নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীরের মুরিদ হওয়া একটি জাহেলি আরব প্রথা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৮

প্রথমেই ডিসক্লেইমার দিয়ে দিচ্ছি: এই লেখায় আমি আমার দেশের কোন ডাক্তারকেই ছোট করে তুলে ধরার চেষ্টা করছি না। কেউ একজন তিরিশ-চল্লিশ বছর ধরে ডাক্তারি করছেন, তার মানে এই না তিনি পৃথিবীর প্রায় প্রতিদিন আপডেটেড হওয়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবকিছু জেনে বসে আছেন। "ল্যাক অফ নলেজ" কখনই কারো জন্য অপমানজনক হবার কথা নয়, যদিও দেশের আল্ট্রা সেনসিটিভ পোলাপান কথায় কথায় "স্বেচ্ছায়" নিজের দিকে ইস্যু টেনে নিয়ে অপমানিত হতে পছন্দ করেন।
২০০০-০১ সালের দিককার ঘটনা। আমার বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠে ও বুকের ডানদিকে ব্যথা অনুভব করেন। তিনি প্রথমে গেলেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার দেখাতে। অতি বিখ্যাত ডাক্তার। প্রফেসর মানুষ। নাম বলতে চাইছি না।
তিনি কিছু পরীক্ষা করে বললেন, "আপনার হার্টে সমস্যা।"
আব্বু বললেন, "হার্টে সমস্যা হলেতো বাম দিকে হবার কথা, আমার ডান দিকে ব্যথা হচ্ছে।"
তিনি বললেন, "ডাক্তার কী আপনি, না আমি?"
এরপরতো কোন কথা থাকেনা।
ডাক্তার সাহেব বেশ কিছু ওষুধ প্রেসক্রাইব করলেন।
আব্বু সারা জীবন ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেছেন, কাজেই ওষুধ সম্পর্কে তাঁর ভালই জ্ঞান আছে। ওষুধগুলো দেখে তিনি আৎকে উঠলেন। তবু ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ীই ওষুধ খেলেন।
রাত ১টা-২টার সময়ে আব্বু আমাদের ডাক দিলেন। আমরা তিন ভাই বোন ছুটে গিয়ে দেখি আব্বু বিছানায় বসে আছেন। বিছানায় শুলেই তাঁর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। বসে থাকলেই যা একটু শ্বাস প্রশ্বাস চালাতে পারছেন!
তিনি ধরে নিয়েছিলেন সেই রাতটাই হয়তো তাঁর জীবনের শেষ রাত্রি। আমরাও সেইরকমই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
ভোর রাতের দিকে তিনি শুয়ে ঘুমাতে পেরেছিলেন। পরেরদিন সকালে আবারও সেই ডাক্তারের কাছে হাজির হলে ডাক্তার বললেন, "আমি আপনাকেই এক্সপেক্ট করছিলাম, আসলে আমি একটু ওভার ডোজের ওষুধ দিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা আপনার স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেয়া বন্ধ করে দিতে পারে।"
এই ঘটনার পরে আব্বু আর সিলেটে কোন ডাক্তারের উপর ভরসা রাখতে পারলেন না। ঢাকায় চলে গেলেন।
নতুন ডাক্তার প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন, "এর আগে কাউকে দেখিয়েছেন?"
"জ্বী। সিলেটে দেখিয়েছিলাম।"
"কাকে?"
আব্বু প্রফেসর সাহেবের নাম বলেন।
"তাহলে আপনি আমার কাছে এসেছেন কেন? উনিতো এই ফিল্ডে মায়েস্ত্রো!"
নতুন ডাক্তাররা আর কোন কথা শুনতে চাননা। ব্যপারটা অনেকটা এমন, "আইনস্টাইন যা বলে গেছেন, তাই ফিজিক্স। এর বাইরে আর কিছু ঘটা সম্ভব নয়।"
আব্বুর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে লাগলো। ডান হাতের মাসল অস্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে যেতে লাগলো। দেশের কোন ডাক্তারের কাছে এর কোন জবাব নেই। সবাই একই কথা বলছেন, "যেহেতু বুকে ব্যথা করে, সেহেতু হার্টে সমস্যা।"
ওষুধ পাল্টে শুধু, অসুখ না।
এই সময়ে আমাদের ঘরে প্রচুর শুভাকাংখীর আগমন ঘটে।
"অমুক পীরের কাছে যাও, উনার কাছে দ্বীন দুনিয়ার যাবতীয় সমস্যার সমাধান আছে।"
"তমুক পীর বেশি পাওয়ারফুল, এই ঐ রোগীকেও তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই সারিয়ে ফেলেছেন।"
"ভাল গণক দেখিয়ে একটা পাথর নাও। ইন শা আল্লাহ, রোগ সেরে যাবে।"
ডুবন্ত মানুষ খরকুটো আঁকড়ে ধরেন। প্লাস আমার বাবা ভীষণ ধার্মিক ছিলেন। বাংলাদেশের ধার্মিক মানেই "অশিক্ষিত ধার্মিক" যারা না জেনে বুঝেই অনেক অধর্মকে ধর্মের অংশ মনে করেন। পীর ফকিরের শরনাপন্ন হওয়াটা যাদের একটি।
একটা ভন্ড আব্বুর সমস্যা শুনেই বলল, "আপনাকে জাদু করা হয়েছে। জাদু কাঁটাতে গরু সিন্নি করা লাগবে।"
আরেকটা বলল, দুষ্টু জ্বীনের আছর হয়েছে। তিনটা কবুতর আর কিছু পোলাওর চাল, খাঁটি ঘি ইত্যাদি দিয়ে সিন্নি করতে হবে।
কোন এক আত্মীয় তেলপড়া নিয়ে এলেন। ওটা নাকি ব্যথার স্থানে মালিশ করলে ব্যথা সেরে উঠবে।
মজার ব্যপার এর অনেক বছর পর "সান্ডি সুধা" নামে একটা তেল ইন্ডিয়ার বাজারে এলো। টেলিভিশনে জ্যাকিশ্রফ এই তেল বিক্রির মডেল হলেন! এই তেল মালিশ করলে হাড্ডির ক্ষয় রোগ সেরে যায়! লজিক কী? কোন লজিক নেই!
যাই হোক, বহু যন্ত্রণার পর পরবর্তিতে যখন ইন্ডিয়াতে (চেন্নাই) গিয়ে ডাক্তার দেখানো হলো, ওরা সামান্য কিছু পরীক্ষা করেই (MRI) বলে ফেলল, "আপনার হার্ট বয়সের তুলনায় অতিরিক্ত ভাল আছে। যে ওষুধ খাচ্ছেন, ওটা কন্টিনিউ করলে উল্টো মারা যাবেন। আসল সমস্যা স্পাইনাল কর্ডে, মেরুদন্ডের হাড্ডি ক্ষয় হচ্ছে।"
তাঁরা কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে বললেন যদি কয়েক মাসের মধ্যে ইমপ্রুভ না ঘটে, তাহলে অপারেশন লাগবে। এবং শেষ পর্যন্ত অপারেশন করেই আব্বুকে সুস্থ্য হতে হলো।
মজার ব্যপার, অপারেশন শেষে আব্বু যখন সুস্থ হয়ে সিলেটের সেই মায়েস্ত্রর সাথে দেখা করতে গেলেন, মায়স্ত্র বলেছিলেন, "একটা অনেস্ট কথা বলি ভাই, আমার নিজের হার্টের চিকিৎসার জন্য আমি দিল্লি যাই।"
দেশের মেডিক্যাল সায়েন্স এখন অনেক ইমপ্রুভ করেছে। আব্বুর স্পাইনাল কর্ডের সেই অপারেশন এখন ঢাকাতেও হয়। আমাদের দেশে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। বাইপাস সহ হার্টের জটিল জটিল অপারেশন এখন দেশে হচ্ছে। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান আরও এগিয়ে যাক। সেই শুভকামনা।
কথা হচ্ছে, পীরের কাছে ধরণা দেয়ার অভ্যাসটা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটা মানুষেরই আছে। আস্তিকেরাতো যাচ্ছেই, নাস্তিক-বিধর্মীদেরও আমি ওদের দরবারে শুকনো মুখে জিকির করতে দেখেছি। বিপদে পড়লে সবারই মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। তখন সবাই মিরাকেলের আশায় "সুপার আস্তিক" বনে যান। এদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত, সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। এরাই সমাজের মাথা, এবং এরাই কিছু ভন্ডের সামনে অনায়াসে মাথা নত করেন! অতিরিক্ত কোন কিছুই যে ভাল না, সেটাই সবাই ভুলে যায়।
জীবনে ঝামেলা আসবেই, এবং সেই ঝামেলা কিভাবে সামলানো যায় সেটারও কিছু তরিকা আছে। মানুষের সমস্যা হলো, সে সবকিছুতেই শর্টকাট খুঁজে। আঙ্গুল বাঁকানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে প্রথমেই চামচ দিয়ে ঘি তুলে ফেলে।
একটা ফাইল ছুটাতে হয়তো তিনমাস সময় লাগবে। আমরা কর্মকর্তার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দেই, যাতে এক সপ্তাহের মধ্যেই ফাইল রিলিজ হয়ে যায়।
ডাক্তারের চেম্বারে বিশাল সিরিয়াল, আমরা কম্পাউন্ডারকে কিছু টাকা দিয়ে দেই, যাতে সিরিয়ালে আমাদের নাম এগিয়ে আসে।
তারপর এই আমরাই "দুর্নীতিবাজ" বলে অন্যদের গালাগালি করি। ওদের দূর্নীতি শিখিয়েছে কে সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
ঠিক যেমনটা বেশ্যাদের সমাজের নিকৃষ্টতম সম্প্রদায় গন্য করা হয়। অথচ নিশিরাতে সমাজের স্ট্যাটাসওয়ালা লোকেরা যখন তাঁর দরজায় গিয়ে কড়া নাড়ে, সেটা নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনা।
টপিক অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। লেটস গো ব্যাক টু "পীর-ফকির" এগেইন।
তো যা বলছিলাম, আমাদের মুসলিম সমাজ তথাকথিত পীরদের অনেক উঁচু অবস্থানে বসিয়ে দেয়।
এরাও চোখের সামনে "মিরাকেল" ঘটিয়ে তাদের অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে থাকে। শুন্য থেকে ফল-ফ্রুট, কবুতর ইত্যাদি ধরে আনে।
রাস্তায় পাঁচ ছয় টাকা বখশিসে ম্যাজিক দেখানো লোকটিও যখন একই খেলা দেখায়, তখন আমরা তাকে পাত্তাই দেই না। লেবাস পরিবর্তন হলেই আমরা একই খেলার খেলোয়ারকে পারলে সিজদা দিয়ে দেই!
উপরওয়ালা আমাদের মগজ দিয়েছেন সেটা খাটিয়ে বুদ্ধি বের করতে। আমরা সেটাকে শোকেসে তুলে তালাবদ্ধ করে রেখে দিয়েছি।
এদের দেয়া "পানি পড়া" খেয়ে আমাদের রোগ সাড়ে। এদের দেয়া "কলম পড়া" নিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা পরীক্ষা দিতে যায়। এদের দেয়া তাবিজ কোমরে বেঁধে সন্তান জন্ম দেয়া হয়।
কোথাও কোথাও এই ফাজলামি চরম পর্যায়ে উঠে। হুজুরকে গোসল করানো হয়, এবং সেই গোসলের পানি আহাম্মক মুরিদেরা পবিত্র মনে করে খায়।
আমি একজন পীরকে চিনি যিনি পান খেয়ে থুথু ছিটাতেন, মুরিদেরা সেই ছুড়ে ফেলা চাবানো পান সুপারির ছোবড়া কাড়াকাড়ি করে নিয়ে তাবিজ বানিয়ে গায়ে ঝুলাতো। কেউবা প্রতিদিন সেই উচ্ছিষ্ট ধুয়ে পানি খেত! এতে নাকি অনেক বরকত হয়! নেক নিয়্যত থাকলে সেই বরকত উপলব্ধিও করা যায়!
কত সংসার যে ভাঙ্গে এদের কারনে!
"হুজুর আমার স্বামী ইদানিং আমার সাথে হেসে কথা বলে না।"
হুজুর শুনিয়ে দিল, "ওর আরেক জায়গায় প্রেম চলতাছে।"
স্ত্রীর মনে ভয়, সন্দেহ ঢুকে গেল। শুরু হলো অশান্তি। এবং একটা সময়ে তালাক!
বেকুব মহিলা এইটুকুও ভাবার প্রয়োজন বোধ করলো না যে ব্যবসায়িক কারনেও স্বামী অন্যমনষ্ক থাকতে পারে। চাকরির ব্যপারেও অন্যমনষ্ক থাকতে পারেন। আরে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভরাডুবি রেজাল্টও এমন আচরণের কারন হতে পারে! পীরের কাছে না গিয়ে স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞেস কর, তাহলেই সব কেস solved!
আমি একবার এদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম, একজন মুরুব্বি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, "তওবা করো! নাহলে তোমার সর্বনাশ হয়ে যাবে!"
আমি ফালতু তর্ক করিনা। যুক্তি খুঁজি এবং কেউ ভাল যুক্তি দেখালে মেনে নেই, নাহলে চুপ করে যাই।
পীরের কাছে ধরনার ব্যপারে প্রশ্ন করায় আমাকে শোনানো হয়েছিল, "আমাদের মানুষদের মধ্যে কিছু মানুষকে আল্লাহ পার্সোনালি পছন্দ করেন। তারা যদি দোয়া করেন, তাহলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। কাজেই আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে হলে ওদের মাধ্যমে চাইলে ব্যপারটা নিশ্চিত ও দ্রুত পাওয়া যায়।"
যুক্তি পছন্দ হলনা।
"আমি যে জানি, আল্লাহর কাছে প্রতিটা মানুষই সমান। আমার যদি কিছু দরকার হয়, সেটা আমার চেয়ে "খাস নিয়্যতে" আর কে চাইতে পারবে? একজন হুজুর বা একজন পীর আমার ডেস্পারেসন কত্খানিই বা বুঝতে পারবেন?"
জবাব এলো, "যা বুঝোনা, যা জানো না, সেটা নিয়ে কথা বলতে এসো না।"
তখন ছোট ছিলাম, জ্ঞান ছিল কম। এখন একটু পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছে। এখন বলছি, আমি অশিক্ষিত অবস্থায় যা বুঝেছিলাম, আপনারা বেশি শিক্ষিতেরাই সেটা বুঝেননি!
নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিচ্ছি, খন্ডন করে দেখান দেখি।
ওহি নাজিলের আগে মক্কার কোরাইশরা কী আল্লাহকে বিশ্বাস করতো?
উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই বিশ্বাস করতো। আবু জাহেলের মতন বদমাইশও বলেছিল "আমি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতে রাজি আছি, (আল্লাহ ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই) কিন্তু এইটা কিছুতেই মানবো না যে তুমি (মুহাম্মদ (সঃ)) আল্লাহর রাসূল!"
তাদের ধর্মচর্চা ছিল এইরকম, তারা আল্লাহতে (আল্লাহ শব্দটা কিন্তু নবীজির (সঃ) আবিষ্কার নয়, ওরাও ঈশ্বরকে "আল্লাহ" ডাকতো) বিশ্বাসী ছিল। তবে তারা মনে করতো যেহেতু তারা সাধারণ মানুষ, এবং আল্লাহ অতি মহান, সেহেতু আল্লাহ তাদের সরাসরি প্রার্থনা শুনবেন না। একারনে একটা মিডিয়া লাগবে। এই মিডিয়ার থ্রুতেই তাঁর উপাসনা করতে হবে। এবং এভাবেই তারা শিরক করতো। একারনেই তাদের কাছে আল্লাহর কোন মূর্তি ছিল না, মিডিয়ার মূর্তি ছিল। কুরআনের আয়াতও "অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। (ইউসুফ:১০৬)" এই কথাই সাক্ষ্য দেয়।
ওদের সাথে আমাদের এই পীর-ফকির তত্বের কোন পার্থক্য দেখছেন?
নেই। একটুও পার্থক্য নেই।
আপনি যদি মনে করেন পীর আপনাকে পরীক্ষা পাশ করাবে, পীর আপনাকে সুস্থ করবে, পীর আপনাকে সন্তান দিবে - তাহলে ভাই আপনি পীরের পূজাই করছেন। আল্লাহর নয়।
পীর মরার পরেও আমরা ঝামেলা শেষ করছি না। তার কবরকে মাজার বানিয়ে, তার ছেলেকে গদিতে বসিয়ে এই ফাজলামিকে "টু বি কন্টিনিউড" করছি।
নবীজি (সঃ) নিজে যেখানে বলে গেছেন তাঁর নিজের কবরকে "মাজার" না বানাতে, আমরা সেই কথাকেও ইচ্ছে করেই কানে তুলি না। এমন ভাব নেই যেন উনি কী জানেন? আমরাই বেশি বুঝি!
সুরাহ ইউসুফ আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে, "আর (ওরা) উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, "এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী।" তুমি বল, "তোমরা কি আল্লাহকে আসমান ও যমীনের মাঝে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ।" (১৮)"
শব্দটা লক্ষ্য করেছেন? সুপারিশকারী!
আল্লাহ যেখানে নিজেই বলছেন উনার কাছে আপনার "ফাইল" পৌছাতে কোন সুপারিশকারীর দরকার নেই, সেখানেও আপনি কর্মকর্তার হাতে কিছু পাঁচশো টাকার নোট ধরিয়ে দিতে চান?
আপনার মূর্খামির ফায়দা এখন এমন কিছু ভন্ড ব্যক্তি তুলছে, যাদের স্থান হয় পাগলা গারদে অথবা শ্রীঘরের লোহার শিকের পেছনে হবার কথা ছিল।
আজকে আপনার কষ্টের উপার্জিত টাকায় তারা কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়ে বসে আছে।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মশা মারতে কামান দাগাচ্ছেন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: তাই? কিন্তু অতিরিক্ত মশা হয়ে গেছেতো ভাই! কামান দাগালেও মরে না।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

♥কবি♥ বলেছেন: আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করুন সবাই যেন বুঝতে পারে। ভাল পোস্ট। ++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: শুধু প্রার্থনায় হবে না, আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বন্ধুবান্ধবদের সাথে আলোচনা করুন, ওদের জ্ঞান দিন।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

বিধ্বস্ত পথিক বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো... ভাইয়া, আপনার চিন্তাকে আমি মূল্যায়ন করি...

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

এনামুল রেজা বলেছেন: মানুষের সচেতনতা বাড়লেই কেবল আমরা এসব কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাবো।

চিকিৎসকদের ব্যাপারে বলবো, তারাও তো আসলে মানুষ। ভুল করেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেশিরভাগই স্বীকার করেন না, ইগো প্রবলেমের কারণে। আর সাধারণ মানুষও ভেবে বসে, ডাক্তার আবার ভুল করবেন কেন? তাইলে সে ভাল ডাক্তার না! এই ধারণাও ভুল।
আপনার বাবা সৌভাগ্যবান, বড় কোনো বিপদ হবার আগেই সুচিকিৎসা পেয়েছেন।

লেখাটা ভাল লাগলো। শুভকামনা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাগ্য ভালতো বলতেই হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

আহলান বলেছেন: এক তরফা ভাবে শুধু ভন্ড পীর মুরীদের নেগেটিভ দিক গুলোই বর্ণনা করেছেন, যারা এটাকে ব্যবসা হিসাবে নেয়। এ ডাক্তারের মতো (যে নিজের হার্ট দেখাতে দিল্লী যায়) ভন্ড পীর কি আপনার কাছে একমাত্র আদর্শ ? আর ইন্ডিয়ার ঐ ডাক্তারদের মতো সঠিকডাক্তার অর্থাৎ সঠিক পীর মুরিদ কি আপনার চোখে পড়েনাই? ...এক তরফা ভাবে সব কিছুকে ভন্ড বলা ঠিক না .... পীর আুলিয়াকেরামদের কারণেই আজ এই দেশের মানুষ মুসলিম ...এই দেশে ইসলামকে এনেছে এবং প্রসারিত করছেই এই পীর আউলিয়াকেরামগন ..... সুতরাং এখনকার ভন্ডদেরকে দেখে সবাইকে ভন্ড বলে বিবেচনা করা জ্ঞ্যাণের স্বল্পতা ছাড়া আর কিছুই না ...

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: পীর মানে মুর্শীদ, যিনি মানুষকে সঠিক পথ দেখাবেন, মানে যিনি ইসলামি জ্ঞান দিবেন।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে ইসলামের প্রসার ঘটেছে হযরত শাহজালাল (রঃ), শাহপরান (রঃ) এবং এরকম হাজারো আউলিয়াদের কারনে। কথা হচ্ছে, এদের জীবনী দেখেন, আর বর্তমান পীরদের কান্ড কারখানা দেখেন, তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কিছু প্রশ্ন নিজেকে করুন:
১. তাঁরা কী তাবিজ কবজ দেন?
২. তাঁরা কী হাদিয়ার নামে মোটা অংকের টাকা নেন?
৩. তাঁরা কী দাবী করেন তাঁদের অলৌকিক ক্ষমতা আছে? (যেসব মোজেজার ঘটনা লোকমুখে শোনা যায়, সেসব ইগনোরেবল, নবী রাসূল ছাড়া আর কারও সেই ক্ষমতা থাকার কথা নয়। দাবী করলে কুফরী করা হবে, বিশ্বাস করলে শিরক।)
৪. তাঁরা কী ওরস পালনের নির্দেশ দেন?
৫. তাঁরা কী দাবী করেন তাঁরা ভবিষ্যত বা গায়েবের খবর বলতে পারবেন? যদি করে থাকেন, তিনিও ভন্ড। কারণ এইটাও একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও পক্ষে বলা সম্ভব না।
৬. তারা কী মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে, কবরবাসীর কাছে অথবা মারফতে আল্লাহর কাছে কিছু চাইবার পরামর্শ দেন? তাহলেও তিনি ভন্ড। মোমবাতি, আগরবাতি ইত্যাদি দেয়ার কথা বললেতো ব্যাটাকে জুতাপেটা করা উচিৎ।
এইরকম আরও অনেক বেসিক প্রশ্ন আছে। ইসলাম নিয়ে একটু পড়াশোনা করলেই বুঝতে পারবেন।
প্রকৃত পীর মাত্রই আপনাকে বলবেন, নামাজ পড়তে, শুদ্ধভাবে নামাজ পড়ার তরিকা বলবেন, সহীহ হাদিস ভূয়া হাদিসের পার্থক্য ধরাবেন, কোরান হাদিস ব্যাখ্যা করে শোনাবেন। বর্তমান যুগে যাদের ইসলামিক স্কলার বলা হয়ে থাকে।
এর বেশি অতিরিক্ত কিছু করতে গেলেই তারা ভন্ড। এবং নিঃসন্দেহে তারা ভন্ড।
একটা কথা মনে রাখবেন ভাই, "জ্ঞানীকে ভুল ধরিয়ে দিলে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সাথে সাথে শুধরে নিবে। মূর্খকে ভুল ধরালে সে তর্ক করবে।"
আপনার আশেপাশের পীর দাবী করা যতজনকে আপনি চিনেন, সবাইকে বাজিয়ে দেখুন, যদি কাউকে সত্যিকারের পেয়ে থাকেন, তবে আপনাকে অভিনন্দন।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

কাবিল বলেছেন: আমার জানামতে,
পীর শব্দটি ফার্সি আর আরবীতে বলা হয় মুরশীদ, মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। এই পথপ্রদর্শক যে কেও হতে পারে, বাবা-মা, ভাই-বোন, শিক্ষক। সমাজে এখনও এমন অনেক মানুষ আছে যে, কোরআন-হাদিস ভাল মত পড়তে ও বুঝতে পারে না। এই পথপ্রদর্শকই সাধারণ মানুষকে বোঝাবে কেমন করে এবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহর খাস বান্দা হওয়া যায়।

কিন্তু, কিছু ভণ্ড পীরের যুক্তিহীন কথা-বার্তায় বলে পীর না ধরলে বেহেশতে যাইতে পারবা না। আমার যুক্তি, আমি যদি কিছু অর্জন না করি তাহলে কোন পীরই আমাকে বেহেস্তে নিতে পারবে না।
তাই বলে কিছু ভণ্ড পীরের কারনে সবাইকে ভণ্ড বলা ঠিক না। এখনও ভাল পীর আছে শুধু যাচাই-বাচাই করে খুজে নিতে হবে। আমরা যদি সু-যুক্তির মাধ্যমে সঠিক পথ বেঁচে নিই তাহলে এই কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাবো।

আপনার লেখাটা আমার ভাল লেগেছে শুভকামনা।

আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক পথ অবলম্বন করার তওফিক দান করুন, আমিন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নিঃসন্দেহে যারা ইসলামিক স্কলার, তাঁরাই পীর। তাঁরা ভন্ড নন।

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

আহলান বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তরে আপনি যা বলেছেন, আপনার মূল পোষ্টে সে রকম কোন কথার অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায় না ..... বোধদ্বয়ের জন্য ধন্যবাদ ...

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ব্যপারটা বোধদ্বয়ের না, ব্যপারটা কতখানি প্রাসংগিক ছিল।
বেশিরভাগ পাঠকই কিন্তু বুঝে গেছেন কাদের ভন্ড বলা হয়েছে। কারণ ইসলামিক স্কলাররা নিজেদের পীর দাবী করেননা।
শুধু আপনাকেই ব্যাখ্যা করতে হলো। তবে আপনি প্রশ্ন তোলায় আমি খুশিই হয়েছি। খোলাখুলি আলোচনা না হলে শেখা যায় না।

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আপনার শুরুটা পড়েই বুঝলাম, নার্ভাস সিস্টেমের পেরিফেরাল আউটফ্লোতে সমস্যা। ব্রেন থেকে মেরুদন্ডের ভিতর দিয়ে স্পাইনাল কড প্রবাহিত হয়। কোন কারণে , ধরেন, বোন ক্ষয় হয়ে নাভের্ চাপ পড়লে এটা হয়। এর পর স্পাইনাল সার্জনের পরামশর্ নিতে পারেন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নিওরো সার্জন সাহায্য করেছিলেন। আব্বু খুব লাকি ছিলেন, ইন্ডিয়ার সেরা চার ডাক্তার তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন। ওরা অনেকটা লটারির মতনই মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতো, আব্বুর ভাগ্যেই সেরা চারজনের নাম উঠে এসেছিল।

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২০

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আপনার লেখা এবার পুরোটা পড়লাম। আমার মন মানসিকতা আপনারই মত। ফেইজবুকে কাজ করেন কিনা। অাপনাকে ফেইজবুকে নিতে চাই

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমার মূল কাজই ফেসবুকে। আমার একটা গ্রুপ আছে। যোগ দিলে খুশি হবো।
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০

ইমরান আশফাক বলেছেন: ১।রাস্তায় পাঁচ ছয় টাকা বখশিসে ম্যাজিক দেখানো লোকটিও যখন একই খেলা দেখায়, তখন আমরা তাকে পাত্তাই দেই না। লেবাস পরিবর্তন হলেই আমরা একই খেলার খেলোয়ারকে পারলে সিজদা দিয়ে দেই!


২। পীর মরার পরেও আমরা ঝামেলা শেষ করছি না। তার কবরকে মাজার বানিয়ে, তার ছেলেকে গদিতে বসিয়ে এই ফাজলামিকে "টু বি কন্টিনিউড" করছি।

৩।আপনার মূর্খামির ফায়দা এখন এমন কিছু ভন্ড ব্যক্তি তুলছে, যাদের স্থান হয় পাগলা গারদে অথবা শ্রীঘরের লোহার শিকের পেছনে হবার কথা ছিল।

আপনার পোস্টের জিস্টগুলি তুলে ধরলাম। পীর নয়, আমাদের উচিৎ মুরিদগুলিকে ধরে আচ্ছামত পাংগা দেওয়া।


০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহা। আসলে দোষ দুইটারই। আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত নই বলেই ওরা আমাদের ফা্য়দা তুলে।

১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪১

ইমরান আশফাক বলেছেন: পীর ধরা একটা ম্যানিয়া, যেমন সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ। এখানে কয়েকটা মন্তব্য পড়ে বুঝলাম ওরাও কোন না কোন পীরের মুরিদ বা শাগরেদ। সুতরং পীরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু বললেই ওরা সেটাকে নিজেদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি মনে করে যুদ্ধ ঘোষনা করে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। ;)

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: যারা ইসলাম, কোরাণ-হাদিস ভাল করে পড়ে আলেম হন তারা ওয়াজ করতে খুবই ভালবাসেন। গত তিনদিন ধরে শত শত মাইক নিয়ে অামাদের ধূপখোলা এলাকায় ওয়াজ হচ্ছে। অন্য জাতিকে কি পরিমাণ ঘৃণা এরা করে ওয়াজ না শুনলে বিশ্বাস হবে না।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০২

নির্বাসিত আমি বলেছেন: ++++

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ২:০৬

নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে অনেক মানুষই আছে যে নিজে থেকে কিছু বলার মতন সাহস নাই.... সব সময়ে আরেক জনের সাহাজ্য চায়...

এই সব মানুষই কুসংস্কারে পড়ে...সত্যা নিজে খুজতে যায়না... পীরের কাছে তারাই যায়...

পীরের পকেটে যেই টাকা পয়সা আছে সেই গুলি সব মুরিদের দান...

এই ব্যবসার চেয়ে ভাল ব্যবসা দুনিয়াতে আর নাই...

এই সাধারন বিষয়টা মুরিদেরা বোঝেনা...

ধমান্ধ হইলে যা হয় আর কি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.