নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমার এক বন্ধুর বাবার প্রচুর টাকা পয়সা ছিল। ছেলের বাবার কেবল অ্যামেরিকায় কয়েকটা বাড়ি ছিল বলেই বলছি না। অ্যামেরিকায় যেমন কোথাও কোথাও কয়েক মিলিয়ন ডলারে দুই বেডরুমের ঘুপচি ঘর কিনতে হয়, ঠিক তেমনি এই অ্যামেরিকাতেই পাঁচ-ছয় বেডরুমের প্রাসাদ বিশ তিরিশ হাজার ডলারেও কিনতে পারা যায়। "কিন্তু" একটাই। সেই বাড়ির আশেপাশে একশ মাইলের মধ্যেও হয়তো দ্বিতীয় কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কাজেই তাঁর বিদেশের টাকার হিসেবে তাঁকে বিচার করছিনা।
দেশেই আঙ্কেলের এত টাকা ছিল যে তারা ইচ্ছা করলেই ঘুমানোর সময়ে বিছানার তোষকের পরিবর্তে ক্যাশ টাকা ব্যবহার করতে পারতো।
তা এমন বড়লোকের সন্তান, তার উপর দেখতেও হ্যান্ডসাম। ওর জন্য গার্লফ্রেন্ডের কী অভাব হবার কথা? হয়ওনি। তাবৎ সুন্দরী নারীরা ওকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতে চাইতো। এবং এত এত সুন্দরীর ভিড়ে সে শুধু সেরাটাকেই বেছে নিত।
বন্ধুর চরিত্রে কোন ত্রুটি ছিল না। স্কুলের গার্লফ্রেন্ড কলেজেও অপরিবর্তিত থেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার পর তাদের মধ্যে প্রথম ঝগড়া হতে দেখলাম।
"বিয়ের পর আমি কাজ করলে তোমার কী অসুবিধা?"
"আমার কী টাকার অভাব আছে যে তোমাকে কাজ করতে হবে? তোমার যা লাগে আমি দেব। আমিই টাকা কামাবো।"
"আমিতো পয়সার জন্য কাজ করবো না। নিজের মনের শান্তির জন্য কাজ করবো। নাহলে এতদূর পড়াশোনা করলাম কেন?"
দুইদিন পরপর একই বিষয় নিয়ে দুইজনের ঝগড়া হতে লাগলো। একদিন "ঠাস" শব্দ শুনে চমকে তাকিয়ে দেখি বন্ধু গালে হাত দিয়ে বসে আছে। চাকরিজীবী মহিলাদের নিয়ে কটুক্তি করায় বান্ধবী তাকে এই পুরস্কার দিয়েছে। বন্ধু ভুলেই গিয়েছিল যে বান্ধবীর মাও একজন চাকরিজীবি নারী।
দীর্ঘদিনের প্রেম ভেঙ্গে গেল মুহূর্তেই। সুন্দরী নারীদের বন্ধু পেতে অপেক্ষা করতে হয়না। হয়ওনি।
বান্ধবী এখন নতুন মানুষের সাথে নতুন সংসার করছে। দেশে একটি ভাল মাল্টিন্যাশনালে ভাল পদে চাকরি করছে। সে সুখেই আছে।
চড় খাওয়ার কয়েকদিনের মাথায় বন্ধু বিদেশে এসে পড়াশোনা শেষ করে। এখন বিদেশেই সেটেলড। সেও এখন বিবাহিত। পরমা সুন্দরী ভাবি একজন ডাক্তার। দেশের একটি সরকারী মেডিক্যাল কলেজে দীর্ঘ পাঁচ বছর অমানুষিক পরিশ্রম করে খেটেখুটে ডাক্তারি পাশ করেছে।
ভাবিকে বললাম, "এখানে ডাক্তারি করবেন না?"
"আপনার বন্ধু চায়না আমি চাকরি করি।"
ভাবির সহজ সরল উত্তর।
সেই চড়ের কথা মনে পরে গেল। ইচ্ছা করলো বন্ধুর গালে এইবারেরটা আমিই বসিয়ে দিই।
দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নারী মডেলকে চিনি, যার সাথে তাঁর স্বামীর ডিভোর্স হয়ে গেছে। কেন? মেয়েটি বলল, "ও চায়না বিয়ের পরও আমি মডেলিং করি।"
"তুমি কী বললে?"
"উকিল নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছি।"
"বিয়ের আগে বলনি তুমি তোমার ক্যারিয়ার ছাড়বে না?"
"তখনতো হারামজাদাটা জিভ বের করে বলেছিল 'সব কবুল হ্যায়।'"
এইসব শুনলে রাগে হাত পা কাপাকাপি করে না?
তুই বদমায়েশ যদি "গৃহিনী"ই বিয়ে করতে চাস, তাহলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মডেল কন্যা খুঁজে বেড়াস কেন? দেশে লাখ লাখ মেয়ে পাওয়া যাবে যারা খুশি মনে বড়লোকের গৃহপালিত বউ হতে রাজি আছে। আর যদি বুয়া বিয়ে করতে চাস, তাহলে প্রফেশনাল বুয়াকেই বিয়ে কর। অন্য মেয়ের জীবন নষ্ট করতে চাস কেন?
এক বন্ধু আমাকে ধর্ম শেখাতে এসেছিল।
"ইসলামধর্মে মেয়েদের বাইরে কাজ করা নিষেধ।"
আমি তাকে বললাম, "খলিফা উমার (রাঃ) বাজারের জিনিসপত্রের মান ও দামদর সুষ্ঠু ও ন্যায়ভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য একজন মহিলাকে এপয়েন্ট করেছিলেন, সেটা জানিস? তাঁর নাম ছিল শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ(রাঃ)। মদিনার বাজারে কেউ জোচ্চুরি করলো কিনা, কেউ কাস্টমারকে ঠকালো কিনা, এইসবই এই মহিলা দেখতেন। এবং তাঁর বিচারই উমারের (রাঃ) বিচার ছিল। এখন তুই বল, তুই কী উমার(রাঃ) থেকে ইসলাম বেশি বুঝিস?"
"আমার বউ ডাক্তার।"
"আমার বউ ইঞ্জিনিয়ার।"
কিংবা আমি বাইরে গেলে আমার বউয়ের (সাবেক মডেল) অটোগ্রাফ নিতে লোকেরা ভিড় করে, এতেই আমি উৎফুল্ল হয়ে উঠি। কিন্তু আমি আমার বউকে বাইরে কাজ করতে দিব না। মেয়ে মানুষ বাইরে কাজ করবে কেন? কিংবা, আমার বউ হয়ে সে বাইরে কাজ করবে?
আহারে! মানুষের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করার শাস্তি যদি আমাদের সংবিধানে থাকতো!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কেন? ইসলামের কথায় খারাপ কী ছিল?
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
সাইলেন্স বলেছেন: আগ্রহ সহকারে পড়লাম। খুব ভালো লাগলো।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১১
বোকামানুষ বলেছেন: হুম এটা যদি সবাই বুঝতো
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
নবাব চৌধুরী বলেছেন: শিরোনামের সাথে সম্পূর্ন লেখাটা প্রাসঙ্গিক হয়েছে,সব মিলিয়ে চমকপ্রদ কিছু।ধন্যবাদ ভ্রাতা।ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২২
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: Islamer kotha tuko badha bakita valo lagce