নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
১.
জীবনে প্রথম যেদিন ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম সেদিন অজগরের খাচার সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভিতরে একটা সাদা খরগোশ ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, সাপের লাঞ্চ আইটেম। বিশাল অজগর জিভ লকলকিয়ে হিস হিস করছে, কিন্তু খরগোশ বেচারা সেই তুলনায় একদমই ছটফট করছেনা। প্রথম দিকে করুন দৃষ্টিতে খাচার বাইরের দর্শকদের দিকে তাকাচ্ছিল। তারপর হয়তো যা বুঝার তা বুঝে নিয়তি মেনে নিয়েছে।
আমার বয়স তখন খুবই কম। ক্লাস থ্রিতে পড়ি। এই বয়সী শিশুরা ভয়াবহ আবেগী হয়। খরগোশটার জন্য মায়ায় বুক ভরে গেল। কী সুন্দর সাদা ধবধবে দেহ, তুলার বালিশের মতন নরম শরীর। ইচ্ছা করছিল খাচার দরজা ভেঙ্গে অজগরের ফণা থেকে তাকে উদ্ধার করি।
মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে খাদ্যগ্রহন দৃশ্য দেখার অপেক্ষা করছে। অজগর ধীরে ধীরে এগিয়ে খুব কাছাকাছি এসে মুখ হা করলো।
আমি খাচার সামনে থেকে সরে গেলাম।
২.
যুথীকে যেদিন মিলিটারী ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য তাঁর বাড়ি থেকে তুলে আনা হলো, সে পাড়ার শান্তি কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামানের পায়ে ঝাপিয়ে পড়ে বলেছিল, "চাচা, আমি শেফালির বান্ধবী চাচা!"
শেফালী হচ্ছে মনিরুজ্জামানের বড় মেয়ে। "আমি আপনার বাড়িতে খেলেধুলে বড় হয়েছি। আপনার স্ত্রী আমাকে তাঁর আরেক মেয়ে ডাকেন। আপনি নিজেও আমাকে "মা" ডাকেন! আমার উপর দয়া করেন চাচা! আমাকে ওদের হাতে তুলে দেবেন না।"
মনিরুজ্জামান নির্বিকারভাবে যুথীর বুক বরাবর লাথি মেরে তাঁর হাতের বাঁধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে। তারপর অতি বিরক্ত স্বরে নিজের লোকেদের তিরস্কার করে, "এই জব্বার! সকালে ভাত খাস নাই? একটা মাইয়ারে সামলাইতে পারোস না, কিয়ের মর্দ তুই?"
জব্বার এসে যুথীকে জাপ্টে ধরে। উপস্থিত মিলিটারী জোয়ানেরা খিলখিলিয়ে হাসতে থাকে। ক্যাপ্টেন সাহেবের ইস্তেমালের পর এই মালতো তারাও ব্যবহার করতে পারবে। সেই খুশিতেই ঠোটের ফাঁক দিয়ে দাঁত ঝিলিক দিয়ে উঠে।
আশেপাশে বেশ কিছু পাড়াপ্রতিবেশী নিজনিজ অবস্থান থেকে এই দৃশ্য দেখলেন। কেউ কেউ বিষন্ন হলেন, কেউ রাগ চেপে রাখলেন, কেউ বা হলেন আমোদিত।
যুথী চিড়িয়াখানার ঐ খরগোশটার মতন হাল ছেড়ে দিল। অজগর তাঁরও সামনে এসে হা করলো।
৩.
পত্রিকায় খবর ছেপেছে, "গত রবিবার রাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশে একদিক্রমে কয়েকটি সফল অভিযান চালিয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যপারে কয়েক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযানগুলো চালানো হয়।"
একাত্তুরের সেই অভিশপ্ত ২৯-৩০ অগাস্ট। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শহীদ আলতাফ মাহমুদ, শহীদ বদি, শহীদ রুমি, শহীদ জুয়েল, শহীদ আজাদসহ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ফিরে আসেনি তাঁরা। এই সমস্ত দেশপ্রেমিক নাগরিকরাই গভীর রাতে মিলিটারী ক্যাম্পে গিয়ে নিজ হাতে ওদের খুন করেছিল। জানোয়ারেরা লাশগুলোকে পর্যন্ত স্বজনদের হাতে তুলে দেয়নি। এক মা জানতেনই না কোথায় তাঁর সন্তানের কবর হয়েছে। তাই তিনি বাকি জীবন স্যান্ডেল পরেননি। সন্তানের কবরকে জুতা দিয়ে মাড়ানোর মতন নিষ্ঠুর তিনি হতে পারেননা।
পত্রিকা থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে মন থেকে অভিশাপ দিলেন শহীদ রুমির মা, "হে আল্লাহ! এই সমস্ত দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জন্য তোমার ভয়াবহ, নিকৃষ্টতম হাবিয়া দোজখও যেন যথেষ্ট না হয়!"
শহীদ আজাদের মা ভাত খাওয়াই ছেড়ে দিলেন। ছেলের জন্য ভাত নিয়ে গিয়ে আর ছেলের দেখা পাননি। জীবনের শেষ চৌদ্দটা বছর সেই মা শক্ত মেঝেতে ঘুমিয়েছেন, কারন ছেলে অন্তিম মুহূর্তে বিছানা পায়নি। এই দুই মায়ের কথা আমরা জানি কারন বইয়ে পড়েছি। বাকিদের কী হয়েছিল?
হয়তো সেই চিড়িয়াখানার খরগোশের মতন অজগরের হা করা মুখের সামনে তাঁরাও হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।
৪.
ষোলই ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে চারটা থেকে লাখ লাখ স্বজন অপেক্ষা করেছেন তাঁদের প্রিয়জনেরা ফিরে আসবেন। কেউ ফিরেছেন, বেশিরভাগই ফেরেননি। অশ্রুসিক্ত নয়নকে পাথর করে তাঁদের দেখতে হয়েছে তাঁদেরই স্বজনদের খুনিদের আমরা রাজ গদিতে বসিয়েছি, জননেতা বানিয়েছি, কোটিপতি বানিয়ে সমাজের মাথায় তুলে কড়জোরে জ্বী হুজুরি করেছি।
চল্লিশটা বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা শুধু দর্শক হিসেবে দেখেছেন। কেউ চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, কেউ খাচা থেকেই দূরে সরে গেছেন। আবার কেউ বা এই সময়ে দাঁত ক্যালিয়ে অজগরের ফুলে ওঠা পেশী দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
এখন যখন কলংকের দাগ মুছতে শুরু করেছে - আফসোস হয় এই দেখে যে খাচার বাইরে দাঁত ক্যালানো দর্শকের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। দেশের সবচেয়ে বড় শত্রুর যখন বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়, তখন দেশে বিক্ষোভ ও নাশকতার আশংকা করা হয়! দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল অফিসিয়াল বিবৃতি দেয় "আমরা ন্যায় বিচার পাইনি - আমরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার!"
এবং তারচেয়েও বড় আফসোস, দলকানারা চোখ বন্ধ করে এই দাবির সমর্থন করে। তারা বলে, যা হবার তা হয়েছে, এখন শুধু শুধু এতদিন পর এ নিয়ে টানা হ্যাচরা কেন?
আমি অবাক হই, নিজের পিতা বা সন্তানের খুনিদের ব্যপারে কী এই কথা বলতে পারতো? বা নিজের মায়ের ধর্ষককে ক্ষমা করতে পারতো?
রাজাকারের বিচার চাইতে হলে আপনাকে আওয়ামী দালাল হতে হবেনা। রাজাকারের বিচার চাইতে হলে আপনাকে শেখ হাসিনার সমর্থক হতে হবেনা। বরং এই জানোয়ারদের বিচার চাইতে হলে কেবল বাংলাদেশী হওয়াটাই যথেষ্ট। দেশটাতো আপনার-আমার তাই না? এখনওতো কোন দলের কাছে বেঁচে দেইনি।
আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন, আপনি যদি বাংলায় কথা বলে থাকেন, এবং আপনি যদি দেশদ্রোহী না হন, তবে অবশ্যই আপনার উচিৎ এই সমস্ত অজগরদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করা।
নাহলে সবুজ পাসপোর্টটা ফেলে দিয়ে অন্য কোথাও শিফট হবার চেষ্টা নিন। তখনই বুঝতে পারবেন, প্যায়ারা মূলকের সরকার আপনার মতন আবর্জনাকে নিজের দেশে নিতে কতটা আন্তরিক!
আমার দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠির প্রতি আফসোস, কবে যে আমরা এই সাধারণ ব্যপারটা উপলব্ধি করবো!
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমার মনেহয় আফসোসটা আফসোসই থেকে যাবে। কখনোই এটা যাবেনা।
লেখাটা ভাল লাগলো।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩১
কামরুল হাসান সাজ্জাদ বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার কথাগুলো। কিন্তু কষ্ট হয় যখন দেখি সরকার জনতাকে বিশ্বাস না করতে পেরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সোস্যাল মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেয়। সরকার যদি আরও আন্তরিক হয়ে নিরপেক্ষ ভাবে সব যুদ্ধপরাধীদের (যারা খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগে অবস্থান নিয়েছে তাদেরকেও) বিচারের আওতায় নিয়ে আসতো তাহলে গ্রহনযোগ্যতা আরও বেশী হতো। তারপরও দেশের সিংহভাগ মানুষ এই বিচারের পক্ষে।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২
কামরুল হাসান সাজ্জাদ বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার কথাগুলো। কিন্তু কষ্ট হয় যখন দেখি সরকার জনতাকে বিশ্বাস না করতে পেরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সোস্যাল মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেয়। সরকার যদি আরও আন্তরিক হয়ে নিরপেক্ষ ভাবে সব যুদ্ধপরাধীদের (যারা খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগে অবস্থান নিয়েছে তাদেরকেও) বিচারের আওতায় নিয়ে আসতো তাহলে গ্রহনযোগ্যতা আরও বেশী হতো। তারপরও দেশের সিংহভাগ মানুষ এই বিচারের পক্ষে।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪
রাফা বলেছেন: নব্য ছাগিয়তাবাদিদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে।দুঃখ হয় এই অজগরদের পাশে থেকেই বাংলার আলো বাতাস গ্রহণ করতে হবে আমাদের।এর চাইতে লজ্জার আমার জিবনে আর কিছুতেই অনুভব করিনা।
চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন বাস্তব অবস্থা।ধন্যবাদ ,আপনার সুলিখিত পোষ্টের জন্য।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৯
শ্মশান বাসী বলেছেন: ভালো লাগলো।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৬
সৃজন আহমদ বলেছেন: আপনি যদি বাংলাদেশী
হয়ে থাকেন, আপনি
যদি বাংলায় কথা বলে
থাকেন, এবং আপনি
যদি দেশদ্রোহী না হন,
তবে অবশ্যই আপনার
উচিৎ এই সমস্ত
অজগরদের ফাঁসির
দাবিতে মিছিল করা।
নাহলে সবুজ
পাসপোর্টটা ফেলে দিয়ে
অন্য কোথাও শিফট
হবার চেষ্টা নিন।. . . . . . . [খুব ভালো লাগলো]
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: অনেক সুন্দর কিছু কথা বলেছেন
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: দারুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। কথাগুলো ভালো লাগল।
আসলেই, আফসোসের বিষয় - এই বাঙালী কখনো একটা বিষয়ে সবাই একমত হতে পারে না।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: দারুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। কথাগুলো ভালো লাগল।
আসলেই, আফসোসের বিষয় - এই বাঙালী কখনো একটা বিষয়ে সবাই একমত হতে পারে না।
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
লাজুক লতা আমি বলেছেন: এন্ট্রি দারুণ হয়ে।
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: একদম এমনই অনুভব করি। বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া। কোন অপরাধ সংঘটিত হবার হাজার বছর পরেও সেটা অপরাধই থাকে। যারা বলে এতো বছর পর বিচার করে কি লাভ তাদেরও বিচার হওয়া দরকার।
১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
আলোরিকা বলেছেন: ' রাজাকারের বিচার চাইতে হলে আপনাকে আওয়ামী দালাল হতে হবেনা। রাজাকারের বিচার চাইতে হলে আপনাকে শেখ হাসিনার সমর্থক হতে হবেনা। বরং এই জানোয়ারদের বিচার চাইতে হলে কেবল বাংলাদেশী হওয়াটাই যথেষ্ট। দেশটাতো আপনার-আমার তাই না? এখনওতো কোন দলের কাছে বেঁচে দেইনি। ' ++++++++
চমৎকার উপস্থাপনা ! অনেক শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
সাবলীল মনির বলেছেন: অাপনার কথা ঠিক অাছে, কিন্তু অাজ যারা এই বিচারটা করছে তাদের উদ্দেশ্য কি শুধুই রাজাকারের বিচার করা ? নাকি এর সাথে অন্য কিছু ? উদ্দেশ্য যদি মহৎ না হয়, তাহলে সন্দেহ সেখানে থেকেই যায় ।
১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রকৃত রাজাকারের বিচার হোক ।
১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আজকের দিনে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পোস্ট ।
১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: প্রকৃত রাজাকারদের যেন ফাসি দিয়ে মারা না হয়!!
এতে এদের কষ্ট কম হবে!!
ওদের নির্মম অত্যাচার করে,বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তিলে তিলে মারা হোক!!
লিখাটা ভালো লাগলো!!
১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: প্রকৃত রাজাকারদের যেন ফাসি দিয়ে মারা না হয়!!
এতে এদের কষ্ট কম হবে!!
ওদের নির্মম অত্যাচার করে,বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তিলে তিলে মারা হোক!!
লিখাটা ভালো লাগলো!!
২০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
সাবুজ বলেছেন: লেখক সাহেব একটা প্রশ্ন ।রাজাকার কোন দলে বেশি বা কম ?বিচার সব দলের রাজাকারদের হয়না কেন ?পরিশেষ :আপনি যাদের নিয়ে আফসোস করছেন ,তারাও কী আপনাকে নিয়ে একই সময়ে একই আফসোস করতে পারে ?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। আজকে একটা দলের রাজাকার সাফ হোক, তারপর যখন আরেক দল আসবে, আশা করি অপর দলের রাজাকারদেরও সাফ করা হবে। আপনার থিওরি মানতে গেলে একটারও বিচার হতো না।
২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: সেলিম আনোয়ারের মনে কি সন্দেহ যে যেদের বিচার হচ্ছে তারা প্রকৃত রাজাকার না????
২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অপরাধ আর অপরাধী দুুই মিলিয়ে নিবেন না যেন! অপরাধ চীরকালই ঘৃনার যোগ্য , আজ যারা যে অপরাধের দায়ে অপরাধী তাদের বিচার এর মাধ্যমে জাতি যদি অপরাধ মুক্ত হয় অামার কিছুই বলার নাই; অপরাধ মাথা নিয়ে অন্যের মাথার অপরাধ দেখা কততুকু যুক্তিযত?
২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট
২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাল পোষ্ট।
২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
সজিব হাওলাদার বলেছেন: ফাঁসি হচ্ছে ভাল কথা কিন্তু তাতে এত লাফালাফির কি আছে।
২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারন বলেছেন, কিন্তু দেখেন এখানেও অনেকে দ্বিমত প্রকাশ করতে চলে এসেছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এটাই আমাদের সমাজের প্রকৃত চেহারা।
২৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪
মাধব বলেছেন: রাজনীতির বাইরে যেয়ে বিচার চাই।
২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: রাজাকারের বিচার চাইতে হলে আপনাকে আওয়ামী
দালাল হতে হবেনা। রাজাকারের বিচার চাইতে হলে
আপনাকে শেখ হাসিনার সমর্থক হতে হবেনা। বরং এই
জানোয়ারদের বিচার চাইতে হলে কেবল
বাংলাদেশী হওয়াটাই যথেষ্ট। দেশটাতো আপনার-
আমার তাই না? এখনওতো কোন দলের কাছে
বেঁচে দেইনি।
আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন, আপনি যদি বাংলায়
কথা বলে থাকেন, এবং আপনি যদি দেশদ্রোহী না
হন, তবে অবশ্যই আপনার উচিৎ এই সমস্ত
অজগরদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করা।
নাহলে সবুজ পাসপোর্টটা ফেলে দিয়ে অন্য
কোথাও শিফট হবার চেষ্টা নিন। তখনই বুঝতে
পারবেন, প্যায়ারা মূলকের সরকার আপনার মতন
আবর্জনাকে নিজের দেশে নিতে কতটা আন্তরিক!
আমার দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠির প্রতি
আফসোস, কবে যে আমরা এই সাধারণ ব্যপারটা
উপলব্ধি করবো!
সহমত ভাই
২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮
শিক্ষার্থীদের সাথে কনডমের সম্পর্ক কি বলেছেন: সহমত ভাই
৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: মঞ্জুর ভাই@ আমাকে আপনি বলুন তো একাত্তরে হারিয়ে যাওয়া মায়েদের অশ্রুর রঙ কী ছিলো? জানি বলতে আপনার ঠোট কাঁপবে! কারন আপনি নিজেও জানেন আজ বাংলাদেশে নিখোঁজ সন্তানদের মায়ের অশ্রু গুলোর কোন রঙ নেই! রঙ নেই বলেই একাত্তর বিশেষিত! এই মায়েদের দাম নেই বলেই এই মায়েরা একাত্তরের স্বজন হারানো মায়েদের মতন ভাত খাওয়া, স্যান্দেল পড়া কিংবা নরম বিছানায় ঘুমানো ছাড়তে পারেনি বলেই আমরা ভুল ধারনা করি!
আজ ২০১৫ সাল! মুক্তিযুদ্ধের মহত্ব বুঝতে হয়তো শেষ হাসিনার সমর্থক কিংবা আ-লীগের সমর্থক হওয়া লাগেনা কিন্তু গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই তাদের বিরধীতা করতে হয়! আর সেই পথে কত মুক্তিযোদ্ধা যে আজ রাজাকার হয়ে মিদিয়া তাচ্ছিল্যে জীবন যাপন করছেন! এদের সম্মান নেই!মুক্তিযুদ্ধ করেও, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতীশোধ নিতে সর্বস্ব বাজি রেখেও বঙ্গবীর আজ না খেয়ে ফুটপাতে পাটিয়ে দেন, বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট হয়ে এসেও অনিশ্চিত জীবন যাপন করেন!
সন্তান হারা মায়েদের অশ্রুর রঙ নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করবেন না তাহলে নিমকহারাম রাজনীতিবিদ হওয়া বহু মুক্তিযোদ্ধা নামের রক্তচোষকের মত কেবল মানুশ্র আবেগ বেচে নাম কামাতে পারবেন। ফলে স্বাধিনতার ৪৩ বছরে স্বাধীনতা যুদ্ধের বেনিফিশারী অগণতান্ত্রিক সরকারের নেতাদের মতই আপনিও নির্যাতিত অশ্রুর অবধারিত অভিশাপের ভাগ পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ করেও হারামী হবার মত মানুষ এদেশে অসংখ্যা যেমন আছে, মহান নেতা মুজিবকে হত্যা করার মত মুক্তিযোদ্ধা যেমন আছে, ঠিক তেমন করেই পাকিস্তানের পক্ষগোত্রে বিপরীত চরিত্রের মানুষ গুলো রয়েছে।
মনিরুজ্জামানেরা লভ্য ক্যাপিটাল খাটিয়ে আজ এতটাই যোগ্য যে মহান নেতার উত্তরসূরীরা তাদের ঘরের উত্তরসূরিদের ভর্গ ধারন করে তাদের বংশের রাষ্ট্রীয় পরিচর্যা করছে! বাসন্তীর উত্তরসূরী বাঙ্গালীরা তাদের ঘরের ঘরনী হবার যোগ্যতায় পৌছেনা বলে বাঙ্গালী প্রেমী নেতার উত্তরসূরীরা ঘর আলো করে আলোকিত চামড়া মানুষকে তাদের পুর্বসূরীর বর্ভধারীনি নির্বাচন করে।
বাঙ্গালী ৭১ এ অশ্রু ঝরিয়েছে, ২০১৫ তে অশ্রু ঝরিয়ে বৈষম্য আশা করেনি। ভবিষ্যতেও অশ্রু ঝরাবে তবু প্রতারণার সীমা থাকা উচিৎ! ২ টাকার দূর্নীতি মুক্ত থাকারা অজগর নন। এই অগ্রগামী নৈতিক মানুষগুলোকে চিড়িয়াখার প্রদর্শনী বানিয়ে অজগরের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে! আজ আপনার বয়স বেড়ে যাওয়ায় হয়তো সেই মায়া আর আগের মত কাজ করছেনা! সেই নরম মনের অনুপস্থিতি হয়তো ঘাম ঝরানো বাঙ্গালী কৃষকের দূঃখ বঝার অনুভূতিতে পরিবর্তনের মতই আর খরগোশে আকর্ষণ করেনা। এটা মানসিকতা পরিবর্তনের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে ঘটেছে।
৩১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৭
ওপেস্ট বলেছেন: সিংহের খাচাই ছেড়ে দেয়া হোক । অন্তত এক দিনের আহার বাচবে ।
৩২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
৩৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
ইকবাল দিগন্ত বলেছেন: সত্যিই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। আর আমিও অপেক্ষায় আছি কখন ঔ গোষ্টির বোধগম্য হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আমার দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠির প্রতি আফসোস, কবে যে আমরা এই সাধারণ ব্যপারটা উপলব্ধি করবো!