নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
"তোদের নবী এই করেছিল ঐ করেছিল। তোদের আল্লাহ এই, ঐ।"
বলেই একদল ফাজিল মিথ্যা আজগুবি বানোয়াট আংশিক সত্য ইত্যাদি ঘটনা বয়ান করবে।
"মুখ সামলে কথা বল হারামজাদা!"
এই হবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জবাব।
"গালাগালি না করে যুক্তি দেখা ছাগু কোথাকার।"
পোস্টদাতা যেই মাত্র এই কথা বলবে, মুমিন ব্যক্তি তখন আর কোন যুক্তির ধার ধরবে না। পরিকল্পনা করবে এই হেট স্পিচ ছড়িয়ে বেড়ানো নরাধমকে ওপারে পাঠিয়ে সমাজকে আবর্জনামুক্ত করার।
এবং একদিন ঠিকই সুবিধা মতন জায়গায় পেয়ে "বিসমিল্লাহ" বলে উইকেট ফেলে দিবে।
কথা এগুবার আগে অন্য একটা কথা বলে নেই।
মুহাম্মদ (সঃ) নামের এক ব্যক্তি সেই ১৪০০ বছর আগে জাহেলি আরব সমাজে এই শিক্ষা দিয়েছিলেন যে নিজেদের অধীনস্থ দাসেদের সাথে সদয় আচরণ করতে। মালিক যা খাবে, যা পরবে, অধীনস্থ দাসেদেরও যেন তাই খাওয়ানো হয়, তাই পড়ানো হয়।
গোত্র ভিত্তিক সেই আরব সমাজে হুদায়ফা ইবনে উৎবা ছিলেন উৎবা ইবনে রাবিয়ার পুত্র। চিনেছেন তাকে? বনু আব্দ শামস গোত্রের অন্যতম প্রধান, মক্কার অন্যতম ডেলিকেট নেতা ছিলেন এই উৎবা। পিতৃ পরিচয় ছাড়াও হুদায়্ফার আরেকটি পরিচয় ছিল। তাঁর আপন দুলাভাই ছিলেন আবু সুফিয়ান। আরেকজন বিগ শট কুরাইশ নেতা। এখানে নেতা বলতে ধরে নিতে পারেন একেকজন স্বীয় গোত্রের রাজা। কারন মক্কায় কখনই অফিসিয়ালি কোন রাজা ছিলেন না। গোত্রপ্রধানের নির্দেশই সবাই মেনে চলতো।
এমন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে হয়ে তিনি করলেন? নিজের দাস সেলিমকে (সেলিম মাওলা আবু হুদায়ফা(রাঃ)) পাশে বসিয়ে এক পাতে খাবার খাওয়া শুরু করে দিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেলিমকে পালক নিলেন। তারপর নিজের আপন ভাই বানিয়ে দিলেন। মুহাম্মদের (সঃ) নির্দেশ বলে কথা!
ব্যাটল অফ ইয়ামামাতে হুদায়্ফা এবং সেলিম দুজনই শহীদ হন। রাদিয়াল্লাহু আনহু। এবং সেই যুদ্ধের বিজয়ী সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ(রাঃ) (আল্লাহর তরবারী নাম যিনি ইতিহাসে অমর) বলেন "এরা দুইজন আপন ভাইয়ের মত বেঁচেছে। এবং আপন ভাইয়ের মতই শাহাদাত বরণ করেছে। এই দুই ভাইকে একই কবরে কবর দিও। আল্লাহ তাঁদের দুইজনের শাহাদাত কবুল করুন।"
এছাড়া এই কথা নিশ্চই সবাই জানেন যে মুহাম্মদ (সঃ) নিজেও কখনই দাস রাখতেন না। দাসেদের মুক্ত করে অপশন দিতেন, "ইচ্ছা করলে তোমরা আমার সাথে থেকে যেতে পার, ইচ্ছা করলে চলেও যেতে পার।"
আবু বকর(রাঃ) নিজের সম্পত্তির একটা বিরাট অংশ ব্যয় করেছিলেন অন্যের দাসেদের (যারা অত্যাচারিত হতেন) কিনে কিনে মুক্ত করার পেছনে। তাই আমরা দেখতে পাই ইসলামের প্রথম অফিসিয়াল মুয়াজ্জিনের নাম বেলাল ইবনে রাবাহ(রাঃ), অতীত জীবনে যিনি ছিলেন একজন আবিসিনিয়ন ক্রীতদাস। কোন সম্ভ্রান্ত আরব পরিবারের সন্তান নন।
কথা হচ্ছে, আপনি এখন অতি আধুনিক সমাজে বাস করেন। আমরা চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে দিয়েছি চল্লিশ বছরেরও আগে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে উড়ে যেতে আমাদের একদিনও সময় লাগেনা। ম্যালেরিয়া, বসন্ত, যক্ষা, পোলিও ইত্যাদি রোগ থেকে আমরা প্রায় মুক্তি পেয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ ক্যান্সার, এইডস ইত্যাদি রোগের থেকেও মুক্তি মিলবে দ্রুত। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন সুসভ্য সমাজে বাস করেও আপনি আপনার অধীনস্থ লোকজনদের সাথে, সহজ ভাষায় কাজের লোকের প্রতি কতখানি সহানুভূতিশীল? বিইং প্র্যাকটিকাল, আমি আশাও করছিনা সাহাবীদের মতন এক থালে খাবার কথা, আমি বলছি নিজের বাড়ির কাজের লোককে কী আপনি নিজের বাড়ির একটা চেয়ারেও বসতে দেন? আপনার লেভেলের বিছানাতো দূর কী বাত, আপনি কী আদৌ মেঝেতে তাঁদের শোয়ার জন্য একটা তোষক কিনে দেন? আমি অনেক "বড়লোকের" বাড়িতে দেখেছি কাজের লোক স্রেফ একটা চাদর বিছিয়ে তেলচিটচিটে নোংরা বালিশ মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে পড়ছে। বাড়িতে দামী দামী ডিশ রান্না হচ্ছে, কিন্তু ওদের পাতে আপনিই তুলে দিচ্ছেন বাসী গন্ধ ছোটা তরকারী অথবা ভেজিটেবল। মাংশ রান্না করেও তার স্বাদ তাঁরা পায় না।
আর যদি কোন কিছু মিসিং হয় তাহলে তো ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। আপনার নিজের ছেলে মেয়ে যদি সেই একই জিনিস চুরি করতো, তাহলে কী আপনি ওদেরও এভাবে মারধর করতেন?
এই ঘটনা হেট স্পিচ ছড়িয়ে বেড়ানো মুক্তমনার বাড়িতেও ঘটে। আবার নবী প্রেমে অন্ধ, মানুষ খুনে উন্মাতাল, মুমিন মুসলমানের বাড়িতেও ঘটে।
হামাগুড়ি দেয়া যে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির ছুটা বুয়া কাজ করতে আসে, একবারও তার মাথায় হাত বুলিয়ে তার মায়ের কাছে খোঁজ নিয়েছেন সে পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে কিনা? এইদিকে আপনার নিজের সন্তান হয়তো অতিরিক্ত পুষ্টির চোটে বাজারের কাপড়ের দোকানে শর্টেজ ফেলে দিচ্ছে।
মুক্তমনারা সমাজের মুক্তির জন্য এত পরিশ্রম করে একটা লোকের এত এত দোষ বানিয়ে বানিয়ে লিখে তাঁকে অবমাননা না করে শুধু নিজের "অধীনস্থ" লোকেদের প্রতিই যদি সদয় হতো, তাহলে সমাজের মুক্তি আপনাতেই ঘটতো।
এবং নবীকে অপমান করায় জিহাদী জোশে অন্ধ হয়ে কোন মুমিন মুসলমান কারও মাথা না ফেলে যদি সেই একই নবীর নির্দেশ পালন করে যেত, তাহলেও বহু আগেই সমাজের মুক্তি ঘটে যেত।
আমরা হচ্ছি অতি আজাইরা একটা জাতি। হাতে অনেক আজাইরা সময় থাকায় অতি সহজ কাজকে অতি সহজভাবে চিন্তা না করে সবসময়ে আজাইরা পথটাই বেছে নেই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০১
জাহাজী পোলা বলেছেন: অসাধারন লেখা! আমরা সরল ভাল নিয়ে কাজ এবং কথা না বলে আজাইরা আকামে ব্যাস্ত! ব্যাপক আকারের আজাইরা জ্ঞানবান এদেশের পথে প্রান্তরে!
ভাল লাগা!
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০৭
বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: ব্লগারদের লেখা এমনই হওয়া উচিত। খুব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: ব্লগারদের লেখা এমনই হওয়া উচিত। খুব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০০% সহমত
গোগ্রাসে গিলেছি
ভীষন ভালো লেগেছে
অনেক অনেক ধন্যবাদ
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪
বকা চালাক বলেছেন: ভীষন ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
জেকলেট বলেছেন: এই ঘটনা হেট স্পিচ ছড়িয়ে বেড়ানো মুক্তমনার বাড়িতেও ঘটে। আবার নবী প্রেমে অন্ধ, মানুষ খুনে উন্মাতাল, মুমিন মুসলমানের বাড়িতেও ঘটে।
একদম ঠিক কথা। লেখকের সাথে ১০০% সহমত
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
যমুনার চোরাবালি বলেছেন: ''আবার নবী প্রেমে অন্ধ, মানুষ খুনে উন্মাতাল, মুমিন মুসলমানের বাড়িতেও ঘটে। ''
আপনার এই অংশটুকু অবিবেচকের মতোই হয়ে গ্যাছে। ভালো কিছু লিখতে গিয়ে আপনি অবিবেচকের মতো একটি শ্রণীর মানুষদের দোষারোপ করে গেলেন। এসবই আসলে আজাইরা প্যাচাল। না বুঝেই হুট করে কিছু একটা লিখে দেওয়া কারও সহানুভূতি পাবার আশায়।
একজন মোমিন মুসলমান কেমন হতে পারে বা একজন মোমিন মুসলমান কেমন সেটা আগে আপনার জানা দরকার তারপর তার উপর বক্তব্য পেশ করা দরকার। সব মুসলমানই মোমিন মুসলমান হবে এমনতো নয়, তাইনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দুইটা এক্সট্রিম কেস বর্ণনা করা হয়েছে। ভাল করে পড়েন, কয়েকবার পড়লেই বুঝতে পারবেন।
৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
যমুনার চোরাবালি বলেছেন:
''আবার নবী প্রেমে অন্ধ, মানুষ খুনে উন্মাতাল, মুমিন মুসলমানের বাড়িতেও ঘটে। ''
আপনার এই অংশটুকু অবিবেচকের মতোই হয়ে গ্যাছে। ভালো কিছু লিখতে গিয়ে আপনি অবিবেচকের মতো একটি শ্রেণীর মানুষদের দোষারোপ করে গেলেন। এসবই আসলে আজাইরা প্যাচাল। না বুঝেই হুট করে কিছু একটা লিখে দেওয়া কারও সহানুভূতি পাবার আশায়।
একজন মোমিন মুসলমান কেমন হতে পারে বা একজন মোমিন মুসলমান কেমন বা কেমন হওয়া উচিৎ সেটা আগে আপনার জানা দরকার তারপর তার উপর বক্তব্য পেশ করা দরকার। সব মুসলমানই মোমিন মুসলমান হবে এমনতো নয়, তাইনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: "সারকাজম" "মেটাফোর" ইত্যাদি শব্দগুলোর সাথে বোধয় আপনার এখনও পরিচয় ঘটেনি।
৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একই টপিক নিয়ে হাজারো লিখার ভিড়ে , এই লিখাটি ব্যাতিক্রম ।
সুন্দর লিখেছেন ।
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমরা মনে জগতের সবচাইতে অপ্রয়োজনীয় জাতি যা কিনা এডেপডিক্সের মত পৃথিবীতে ঝুলে আছে!
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: চলুন, সবাই মিলে সব নাস্তিকদেরকে মেরে ফেলি, শালারা বেশি বার বেড়েছে। সব যখন খতম খবে তখন আমরা আরাম করে নিজেরা ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করব...আ হা কি শান্তি!!
ভাই, ইসলাম বলে মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে, সবাইকে যদি মেরে ফেরা হয় তবে দাওয়াত দিবেন কাকে? মঙ্গল গ্রহের এলিয়েনদের ?
যারা উল্টাপাল্টা কথা বলে তাদেরকে শায়েস্তা করাই উচিত, কিন্তু কিভাবে ? বাড়ি বাড়ি গিয়ে হত্যা করে? দেশের সরকারকে আপনি নোটিশ করছিলেন তাদের ব্যাপারে, করেন নি। বুঝলাম সরকার ব্যবস্থা নিত না তাই আপনি ব্যাবস্থা নিয়েছেন। তাকে একবারের জন্য অন্তত দাওয়াত দিয়ে দেখতেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সহমত।
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
নীলপরি বলেছেন: দারুন লিখেছেন । ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:০০
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: বাহ, মনের মত কথা কয়েক টা দেখলাম। যদিও সামুতে ঢুকলাম খানিক টা সাহিত্যচর্চা করতে, এদের এই ধর্মকর্ম দেখলে বিরক্ত লাগে ব্লগে এসেও, আপনার কথা গুলান ভাল্লাগলো।