নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম সবার মুখে চুন কালি মেখে দেয়া ঘটনা

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০১

ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যখন সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, সকালের জামাতের জন্য মসজিদকে নতুনভাবে সাজানো হয়ে গেছে, সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, ঠিক তখনই টেনিসিতে এক মাথা মোটা উন্মাদ গুলি চালিয়ে চারজন মেরিন অফিসারকে হত্যা করলো। ফলাফল, সেই শহরে আজকে কোন ঈদের জামাত হবেনা। মুসলমানের ঈদের প্রধান আনন্দই হচ্ছে জামাতে গিয়ে নামাজ পড়া। এক আহাম্মকের আহাম্মকিতে পুরো শহরের সবার ঈদের আনন্দ নষ্ট হয়ে গেল। সেই সাথে পুরো দেশের মুসলমানদের ঈদের আনন্দ তিতা হয়ে গেল।
এই ঘটনায় বরাবরের মতই অনেকে ত্যানা প্যাচানো শুরু করবেন। একদল আমার মতই ঘটনার নিন্দা জানাবেন। আরেকদল পাওয়া যাবে যারা বিস্ময়করভাবে এর সমর্থন করবেন।
"ঠিকই হয়েছে। ইরাকে কী হয়েছে? আফগানিস্তানে কী হয়েছে? হ্যান ত্যান প্যান!"
এবং আরেকদল খুশিতে আটখানা হয়ে দাঁত বত্রিশখানা কেলিয়ে বলবে, "ইসলাম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম। এইটা আরেকবার প্রমাণিত হলো।"
তৃতীয় দলটি নিঃসন্দেহে যারপরনাই মূর্খ। কিছু না জেনেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতন ফাল পারা পাবলিক। ওদের চোখের সামনে যদি আমি আমার ঈদের জামা খুলে কোন বস্ত্রহীনকে পরিয়ে দেই, ওরা খেয়ালই করবে না। আবার এই আমিই যদি কাউকে উঁচু গলায় একটা ধমক দেই, তিনমাইল দূর থেকেও সেটা শুনে ফেলবে, এবং এটাকেই গালি ধরে নিয়ে নিউজ হেডলাইন বানিয়ে ফেলবে।
আমার আজকের লেখা দ্বিতীয় দলটির উদ্দেশ্যে। যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সমর্থন করেন। এবং আমার মতে, কোন কাজে সমর্থন করা মানেই হচ্ছে সুযোগ পেলে সেও একই কাজ করবে। কাজেই মাথা মোটা আহাম্মকটা চারজন মেরিন অফিসার হত্যা ও আরও কয়েকজন মানুষকে জখম করে যে অপরাধ করেছে, আপনিও তাকে সমর্থন করে একই অপরাধে অপরাধী হলেন।
হুদায়বিয়ার সন্ধির ঘটনা জানেন? ইসলামের ইতিহাসে একে বিরাট "বিজয়" হিসেবে ধরা হয়। আল্লাহ স্বয়ং সুরাহ ফাতাহতে এই ঘোষণা দিয়েছেন। সংক্ষেপে একটু ব্যাকগ্রাউন্ডটা বলে ফেলি।
কুরাইশদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে জীবন বাঁচাতেই মুসলিমরা পালিয়ে মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয় নেন। বদরের যুদ্ধে ওরা চেয়েছিল মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। উল্টা শোচনীয়ভাবে হেরে গেল। ওহুদের ময়দানে ওরা সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই আক্রমন করেছিল। প্রচুর সাহাবী শহীদ হলেও নবীজি (সঃ) বেঁচে যান। কাজেই ওরা চাইলো এইবার এক আক্রমনেই সবাইকে খতম করে দিতে।
তারা মক্কার আশেপাশের যত গোত্র আছে, সবার কাছ থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে বিরাট সেনাবাহিনী নিয়ে মদিনার দিকে অগ্রসর হলো। কুরাইশদের সৈন্যসংখ্যা মদিনার মোট জনসংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি। এর মধ্যে ওদের সাহায্যে এগিয়ে এলো মদিনার ভিতরেই বাস করা ইহুদি গোত্র বনু কুরাইদা। মীর জাফর যাকে বলে। বা আরও সহজ ভাষায় "রাজাকার!"
মুসলিমরা জানতো সম্মুখ যুদ্ধে ওদের সাথে জেতা কঠিন। এবং এতে প্রচুর লোকক্ষয় হবে। এবং ভালই সুযোগ আছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার।
কাজেই তাঁরা যুদ্ধ এড়াতেই শহরের প্রবেশদ্বারে পরিখা খনন করলো। কুরাইশরা পরিখা অতিক্রম করতে পারেনি, বনু কুরায়দার সাথে ভুল বুঝাবুঝির ফলে ওদেরও ভিতর থেকে সাহায্য পায়নি। তার উপর ভয়াবহ টর্নেডো আসায় ওরা নিজেদের সেনাবহর নিয়ে মক্কায় ফিরে আসে।
মুসলিমরা এই যাত্রা বেঁচে যায়।
এর ঠিক এগারো মাস পরে নবীজি (সঃ) স্বপ্নে দেখেন তিনি হজ্ব করছেন। ঘটনাটি সাহাবীদের জানালে সবাই সম্মত হন, এই বছরই সবাই কাবা ঘরে হজ্বে যাবেন। এবং হজ্ব করা মানেই হলো মক্কায়, মানে একদম সিংহের গুহায় প্রবেশ।
উল্লেখ্য, কুরাইশরা তখনও মুসলিমদের হত্যা করতে ব্যাকুল। তার উপরে হজ্ব যাত্রায় অস্ত্র বহন করা নিষেধ। এ যেন নিজের শরীরেই তেল ঘি মশলা মেখে বাঘের খাচায় ঢুকে যাওয়া।
নবীজি (সঃ) সাহাবীদের বললেন, "তোমরা যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক?"
সাহাবীরা জবাবে যা বললেন, তা আজকের ভাষায় বললে হবে, "একটা দুইটা কুরাইশ ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর।"
কিন্তু আবু বকর (রাঃ), নবীজির (সঃ) সবচেয়ে প্রিয় সাহাবী, যিনি তাঁর ঠান্ডা মাথার জন্য ইতিহাসখ্যাত হয়ে আছেন, তিনি বললেন, "ইয়া রাসুলাল্লাহ(সঃ)! আমরা হজ্বে যাচ্ছি, যুদ্ধ আমাদের মানায় না।"
এবং নবীজি (সঃ) তাঁর কথায় সন্তুষ্ট হলেন। তিনি বললেন, "কুরাইশরা আমাদের পথেই আক্রমন করতে পারে। মক্কায় যাবার কোন ভিন্ন পথ আছে?"
এক সাহাবী যে পথের সন্ধান দিলেন, সেটি মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। ভিশন পাথুরে এবং বন্ধুর সেই পথে হেঁটে গেলে পা ফেটে রক্ত ঝরবেই। এবং সেই সাথে মরুভূমির প্রচন্ড উত্তাপ ও পানির অভাবতো আছেই।
তবুও যুদ্ধ এড়াতেই সবাই সেই পথেই যাত্রা শুরু করলেন। প্রায় সবাইই যখন টুকটাক আহত অবস্থায় হুদায়বিয়া নামক স্থানে এসে পৌছলেন তখন আরেক ঝামেলা ঘটলো।
কুরাইশরা সত্তুরজন মুখোশধারী আততায়ীকে পাঠিয়েছিল নবীজিকে (সঃ) সহ যত বেশি সম্ভব সাহাবী হত্যা করে ফিরে আসতে। সত্তুরজনই মুসলিমদের হাতে ধরা পড়লো, সত্তুরজনই বন্দী হলো, এবং নবীজি (সঃ) সত্তুরজনকেই ছেড়ে দিয়ে মক্কায় ফেরত পাঠালেন। সাহাবীদের মন ভেঙ্গে গেল। তবু কেউ মুখে কিছু বললেন না।
কুরাইশরা এইবার দ্বিতীয় চাল চালল।
ওদের এক নেতা উরুয়া ইবনে মাসুদ মুসলিম শিবিরে এসে নবীজিকে (সঃ) ভর্ত্সনা করে চরম ঔদ্ধত্বের সাথে বলল, "তুমি কী ভেবেছো তোমার এইসব সঙ্গী সাথী নিয়ে তুমি মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে? আরে, কসম আল-লাতের(কুরাইশ দেবতা), কুরাইশরা যখন তোমার উপর আক্রমন করবে, তখন এরাই তোমাকে ফেলে রেখে বাপ বাপ বলে পালাবে।"
উরুয়া বুঝতে পারেনি মুহাম্মদের (সঃ) সাহাবীরা তাঁদের নেতার জন্য কতদূর কী করতে পারতেন। তার ঔদ্ধত্বের জবাব সে পেল, এবং জবাবটা এলো এমন একজনের কাছ থেকে যিনি নিজের "ঠান্ডা মাথার জন্য ইতিহাসখ্যাত" হয়ে আছেন। আবু বকর(রাঃ) গালি দিয়ে উঠলেন, "তোর লাতের.......(ছাপার অযোগ্য)।"
উরুয়া একজন গোত্র প্রধান, মানে একটি রাজ্যের রাজা বলতেই পারেন। তার সাথে কেউ এমন ভাষায় কথা বলেনা। সেতো বাক্যহারা হলোই। মুসলিমরা পর্যন্ত অবাক হয়ে গেল, আবু বকরের(রাঃ) মুখ থেকে গালি বেরিয়েছে? আবু বকর! কিভাবে সম্ভব!
এবং তখনই উরুয়া নিজের শিবিরে ফেরত গিয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি করলেন।
"আমি রোমান সিজারের রাজদরবারে গিয়েছি, আমি পারস্য ও অবিসিনিয়ার সম্রাটদের সভাতেও উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কোন সম্রাটকেই তাঁর অনুসারীরা এতটা সম্মান করেনা যতটা মুহাম্মদের (সঃ) অনুসারীরা তাঁকে করেন। তাঁর হুকুম মুখ থেকে বেরুবার আগেই পালিত হয়। এমন নেতাকে পরাজিত করা কুরাইশদের পক্ষ্যে স্রেফ অসম্ভব একটি ব্যপার।"
কিন্তু অহংকারে অন্ধ কুরাইশরা তা মানতে যাবে কেন? ওরা আরেকজন নেতাকে সন্ধি চুক্তির জন্য পাঠালো। সুহেল ইবনে আমর। এবং যে এসেই একের পর এক অপমানজনক শর্ত জুড়ে দিতে থাকে। যেমন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ কাটিয়ে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ লেখানো, এইবছর হজ্ব না করে মদিনায় ফেরত যাওয়া ইত্যাদি।
একটি শর্ত ছিল এমন, যদি কুরাইশদের থেকে কেউ এসে মুসলিম শিবিরে যোগ দেন, তাহলে তাঁকে কুরাইশদের হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু মুসলিমদের থেকে কেউ যদি গিয়ে কুরাইশদের দলে যোগ দেয়, তবে ওরা তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়।
এই শর্তের কারন হচ্ছে সুহেলের নিজের পুত্র আবু জান্দাল(রাঃ) মুসলিম হয়ে গিয়েছিল। সুহেল তাঁকে বন্দী করে রেখেছিলেন। কিন্তু আবু জান্দাল(রাঃ) কোন রকমে পালিয়ে হুদায়বিয়ায় এসে মুসলিম শিবিরে যোগ দেন। এবং সুহেল বলেন, "আবু জান্দালকে ফেরত পাঠিয়েই শর্ত কার্যকর করা হোক।"
মুসলিমরা ফুঁসে উঠলেন। তাঁরা কোনক্রমেই তাঁদের ভাইকে সিংহের গুহায় ফেরত পাঠাবেন না। কিন্তু সন্ধির শর্ত অনুযায়ী ফেরত পাঠাতে বাধ্য। সুহেল নিজের ছেলেকে নিয়ে ফেরত চলে গেলেন। এবং যাবার আগে মুসলিমদের চোখে চোখ রেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে হাসতে গেলেন। এতে মুসলিমদের রাগে বিস্ফোরন ঘটলো।
উমার (রাঃ), আমার সবচেয়ে প্রিয় সাহাবী, যিনি কখনই নিজের মৃত্যুর পরোয়া করেননি, ভয়ের অস্তিত্ব যাঁর হৃদয়ে ছিল না, তিনি এই অপমানে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নবীজিকে (সঃ) উঁচু গলায় প্রশ্ন করে উঠলেন, "আপনি না বলেছিলেন আমরা হজ্বে যাচ্ছি?"
নবীজি (সঃ) অতি শান্ত স্বরে বললেন, "আমি কী বলেছিলাম এই বছরই যাচ্ছি?"
উমার(রাঃ) আর তর্কে জড়ালেন না। তিনি বুঝতে পারলেন নবীজির (সঃ) সাথে তাঁর উঁচু গলায় কথা বলাটা একদম ঠিক হয়নি।
এবং তারপর কয়েকবার নবীজিকে "দুঃখিত" বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠেনি।
কিছুক্ষণ পর নবীজি (সঃ) তাঁকে ডেকে পাঠালেন। উমারের (রাঃ) কলিজা শুকিয়ে গেল। আল্লাহ তাঁকে ভর্ত্সনা করে কোন আয়াত নাজেল করেননিতো! যেভাবে "তাব্বাতইয়াদা আবি লাহাবিউ..." "আবু লাহাব ধ্বংশ হোক" বলে আল্লাহ একটি সম্পুর্ন সুরাহ নাজেল করেছিলেন।
নবীজির(সঃ) মুখোমুখি হয়ে অপরাধ বোধে তিনি তাঁর চোখে চোখে তাকাতে পারছিলেন না। কিন্তু যখন চোখের দিকে তাকালেন, তখন দেখেন নবীজি (সঃ) আনন্দে উদ্ভাসিত।
উমার (রাঃ) ভীষণ অবাক হয়ে ভাবলেন, মুসলিমদের এই চরম অবমাননার দিনে, যেখানে হজ্ব করতে এসেই তাঁরা হজ্ব না করেই ফেরত যাচ্ছেন, সেখানে তাঁদের নেতা কোন কারনে এত আনন্দিত হতে পারেন?
নবীজি (সঃ) বললেন, "এই মাত্র আমার কাছে একটি সুরা নাজেল হয়েছে।"
সুরাহ ফাতাহ। এবং তিনি উমারকেই (রাঃ) প্রথম পুরা সুরা পাঠ করে শোনান। যেখানে আল্লাহ ঘোষণা দিচ্ছেন, "মুসলিমদের আজ বিজয় হয়েছে। তাঁদের সবাইকে ক্ষমা করা হলো।"
উমার (রাঃ) বললেন, "এইটা বিজয়!?"
নবীজি বুঝালেন, "আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তি হজ্বের চেয়েও বড় সাফল্য। আল্লাহ ক্ষমা করেছেন।"
এবং উমার (রাঃ) ব্যপারটা উপলব্ধি করতে পেরে খুশি হয়ে উঠলেন।
নবীজি (সঃ) সবচেয়ে বড় বিজয় সেদিন কী ছিল জানেন? উপরে এত ব্যাকগ্রাউন্ড ঘটনা বলার কারনটাও এই যাতে সবাই বুঝতে পারেন।
কুরাইশদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ক্ষোভের জাস্টিফাইড কারন থাকার পরেও তাঁরা নিজেদের অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়ে হয়েও নবীজির (সঃ) নির্দেশের বাইরে যাননি। আঠারোশ জনের বিরাট দলের প্রতিটা সদস্য, ইনক্লুডিং আবু বকর (রাঃ) ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন, কয়েক বছর ধরে চলা অমানবিক নির্যাতনের, নিজের দেশ থেকে খালি হাতে তাড়িয়ে দেবার কষ্টের, অপমানের, স্বজন হত্যার প্রতিশোধে সবার মনের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, তবুও তাঁরা কেউই নবীজির(সঃ) নির্দেশ অমান্য করেননি। তাঁরা ধৈর্য্য ধরে, নিজেদের রাগকে হজম করে, নবীর(সঃ) নির্দেশ মেনে "শান্তি প্রতিষ্ঠা" করেছেন। এটাই রাসুলুল্লাহর (সঃ) মুখে হাসি ফুটিয়েছিল। এটাই ইসলামের সবচেয়ে বড় বিজয় ছিল। এই কারনেই তিনি খুশিতে ঝলমল করছিলেন।
ঠিক তেমনি আজকে, এই ঈদের দিনে, টেনিসির সেই মহা উন্মাদের পাগলামির ঘটনা আমাদের ইতিহাসে একটি বড়সর পরাজয় হিসেবেই বিবেচ্য হবে। আমাদের সবার মুখে কালি মেখে দিল ঘটনাটি।
সেই চার মেরিন অফিসারের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের কাছে আমাদের প্রত্যেকের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। আমরা মুসলিম, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের আগমন ঘটেছে, কিন্তু একদল আহাম্মকের জন্য বারবার আমাদের মাথা নত হয়ে যায়। বারবার!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৬

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আর বইলেননা........এই মাথামোটা দুচারটা গরুর জন্য জোর গলায় বলতেও পারিনা যে আমি মুসলিম.......কথাটা ভিন্নভাবে নেয়ার কিছু নেই.......মিডিয়া স্বাভাবিক ভাবেই এইসব মুসলিমদের ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটি গুলো হাইলাইট করে.........আর আম্রিকান তথা পাশ্চাত্যের ব্যাস্ত মানুষগুলোর হাতে কখোনোই সময় থাকেনা ঘটনার বিচার বিশ্লেষন করে জানার, তাই তারা স্বাভাবিক ভাবেই মুসলিমদের সম্বন্ধে বিরুপ ধারনা নিয়েই বেড়ে ওঠে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: তাকে কিভাবে মুসলিম বলবেন যে গত মাসে ড্রাং ড্রাভিং এর জন্য এরেস্টেড হয়েছিল এবং তার বিচারের কোর্ট ডেট হল আগামী জুলাই ৩০ তারিখে

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪০

হোৎকা বলেছেন: মেহেদী_বিএনসিস, তুই মুসলিম ?

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: জি হোতকা ভাই আপনি বড় মুসলিম! ভ্রাতা ঈদ মোবারক আসেন হাত মিলাই আর আপনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে আর আমাদের সবাইকে 'বড়' থেকেও ভালো মুসলিম হবার সুযোগ দিন। আর লেখক আর বি এন সি সি ভাই আসেন বুকে বুক, গলায় গলা মিলাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.