নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ট্রাম্প ভাই অ্যাকশনে নেমে পড়েছেন। শুরুতেই সাত দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এবং ধীরে ধীরে এই তালিকা আরও বড় হবে তাতে সন্দেহ নেই।
তার উৎসাহী সমর্থকেরা এতে খুশি হয়ে দিলেন টেক্সাসের এক মসজিদে আগুন ধরিয়ে। এক রাতেই মুসলিমদের ইবাদতখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমাদের শহর থেকে মাত্রই কয়েক ঘন্টা ড্রাইভিং দূরত্বে ঘটেছে এই ঘটনা।
ক্যানাডায়তো মাগরিবের সময়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে কয়েকজন মুসল্লিকে। ক্যানাডার মতন দেশে এই ঘটনা ঘটলে অ্যামেরিকায় ঘটতে কতক্ষন? এখন প্রতিটা মসজিদের বাইরে পুলিশের সতর্ক প্রহরা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু রাষ্ট্রপতিই যদি হন মুসলিম বিদ্বেষী, তাহলে কিই বা করার আছে।
কয়েকদিন আগেই বলেছিলাম, তখন (মসজিদে আগুন, মুসলিম নারীর গায়ে আগুন, নিউইয়র্কে মুসলিমের উপর আক্রমন ইত্যাদি) গিটারের টিউনিং চলছিল, আসল বাজনা বাজা শুরু হবে শপথ গ্রহণের পর। এখনও কনসার্ট শুরু হয়েছে বলা যাচ্ছেনা। এটাও ধরে নিন সাউন্ড চেকিং চলছে। এখনও তিন বছর ৫০ সপ্তাহ বাকি আছে। এবং ট্রাম্প ভাই একটি জমজমাট কনসার্ট উপহার দিবেন এমন পূর্বাভাস দেয়াই যায়। আমরা শুধু বলতে পারি, "হাসবুনাল্লাহি ওয়া নি'মাল ওয়াকিল।"
কথা এগুবার আগে ট্রাম্পের আগের অ্যামেরিকার বর্ণনা দেয়াটা জরুরি।
নয় এগারোর দুর্ঘটনার পর এয়ারপোর্টে "মুসলিম" শব্দটি ছিল "আত্মঘাতী বোমা হামলার" সমার্থক। কারও নামের সাথে মোহাম্মদ, আহমেদ, রহমান ইত্যাদি থাকলে তাঁকে একটু বেশিই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো। দাড়িওয়ালা বা হিজাব মাথার হলেতো কথাই নেই। এই কিছুদিন আগেই দুই যুবক নিজেদের মধ্যে আরবিতে কথা বলছিল দেখে ওদের প্লেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। পরহেজগার মুসলিম তাঁর ইসলামী পোশাক পরিহিত অবস্থায় প্লেনে যাতায়াতের সময়ে সবসময়েই লক্ষ্য করেন মানুষজনের ভীত ও সন্দেহপ্রবন চেহারা। একবার এয়ারপোর্টে গেটের সামনে একজনকে আসরের নামাজ পড়তে দেখায় এক শ্বেতাঙ্গ নিজের বোর্ড করা ফ্লাইট বদলে ফেললেন।
ট্রাম্প সাহেব এসে দিলেন মুসলিমদের ব্যান করে। ফুঁসে উঠলো অ্যামেরিকান সমাজ। এয়ারপোর্টে ভিড় করলেন মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি জনগোষ্ঠী। সমবেত স্বরে স্লোগান তুললেন, "'No hate, no fear, refugees are welcome here!"
এবং সবচেয়ে মজার ঘটনা হলো, নামাজের সময় হলে এয়ারপোর্টে আজান দিয়ে জামাতে নামাজ পড়া হয়। প্রতিটা মুসলিম একসাথে সিজদাহ দেয়। এবং অমুসলিম জনসাধারণ পাশে দাঁড়িয়ে চিয়ার করে।
এয়ারপোর্টে যেখানে একসময়ে কিছু মুসলিম নারী মাথার হিজাব খুলে স্কার্ফের মতন ব্যবহার করতেন, সেখানে অমুসলিম নারীরা নিজেদের স্কার্ফকে হিজাব বানিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এখন দাড়িওয়ালা জোব্বা পরিহিত মুসলিমদের এয়ারপোর্টে খুঁজে খুঁজে বের করে জড়িয়ে ধরে বলা হচ্ছে, "আমরা তোমাদের পাশে আছি।"
টেক্সাসে পুড়িয়ে দেয়া মসজিদের পুনঃনির্মাণের জন্য ফান্ড রেইজ করা হলো। এক রাতেই হাফ মিলিয়ন ডলার উঠে গেল। যার সিংহভাগ এসেছে অমুসলিমদের কাছ থেকে।
জায়গায় জায়গায় মুসলিম-খ্রিষ্টান ইন্টারফেইথ কনফারেন্স হচ্ছে। মুসলিমদের সম্পর্কে যেসব একপেশে ধারণা ফক্স নিউজ ছড়ায় - সেসব ধারণা অনেকটাই দূর করছে এসব সামনা সামনি আলোচনা।
এবং ক্যানাডার মসজিদের বাইরে হাজারো মানুষ (এইবারও বেশিরভাগই অমুসলিম) জড়ো হলেন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং নিহতদের আত্মার প্রতি সমবেদনা জানাতে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, "আমরা তোমাদের পাশে আছি। ৩৬ মিলিয়ন হৃদয় তোমাদের সাথেই ভেঙেছে। আমরা তোমাদের সাথেই শোকাহত হবো, তোমাদের প্রতিরক্ষা করবো, এবং আমরা তোমাদের পাশে দাঁড়াবো!"
এইটা আল্লাহর "সুন্নাহ" যে কেউ যখন কোন অস্ত্র দিয়ে কোন নির্দোষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে - আল্লাহ সেই অস্ত্র দিয়েই অত্যাচারীকে নাস্তানাবুদ করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ কৌশলী, তিনি সর্বশক্তিমান। তবে শর্ত একটাই, ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করা যাবেনা। মুসলিমদের ডিসিপ্লিনড থাকতে হবে - যাই ঘটুক না কেন।
অন্যায়ের শিকার হওয়ায় এখন যে ভালবাসা পাচ্ছে, মানুষের অনেক ভ্রান্ত ধারণা ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে - সেসব ধরে রাখতে হলে কোন অবস্থাতেই ফাত্রামি করা যাবেনা।
এবং সেই সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাইকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে! তিনি এমন না করলে আজও এয়ারপোর্টে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সমার্থক শব্দটি "মুসলিম" ই থাকতো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: তাই? একে সুখভোগ বলে? বিচিত্র মানসিকতা! অবাক হবার কিছু নেই।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
পথে-ঘাটে বলেছেন: আল্লাহ শয়তানের ষড়যন্ত্র এভাবেই নস্যাৎ করে দেন।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২১
জাহিদ হাসান বলেছেন: ইহুদি, খ্রিষ্টান, মুসলমান তিন ধর্মই আব্রাহাম বা ইব্রাহিম আ: কে অনুসরনকারী। তিন ধর্মের লোকেরই আদি পিতা আদম আ:। তবে কেন এত এই তিন ধর্মের মধ্যে সংঘাত । আর কেনইবা ট্রাম্পের সেই সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা?
আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ট্রাম্প এইসব না করলে মুসলমানরা আমেরিকা-কানাডায় সিমপ্যাথি ও সুনজর অর্জন করতে পারতো না।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লিখেছেন । শুনেছি অহংয়করী ও খোদাকে অস্বীকার ফেরা্মউন নরুদের নাক দিয়ে হঠাৎ করে ছোট এটি মশা ডুকে পরে তার মস্তকে ।ধীরে সুস্থ্যে তা মগজে দংশন শুরু করে। যন্ত্রণায় অস্থির ও একসময় দিশেহারা হয়ে পাদুকা খুলে নিজের মাথায় আঘাত করতে শুরু করতে শুরু করে নমরুদ । এতে মশা দংশনে বিরত থাকে , নমরুদ একটু আরাম বোধ করে । কিন্তু আঘাত বন্ধ করতেই মশা পুন:রায় দংশন শুরু করে । অবশেষে ফেরাউন তার মাথায় মৃদু আঘাত করার জন্যে একজন সার্বক্ষণিক কর্মচারী নিযুক্ত করে।
এটা অদ্ভূত ছিল যে, পাদুকা ব্যতিত অন্য কিছুর আঘাতে মশা দংশনে বিরত থাকত না। এদিকে ফেরাউন নমরুদের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারী অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। একমুহুর্ত অবসর নেই। সামান্য বিরতিতেই তিরস্কার। একসময় তার মনে এমন বিরক্তি ও ক্রোধের সৃষ্টি হল যে, সে তার হস্তস্থিত পাদুকা দ্বারা ফেরাউনের মাথায় সজোরে এক আঘাত হানল। ঐ আঘাতেই তার মৃত্যু হল।
মোট কথা হল দোর্দন্ড প্রতাপশালী ফেরাউনের মত অাল্লা যাকে খুশী তাকে অতি সামান্যভাবেই দমন করতে পারেন তাদের বাড়াবাড়ির জন্য ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: এই ইহুদী বাবা তার সন্তানকে নিয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন মানবতার প্রকৃত স্বরূপ চেনাতে
এই ইহুদী বাবা তার সন্তানকে নিয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন মানবতার প্রকৃত স্বরূপ চেনাতে
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
সায়ান তানভি বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
কাউয়ার জাত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
কাউয়ার জাত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হুম!
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪
শুভ_ঢাকা বলেছেন: হুম।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল পোষ্ট।
১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১
প্রবাসী দেশী বলেছেন:
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবার চমৎকার কমেন্টের জন্য!
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প এর দেখানো পথে হেঁটে কুয়েত সরকার ব্যান করল ৫ টি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা নাগরিকদের এই তালিকায় পাকিস্তান ও থাকছে । বিস্তারিত view this link
১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
গরল বলেছেন: এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ, এ কারণেই ইউএসএ এত উপরে উঠে এসেছে, তাদের জনগণের বড় মানসিকতার কারণে। চিন্তা করুন এরকম যদি বাংলাদেশে হত, কোন ধর্মের লোকদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হত তাহলে ঐদিনই তাদের সমস্ত উপাসনালয় যেগুলো বাংলাদেশে আছে সব পুড়িয়ে দেওয়া হত, ঐ ধর্মের লোকদের উপড় হামলা হত, ধর্ষণ হত আরও কত কি যে হত। এখানেই আসল পার্থক্য। যেমন দেখুন অন্য কোন দেশে একটা মসজিদ ভাঙলে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গা সুরু হয়ে যায় অথচ তালেবানরা বুদ্ধের একটা মূর্তি উড়িয়ে দেওয়ার পড়ও চীনে কি কোন মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল? মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর হামলা কিন্তু বৌদ্ধ-মুসলিম দাঙ্গা না, ওটা রাজনৈতিক।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ১০০% সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মুসিলিম মুসলিম করে এইসকল সুখভোগ করার একটা সুযোগও তাহলে তৈরি হলো! ট্রাম্পের মন্দেরও ভালো বের হলো বৈকি!