নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের ছেলেকে জঙ্গি হওয়া থেকে বাঁচাতে যা করবেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২০

আমি রাজাকারদের সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি। এমনকি গণহত্যাকারী পাকিস্তানি আর্মি ও তাদের সমর্থক "মূর্খ" পাকিস্তানি জনগণের চেয়েও। কেন জানেন? ওদের তাও একটা "অজুহাত" আছে, জাতীয়তাবাদে অন্ধ হয়ে ওরা স্রেফ এক চোখা হরিণ হয়ে যায়। আমরা সবাই কমবেশি এই দোষে দুষ্ট। কিন্তু রাজাকারদেরতো সেই অজুহাত ছিল না। নিজের জাতির বিরুদ্ধেই ওরা লেলানো কুকুরের পা চেটেছে। ওদের চেয়ে বড় শয়তান আর কে আছে? ইবলিশও ওদের সাক্ষাৎ পেলে অটোগ্রাফ নিবে - সেলফি তুলে ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার বানাবে।
এডমিন প্যানেলের সভায় ক্যানভাসের নিয়মাবলী গঠনের আলোচনায় আমার এক দফা এক দাবি ছিল - কোন অবস্থাতেই রাজাকার সমর্থক রাখবো না। নিজের দেশের সাথে বেইমানি করে যারা, নিজের মায়ের সাথেও তারা বেইমানি করবে। এমন নরাধমকে পরিবারে রাখার কোনই দরকার নেই।
ক্যানভাস থেকে বাদ যাওয়া সদস্য সংখ্যা হাজারের উপরে। ব্যান সংখ্যাই আড়াইশো ছাড়ানো। এর আশিভাগই রাজাকার ট্যাগে ট্যাগায়িত।
সেদিন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা ঘটে গেল। গুলশানে সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধ চলল। একদল হায়েনার হাতে জিম্মি ছিল আমার ভাই, আমার বোন। ওদের বাঁচাতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরেছে আমারই অন্য ভাইয়েরা। পরিস্থিতি ছিল ভয়ংকর। এমন অবস্থায় সাধারণ লজিক বলে জিম্মিদের কেউই বেঁচে ফেরার কথা না। কিন্তু তারপরেও আমরা দোয়া করেছি - কারন পৃথিবীতে আজও মিরাকেল ঘটে। আমরা আরেকটা মিরাকেল দেখতে চেয়েছিলাম।
বুক ভেঙ্গে যায় যখন দেখলাম এই কঠিন পরিস্থিতিতেও কিছু মানুষ নিজের মনুষ্যত্ব বোধটাই হারিয়ে ফেলেছিল। ওদের কে বুঝাবে, জঙ্গিরা ওখানে লজেন্স বিক্রি করছিল না, মানুষ খুন করছিল! কোন শ্রেণীর জানোয়ার হলে কেউ এই পরিস্থিতি নিয়েও ফাজলামি করে! অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দেয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ছোট দেখানোর চেষ্টা করে! স্ত্রীরা তাঁদের স্বামীদের হারিয়েছেন, শিশুরা হারিয়েছে তাঁদের পিতা - মা বাবা হয়েছেন সন্তানহারা - আর এই সমস্ত নরপশুরা কিনা তাঁদের নিয়েই ফাজলামি করে! ছিঃ! এদের মুখে থুথু ছিটাতেও ঘেন্না হয়। মুখ দিয়ে যখন পায়খানাই বেরোয়, তখন নাহয় অন্য কোথাও গিয়েই পরিবেশ নোংরা করুক। ওদের স্থান ক্যানভাসে না। রাজাকার ছাঁটাই কর্মসূচির আওতায় ডানে বামে না তাকিয়ে এদের ব্যান করা হয়েছে। আরও করা হবে।
এখন অনেকেই অনেক থিওরি নিয়েও হাজির হচ্ছেন। "ভারতের ষড়যন্ত্র," "অবৈধ সরকারের সাজানো নাটক," "আমেরিকার হাত আছে," "কোন "হিন্দু" আল্লাহু আকবার বলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে" - সিআইএ, এফবিআই, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড - সব এক হয়ে মাঠে নেমে ঘাম ঝরিয়ে যে তদন্ত রিপোর্ট করতে পারেনা, এইসব উজবুক ঘরের ড্রয়িংরুমে বসে সেসব তদন্তের সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান!
তাদের মস্তিষ্ক, তাদের থিওরি, তারা ঝাড়তেই পারেন - কিন্তু ক্যানভাসে নয়। অন্তত এখনতো অবশ্যই নয়। পুলিশকে তাঁদের কর্ম করতে দিন - আপনি উস্কানি বন্ধ রাখুন। উস্কালে আপনিও বাদ।
আমার মতে, এই দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বড় ভিলেন হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা। প্রথমে লাইভ অপারেশন দেখিয়ে জঙ্গিদের সাহায্য করেছে, তারপর ভিতর থেকে জিম্মিদের কে কে কোত্থেকে লুকিয়ে মোবাইল ফোনে কোন কোন আত্মীয়ের সাথে যোগযোগ করে কোথায় কোথায় লুকিয়ে আছে - সব আপডেট দিয়েছে। এখন আবার জঙ্গিদের নাম, পিতার পরিচয়, দেশের বাড়ি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সব তথ্য ঢালাওভাবে প্রচার করে জঙ্গিদের নিকটাত্মীয়দের বেঁচে থাকা দুর্বিষহ করে তুলছে। মাথায় মস্তিষ্কের পরিবর্তে কতখানি পায়খানা ভরা থাকলে এরা এই কাজটা করতে পারে? ছিঃ!
সবশেষে একটা কথা বলে শেষ করি।
এখনই সময় - নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন। বোঝান যে এইসব জিহাদিস্ট মিহাদিস্ট সব ফালতু কথা - সাধারণ মানুষের প্রাণ যারা নেয় - তারা সন্ত্রাসী। এবং সন্ত্রাসীর কোন জাত, ধর্ম থাকেনা।
কোরআনের যে স্পেসিফিক আয়াতকে আউট অফ কনটেক্সট নিয়ে এদের ব্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে, সেইসব আয়াতেরই আগের এবং পরের দশ আয়াত নিজে পড়ুন - তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন, এবং সেই সাথে ছেলে মেয়েদেরও পড়ান। আপনি নিজে যতই সেকুলার হন না কেন, এই কাজটা আপনাকে করতেই হবে। কারন কোন ফাঁকে কোন জঙ্গির হাতে আপনার ছেলে পরে, সেটার কোনই গ্যারান্টি নেই।
আমি বরাবরের মতই এখানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবা, যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
কলেজের ভর্তি ফর্ম কিনতে যাওয়ার দিন দেশের অত্যন্ত শক্তিশালি একটি ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠন আমাদের পাঁচ ফ্রেন্ডকে ধরে অনেক্ষন ব্রেন ওয়াশ করার চেষ্টা করেছিল। আমরা কেউই ফাঁদে পা দেইনি। কেন জানেন? কারন যেসব আয়াত এবং সীরাতের উদাহরণ দিচ্ছিল, তার আগে পরের ঘটনাগুলো আমাদের আগে থেকেই জানা ছিল। ধরা খেল কারা জানেন? যাদের এইসব নিয়ে কোন ধারনাই ছিল না।
নিহত জঙ্গিদের বেশিরভাগই স্কলাস্টিকা, ব্র্যাক, নর্থ-সাউথের ছাত্র, বেশিরভাগের বাবা মাই সমাজের অত্যন্ত উচ্চশ্রেণীর বাসিন্দা - বুঝতেই পারছেন, ধর্মীয় গোঁড়ামি অন্তত ওদের বাসায় হতো না এইটা কমনসেন্স থেকে বলাই যায়। তাহলে ওরা কেন এত সহজে এদের শিকার হলো? কারন ওরা অনেক প্রফেশনাল ব্রেন ওয়াশার - এবং আমাদের ছেলেদের কোন ধারনাই ছিল না সেসব আয়াত সম্পর্কে।
দেশ এখন চরম সঙ্কটের মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আশা করি সরকার এইবার অন্তত "জঙ্গি নেই" বুলি কপচাবেন না। নিজের চোখ বন্ধ করলেই বাইরের দুনিয়া অন্ধকার হয়ে যায়না। শরীরের ভিতর রোগ আছে এইটা স্বীকার করে নিলেই রোগের অর্ধেক চিকিৎসা হয়ে যায়।
দোয়া করি এইটাই আমাদের দেশের শেষ সন্ত্রাসী হামলা।
এবং সেটা নিশ্চিত করতে সরকারেরও আগে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনার ছেলে আপনার সাথে বাড়িতে ঘুমায়, সরকারের সাথে নয়।
প্রাউড অফ মাই কান্ট্রি, প্রাউড অফ মাই আর্মড ফোর্স, প্রাউড অফ মাই পিপল।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: বইয়ের কিছু পাতা কি বাদ দেওয়া যায় না?
বদর মদর তো আর নাই।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না যায় না, কারন বদর চলে গেলেও বদরের মতই পরিস্থিতি অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: পরিপূর্ণ ধর্মীয় শিক্ষাটাই এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে জঙী হওয়ার হাত থেকে বাঁচার খেত্রে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শরীরের ভিতর রোগ আছে এইটা স্বীকার করে নিলেই রোগের অর্ধেক চিকিৎসা হয়ে যায়।

কথাটা ভাল লাগলো ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: এগুলারে আগে ল্যাংটা করাতে হবে, তারপর মদ্ধজুগিও কায়দায় এদের বাবস্থা নিতে হবে।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

আরিফ রুবেল বলেছেন: ১) বিপদ অস্বীকার করে বিপদ থেকে বাঁচা যায় না। সরকারের হয়ত বিশাল বিশাল বাহিনী আছে, কিন্তু জনগণের মধ্যে যত দিন এই সংক্রান্ত জনমত তৈরি হবে তত দিন এরা শক্তিশালী হবেই। সরকার যতই শক্তিশালী জনগণকে সাথে না পেলে তার চেয়ে অসহায় আর কেউ নেই।

২) আমাদের সন্তান, ভাই, বন্ধুকে রক্ষার দায়িত্ব মূলত আমাদের। কার সাথে মিশছে, কি পড়ছে, ইন্টারনেটে কি ব্যবহার করছে সব কিছুই লক্ষ্য রাখা উচিত। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেক্স জিহাদ এখন সারা বিশ্বে একটা কমন টার্ম।

৩) গেরিলা পদ্ধতির যুদ্ধে রণকৌশলগত কারনে রিক্রুটমেন্টের কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী থাকে না, ভবঘুরে থেকে শুরু করে কোটিপতির সন্তান কেউই আসলে মুক্ত না। কাজেই যেই নিখোঁজ হোক সে আমাদের পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশী বা আত্মীয় উচিত হবে অতি দ্রুত থানায় জানানো এবং সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া।

৪) রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোরও উচিত হবে এসব অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নিয়ে কাজে ঝাপিয়ে পড়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ক্যানভাস কী?

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওটা আমার ফেসবুক গ্রুপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.