয়াটাও জরুরী। এবং গালির জবাবে গালি না দিলে সে দূর্বল ভেবে বসবে....।"
"বরাবরের মতই আজাইরা কথাবার্তা। ফালতু! নিজেকে বেশি মাতবর ভাবার চেষ্টা করছে। তুমি মানুষকে উপদেশ দেবার কে?"
আমার দাদা একটা কথা সবসময়ে বলতেন, যা আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছেন, "রিকশাওয়ালাদের সাথে কখনও এক দুই টাকা নিয়ে ঝগড়া করবা না। তুমি যদি তাকে মারো অথবা গালি দাও, তার কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু সে যদি পাল্টা তোমাকে মেরে বসে অথবা গালি দেয়, তোমার সম্মান লুটপাট হয়ে যাবে। সম্মান কামাতে বছরের পর বছর চলে যায়, খোয়াতে এক মুহূর্তই যথেষ্ট।"
আপনি গালির জবাবে পাল্টা গালি দিয়ে বসলেন, সে কিন্তু থামবে না - যেহেতু তার গালাগালির এক্সপিরিয়েন্স আপনার চেয়ে বেশি, এবং সে কেয়ার করেনা নিজের সম্মানের, সে মুখ থেকে মেশিনগান ছুটিয়ে নিজের জাত চেনাবে। আপনি আপনার মান্ধাতা আমলের টুটাফুটা থ্রী নট থ্রী রাইফেল দিয়ে কতক্ষণ লড়বেন? উল্টো ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে নিজের ব্লাড প্রেশার হাই করবেন।
বরং আপনি যদি সর্বোচ্চ ভদ্রতার সাথে তার সাথে তর্ক করেন, যেখানে সে আপনার মা বোন দাদী নানীদের টেনে আনছে, অথচ সেখানে আপনি বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে সর্বোচ্চ ভদ্রতা দেখিয়ে যাচ্ছেন - তাহলে কেবল দুইটা ফলই আসে সেই তর্ক থেকে -
১. সে আপনার ক্রমাগত ভদ্রাচরণে "বিদ্ধ" হতে হতে নিজের দোষ বুঝতে পেরে মনে মনে পাপ বোধ করবে। এক পর্যায়ে নিজের ভুল শিকার করে নিবে।
২. সে এত গালাগালি করেও আপনাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে না দেখে নিজেই ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে যাবে। আপনি বুঝতে পারবেন সে উত্তেজনায় লাফাচ্ছে, মুখ দিয়ে ফ্যানা বেরোচ্ছে এবং ব্লাডপ্রেশার হাই করে বসে আছে। Trust me, এই দৃশ্য আপনাকে বিমলানন্দ দিবে। আপনি তখন বিপুল উৎসাহে আরও বেশি বেশি, একেবারে মহামানব পর্যায়ের ভদ্রতা চালিয়ে যাবেন।
তারচেয়ে বড় কথা, এক পর্যায়ে সেও নিজের লিমিট অতিক্রম করে আর না পেরে নিজের হার স্বীকার করে নিবে।
লোকে অবাক হয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে ধর্মীয় মহামানবদের কথা আলাদা, সাধারণ মানুষ হয়েও মহাত্মা গান্ধী কিভাবে আজীবন অহিংস আন্দোলন চালিয়ে গেছেন?
উত্তর খুবই সহজ, "চালাক বুড়োটা" (তাঁর প্রিয় বন্ধু জিন্নার ভাষায়) ইংরেজদের ফ্রাস্ট্রেশন দেখে মুচকি মুচকি হাসতেন আর তাদের পিত্তি জ্বালিয়ে দিতে নিজের মহত্ব আরও বাড়িয়ে দিতেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৯

কলাবাগান১ বলেছেন: "যে কারণে, মুসলিম হবার পরেও আমি কখনই "সংখ্যালঘু" উপলব্ধি করিনা। আমি জানি, আমার কোন সমস্যা হলে পুলিশ (সাদা/কালো/হলুদ, হিন্দু/বৌদ্ধ/খৃষ্টান অথবা মুসলিম যেকোন ধর্মের হোক না কেন) আমার পাশে এসে দাঁড়াবে। আইনের প্রয়োগ এখানে সর্বোচ্চ। "

তারপর ও ব্লগে গল্প ফেদে বসে যে আমেরিকান রাস্তায় সিরিয়ান সৈন্য এসেছে আমেরিকান দ্বারা মুসলিম হত্যার বদলা নিতে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: তাই নাকি? শুনি নাইতো কখনো। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.