নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের ডাক্তারি পেশা কী ইসলামে নিষেধ?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

এক নারী বাজারে এসেছেন দোকান থেকে দুধ কিনবেন বলে। দোকানদার তাঁর পাত্রে দুধ তুলে দিচ্ছেন। ঠিক তখনই ভিড় থেকে এক মহিলা তেড়ে আসলেন, "খবরদার! এই দুধ তুমি বেঁচতে পারবেনা! এখুনি এই মহিলাকে তাঁর টাকা ফেরত দাও!"
ক্রেতা বেচারী হতভম্ব হয়ে গেছেন। আর দোকানি ক্রুদ্ধ।
"তুমি পাগলের মতন কী সব বকছো?"
মহিলা বললেন, "তুমি দুধে পানি মেশাও। এখন হয় এই দুধ তুমি নিজের পরিবারকে খাওয়াবে, নাহলে ফেলে দিবে। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।"
দোকানি এইবার রেগে উঠলো।
"তুমি আমাকে হুকুম দেয়ার কে?"
সাথে সাথে পেছন থেকে গুরু গম্ভীর স্বর শোনা গেল।
"সুবহানাল্লাহ! প্রথমে অপরাধ করো, তার উপর গলাবাজি!"
সবাই ফিরে তাকিয়ে দেখেন আমিরুল মু'মিনীন দাঁড়িয়ে আছেন। হজরত উমার (রাঃ), ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। মুসলিম বিশ্বের সম্রাট। যিনি কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের জন্য বিখ্যাত।
দোকানি আমতা আমতা করে বলল, "হে আমিরুল মু'মিনীন। আমি বরাবরের মতই আমার দোকান খুলে ব্যবসা করছিলাম। আজকে হঠাৎ করে এই মহিলা বলছে, আমি দোকানে দুধ বেঁচতে পারব না। আমি নাকি দুধে ভেজাল মেশাই। কে এই মহিলা! তার কী অধিকার আছে?"
উমার (রাঃ) জনতার উদ্দেশ্যে বললেন, "এই মহিলাকে চিনে নাও। এ হচ্ছে শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ। আমি একে বাজার নিয়ন্ত্রনের কাজে নিয়োগ দিয়েছি। তোমরা যাতে কেউ দুর্নীতি করতে না পারো সেজন্য সে তোমাদের সব লেনদেনের উপর নজর রাখবে। আর যদি তোমরা তাঁর হাতে ধরা পড়ো, তাহলে সে যা বিচার করবে সেটাই উমারের (রাঃ) বিচার হবে।"
এইবার তিনি শিফার (রাঃ) দিকে ফিরে বললেন, "তা তুমি একে কী শাস্তি দিতে চাও?"
শিফা বললেন, "সে আপাতত নিজের দুধ ফেরত নিয়ে এই মহিলার টাকা ফিরিয়ে দিক। তারপর সে হয় নিজের পরিবারকে এই দুধ খাওয়াক, নাহলে ফেলে দিক। এবং ওয়াদা করুক, ভবিষ্যতে কখনই এমন কাজ সে করবেনা। যদি দ্বিতীয়বার ধরা পড়ে, তাহলে তাঁকে আর ব্যবসা করতে দেয়া হবেনা।"
উমার (রাঃ) বললেন, "আমি বিচার করলে এখনই তাঁর ব্যবসা বন্ধ করে দিতাম। তবু তোমার কথাই সই, তোমার বিচারই কার্যকর করা হোক। ওকে আরেকটা সুযোগ দেয়া হোক।"
এই শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ(রাঃ) একজন ক্বুরায়শি আরব। সেই জাহেলি যুগেই যিনি একজন নারী হয়েও লেখাপড়া জানতেন। তিনি কিছুটা চিকিৎসা বিজ্ঞানও জানতেন। নবীজি (সঃ) ইসলাম প্রচার শুরু করলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। নবীজি(সঃ) তাঁর যোগ্যতা দেখে নিজের স্ত্রীকেই (মা হাফসা (রাঃ), উমারের (রাঃ) কন্যা) এই মহিলার কাছে লেখাপড়া সেখান। তারপর তাঁকে নির্দেশ দেন, অন্যান্য সাহাবীদের তাঁর চিকিৎসা বিদ্যাও শিখিয়ে দিতে। এই মহিলার যোগ্যতার কারনেই হজরত উমার(রাঃ) মদিনার বাজারের নিয়ন্ত্রণভার তাঁকে দিয়ে দেন। আজকের সমাজে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ হচ্ছে বাজার এবং এস.ই.সি হচ্ছে শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ(রাঃ)। তাহলে বুঝা যাচ্ছে তাঁর পদের গুরুত্ব কতখানি ছিল?
এখন ইসলামে বলা আছে, মহিলাদের পর্দা করার কথা। অথেন্টিক ইসলামের নিয়মানুযায়ী মহিলাদের ঘর সামলানোর কথা বলা হয়েছে, এবং পুরুষদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেই সংসার চালাতে যা উপার্জন করতে হবে, সেটার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কোথাও বলেনি, মহিলারা একদমই কাজ করতে পারবেন না। যদি বলা হতো, তাহলে হজরত উমার(রাঃ) শিফাকে(রাঃ) সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান বানাতেন না। যেখানে তিনি ভালভাবেই জানতেন এই ভদ্র মহিলাকে অসৎ পুরুষ দোকানদের সাথে রীতিমতন ঝগড়া করতে হবে। উমারকে (রাঃ) যতদুর আমরা চিনি তিনি নিজে হাজারবার মরে যাবেন, তবু আল্লাহ এবং নবীজির(সঃ) নির্দেশের বাইরে এক চুল পরিমান সরে আসবেন না। মানে মহিলাদের বাইরে কাজ করার ব্যপারে নবীজিরও আপত্তি ছিল না। ওয়ান কন্ডিশন এপ্লাইড, "ইসলামী নিয়ম ভঙ্গ না করে।"
সেদিন জানলাম দেশে এক আপু ডিএমসিতে ভর্তি হয়ে মাঝপথে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছেন, কারন ইসলামে নাকি মেয়েদের ডাক্তারি করা হারাম। তিনি এখন ঘরে বসেই আল্লাহর ধ্যান করবেন।
কথা এগুনোর আগে একটা প্রশ্ন।
একজন পর্দানশিন মুসলিম মহিলা প্রেগন্যান্ট হলেন। এখন তিনি মহিলা গাইনোকলজিস্ট ছাড়া দেখাবেন না। মহিলাদের ডাক্তারি পড়া যদি শরীয়তে নিষিদ্ধ থাকে, তাহলে এই মহিলা ডাক্তার পাবেন কই?
কেউ বলতে পারে, "ঠিক আছে। মহিলারা শুধুই গাইনোকলোজি পড়তে পারবে। আর কিছু নয়।"
তাহলে সেই পর্দানশিন নারীর যদি আরও অন্য কোন রোগ হয়, তখন?
"ঠিক আছে, মহিলারা শুধু ডাক্তারি পড়তে পারবে আর কিছু নয়।"
"কিন্তু সেই পর্দানশিন নারীর জীবনে ডাক্তারি ছাড়াও আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হতে পারে। তিনি সেই ক্ষেত্রে লেডি প্রফেশনাল খুঁজতেই পারেন। তখন?"
কথা হচ্ছে, সবকিছু নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আমি যেই প্রফেশনেই থাকিনা কেন, ইচ্ছা করলেই পারভার্ট হতে পারবো। আবার ইচ্ছা করলেই নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে পারবো। মাদ্রাসার শিক্ষকও শিশু ধর্ষণের মতন জঘন্য অপরাধ করেছে। এমন উদাহরণ কিন্তু আছে।
কিছুদিন আগেও ক্যারলটন মসজিদ থেকে বেরুবার সময়ে এক হিজাব পড়া আরব মহিলাকে মাঝে মাঝে দেখতাম টেক্সাসের ভয়াবহ রোদে একটি শিশুকে ছায়ায় বসিয়ে নিজে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে থাকতেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা, "চাকরি নেই, তিনটি শিশুকে নিয়ে বিপদে আছি। অনুগ্রহ করে সাহায্য করুন।"
পৃথিবী এমন একটি স্থান যেখানে নারীকে জামা খুলতে দেখলেই পুরুষ লাইন ধরে পকেট উজার করে দান করে। অথচ বোরখা পড়া নারী তাঁর শিশুদের জন্য সাহায্য চাইলে কেউ এগিয়ে আসতে চায়না।
আমি টাকা দিতে গেলে মহিলা নিজের থলে এগিয়ে দিলেন। আমি সেখানে দান করলাম। মহিলার হাতে আঙ্গুলের স্পর্শ লাগলো না।
হিজাবে মুখ ঢাকা থাকলেও বুঝা যায় মহিলা যথেষ্ট রূপসী, ইচ্ছা করলেই ভিন্নপথে অনেক টাকা আয় করতে পারতেন। অ্যামেরিকানরা আমাদের বাংলাদেশীদের মতন "সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি"(মাশরুফের থেকে ধার নিলাম) নন। এই সমাজে তিনি আরামসেই থাকতে পারতেন। কিন্তু মহিলা কুপথে যাননি। হয়তো এখন চাকরি করেন কোথাও। আল্লাহ তাঁকে ভাল রাখুন। এবং আমাদের কাউকেই তাঁর মতন বিপদে না ফেলুন।
তা যা বলছিলাম। নবীজির (সঃ) সময় থেকেই ইসলামের নানা যুদ্ধক্ষেত্রে নারী সাহাবীরা উপস্থিত থাকতেন আহত সাহাবীদের সারিয়ে তোলার কাজে। উদাহরণ খন্দকের যুদ্ধ। সা'দ ইবনে মু'আদ খন্দকের যুদ্ধে মারাত্মক আহত হলেন। তাঁকে সুস্রুশার দায়িত্ব কে পেলেন? রুফাইদা(রাঃ)। রুফাইদার (রাঃ) "ক্লিনিকে" সা'দ অ্যাডমিটেড ছিলেন প্রায় এক মাস। ইসলামে মেয়েদের "ডাক্তারি পড়া" নিষিদ্ধ থাকলে নবীজি (সঃ) প্রথম ব্যক্তি হতেন যিনি নিষিদ্ধ করতেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, পরপুরুষের নার্ভ চেক করতে গিয়ে তাঁকে স্পর্শ করতে পারেন। এইটাতো ইসলামে নিষেধ।
আপনি ভুলে যাচ্ছেন কেন ইসলামে সবাই ভাই বোন। আপনি প্রথমেই রুগীর সাথে ভাই বোনের সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলুন না। রুগীও তাহলে আপনার দিকে পারভার্টের দৃষ্টিতে তাকাবে না। আর তাকালে সেটা তার স্বভাব, আপনিতো ঠিক ছিলেন নিজের দিক থেকে।
এবং আপনি যদি সুন্দর রোগীর গা স্পর্শ করে নিজেই বিগরে যান, তাহলে আপা সেটা আপনার সমস্যা। আপনি জানেন কিভাবে একে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা বলি। কাজে লাগতে পারে।
হজরত আমর ইবন আস (রাঃ) মাত্রই ইসলাম গ্রহণ করেছেন। নবীজি (সঃ) তাঁকে জেনারেল বানিয়ে ধাত আল সালাসিল অভিযানে পাঠিয়ে দিলেন। তখনকার নিয়মানুযায়ী, নেতাকেই জামাতে ইমামতি করতে হতো।
এখন রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমরের (রাঃ) স্বপ্নদোষ হয়ে গেল। ইসলামে স্পষ্ট বিধান আছে স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করা পর্যন্ত কেউ পবিত্র হয়না। তাঁর কোন ইবাদত তখন পর্যন্ত কবুল হয়না। কিন্তু আমর (রাঃ) দেখলেন এখন মরুভূমির রাতের এই হাড় কাঁপানো শীতে গোসল করা আর আত্মহত্যা করা একই ব্যপার। তাই তিনি বালু দিয়ে তায়াম্মুম করে জামাতে ইমামতি করলেন।
সাহাবীরা স্বাভাবিকভাবেই আমরের(রাঃ) নামে বিচার দিলেন রাসুলুল্লাহর(সঃ) কাছে। এবং আমাদের নবীজি (সঃ) তাঁর স্বভাবমতই কেবল এক পক্ষের কথা শুনেই বিচার জারি না করে আমরকে(রাঃ) ডেকে পাঠালেন।
"তোমার নামে এই অভিযোগ শুনেছি। তুমি কী এমনটা করেছ?"
"জ্বী, হে আল্লাহর দূত(সঃ)!"
"কেন? তুমি কী আল্লাহর নির্দেশ শোননি যেখানে তিনি স্পষ্ট বলেছেন শরীর অপবিত্র হলে গোসল করে পবিত্র হতে হবে?"
"জ্বী। আবার আমি এও শুনেছি, আল্লাহ বলেছেন '....হে মুমিন বান্দারা! তোমরা আত্মহত্যা করনা। অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের প্রতি করুনাময়।'(সুরাহ নিসা, আয়াত ২৯)"
নবীজি (সঃ) আমরের (রাঃ) কথা শুনে হেসে দিলেন, এবং তারচেয়ে বড় কথা, তিনি তাঁকে আর কিছু বললেন না।
ইসলাম ধর্ম আপনাকে সবকিছুর জন্য আইন দিয়ে দিয়েছে। কিভাবে চললে জীবন সুন্দর হয়, সহজ হয়, পুণ্যময় হয়। সব আইনের মূল কথা হচ্ছে পুণ্য যা, তার সাথে থাকো। দুষিত যা, সব এড়িয়ে চলো। পাপ-পুন্যের হিসেবে অবশ্যই পুন্যের পাল্লা যেন ভারী হয়।
একজন বেগানা পুরুষের রোগ নির্ণয় করতে গায়ে আপনি তাঁকে স্পর্শ করে ফেলেছেন, তা থেকে যা পাপ হবে, আমার বিশ্বাস আল্লাহর দরবারে অনেক বেশি পুণ্য কামাবেন আপনি যদি সেই পুরুষটির প্রাণ বাঁচিয়ে তুলেছেন সেই কাজের জন্য।
বাকিটা আল্লাহ ভাল জানেন। তিনি পরমকরুনাময়। অসীম দয়ালু।
আমার এই লেখাটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব বুদ্ধি দিয়ে লেখা। যা ঘটনা বললাম, সব ১০০% সত্যি।
কারও কোন প্রশ্ন থাকলে, দ্বিধা থাকলে অবশ্যই স্কলারদের সাথে পরামর্শ করুন। ইন্টারনেটের যুগে নিজেও রিসার্চ করতে পারেন। এটি এখন খুবই সহজ কাজ।
সবাই ভাল থাকুন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: নারীরা যোগ্য হলে তারা শরিয়াহ মেনে যেকোন কাজই করতে পারে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমারও তাই মত।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: নারীরা ইসলামি নিয়ম মেনে সব জায়গায় কাজ করুক।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমারও তাই মত।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: চমৎকার যুক্তিনির্ভর তথ্যবহুল একটি পোষ্ট
দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস জানলাম
যাযাকাল্লাহ খায়ের

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খায়ের

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:১৯

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ভালো কথা তুলেছেন। অনেক গভীর বিষয়। কিন্তু একজন যদি ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দেয় তাহলে কি কিছু হবে। ঐ একই সময়ে আরও হাজার হাজার মেয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সাথে আমাদের মা বোনেরাও আছে। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, অথবা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা কিছুই করতে পারব না। নিয়তি মেনে নিতে হবেই।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সবকিছুই নিয়তের উপর নির্ভরশীল, এটাই সত্য।
পোস্টে প্লাস ++++

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: তথ্যনির্ভর এবং যুক্তবহুল পোষ্ট। প্লাস!

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: বিশুদ্ধচিত্ততাই ধর্মের বড় শিক্ষা। তাই তো বোখারী শরিফের প্রথম হাদীস- সকল কর্মের ফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৭

ঝড়-বৃষ্টি বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এমন একটা পোস্ট দেয়ার জন্য।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৪

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ১।নবীজি(সঃ) তাঁর যোগ্যতা দেখে নিজের স্ত্রীকেই (মা হাফসা (রাঃ), উমারের (রাঃ) কন্যা) এই মহিলার কাছে লেখাপড়া সেখান(বুঝলাম না)
২। এই বিষয়গুলো আহমদ শফী বা আইএসরা জানে না?
৩। তবে যাই বলেন, মেয়েরা পড়বে---এটা কবে শুরু হল, ১০০ বছর? নিশ্চয় ১৫০ বছর আগে নয়। কোরান-হাদিস আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। তাহলে আগে কেন কোরান হাদিস ছাড়া ঘরে বসে মেয়েরা আর কিছু পড়তে পারত না?
৪। হুজুররা আপনার উপর রাগ করবে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ১. হাফসা (রাঃ) লিখতে ও পড়তে শিখেন এই মহিলার কাছেই।
২. জানে কিনা তাঁরাই ভাল বলতে পারবেন। জেনেও না জানার ভান করলে কিছুই বলার নেই।
৩. এই ঘটনাগুলো অনেকেই জানেনা কুরআন হাদিস নিয়ে ইন ডেপ্থ পড়াশোনার অভাবেই। সবাই খলিফায়ে রাশেদিনের নাম জানেন, শিফা বিন্তে আব্দুল্লাহর (রাঃ) নাম শুনেছেন কয়জনে? বিদ্যার অভাব।
৪. আসল "হুজুর" আলহামদুলিল্লাহ বলে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরবেন। তাঁর ও সবার জ্ঞান বৃদ্ধির পুরস্কার।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন । ভালো লাগলো । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের হুযুররা তথা সমাজ এতটা প্রগতিশীল নয় ।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৭

Saheyd বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। আমাদের দেশের টিভি প্রোগ্রাম, নাটক ও চলচ্চিত্র ইত্যাদিতে নারীদের কে পর্দানশীন হিসাবে উপস্থিত করি তা আরো উপকার করবে। ইরানি চলচ্চিত্র আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নারীদের উপস্থাপন আকাশপাতাল তফাৎ :)

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

বাঘ মামা বলেছেন: প্রসঙ্গত একটা ঘটনা বলি- আমার ক্লিনিকে ও.টি রুমে এক নারীর নরমাল ডেলিভারীতে কিছু সমস্যা হচ্ছিলো,দুজন ডিউটি অফিসার আছেন তারা স্বামী স্ত্রী দুজনি আমার ক্লিনিকে যৌথভাবে কাজ করেন।ধর্মীয় অনুশাষন এবং কিছু ধার্মিকের কথা মাথায় রেখে আমি সাধারণত এসব রুগীর ক্ষেত্রে পুরুষ ডাক্তারকে যেতে নিষেধ করি।কিন্তু ঐ মহিলাটির সমস্যা এতটাই জটিল ছিলো যে ডাঃ নাসরিন সেটা একা সামলাতে না পেরে তার হাজব্যান্ড ডাঃ তানভিরের সাহায্য চাইলো। আমার অপারেশন থিয়েটারের মুল কক্ষে যাবার আগে আরো তিনটি রুম পার হতে হয়।তানভির শুধু প্রথম কক্ষে দাড়িয়ে নাসরিনকে এ্যডভাইস করছেন।আর সেটা কিভাবে যেন ঐ রুগী মহিলাটির স্বামী দেখে ফেলেন যে ও.টি রুমের সীমানায় একজন পুরুষ ডাক্তার প্রবেশ করেছেন।স্বামী হুজুরটি হলেন কোন এক ইসলামি দলের নেতা ধরণের কিছু,এবং হুজুরটি তার স্ত্রীর ভালো মন্দ সমস্যা নিয়ে যতটা চিন্তিত না তার চেয়ে বেশি চিন্তিত রুমে কোন পুরুষ ঢুকছেন কিনা, এবং তিনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেটাই পাহারা দিচ্ছিলেন।যখনি দেখলেন পুরুষ ডাক্তার ঢুকেছেন তেমনি উনি ওনার যত সাঙ্গ পাঙ্গ আছেন তাদের খবর দিলেন এবং আমার ক্লিনিকে প্রায় একশত হুজুর এনে হাজির করলেন ।মিছিলের মতই সবাই জড়ো হতে লাগলো ক্লিনিকের মধ্য এবং উচ্চ স্বরে চেচামচি এবং তানভিরকে মারার উপক্রম ।
আমি সেসব ক্যামেরায় দেখছিলাম,এবং তাদের ঢেকে পাঠালাম, সবাই আমার রুমে সামনে এসে আমাকে অমুসলিম ঘোষনা দিয়ে ফেলছেন, যাইহোক আমি জানতে চাইলাম রুগীর স্বামী কে, একজন হুজুর জামার হাতা গোছাতে গোছাতে আমার সামনে এসে বুক টান টান করে দাড়িয়ে বললো 'আমি।আমি তখন তাকে বললাম, আমার ও.টি টেবিলের উপর যেই মহিলাটি শুয়ে আছে সে আপনার স্ত্রী হতে পারে কিণ্তু আমার ক্লিনিকের সাত তলা থেকে নিচ অব্দি যতগুলো কর্মকর্তা কর্মচারী আছে সে সবার মা হয়েই এখানে আছেন।২৫০ জন সন্তান তাদের মা কে বাঁচাবে নাকি আপনার ফতোয়া শুনবে? আপনি কি জানেন ডাঃ তানভির তার রুগীর জন্য দু রাকাত নফল নামাজ পড়েছেন এই ফাঁকে। আপনি কি করেছেন আপনার স্ত্রীর জন্য?তার মরা বাঁচার কথা আপনার মাথায় নেই মনে হয়।একাবরো কি জানতে চেয়েছেন আপনি স্ত্রীর কি সমস্যা? আর বললেও কি আপনি বুঝবেন? যারা বুঝেন তারা যখন তাদের মা কে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছেন সেখানে আপনি তাদেরকেই ধড়াও পাকড়াও করতে আসছেন।
এতক্ষনে হুজুরটি শান্ত হয়ে আমার সামনে চেয়ারে বসে পড়লো, আমি আগের মতই বলতে লাগলাম, আপনি যে নারী ডাক্তার খুজছেন সেই নারীটিও কারো বউ বোন মেয়ে। ঐ মেয়েটি বাবা যদি আপনার মত হয়ে ঘরে বন্দি করে ঘরনী বানিয়ে রাখতেন আজকে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য কোথায় পেতেন মহিলা ডাক্তার? যেই ডিপ্লোমা নার্স গুলো আপনার স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য সিড়ি ভেঙ্গে একবার উপরে নিচে দৌড়াচ্ছে তাদেরকে কোথায় পেতেন যদি নারী বাইরে যাওয়া পড়া লেখা ডাক্তার হওয়া নিষেধ করতো?
শ'খানেক ইসলামের সৈনিক হুজুরগুলো আস্তে আস্তে আমার ক্লিনিক ত্যাগ করলো নীরবে।

গতকালকে এক হুজুরের সাথে দেখা, মেয়েদের দিকে তাকায় আর নাউজুবিল্লাহ বলে- আর আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো- কিভাবে যে চোখের গোনাহ থেকে বাচি, এই জাহান্নামী গুলোর দিকে না তাকিয়ে পারিনা, যতই ফেরেস্তা হোক এমন খুল্লাম খুল্লা শরীর দেখলে নিজেকে সামলাতে পারে বলো?
আমি অবাক হয়ে বললাম- কেন? না পারার কি আছে? নারী দেখলেই পুলকিত কেন হবেন? জগতের সকল নারীকে একজন নারীতে নিয়ে আসেন যিনি আপনার স্ত্রী হয়েছেন বা হবেন। তাহলেইতো হলো, যেমন ধরুন আপনার বয়স কত ৪০? আপনি যদি ১৮ বয়সে বিয়ে করতেন তাহলে আপনার একজন ২২ বছরের একটা মেয়ে থাকতো, সুতরাং এই দুনিয়ায় ২২ বছরের নিচে যত নারী আছে সবাই আপনার মেয়ে, ফিলিংস উধাও। এর পর আসেন আপনার মায়ের বয়স কত, ধরলাম ৬০।এখন, সারা দুনিয়াতে ৬০ বছরের যত নারী আছে সবাই আপনার মা।নারীর সংখ্যা আরো কমে আসলো। এইভাবে আরো অনেক ধাপ আছে সারা দুনিয়ার নারীদেরকে চোখ থেকে কামনা বাসনার সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার।দেখবেন এরা যেভাবেই আপনার সামনে আসুকনা কেন আপনার কোন অনুভুতি হচ্ছেনা।

আমার ফ্রেন্ডের বাসায় গেলাম,ওর এক চাচা আছে সে তার ভাজতিদের সামনে যায়না, ফ্রেন্ডের বোন আসলো এমনি তারা চাচা রুম থেকে উঠে চলে গেলো, আমি জানতে চাইলে ফ্রেন্ড বললো তিনি যুবতি মেয়েদের সামনে যাননা, আমি বললাম তোর চাচাতো দেখি একদম বাজে একটা মানুষ,যাকে খাটি বাংলায় বলে লুচ্চা। ভাইয়ের মেয়ে আর নিজের মেয়ের মধ্যে পার্থক্য কি? কেন সে নিজের মেয়ের শরীর কে শরীর ভাবছেন।? ওনারতো চিন্তা ভাবনা নোংরা। এমন ধার্মিক মানুষের সাথে তোরা বসবাস করিস কিভাবে।

( আবার আসবো) :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার এক্সপিরিয়েন্সগুলো। অবশ্যই বারবার আসবেন। :)

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

এম হাবিব আহসান বলেছেন: চমতকার

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট দাতা ও বাঘ মামা কে অভিনন্দন !!!

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

ভালো বিষয়ের অবতাড়না করেছেন ।

বাঘ মামা অনুগ্রহ রে আপনার অভিজ্ঞতা পোস্ট আকারে দিন ।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Ek meye medical a porte chay, kintu porte hole interest shoho loan nite hobe ejonno porte parche na.

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০০

তাপস কুমার দে বলেছেন: সৎ কর্মকে যদি ধর্ম বলা হয় ।তবে ধর্মের প্রয়োজন নাই। তাই বলা হয় কর্মই ধর্ম ,ধর্ম কর্ম না ।আর ধর্মকে কর্ম করতে গিয়ে ভেদাভেদ হানাহানি সৃষ্টি হচ্ছে।ভারত বর্ষকে ঘর্মের জালে আটকে রেখে ফয়দা লুটছে লুটেরাবাজরা আর অশিক্ষিত ,অর্ধশিক্ষিতরা আগুনের পুড়ে মরছে কথায় বলে উলির পাখনা গজায় মরিবার ঠাঁয়।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

মাহমুদ আল ইমরোজ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন,ধন্যবাদ...

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: সকল ধর্মই ভালো কাজের কথা বলে। কিন্তু ইসলাম আরেকটু বেশি বলে- "বিধান দেবার অধিকার শুধু আল্লাহ্‌রই। তিনি আদেশ দিয়েছেন তোমরা তাকে ছাড়া আর কারো উপাসনা করবে না। এই হচ্ছে সঠিক ধর্ম, যা অধিকাংশ লোকই জানে না।" [১২:৪০]

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

দারুণ লিখেছেন।

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। কিন্তু মোল্লারা এত বিভক্ত যে আপনার মুল্যবান কথা তাদের কিছুই স্পর্শ করবে না।

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৫০

আরিফ হক_৯৬ বলেছেন: সবই ঠিক আছে। কিন্তু মেডিকেলে পড়াশুনা করার সময় মেয়ে ছাত্রীদেরকে যে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পর পুরুষদের নগ্ন অবস্থায় দেখতে হয় এবং ধরতে হয়, এটা মানা যায়?
মেয়েদের জন্য কেনো মেয়ে রোগী থাকে না পরীক্ষার সময়? এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে কেনো শুধু ছেলে রোগী থাকে না পরীক্ষার সময়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.