নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ঘটনা: সাবেক প্রধাণমন্ত্রীর পুত্রবিয়োগে সান্তনা দিতে তাঁর দলীয় কার্যালয়ে বর্তমান প্রধাণমন্ত্রীর গমন। প্রধাণমন্ত্রীকে জানানো হয় শোকাহত মাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে, দেখা হবেনা। প্রধাণমন্ত্রীও বন্ধ গেট দেখে বাড়ি ফিরে যান।
এখন দলকানাদের মন্তব্য সমূহ:
আম্লীগ:
"সবই অভিনয়। ছেলে মারা গেলে কোন মা ঘুমাতে পারে?" (ভাই, যা জানেন না, তা নিয়ে মন্তব্য করলে মানুষ (শুধুমাত্র দলকানা বাদে) আপনাকেই আহাম্মক বলবে। যেকোন ডাক্তার যেকোন শোকাহত বয়ষ্ক মানুষকে মাত্রাতিরিক্ত শোক সামলাতে এখনও ঘুমের ওষুধই ইনজেক্ট করে। বিশ্বাস না হলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন।)
"মাছের মায়ের আবার পুত্রশোক।" (মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। লেখকের রুচীর পরিচয় পাওয়া যায়।)
"এইট পাশ মহিলার থেকে এরচেয়ে বেশি শিষ্টাচার আশা করা যায়?" (আবারও মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। দলকানাদের প্রধাণ লক্ষ্যই হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণ।)
বিম্পি:
"বিশদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখে এখন আবার লোকদেখানো মহত্ব দেখাতে এসেছে।" (ভাই, আপনারাও তাহলে লোকদেখানো একটু মহত্ব দেখিয়ে গেইটটা খুলতেন। দুই পক্ষ্যই যদি ফাজলামি করতে থাকে, তাহলে কেমনে চলবে?)
"ঠিকই হয়েছে। এখন বুঝুক কেমন লাগে।" (মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। অভদ্রজনে কী করিয়া বুঝিবে, "শিষ্টাচার" কাহাকে বলে?)
"এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেই চলে গেছেন। শোক বই নিয়ে এসে দেখা গেল প্রধাণমন্ত্রী নাই। এতেই বুঝা যায় তিনি কতটা আন্তরিক ছিলেন।" (যতদূর মনে হয় এপয়েন্টমেন্ট নিয়েই এসেছিলেন। দেশের প্রধাণমন্ত্রী আসছেন, কোন মুদির দোকানদার নয়। "শোক বই" আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা যেত। গেইটটাও খোলা রাখা যেত।)
এক বন্ধু স্ট্যাটাস দিলেন, "এ বড়ই আজব গেট, বাইরের কেউ ভিতরে যেতে পারেনা, ভিতরের কেউও বাইরে যেতে পারেনা।"
এইটাই সত্য ঘটনার সারমর্ম! অসাধারণ!
কথা হচ্ছে সবকিছুতেই প্যাচ খুঁজে বের করতে পারার একটা দুর্দান্ত ক্ষমতা আমাদের আছে।
যেকোন ঘটনায় আন্দাজে কিছু একটা ভেবে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে চলে আসি। চিন্তাও করিনা ঘটনাটা কতখানি মন গড়া! আমাদের হাতে কতই না আজাইরা সময়!
যাই হোক, পুত্রহারা মায়ের প্রতি রইলো সমবেদনা। প্রতিদিন বার্ন ইউনিটে যেসব রোগী ভিড় বাড়াচ্ছেন, তাঁরাও কারও না কারও সন্তান। সেইসব মায়েদের প্রতিও রইলো সমবেদনা।
এবং দেশের আপামর জনসাধারনের জন্য দোয়া, তাঁদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে তাঁরা যেন ভাল খারাপের পার্থক্য বুঝতে শেখে। যেদিন দেশের আশি ভাগ মানুষের এই বুদ্ধির উদয় হবে, সেইদিনই আমার দেশ একদম বদলে যাবে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন্জুরুল আলম ভাইয়ের পোস্ট পড়ুন।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ, উত্তম নিরপেক্ষ পোস্ট
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৯
মন্জুরুল আলম বলেছেন: অলরেড়ি আপনার পোষ্টে দলকানার আগমন ঘটেছে.....উনি অলটাইম ঘরে-বাইরে খেলে বেড়ায়
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহা
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
সুফিয়া বলেছেন: পুত্রহারা মায়ের প্রতি রইলো সমবেদনা। প্রতিদিন বার্ন ইউনিটে যেসব রোগী ভিড় বাড়াচ্ছেন, তাঁরাও কারও না কারও সন্তান।
সেই মায়েদের কষ্টও একই। তাই ভাবতে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ। ভালো লাগল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫১
খেলাঘর বলেছেন:
শেখ হাসিনা সঠিক কাজ করেননি; কোকো অসৎ ব্যবসায়ী ছিলেন, আইন তাকে শাস্তি দিয়েছে; তার মৃত্যুতে উনার এসব করা ঠিক হয়নি।
উনার উচিত ছিল, যারা বোমায় মারা গেছে সেই সব পরিবারদের বংগভবনে এনে কথা বলা; উনি সঠিক কাজ করেননি অবরোধের মাঝে বিএনপি অফিসে গিয়ে।